পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেঈমান কে? আমি বলব “সময়”। কত না বিচিত্র এই সময়, কত না এলোমেলো। এই সময়কেই কখনো ধরা হয়নি আমার। সময় ছুটেছে তার গন্ত্যব্যে, আর আমি তার পিছন পিছন হেঁটেছি সদ্য হাঁটা শেখা শিশুর মত। প্রত্যেক মানুষেরই শৈশবের স্মৃতি রয়েছে। সে সব স্মৃতি হয়তো আনন্দ হয়তো বেদনায়ময়। এসব স্মৃতি আর লিখতে ভালো লাগেনা তবুও লিখতে হয়।" আমি যখন ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ি, তখন থেকে পৃথিবীকে নতুন করে চেনার পালা শুরু হয়েছিল। মা-বাবাকে ছেড়ে হোস্টেলের অরণ্যময় পরিবেশে বড় হয়েছি। আমার মৌলিক-যৌগিক চাহিদা কোন একটি পূরণ হয়েছিলো কি-না তা আমার জানা নেই। তাই নিজের হাহাকারটুকু বিলিয়ে দিতাম প্রকৃতির মধ্য। স্কুলের সময় হলেই দৌড় দিতাম বন্ধুদের কাছে। ক্লাস করতাম আর আড্ডা দিতাম। রাতে আকাশের তারা গুনতাম এবং বন্ধুরা সবাই মিলে গল্প করতাম। তবুই যেন হাহাকার যেন কাটে না। এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর হোস্টেল জীবন শেষ করে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরি। গ্রামের সব কিছুই যেন আমার কাছে অচেনা লাগে। সবার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি। মনে অনেক প্রশ্ন জাগে কিন্তু উত্তর খুঁজে পাইনা। হাজার লোকের ভীড়ে চেনা লোকটি ভেসে আসে আমার চোখের মাঝে। কতোইনা শৈশবে খেলা-ধুলা করেছি এক- সঙ্গে এবং ভর-দুপুরে সাঁতার কেটেছি নদীতে। বাড়ী যাওয়ার কয়েকমাস পর-পরই আবার মা-বাবাকে ছেড়ে কলেজে ভর্তি হই। প্রকৃতির নিয়মে সবাইকে ছেড়ে বহুদূরে পাড়ি জন্মাতে হয়েছে। কলেজ জীবন শেষ করে ভার্সিটি জীবন, প্রতিটা সময়েই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সাথে সাথে হাজার হাজার স্মৃতি তৈরি হয়। স্কুলের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি, আনন্দ, হাসি, কান্না, বিশ্ববিদ্যালয় লাইফের বন্ধুদের নিয়ে ফানসহ নানা স্মৃতিচারণ করে থাকি। আজ আমার সব কিছু আছে কিন্তু স্কুলের মত বন্ধুরা নেই কাছে নেই। আজ সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে সেই ছোটবেলার সঙ্গী Best friend এমরান ও টুটুলের কথা। এক সাথে খেলা করতাম আড্ডা দিতটা কতই না মজা হত। সেই দিনের কথা মনে পড়লে চোখের জলে সমগ্র দেহ ভিজে যায়।আমি আর্শীবাদ করি সে যেন চির-সঙ্গী হয়ে থাকে। সকল বন্ধুদের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
মোহাম্মদ মহসীন
ভালুকা, ময়মনসিংহ
কর্মরত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।