জীবন সংগ্রামী অভিনয় শিল্পী মিলন
বিনোদন প্রতিবদক ছেলেটার পুরো নাম মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন, গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলায়, শাহজাদপুর থানায়, গ্রামের নাম চরনরিনা পশ্চিমপাড়া, সে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তার বাবা অসুস্থ হওয়াতে পরিবারের হাল ধরার জন্য সে ঢাকা চলে আসে ১৯৯৯ইং সালে জীবিকার জন্য, প্রথমে একটা স্টেশনারী দোকানে ২০০০/- টাকা মাসিক বেতনে পার্ট টাইম চাকুরী নেয়। অনেক প্ররিশ্রম আর কষ্ট করে পড়া-লেখা ও চাকরি করেছেন, এভাবে দিনের পর দিন সে পরিশ্রম করে যাচ্ছিল, তার স্বভাব ছিল খুবই ন¤্র ভদ্র সবাই তাকে খুবই পছন্দ করত।
একদিন তাকে দেখে একটা প্রাইভেট কোম্পানীর মালিকের মেয়ের জামাই তার শশুরের একটা সোয়েটার কোম্পানীতে জুনিয়র একাউন্টস্্ অফিসার হিসাবে চাকুরী দিয়ে দেন, তখন তার বেতন গিয়ে দাড়ায় ৪,৫০০/- টাকা, তাতে মোটামুটি স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন চলতে থাকল। বর্তমানে সে একটা গ্রæপ অব কোম্পানীতে অডিট ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছেন এবং পাশাপাশি মিডিয়াতেও কাজ করছেন।
ছেলেটার ছোট বেলা থেকেই একটা বিশেষ শখ ছিল সে একদিন ভালো মানের একজন অভিনেতা হবে, তাই সে ২০০৫ সালে যোগ দিলেন নগর থিয়েটার নামে একটা নাট্য কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে, সেখান থেকে সে আবার চলে গেল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির প্রধান কার্যালয়ে ৬ মাসের ট্রেনিং করতে, তারপর একে একে কয়েকটা মঞ্চ নাটক করল সে। মঞ্চ নাটক করা অবস্থায় সে একটা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেল, বাংলা ছায়াছবির নাম ‘‘দাপট’’ প্রয়াত নায়ক মান্না”র সাথে সহকারী অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। মাঝে মাঝে টিভিতেও দু একটা নাটকেও সে কাজ করেছেন।
মাঝ খানে অর্থাৎ ২০০৫ইং সাল হইতে ২০১৮ইং পর্যন্ত আর কখনো সে মিডিয়াতে কাজ করেনি। দীর্ঘ ১৩ বৎসর বিরতীর পর সে আবার অভিনয় জগতে নতুন করে প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে তার অভিনীত অনেক নাটক, শর্ট ফিল্ম, কমেডি নাটক ও মিউজিক ভিডিও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও ইউটিউবে প্রচার হচ্ছে প্রায় সময়ই। উল্লেখযোগ্য নাটকের নাম হল, নিঃস্ব এ জীবন, শিক্ষার মুল, পাগলে স্বপ্ন, চাঁপাবাজ, পরিচয় গোপন, বৌয়ের জন্য মাইর খাইলো, প্রেমের ফান্দে, নদীর ঘাটে প্রথম দেখা, সুদ খোর মন্টু, ভ্যাজাল মুন্না, প্রেমিকা ধর্ষণ, অপরাধী প্রেমিকা, অপরাধী ভাই, মায়ের মত ভাবী, শুটিং পেকাপ, বৌয়ের হাতে স্বামী খুন, টাকা বাবা, বলদ জামাই, ফরেষ্ট অফিসার, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু।
মিউজিক ভিডিওর মধ্যে রয়েছে- সুখেই থেকো, জানালা বাই নিরব, মিষ্টি মিষ্টি গল্প এছাড়া আরো অসংখ্য নাটক ও মিউজিক ভিডিও প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। একজন ভালো মানের অভিনেতা হতে তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।
|
বিনোদন প্রতিবদক ছেলেটার পুরো নাম মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন, গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলায়, শাহজাদপুর থানায়, গ্রামের নাম চরনরিনা পশ্চিমপাড়া, সে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তার বাবা অসুস্থ হওয়াতে পরিবারের হাল ধরার জন্য সে ঢাকা চলে আসে ১৯৯৯ইং সালে জীবিকার জন্য, প্রথমে একটা স্টেশনারী দোকানে ২০০০/- টাকা মাসিক বেতনে পার্ট টাইম চাকুরী নেয়। অনেক প্ররিশ্রম আর কষ্ট করে পড়া-লেখা ও চাকরি করেছেন, এভাবে দিনের পর দিন সে পরিশ্রম করে যাচ্ছিল, তার স্বভাব ছিল খুবই ন¤্র ভদ্র সবাই তাকে খুবই পছন্দ করত।
একদিন তাকে দেখে একটা প্রাইভেট কোম্পানীর মালিকের মেয়ের জামাই তার শশুরের একটা সোয়েটার কোম্পানীতে জুনিয়র একাউন্টস্্ অফিসার হিসাবে চাকুরী দিয়ে দেন, তখন তার বেতন গিয়ে দাড়ায় ৪,৫০০/- টাকা, তাতে মোটামুটি স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন চলতে থাকল। বর্তমানে সে একটা গ্রæপ অব কোম্পানীতে অডিট ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছেন এবং পাশাপাশি মিডিয়াতেও কাজ করছেন।
ছেলেটার ছোট বেলা থেকেই একটা বিশেষ শখ ছিল সে একদিন ভালো মানের একজন অভিনেতা হবে, তাই সে ২০০৫ সালে যোগ দিলেন নগর থিয়েটার নামে একটা নাট্য কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে, সেখান থেকে সে আবার চলে গেল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির প্রধান কার্যালয়ে ৬ মাসের ট্রেনিং করতে, তারপর একে একে কয়েকটা মঞ্চ নাটক করল সে। মঞ্চ নাটক করা অবস্থায় সে একটা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেল, বাংলা ছায়াছবির নাম ‘‘দাপট’’ প্রয়াত নায়ক মান্না”র সাথে সহকারী অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। মাঝে মাঝে টিভিতেও দু একটা নাটকেও সে কাজ করেছেন।
মাঝ খানে অর্থাৎ ২০০৫ইং সাল হইতে ২০১৮ইং পর্যন্ত আর কখনো সে মিডিয়াতে কাজ করেনি। দীর্ঘ ১৩ বৎসর বিরতীর পর সে আবার অভিনয় জগতে নতুন করে প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে তার অভিনীত অনেক নাটক, শর্ট ফিল্ম, কমেডি নাটক ও মিউজিক ভিডিও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও ইউটিউবে প্রচার হচ্ছে প্রায় সময়ই। উল্লেখযোগ্য নাটকের নাম হল, নিঃস্ব এ জীবন, শিক্ষার মুল, পাগলে স্বপ্ন, চাঁপাবাজ, পরিচয় গোপন, বৌয়ের জন্য মাইর খাইলো, প্রেমের ফান্দে, নদীর ঘাটে প্রথম দেখা, সুদ খোর মন্টু, ভ্যাজাল মুন্না, প্রেমিকা ধর্ষণ, অপরাধী প্রেমিকা, অপরাধী ভাই, মায়ের মত ভাবী, শুটিং পেকাপ, বৌয়ের হাতে স্বামী খুন, টাকা বাবা, বলদ জামাই, ফরেষ্ট অফিসার, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু।
মিউজিক ভিডিওর মধ্যে রয়েছে- সুখেই থেকো, জানালা বাই নিরব, মিষ্টি মিষ্টি গল্প এছাড়া আরো অসংখ্য নাটক ও মিউজিক ভিডিও প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। একজন ভালো মানের অভিনেতা হতে তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক: নারীর অধিকার নিয়ে সবসময় সোচ্চার হলিউড তারকা অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। স¤প্রতি চলচ্চিত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আরও একবার মুখ খুললেন এ অভিনেত্রী। জোলি স¤প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, নারীর নিজের শক্তি দেখানোর উপায় হলো পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা, তাদের সঙ্গে ঝগড়া করা নয়। এ পথেই পৃথিবীটা আরও সুন্দর হবে। এই অভিনেত্রী `ম্যালফিসেন্ট :মিসট্রেস অব ইভেল`-এ ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছবি নিয়ে তিনি বলেন, `যখনই কোনো নারীকেন্দ্রিক ছবি দেখি সেখানে বলা হয়- এই নারী শক্তিশালী। কিন্তু সেসব ছবিতে সেই নারীদের পুরুষকে হারাতে হচ্ছে, কিংবা সেই পুরুষের সমকক্ষ হতে হচ্ছে অথবা সেই নারীর কোনো পুরুষকে দরকারই পড়ছে না। কিন্তু আমার অভিনীত এ ছবিটি অনেকটাই আলাদা।`
ম্যালফিসেন্টে জোলিকে এক সহমর্মী চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যিনি তথাকথিত ভিলেন থেকে অনেকটাই আলাদা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, `ছবিতে নারীরা খুব শক্তিশালী। কিন্তু যে ভিলেন, সেও একজন নারী। তাকে হারতেই হয়। এ ধরনের বিভিন্ন নারী চরিত্রের আনাগোনা আছে ছবিতে। কিন্তু আমি এটাও বলতে চাই যে, এসব নারী চরিত্রের সঙ্গে যে পুরুষ চরিত্র আছে তারাও অসাধারণ। সেটাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ।`
অন্য এক প্রশ্নে জোলি বলেন, `আমাদের চারপাশের পুরুষদের থেকে শেখা এবং ভালোবাসার প্রয়োজন আছে। তরুণীদের উদ্দেশে আমি বলি, নিজেদের শক্তি খুঁজে বের কর। কিন্তু তার সঙ্গে তোমাদের চারপাশের পুরুষদের থেকেও শেখ, তাদের শ্রদ্ধা কর।`
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে দীপিকা পাড়ুকোন প্রতিষ্ঠিত লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন। স্বজন ও সহযোগীদের নিয়ে সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি লেকচার সিরিজ উদ্বোধন করেছেন দীপিকা। দীপিকার এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে। যারা মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভোগেন তাদের মাঝে আশার আলো ছড়িয়ে দেওয়াই এর লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ‘লিভ, লাভ, লাফ’ শিরোনামে লেকচার সিরিজের প্রথম সংস্করণ উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথম লেকচারটি প্রদান করেছেন পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী লেখক এবং পদ্মশ্রী ভূষিত ড. সিদ্ধার্থ মুখার্জী। দিল্লির তাজমহলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অনিশা পাড়ুকোন, প্রকাশ পাড়ুকোন, উজ্জ্বলা পাড়ুকোন, শর্মিলা ঠাকুর, আয়ুষ্মান ভারতের প্রধান নির্বাহী ইন্দু ভূষণ, নীতি আয়োগের প্রধান নির্বাহী অমিতাভ কান্ত, ড. রেনু স্বরূপ, ড. বলরাম ভার্গব, অধ্যাপক বিজয় রাঘব প্রমুখ। দীপিকার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন এবং মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোন লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দীপিকা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান পেশার ব্যক্তিত্বকে এই লেকচারে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে যাদের উৎসাহ আছে তাদের অভিজ্ঞতা সবাইকে জানানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দীপিকা মনে করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় মিডিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এজন্য তিনি মিডিয়াগুলোকে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
|
|
|
|
৩৭ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী নিবন্ধন করেছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। সেখান থেকে সেরা ১২ জন বাছাই করা হয়। তাদের নিয়েই গতকাল শুক্রবার, ১১ অক্টোবর রাতে অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’- এর গ্রান্ড ফিনালে। সৌন্দর্য, শিক্ষা, স্মার্টনিটি, উপস্থাপনা, পারফর্মে এই ১২ জনই ছিলেন অনন্যা। তবুও বিচারকের রায় বেছে নিয়েছে সেরাদের সেরাকে।
যখন সেরা ১২ থেকে টপ সিক্স বাছাই করতে নাম ঘোষণা করছিলেন উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস ও শ্রাবণ্য তৌহিদা তখন থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে সুনসান নিরবতা। কে বাদ পড়বেন সেই দুশ্চিন্তা ছেয়ে গেল সবাইকে। একে একে সেরা ছয় ও সেরা তিন বাছাই হলো। সেখানে টিকে রইলেন জান্নাতুল ফেরদৌস মেঘলা, ফাতিহা মিয়ামি ও রাফাহ নানজিবা তোরসা।
প্রথম রানার আপ হিসেবে দেবাশীষ বিশ্বাস ঘোষণা করলেন ফাতিহা মিয়ামির নাম। এরপর চাপা উত্তেজনা বিরাজ করা মঞ্চে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় রাফাহ নানজিবা তোরসার নাম। চারদিকে তখন করতালি আর অভিনন্দনের উষ্ণ চিৎকার। কেমন ছিলো সেই মুহূর্তটি যখন নিজের নামটি শোনা হলো চ্যাম্পিয়ন হিসেবে?
চোখে মুখে রাজ্য জয়ের হাসি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে তোরসা বলেন, সত্যি কথা বলতে অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু একটা ভয়ও ছিলো। কারণ যারা সেরা ১২ তে এসেছে সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমরা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। জানি কে কেমন। সেখানে সবাইকে রেখে নিজের নামটি বিজয়ী হিসেবে শুনতে পারাটা অনেক বড় আনন্দের ও প্রাপ্তির।
‘আমার মনে হয় প্রেজেন্টেশন, সামাজিক কার্যক্রম, নিজেকে প্রকাশের দক্ষতা আমাকে এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অন্যরাও ছিলো অসাধারণ। বিশেষ করে সেরা ছয়ে যারা ছিলো তারা প্রত্যেকেই এই মুকুট জয়ের যোগ্যতা রাখে। কিন্তু সেটা আমি মাথায় দিতে পেরে গর্বিত’- যোগ করেন তোরসা।
কখনো মনে হচ্ছিলো না যে বাদ পড়তে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তোরসার ভাষ্য, ‘বারবার মনে হচ্ছিলো। কারণ ওই যে বললাম যারা সেরা ১২ তে ছিলো সবাই দারুণ। সেরা ছয় বাছাইয়ে যখন এক এক করে অনেকেই বাদ পড়ছিলো মনে হচ্ছিলো এই বুঝি আমিও বাদ পড়ে গেলাম।’
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তোরসা। প্রত্যাশা এখন আকাশ ছোঁয়ার। নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। নানা রকম গ্রুমিংয়ে সৌন্দর্য ও বুদ্ধিকে কীভাবে স্মার্টলি উপস্থাপন করতে হয় শিখেছেন। তোরসা বলেন, ‘ফেরদৌস স্যার, মৌসুমী ও ফারনাজ আলম ম্যামসহ বেশ চমৎকার কয়েকজন গুণী মানুষদের সান্নিধ্যে সমৃ্দ্ধ হয়েছি। এগুলো মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে কাজে লাগবে। সামনে আরও কিছু সময় হাতে পাওয়া যাবে যেসব গ্যাপ আছে তা পূরণ করার। আগে যারা বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে গিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে তাদের অভিজ্ঞতাও জানার সুযোগ হবে। আশা করছি দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবো।’
পজিটিভ মাইন্ডের মেয়ে তোরসা সবসময়ই অনেক আত্মবিশ্বাসী। ছোটবেলা থেকেই আমি নানা রকম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। জাতীয় পর্যায়েও কিছু অর্জন আছে। যদিও বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চটা এসব থেকে আলাদা। তবুও তার বিশ্বাস চেষ্টা করলে অনেকদূর যেতে পারবো। সবার দোয়া ও সমর্থন চান তিনি।
ছোটবেলা থেকেই গান, নৃত্য, আবৃত্তি, অংকন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পারদর্শী তিনি। থিয়েটার, মডেলিং, মূকাভিনয়েও শিক্ষা রয়েছে তার। আবৃত্তি সংগঠন ‘নরেন’ এবং থিয়েটার সংগঠন ‘ফেইম’ এর সাথে যুক্ত আছি। সামাজিক সংগঠন লিও ক্লাব এবং রেডক্রিসেন্টেরও সদস্য তোরসা।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছেন। ২০০৮ সালে ‘লিটল মিস চিটাগাং’ প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে লোকনৃত্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় ভরতনাট্যম নৃত্যে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন তোরসা। সেই বছর এনটিভি মার্কস অলরাউন্ডারে প্রতিযোগিতার হয়েছিলেন প্রথম রানার আপও।
এর বাইরে নানা সময় আবৃত্তি, ছবি আঁকা ও নাচে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পুরষ্কার জিতেছেন তোরসা। তৌকির আহমেদের ‘হালদা’ সিনেমায় একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
সবকিছুতেই তার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন মা। এই প্রতিযোগিতার বেলাতেও তিনি ছিলেন আড়ালের শক্তি হয়ে। তবে তোরসা কৃতজ্ঞ তার শিক্ষালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। সেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়ছেন তিনি দ্বিতীয় বর্ষে।
তোরসা জানান, ‘আমার ক্যাম্পাসও জয়ের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। যখন সবাই জানতে পারলো যে আমি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে সেরা ১২ জনের একজন হয়েছি সেখানে হৈ চৈ পড়ে গেল। আমার ক্যাম্পাসের বন্ধুরা, বড় ও ছোট ভাইবোনেরা আমার জন্য ভোট চেয়েছেন। এটা আমাকে দারুণভাবে প্রেরণা দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি।’
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মঞ্চে জার্নিটা ছিলো অসাধারণ। সবসময় মিস করবেন বলে দাবি করে তোরসা বলেন, ‘আমরা পরিবার হয়ে উঠেছিলাম। বিশেষ করে সেরা ৩৫ জন মিলে অনেক সময় কাটিয়েছি। এরপরই তো সংখ্যাটা কমতে থাকলো। অনেক মজার মজার স্মৃতি জমে আছে। এগুলো চিরদিন মনে থাকবে। মিস করবো সবাইকে। আশা করছি যোগাযোগটা থাকবে। আর যারা এখানে অংশ নিয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাতে চাই আমি। কারণ সবাই অনেক গর্জিয়াস আর স্মার্ট লেডি।’
একটা বেশ মজবুত প্লাটফর্ম ধরা দিয়েছে তোরসার কাছে। এটাকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান? তোরসার বলেন, ‘এখনো তেমন করে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। আপাতত মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চের জন্য তৈরি হবো। সেখান থেকে ফিরে বাকিসব ভাবনা। তবে শোবিজে কাজ করার ইচ্ছে আমার ছিলো। চেষ্টা করবো সেই ইচ্ছেটাকে পূরণ করতে। সেইসঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও কিছু কাজ করতে চাই। বিশেষ করে দেশের মেয়েদের স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে আমার।’
তোরসা চট্টগ্রামের মেয়ে হলেও তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়াতে। তোরসার বাবার নাম শেখ মোর্শেদ। তিনি ছিলেন পেশায় চট্টগ্রাম কোর্টের আইনজীবী। তোরসার বাবা মারা গেছেন ২০১৪ সালে। আজ জীবনের দারুণ সাফল্যের এই দিনে বাবাকে মিস করছেন তিনি।
তবে মা শারমিন মোর্শেদ এবং একমাত্র ছোট ভাই তুরাজের সঙ্গে আনন্দটা ভাগ করে নিতে ভুল করছেন না। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই আত্মীয় স্বজনরা সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এই ভালোবাসাকেই নিজের পথ চলার প্রেরণা করে নিতে চান রাফাহ নানজিবা তোরসা। যার হাতে এখন বাংলাদেশের অনেক স্বপ্ন।
|
|
|
|
বিনোদন প্রতিবেদক: অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু। বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় অবস্থিত পার্কভিউ হাসপাতালে তাকে গত ৫ অক্টোবর ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হুমায়ূন সাধু জ্বরে ভুগছেন। তার রক্তে ইনফেকশন পাওয়া গেছে। কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না তিনি। কেউ কথা বললে তাকিয়ে থাকেন।
হুমায়ূন সাধুর বড় বোন ফরিদা আক্তার বর্তমানে হাসপাতালে তার সঙ্গেই অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় শুটিংয়ে থাকা অবস্থায় হুমায়ূন সাধু অসুস্থ হয়। আমাকে ফোন করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসতে বললে আমি ২ অক্টোবর ওকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসি। এরপর ওর প্রচণ্ড জ্বর আসতে শুরু করে।
কোনো উপায় না দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। চিকিৎসক পরীক্ষা করে ওর রক্তে ইনফেকশন পেয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, ‘জ্বর শুরু হতেই ওর কথা বন্ধ হয়ে যায়। কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু তাকিয়ে থাকে, উত্তর দিতে পারছে না। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম জ্বরের কারণে হয়তো এমনটি হচ্ছে। কিন্তু এখন জ্বর নেই, তাও কথা বলছে না। তবে নড়াচড়া বা বসতে পারছে।
চিকিৎসক এমআরআই করিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ রিপোর্ট এলে মূল সমস্যা জানা যাবে। আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।’
প্রসঙ্গত, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরে শোবিজে হুমায়ূন সাধুর পথ চলা শুরু। অভিনয় দিয়ে দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন, নাটক নির্মাণ করেও প্রশংসিত তিনি। লেখক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটেছে তার। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে তার প্রথম বই ‘ননাই’।
|
|
|
|
সালমান খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই তার ভক্তদের। বলিউডের এলিজেবল ব্যাচেলর বলা হয় তাকে। একাধিক নারীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন অনেক।
সংগীতা বিজলানি, সোমি আলী, ঐশ্বরিয়া রাই, স্নেহা উলাল, ক্যাটরিনা কাইফ, জেরিন খান, লুলিয়া এমনই দীর্ঘ সালমান খানের প্রেমিকার তালিকা। না, এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি সাল্লু ভাই।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এখনো বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে। মজার ছলেই উত্তর দেন সালমান খান। কিন্তু এবার আর বিয়ে নিয়ে নয়, তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তার যৌন জীবন সম্পর্কে।
বলিউড সুপারস্টার সালমান খান বলেন, ‘যৌনতা আর বিয়ে এর কোনটাই এখনও আমার জীবনে ঘটেনি। এখনো সিঙ্গেল লাইফ পার করছি। বেশ আছি একা।’
সম্প্রতি ‘ফ্রেকি আলি’-র ট্রেলর লঞ্চ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ছিলেন সালমান খান। সেখানে তাকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখের পড়েন তিনি। আর তার জবাবে সালমান বললেন, ‘সেক্স আর বিয়ে কোনটাই আমার জীবনে এখনও ঘটেনি। আর বিয়ে করলে সেটা সকলকে জানিয়েই করবো।’
প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সালমান ভারতের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলার। তাই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেই বিয়ের প্রশ্নটা তার জন্য কমন। তিনিও বরাবরই মজা করেই এই প্রশ্নের উত্তর দেন।
|
|
|
|
কেউ যখন সুপার স্টার হয়ে যান তখন তার জমকালো জীবন যাপনটা বেশ ভালোভাবেই ধরা পড়ে মানুষের চোখে। রঙিন আলো ঢেকে দেয় তারকাদের জীবনের আসল গল্প। অনেকেই সামনে নিয়ে আসেন সেই সব গল্প, অনেকে আড়াল করেও রাখতে চান। এবার বিষাধময় এক জীবনের গল্প তুলে নিয়ে আসলেন হলিউডে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডেমি মুর।
‘স্ট্রিপটিজ’, ‘ঘোস্ট’, ‘ইনডিসেন্ট প্রোপোজাল’ সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে হলিউড কাঁপিয়েছেন ডেমি মুর। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় পার করেছেন এই অভিনেত্রী। এতদিন অনেক কথা জমিয়ে রেখেছেন মনে।
এবার সেই না বলা কথামালা তুলে ধরেছেন নিজের আত্মজীবনীতে। ২৪ সেপ্টেম্বর ‘ইনসাইড আউট’ নামের এই এই জীবনী গ্রন্থ প্রকাশিত হবে। যেই বইয়ে ডেমি মুর তার জীবনের অন্ধকার দিকের কথাও তুলে ধরেছেন।
প্রায় ৬ মাসের মাথায় মিসক্যারেজ হয়েছিল এই অভিনেত্রীর প্রথম সন্তানের। এরপর অনেক মদ্যপান করতেন তিনি। ২০০৫-এ অ্যাস্টন কুচারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। সে বিয়েও ভেঙে যায় ২০১১ সালে। তারপর আবার বিয়ে করেন। পরের স্বামী ব্রুস উইলিসের সঙ্গেও তার সম্পর্কও খারাপ হয়ে যায়।
অনেক দিন রিহ্যাবে কাটিয়েছেন তিনি। তার ছোটবেলাও ছিল খুব খারাপ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়া হয়েছিলেন। এমনকী ১৫ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকারও হয়েছিলেন। এই সমস্ত কথা আত্মজীবনীতে তুলে ধরেছেন ডেমি। বইটি প্রকাশ হলে সবাই জানতে পারবেন তার জীবন সম্পর্কে।
|
|
|
|
অনলা্ইন ডেস্ক: বিয়ে করেছেন ঢালিউডের উদীয়মান চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক হিশাম চিশতির সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। গত ৭ মে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে জমকালো আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়।
এর আগে গত ৯ মার্চ পারিবারিক আয়োজনে বাগদান হয় তমা ও চিশতির। কিছুটা চুপিসারেই তাদের সম্পর্কটা গড়ায়। আগে আংটি বদলের কথাটা জানাজানি হলেও সেই সময় নাকি তাদের আকদ হয়ে যায়।
৮ মে বুধবার অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জানা যায়, তমা মির্জাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেয়ার জন্যই এই আয়োজন করেন চিশতি।
পারিবারিকভাবে তমার সঙ্গে হিশামের পরিচয়।হিশাম চিশতি পেশায় ব্যবসায়ী।তিনি গত বছর কানাডায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত তমা মির্জা ‘নদীজন’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কাজ করেছেন ‘বলো না তুমি আমার’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘অহংকার’সহ আরও কয়েকটি ছবিতে।
|
|
|
|
দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী আর নেই। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ জনপ্রিয় শিল্পী মারা যান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর নেয়ার দুই দিন পর সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবনতি হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালীন পরপর তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
এর আগে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল রাতে পরিবারসহ সিলেট থেকে ফিরছিলেন সুবীর নন্দী। উত্তরার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে নেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে সুবীর নন্দী গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম `সুবীর নন্দীর গান` ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে।
তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত `সূর্যগ্রহণ` চলচ্চিত্রে।
চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার সুবীর নন্দীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে।
|
|
|
|
কৌতুক অভিনেতা আনিস আর নেই। গতকাল রোববার রাত ১১টায় রাজধানীর টিকাটুলির বাসায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোট মেয়ের স্বামী আলাউদ্দিন শিমুল। মৃত্যুকালে আনিসের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। আনিসর দুই মেয়ে। একজন যুক্তরাষ্ট্রে আর অন্যজন ঢাকায় থাকেন।
আজ সোমবার সকালে টিকাটুলি জামে মসজিদে কৌতুক অভিনেতা আনিসের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে আনিসের জন্মস্থান ফেনীর দাগনভূঞা থানার বল্লবপুর গ্রামে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
১৯৬০ সালে ‘বিষকন্যা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন আনিস। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় আনিস অভিনীত প্রথম ছবি জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এই তো জীবন’। তারপর থেকে তিনি অভিনয় করেই গেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি অভিনয় করছেন। ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে গোলাম হোসেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি মঞ্চে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। আড়াই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ তথ্য দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন। গত ১৮ নভেম্বর রোববার সকাল ৯টার দিকে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার তাঁকে (আমজাদ হোসেন) বিছানার নিচে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কখন তিনি অচেতন হয়েছেন, তা আঁচ করতে পারেননি সুরাইয়া আক্তার। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাঁকে ইমপালস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয় আমজাদ হোসেনের। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর হার্টবিট, ব্লাডপ্রেশার এবং কিডনি ইনফেকশনের জন্য ডায়ালাইসিস চলছিল বলে জানান তাঁর ছেলে সোহেল আরমান। আমজাদ হোসেন অভিনেতা, পরিচালক হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র শুরু করেন তিনি। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেন। তার নির্মিত চলচ্চিত্র ও উপন্যাস কয়েক প্রজন্মের বেড়ে ওঠার সঙ্গী। আপন সৃষ্টিকর্ম তাকে স্মরণীয় করে রাখবে। `আমজাদ হোসেন` নামটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে চিরদিনের জন্য লেখা থাকবে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মনবতার জন্য কাজ করে গেছেন তিনি। তার শুন্যেতা কখনই পূরণ হবার নয়। আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি। সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন। বরেণ্য এই চলচ্চিত্রব্যক্তিত্বর প্রতি তারকাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি-
সোহেল রানা
আমজাদ ভাইয়ের প্রস্থান বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করবে। চলচ্চিত্র শিল্পে তার যে অসামান্য অবদান তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। ব্যক্তি হিসেবেও অসাধারণ মনের অধিকারী ছিলেন তিনি। তার কোনো ছবিতে আমার অভিনয় না করা হলেও প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হতো। সহাস্য প্রকাশভঙ্গি দেখা হলেই বুকে জড়িয়ে ধরতেন। এই সরলতা মাখা মানুষের মুখখানি আর দেখতে পারব না, মেনে নিতে কষ্ট হয়।
আলমগীর
প্রতিটি মৃত্যু কষ্টের, কিন্তু মেনে নিতে হয়। মাস খানেক আগে যখন শুনলাম তিনি হঠাৎ অসুস্থ। তখন থেকে মনের ভেতর অজানা আশঙ্ক্ষা ভর করেছিল। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি। তার পরিচালনায় আমি `ভাত দে` চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম। ছবিটি এখনও মানুষের পছন্দের ছবির তালিকায় আছে। কর্মজীবনে যেমন সফল ছিলেন, ব্যক্তি হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন আমজাদ হোসেন।
কবরী
আমজাদ হোসেন শুধু একজন চলচ্চিত্রকারের পরিচয়ে আবদ্ধ থাকেননি, ঔপন্যাসিক হিসেবেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। স্বাধীনতার আগে তার পরিচালনায় `পিতাপুত্র` ছবিতে কাজ করেছিলাম। এর পর তার লেখা পড়েছি। তার লেখা নিয়ে নির্মিত নাটক ও চলচ্চিত্র দেখেছি। সৃষ্টিকর্মের ভেতর দিয়ে তিনি নিজেকে বারবার ভেঙে গড়েছেন। তার এই গুণটি আমাকে আশ্চর্য করত। আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে তার মতো মেধাবী নির্মাতার অভাব আছে, যিনি মেধা ও মননে ছিলেন অনেক বেশি পরিণত ও পরিশীলিত। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি যখন দুঃসময় পার করছিল, তখনও তিনি দৃঢ়চিত্তে অশুভ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মনবতার জন্য কাজ করে গেছেন তিনি।
ফারুক
আমজাদ ভাইকে নিয়ে কী বলব! তার একান্ত ব্যক্তিগত কিছু কথা ছাড়া তার সবই জানতাম আমি। আমরা দু`জন এক আত্মা, এক মন, এক প্রাণ। হয়তো তার সঙ্গে আমার অনেক কিছুর অমিল হতেও পারে। কিন্তু মানুষকে শ্রদ্ধা করা, ভালোবাসা, সম্মান প্রদর্শন- এই বিষয়গুলোতে আমাদের প্রচ- মিল ছিল। আমাদের আরও বহুদূর পথচলার কথা ছিল। কিন্তু সেই পথচলা নিজেরাই ধ্বংস করে দিয়েছি। আমজাদ ভাই অনেক বড় মনের একজন মানুষ ছিলেন, বড় মাপের নির্মাতাও তিনি। সর্বোপরি ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। আমাদের দেশে তার মতো চলচ্চিত্র পরিচালকের আদৌ জন্ম হবে কি-না সন্দেহ আছে। তাই তাকে হারিয়ে আজ আমরা শূন্য হয়ে পড়েছি। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। আমজাদ ভাইয়ের মৃত্যু যেন আমাকে অতল বিষন্নম্নতায় ঠেলে দিয়েছে। তার সঙ্গে হাজারো স্মৃতি কখনোই ভুলতে পারব না। আমার চোখে তিনি ছিলেন একজন ম্যাজিশিয়ান। প্রতিটি সৃষ্টকর্মে তিনি তা প্রমাণ করেছেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন
চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে আমজাদ ভাইয়ের অবদান নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধু একজন পরিচালক নন, সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমের প্রতি ছিল তার দুর্নিবার আর্কষণ। তিনি নেই যেমন সত্য, তেমনি এমন একজন মেধাবী পরিচালকের শূন্যস্থানও কোনোদিন পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।
সুচন্দা
একজন আমজাদ হোসেন। গুণী মানুষটি আমাদের মাঝে নেই, ভাবতে পারছি না। খরবটি শোনার পর থেকেই যেন সব কিছু এলোমেলো মনে হচ্ছে। নির্মাতা, লেখক, অভিনেতা সব পরিচয়ে তিনি ছিলেন অনবদ্য। তার মতো মানুষের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে সত্যিকারের একজন অভিভাবককে হারাল। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি।
চম্পা
`গোলাপী এখন ট্রেনে` ছবি দিয়ে আমার বড় বোন ববিতা বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। তখনই ভেবেছি, এ রকম একজন নির্মাতার ছবিতে অভিনয় করেতে পারতাম! আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে `গোলাপী এখন ঢাকায়` ছবির মাধ্যমে। এটা আমার অভিনয়জীবনে অন্যতম একটি অর্জন। আমি আমজাদ হোসেনের মতো নির্মাতার ছবিতে কাজের সুযোগ লাভ করেছি। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। প্রিয় এই নির্মাতা আজ আমাদের মাঝে নেই, এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে।
|
|
|
|
বাংলাদেশ ও কলকাতার টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রশিল্পীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করতে ও উভয় বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারা দুই বাংলার টেলিভিশন দর্শকের মধ্যে তুলে ধরার জন্যই নির্মিত হয়েছে নাগরিক টিভির নাচের রিয়েলিটি শো `বাজল ঝুমুর তারার নূপুর`। যার মূল প্রতিযোগিতায় দুই দেশ থেকে ১২ জন তারকা অভিনেত্রী অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আছেন ছয় তারকা- ইশানা, ভাবনা, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, স্পর্শিয়া, অমৃতা ও সাফা কবির। আর কলকাতার শিল্পীদের মধ্যে আছেন- রিমঝিম, সোহিনী, এনা সাহা, লাভলী, তিথি ও প্রীতি। গতকাল দুপুরের এ আয়োজনের প্রাকপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে। প্রাক প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ও বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা। এ আয়োজনের শুরুতে `বাজল ঝুমুর তারার নূপুর`-এর উল্লেখযোগ্য অংশ দেখানো হয়। এর পর অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা অনুষ্ঠান ঘিরে তাদের স্মৃতি তুলে ধরেন। এই রিয়েলিটি শোর প্রধান বিচারক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের ইলিয়াস কাঞ্চন এবং কলকাতার অভিনেত্রী ও সাংসদ শতাব্দী রায়। বিভিন্ন পর্বে বাংলাদেশ থেকে অতিথি বিচারক হয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীর, অভিনেতা তৌকীর আহমেদ ও সজল। আর কলকাতা থেকে সঙ্গীতশিল্পী জোজো, অনিন্দা, শ্রীলেখা মিত্র ও নৃত্যবিশারদ তনুশ্রী শংকর। ৭২ পর্বের এই আয়োজনটি যৌথভাবে উপস্থাপনা করেছেন বাংলাদেশের মাসুমা আক্তার নাবিলা ও কলকাতার সৌরভ। প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় নাগরিক টিভিতে প্রচার হচ্ছে এটি। সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দল এগিয়ে আছে।
|
|
|
|
বিনোদন
ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে সরব কান উৎসব
ফ্রান্সের চলমান আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিলিস্তিন হামলার প্রতিবাদে একত্র হয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ বেশ কিছু তারকা ফ্রান্সের চলমান আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিলিস্তিন হামলার প্রতিবাদে একত্র হয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ বেশ কজন তারকা। তাদের একটাই চাওয়া, ফিলিস্তিনের উপর থেকে বন্ধ করা হোক সব অমানবিক হামলা। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৫ মে তারা যখন সবাই মিলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে একটি বিক্ষোভ র্যালি বের করেন ঠিক সেই দিন ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে গাজায় প্রায় ৬০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। তাই সেদিন কান উৎসবে, রক্তের মতো লাল রং দিয়ে সাদা প্লেকার্ডে প্রতিবাদীরা লিখেন ‘ গাজার উপর হামলা বন্ধ কর’। ফিলিস্তিনের নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যানিমেমি জাকিরের নেতৃত্বে প্রতিবাদে যোগদেন কানে অংশ নেওয়া অন্য তারকারাও। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিলিস্তিনের প্যাভিলিওনের সামনে তারকারা একে অন্যের হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে গাজার এই হামলার প্রতিবাদ জানান। সেই সঙ্গে প্রাণ হারানো ৬০ জন ফিলিস্তিনির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও শোক প্রকাশ করেন তারা। এতে প্রায় ২০০ জন মানুষ, ফিলিস্তিনকে রক্ষার দাবি জানিয়ে উৎসবের ওই প্রতিবাদে যোগ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন আরবের চলচ্চিত্র নির্মাতা র্যাড অ্যান্ডোনি, ফিলিস্তিন নির্মাতা রশিদ মাশারাওয়াইসহ আরও অনেকেই। তাদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে কানের বেশ কয়েকজন বিচারকও তাদের সঙ্গে একত্রিত হন। বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগ দেওয়া ৭১ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারকদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা কান্তিমির বালাগভ, ফ্রান্সের অভিনেত্রী ভার্জিনি লেডয়েন, মার্কিন অভিনেতা বেনিসিও দেল তোরোসহ আরও কয়েকজন।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক বিনোদন অঙ্গনে বেশ কয়েক বছর ধরেই বলিউড শিল্পীদের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। যদি সাদা চোখে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে, বলিউডের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ঐশ্বরিয়া রাই, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও দীপিকা পাডুকোন। এবার এই তিন অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে যোগ হলো সাফল্যের নতুন পালক। ইউগভ পরিচালিত বার্ষিক এক জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে প্রশংসিত ২০ নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন এই তিন ভারতীয় অভিনেত্রী। এতে টানা দ্বিতীয়বার স্থান অক্ষুণ্ণ রেখেছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিশ্বজুড়ে বিনোদন রাজনীতি ও সমাজকল্যাণে সক্রিয় শীর্ষ ২০ নারীকে রাখা হয়েছে এ তালিকায়। ইউগভ মূলত দুটি প্রশ্নের মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করে এবং জনসংখ্যার আকার অনুযায়ী প্রতিটি দেশের ফল তুলনা করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বছরের তালিকায় ১১ থেকে ১৩ নম্বর স্থানগুলো ভারতীয়দের দখলে। ১১ নম্বরে ঐশ্বরিয়া, এর পর প্রিয়াঙ্কা ও দীপিকার নাম যুক্ত হয়েছে। এবারই প্রথম তারা বিশ্বের প্রশংসিত নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাদের পরেই স্থান পেয়েছেন `ওয়ান্ডার ওম্যান` তারকা গল গেজেট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্র তেরেসা মে। গত বছর আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ভারতের এই তিন অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া `বেওয়াচ` ও দীপিকা পাডুকোন `ট্রিপল এক্স :দ্য রিটার্ন অব জেন্ডার কেজ` ছবির মাধ্যমে হলিউডে অভিষিক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে আলোচিত হন চিরসবুজ অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বিশ্বের শীর্ষ ২০ প্রশংসিত নারীর তালিকায় নিজেদের নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে ঐশ্বরিয়া, প্রিয়াঙ্কা ও দীপিকা কেউ বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানিয়েছেন, কাজের মধ্য দিয়ে প্রশংসিত হওয়া যে কারও জন্যই আনন্দের। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার কিছু নেই। এবং এ ধরনের প্রশংসা আরও ভালো কাজের দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। আগামীতে সে দায়িত্ব যেন পালন করতে পারেন, সে চেষ্টাই করে যাবেন। দীপিকার কথায়, `ভারতীয় শিল্পীদের নাম বিশ্বনন্দিত তারকার নামের পাশে যুক্ত হবে- এটা আমি সব সময় বিশ্বাস করি। শুধু বলিউড নয়, অন্যান্য অঙ্গনের মানুষের নামও এমন সম্মানজনক তালিকায় দেখার প্রত্যাশা রাখি।`
|
|
|
|
“কখনো ভেঙে পড়ো না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোন রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে।” রুমী “জীবনটাকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য কখনো কখনো সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যেতে হয়! ” এরোল ওজান
|
|
|
|
গিরগিটি একই সময় তার চোখ দুটি দুই দিকেই নাড়তে পারে। টিকটিকি এক সঙ্গে ৩০টি ডিম পাড়ে। মাছ চোখ খোলা রেখে ঘুমায় । এক মাএ পিঁপড়েই কোনদিন ঘুমায় না। সিডকা পোকা একটানা ১৭ বছর মাটির।
|
|
|
|
|
|
|