দেশে-বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া প্রায় ৩ শতাধিক নারী ও শিশু উদ্ধার
নারী ও শিশু পাচারকারীরা সমাজে যেমন ঘৃণিত অপরাধী। তেমনি তাদেরকে তিরস্কার করা উচিৎ। অপরদিকে নারী ও শিশু উদ্ধারকারীদেরও সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা এবং যথাযথ পুরষ্কার বা সম্মান দেখানো উচিৎ। তাহলে ভয়াবহ অবস্থার এ সামাজিক ব্যধি নারী ও শিশু পাচার ও পাচারকারী চক্রের তৎপরতা একটু হলেও এই সমাজ থেকে কমবে। ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া সম্পাদকের এক বোনের মেয়েকে দীর্ঘ আড়াই মাস রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে থেকে উদ্ধার করে। ভারত,পাকিস্তান, চীন ও নেপাল এ চার দেশের সীমান্ত এলাকা রুদ্রপুর থেকে । উদ্ধারের মধ্যদিয়ে সম্পাদক ২০১৫ সাল থেকে দেশ- বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অসহায় নারী ও শিশু উদ্ধার করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় তিনশতাধিক নারী ও শিশু উদ্ধার করে মা বাবা ও আইনের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তার এ সফলতা এদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখে না পরলেও দেশের বাইরে থেকে মানবিক মানুষ হিসেবে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শান্তি পুরস্কারসহ দেশ বিদেশে অসংখ্য পুরস্কারে ভূশিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে নারী ও শিশু উদ্ধার, মানবিক কাজ এবং সমাজ সেবা ও মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানে ভারত থেকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, নারী ও শিশু পাচারের শিকার অধিকাংশই তাদের প্রতোক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় পাচার হয়ে থাকে। এজন্য নারী ও শিশু পাচার করা যত সহজ, উদ্ধার করা তার চেয়েও কঠিন। বাঘের মুখ থেকে শিকারকে যত সহজে উদ্ধার করা যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন একজন সুন্দরী নারীকে পাচারকারী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করা। নারী ও শিশু উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে এ কাজটি করতে হয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে আইনি লড়াই করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে এ কাজটি করে, সেই শুধু জানে কাজটি কত দুরূহ ও কঠিন। মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ দুরূহ কাজটি করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের ব্যাংগালোরে বাংলাদেশী এক তরুনীর যৌন নির্যাতনের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ায় নারী ও শিশু পাচার নিয়ে রাষ্ট্র ও সকল মিডিয়া সোচ্চার হয়েছে। টিকটকের মাধ্যমে এক কিশোর মেয়েদের অভিনয় নামে ভারতে পাচার করেছে প্রায় পাঁচশ নারীকে। একইভাবে আরও প্রায় এক হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছে বলে মিডিয়া থেকে জানা যায়। এরকম শত শত কাহিনি রয়েছে মানবাধিকার খবরের কাছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধার হয়ে মা বাবার কাছে আসতে পেরেছেন। আবার অনেকেই আইনের বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সেফহোমে অসহায় জীবনযাপন করছে। মানবাধিকার খবর সম্পাদক ২০২০সালে ব্যাংগালোরে গিয়ে আইনি লড়াই এর মাধ্যমে প্রায় ১৬ জন নারী ও শিশু উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। করোনা সংকট কালেও মানবাধিকার খবর পাচার হয়ে যাওয়া এসব নারী ও শিশুদের উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুন ২০২৩ইং ভারত থেকে ৪৮ নারি ও শিশু উদ্ধার প্রক্রিয় সহযোগিতা করেছে মানবাধিকার খবর। আরো ৮জন উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে তারা হলেন ১. জান্নাতার জেরিন, সেনবাগ, নোয়াখালী ২. তৌফিক হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৩. নুর নাহার, মতলব দক্ষিণ,চাঁদপুর ৪. জেসমিন আক্তার, মানিকগঞ্জ ৫. আফরিন জাহান আরিশা, কলারোয়া. সাতক্ষীরা ৬. আনিকা চৌধুরী, লোহাগড়া নড়াইল ৭. রুবিনা আক্তার, ঝিকরগাছা যশোর ৮. রিয়াজ মল্লা , কালিয়া নড়াইল। আশা করছি খুব শীগ্রই তারা দেশে ফিরবে। মানবকল্যানে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ মানবিক কাজ অব্যাহত রাখতে সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পাচারকারী চক্রের তৎপর বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করে তিরস্কার করা ও উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা দেওয়াসহ পুরষ্কারে ভূষিত করলে এধরণের কাজে উৎসাহ পাবে। গত ১ জুন ২০২৩ উদ্ধারকৃত ৪৮জন নারী শিশুর নাম ও ঠিকানা তুলে ধরা হল:-
|
নারী ও শিশু পাচারকারীরা সমাজে যেমন ঘৃণিত অপরাধী। তেমনি তাদেরকে তিরস্কার করা উচিৎ। অপরদিকে নারী ও শিশু উদ্ধারকারীদেরও সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা এবং যথাযথ পুরষ্কার বা সম্মান দেখানো উচিৎ। তাহলে ভয়াবহ অবস্থার এ সামাজিক ব্যধি নারী ও শিশু পাচার ও পাচারকারী চক্রের তৎপরতা একটু হলেও এই সমাজ থেকে কমবে। ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া সম্পাদকের এক বোনের মেয়েকে দীর্ঘ আড়াই মাস রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে থেকে উদ্ধার করে। ভারত,পাকিস্তান, চীন ও নেপাল এ চার দেশের সীমান্ত এলাকা রুদ্রপুর থেকে । উদ্ধারের মধ্যদিয়ে সম্পাদক ২০১৫ সাল থেকে দেশ- বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অসহায় নারী ও শিশু উদ্ধার করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় তিনশতাধিক নারী ও শিশু উদ্ধার করে মা বাবা ও আইনের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তার এ সফলতা এদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখে না পরলেও দেশের বাইরে থেকে মানবিক মানুষ হিসেবে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শান্তি পুরস্কারসহ দেশ বিদেশে অসংখ্য পুরস্কারে ভূশিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে নারী ও শিশু উদ্ধার, মানবিক কাজ এবং সমাজ সেবা ও মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানে ভারত থেকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, নারী ও শিশু পাচারের শিকার অধিকাংশই তাদের প্রতোক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় পাচার হয়ে থাকে। এজন্য নারী ও শিশু পাচার করা যত সহজ, উদ্ধার করা তার চেয়েও কঠিন। বাঘের মুখ থেকে শিকারকে যত সহজে উদ্ধার করা যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন একজন সুন্দরী নারীকে পাচারকারী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করা। নারী ও শিশু উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে এ কাজটি করতে হয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে আইনি লড়াই করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে এ কাজটি করে, সেই শুধু জানে কাজটি কত দুরূহ ও কঠিন। মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ দুরূহ কাজটি করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের ব্যাংগালোরে বাংলাদেশী এক তরুনীর যৌন নির্যাতনের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ায় নারী ও শিশু পাচার নিয়ে রাষ্ট্র ও সকল মিডিয়া সোচ্চার হয়েছে। টিকটকের মাধ্যমে এক কিশোর মেয়েদের অভিনয় নামে ভারতে পাচার করেছে প্রায় পাঁচশ নারীকে। একইভাবে আরও প্রায় এক হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছে বলে মিডিয়া থেকে জানা যায়। এরকম শত শত কাহিনি রয়েছে মানবাধিকার খবরের কাছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধার হয়ে মা বাবার কাছে আসতে পেরেছেন। আবার অনেকেই আইনের বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সেফহোমে অসহায় জীবনযাপন করছে। মানবাধিকার খবর সম্পাদক ২০২০সালে ব্যাংগালোরে গিয়ে আইনি লড়াই এর মাধ্যমে প্রায় ১৬ জন নারী ও শিশু উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। করোনা সংকট কালেও মানবাধিকার খবর পাচার হয়ে যাওয়া এসব নারী ও শিশুদের উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুন ২০২৩ইং ভারত থেকে ৪৮ নারি ও শিশু উদ্ধার প্রক্রিয় সহযোগিতা করেছে মানবাধিকার খবর। আরো ৮জন উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে তারা হলেন ১. জান্নাতার জেরিন, সেনবাগ, নোয়াখালী ২. তৌফিক হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৩. নুর নাহার, মতলব দক্ষিণ,চাঁদপুর ৪. জেসমিন আক্তার, মানিকগঞ্জ ৫. আফরিন জাহান আরিশা, কলারোয়া. সাতক্ষীরা ৬. আনিকা চৌধুরী, লোহাগড়া নড়াইল ৭. রুবিনা আক্তার, ঝিকরগাছা যশোর ৮. রিয়াজ মল্লা , কালিয়া নড়াইল। আশা করছি খুব শীগ্রই তারা দেশে ফিরবে। মানবকল্যানে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ মানবিক কাজ অব্যাহত রাখতে সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পাচারকারী চক্রের তৎপর বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করে তিরস্কার করা ও উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা দেওয়াসহ পুরষ্কারে ভূষিত করলে এধরণের কাজে উৎসাহ পাবে। গত ১ জুন ২০২৩ উদ্ধারকৃত ৪৮জন নারী শিশুর নাম ও ঠিকানা তুলে ধরা হল:-
|
|
|
|
‘দিনে দিনে শুধু বাড়ছে দেনা, সুধিতে হইবে ঋণ’। সামনে এ আর একটা কেমন দিন? জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে কার জয় হলো, কার বা হলো পরাজয়? সরকার না সরকারী ডাক্তার নাকী আমলার? আসলে এদের কোন পক্ষের জয় কিংবা পরাজয় হয়নি। পরাজিত হয়েছে সাধারণ জনগণ। স্বৈর সরকারের ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ডাক্তারদের আন্দোলনে পিষ্ট হলো এই জনগণ। ডাক্তারদের কর্মবিরতির সময় সারা দেশে কয়েক‘শ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এই মৃত্যুই কিন্তু শেষ না। কারণ বিতর্কিত। “বিশে^র হেরোইন যখন পদতলে ভয় কি আমার মিছে, স্বৈরাচারী কালোবাজারী বন্ধুরা সদাই প্রশাসণের যে জগদল পাথর সরিয়ে সর্বদলীয় ছাত্র-জনতা বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এখনও স্বৈরাচারের অজ¯্র শিকড় রাষ্ট্র ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজ করছে। সুযোগ হলে যে কোন সময় আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ বছরের দুঃশাসনে আজ অর্থনীতি দেউলিয়া। সৎ মানুষের বদলে সমাজে অসৎ মানুষের পদচারণাই বেশী। ঔষধ নামের কতো কি যে বাজারে পাওয়া যায়, এর কোন হিসাব নেই। চধৎধপবঃধসড়ষ ংুৎঁঢ়, ধ-ঋৎঁরঃ ারঃধ, ঋড়ড়ফ ারঃধ লঁরপব, ই-১২ লঁরপব, অংপড়ারঃধ ংুৎঁঢ়, এধড়ুধনধহ ধৎয়, ঝঐঅজইঅঞ-ই টনিক, ট্যাবলেট, হজমী, যৌন উত্তেজক ক্যাপসুল-ট্যাবলেট আরো কতো কি! এই ধরণের অনেক কিছুই এক কালে সরকারী খাতায় রেজিষ্ট্রিকৃত ছিল এমনকি প্রতিষ্ঠিত ও ছিলো। রেজিষ্ট্রেশন মোটামুটি ভাবে এই সবের গুনাগুনের কোন রকম এক প্রকার সরকারী স্বীকৃতি। আসলে কিন্তু এই রেজিষ্ট্রেশন এবং গুনাগুণের মধ্যে তেমন কোন সম্পর্ক ছিলো না। কোন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে এইগুলো স্বীকৃতি পেয়েছিলো। শত চেষ্টা করেও তার হদিস পাওয়া যায় না। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কয়েকজন সচেতন চিকিৎসক এহেন পরিস্থতি সম্বন্ধে সজাগ হয়ে উঠেন।তাদের ঐকান্তিক আগ্রহে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন। তাদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো দেশে ঔষধ প্রস্তুত এবং আমদানীর ক্ষেত্রে গুনাগুণ বিচার করে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঔষধ বাতিল করা। এই কমিটির সুপারিশক্রমে প্রায় সাড়ে আট হাজার রেজিষ্ট্রিকৃত ঔষধের সংখ্যা কমিয়ে সাড়ে চার হাজারে আনা হয়। বাদ পরে বিভিন্ন নামের কথিত ঔষধ। এর ফলে কিছু সংখ্যক বাদ ঔষধ প্রস্তুতকারী এবং অসাধু ব্যবসায়ী মহল এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে ওঠে। কারণ এদের স্বার্থে চরম আঘাত লাগে। এই স্বার্ধান্বেষী মহল অত্যন্ত তৎপর হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি ১৯৭৫ সালের আগষ্টের মাঝামাঝি ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং এই সুযোগের ফাঁকে পরগাছার মতো গজিয়ে উঠে স্বনামে বেনামে কিছু কিছু ঔষধ। যেমন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত মকসুল হাসান চৌধুরী ও রেজিষ্ট্রার দিলরুবা রহমান প্যারাসিটামল সিরাপে “প্রপাইলিন গøাইকল” নামের রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় বলে দৈনিক পত্রিকাগুলিকে জানিয়েছিলেন। এই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ শিশুদের কিডনি ধ্বংস করে দেয় বলে সিম্পোজিয়ামে প্রকাশ করেন। ঋঙঙউঠওঞঅ, ঋজটওঞঠওঞঅ এই ঔঁরপব গুলি নাকি ভারতের কি একটা শুকনো গাছের বিশেষভাবে তৈরি পাউডার থেকে ঔঁরপব ঋজটওঞঠওঞঅ উৎপাদন করা হচ্ছে। এই সকল ঔষধ থেকে ক্যান্সার, গর্ভধারণ ক্ষমতা হ্রাস এবং অবাঞ্চিত গর্ভপাত ঘটে। এমনকি গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্য সংকটাপন্ন হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ মন্তব্য করেন। অবশেষে এই হলো অনেক অপ্রয়োজনীয় এমন কি ক্ষতিকারক ঔষধ বাজারে পুনরায় হরদম প্রচলিত হয়। ব্যবসায়ী মহল বিশেষ করে বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানী বাংলাদেশের ঔষধের বাজারে তাদের আধিপত্য বিনষ্ট হোক এটা তারা সহ্য করবেই বা কেনো? বর্তমানেও স্বাস্থ্য খাতের বালিশ ও পর্দাকান্ড সহ যে দুরাবস্থা বলার অপেক্ষা থাকে না স্বাস্থ্যের ১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ নথি (ফাইল) কেবিনেট থেকে গায়েব! ৯ জন কর্মচারীকে ধরেও ছেড়ে দিয়েছেন সি.আই.ডি’র বড় বাবুরা। সব মিলিয়ে জাতি আজ চরম হতাশায়। জরুরী ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতেরই চিকিৎসা একান্ত প্রয়োজন। মানবাধিকার কর্মী, বিশিষ্ট জন মেসার্স ফ্রেন্ডশিপ স্টীলের প্রোপাইটার হাজী মোঃ অবদুর রশিদ, প্রকৌশলী মোঃ বাকের হোসেন, বজলুর রহমান, সুবোধ কুমার বিশ^াস, ছালমা জামিলা, ইমরান খানেরা কহিল। বর্তমানে বাজারে নকল ও ভেজাল ঔষধের রমরমা বাণিজ্য। ভুয়া প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব অলিতে গলিতে ছড়াছড়ি। চিকিৎসার নামে অর্থলুট চলছে। নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রেও প্রতারণা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান ডেলিভারি, “শুধু চাই কাড়ি কাড়ি অর্থ”, যেনো দেখার কেউ নেই! গণতন্ত্র বিকাশমান ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার, বর্তমান প্রশাসন জনস্বার্থের খাতিরে আন্তরিকতার সাথে ন্যায়নীতি ও জাতীয় ঔষধ নীতির উপর নজর দেবেন এবং পূনর্বিবেচনা কমিটি গঠনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
|
|
|
|
করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় টিকটক ও লাইকিতে আসক্ত হয়ে পরে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মিথিলা আক্তার রিয়া (১৫)। তাতে মা-বাবা বাধা দিলে, সে মায়ের সাথে অভিমান করে পালিয়ে রাঙ্গামাটি চলে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে মানবাধিকার খবর সম্পাদক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন কিশোরীকে মা-বাবার কাছে পাঠান । রিয়া’র বাবার নাম আলমগীর গাজী। সে খিলগাঁও বার্লিং কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাই স্কুলে পড়াশোনা করে। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ গত ১৪ জুন-২০২১ রাত ১১ টায় কলাবাগান থেকে শ্যামলী পরিবহনে জরুরী অফিসিয়াল কাজে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার সফরে বের হন মানবাধিকার খবর সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন। গাড়ীটি রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে যখন আরামবাগ আসে, তখন মিথিলা আক্তার রিয়া নামে বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে গাড়ীতে উঠে নির্ধারিত সম্পাদকের পাশের সিটে বসে। গাড়ীটি রাঙামাটির উদ্দেশ্যে চলতে চলতে কুমিল্লার জমজম হোটেলে বিরতি দেয়, তখন রাত বাজে দেড়টা। কুমিল্লার জমজম হোটেলে বিরতির পর সব যাত্রী বাসে উঠলেও সে বাসের ভিতর উঠতে চাচ্ছে না। গাড়ীর সুপারভাইজার অশোক কারন জানতে চাইলে কিশোরী বলে, সে রাঙ্গামাটি যাবে না, ঢাকায় ফিরে যাবে। তার ভাল লাগছে না বলে অসংলঙ্গ কথাবার্তা বললে সুপারভাইজার খুব সমস্যায় পড়ে যায়। এত রাতে তাকে কোথায় রেখে যাবে। উপায় না পেয়ে সুপারভাইজার সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করে মেয়েটির সমস্যা সম্পর্কে বলে। গাড়ীতে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রী ও ড্রাইভারের সামনে সম্পাদক মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তার সমস্যা সম্পর্কে। সে জানায়, তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার ষোলসাত রঘুনাথপুর গ্রামে, তার পিতার নাম আলমগীর গাজী। তারা ৪ ভাইবোন। বর্তমানে তারা ঢাকার খিলগাঁওতে থাকে। তার বাবার চা-কফির দোকান আছে। সে খিলগাঁও বার্লি ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাই স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। রাঙামাটিতে বেড়াতে যাচ্ছে। এর চাইতে আর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছে না। গাড়ীতে তাকে সবাই সাহস দিয়ে রাঙ্গামাটিতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কারন এতরাতে মেয়েটি কোথায় যাবে। গাড়ী আবারও চলতে থাকলো রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে। রাঙ্গামাটির কাছাকাছি এলে যাত্রীরা সবাইযে যার মত নেমে যায়। গাড়ীতে অবশিষ্ট যাত্রী হিসাবে সম্পাদক ও কিশোরী মেয়েটি থেকে যায়। গাড়ীর শেষ স্টপেজের আগে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সামনে সম্পাদক নেমে যেতে চাইলে গাড়ীর ড্রাইভার সুপারভাইজার অনুরোধ করে মেয়েটিকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। তখন বাজে ভোর ৫ টা। তাড়াহুড়া করে নেমে যাওয়ার পর সম্পাদক তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কোথায় যাবে। প্রতি উত্তরে মেয়েটি বলে তার যাওয়ার কোন জায়গা নেই। এখানে কোথাও সে চেনে না। এখানে সে এসে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুড়তে। কারন সে মা বাবাকে না বলে পালিয়ে এসেছে। তখন সম্পাদক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে যান। এত ভোরে মেয়েটিকে কোথায় রাখবে। তার কাছে কোন আইডি কার্ড নেই, যে কোন হোটেল বা গেস্ট হাউজে রাখা যায়। শেষ পর্যন্ত সম্পাদক রাস্তায় কথা না বলে তাকে নিয়ে যায় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের গেষ্ট হাউজের অফিস রুমে। সম্পাদক ঐ দিন তাকে সাথে নিয়ে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা সহ বিভিন্ন অফিসে কাজ শেষে ও কাপ্তাই লেক বেড়ানোর পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে রাঙ্গামাটিতে তার কোন থাকার জায়গা না থাকায় ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনে আসা ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের পরামর্শক্রমে ঐ দিন রাতে হানিফ পরিবহনের একটি গাড়িতে টিকিট কেটে উঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তাকে সরাসরি মা-বাবার কাছে পৌঁছে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এ সময়ে সম্পাদকের সাথে ছিলেন মানবাধিকার খবরের রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি অং কে মারমা। দীর্ঘ সফর শেষে সম্পাদক ঢাকায় ফিরলে কিশোরী মেয়েটি সম্পাদকের সাথে সাক্ষাত করেন। মা-বাবার সাথে ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে রাঙ্গামাটিতে পালিয়ে যাওয়ায় সে অনুতপ্ত হয় এবং তাকে ঢাকায় মা-বাবার কাছে ফিরে আসতে সহায়তা করার জন্য সম্পাদককে কৃতজ্ঞতা জানায়। এ ব্যাপারে মানবাধিকার খবর গত জুন-২০২১ সংখ্যায় একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এর ব্যবসায়িক পার্টনার মেঘনা বিলডার্সের এমডি মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে ঢাকার সি এম এম আদালতে একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম তদন্ত করছেন। তদন্তকালে আসামি মোশাররফ হোসেন বাদীর সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণাদি অস্বীকার করায় তদন্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে সিআইডিতে প্রেরনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানীর শেষে গত ১৪-০২ ২০২১ ইং তারিখ ঢাকা মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন। সে মোতাবেক গত ৪-০৩-২০২১ তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডির ২৭ নম্বর শাখায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জব্দ করেন।
এছাড়া, দুর্নীতিবাজ মোশাররফ হোসেনের নিয়োজিত আইনজীবী আবু সাঈদ মোল্লা গত ২৮-০২-২০২১ ইং তারিখে তাঁর ফি বাবদ পাওনা টাকা আদায়ের জন্য একটি নোটিশ প্রদান করেছেন। নোটিশে আইনজীবী উল্লেখ করেন যে, আপনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক বন সংরক্ষক। আপনার পক্ষে আমি ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে, জজ কোর্ট মোশাররফ হোসেন বনাম ফারহানা ইসলাম পরিবেশ আদালতে মামলা (নং-৮০/১৮) সহ ও মহামান্য হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করি। আপনার পক্ষে আপনার ব্যবসায়িক অংশীদার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন শুরু থেকেই যোগাযোগ রক্ষা করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জনাব রিয়াজ উদ্দিন প্রায় দুই বছরের অধিক কাল যাবত আমার সাথে যোগাযোগ করছেন না। বিষয়টি আপনাকে ফোনে ও মৌখিকভাবে কয়েকবার জানানো হলেও, আপনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। মামলাগুলো বর্তমানে চলমান আছে এবং আমি নিয়মিত পদক্ষেপও গ্রহন করছি। আপনার নিকট ২০১৯ সাল থেকে ফেব্রæয়ারি ২০২১ পর্যন্ত কমবেশী ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা পাওনা আছি। যা পরিশোধ করতে আপনি আইনতঃ ও ন্যায়তঃ বাধ্য। আপনার ব্যক্তিগত সম্মান, মর্যাদা ও অবস্থানের কথা বিবেচনা ক’রে ১৫ই মার্চ ২০২১ ইং তারিখের মধ্যে আপনাকে আমার পাওনা পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে, বাদী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আসামি সাবেক বনসংরক্ষক মোশাররফ হোসেন এর দুর্নীতির খতিয়ান চেয়ে ও তথ্য অধিকার আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই তার সকল দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে। তার প্রায় ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে, মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক এর ভাড়ার বাসায় পিবিআই পরিচয় লোক পাঠিয়ে বাদীর পরিবারকে ভয়ভীতি প্র্রদর্শন ও বাড়িওয়ালাকে ফোন দিয়ে বাসা ছাড়তে হুমকি দেওয়ায় আসামি মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে বাদী গত ১ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নাম্বার ৪৮। এর আগে ২৪ নভেম্বর ২০২০ একই থানায় আরো একটি জিডি দায়ের করা হয়; যার নাম্বার ১৪২৫। জিডিতে বাদী উল্লেখ করেন যে, মোশাররফ হোসেনের এক ছেলে এএসপি ও তার বড় ভাইয়ের মেয়ের জামাই এসপি। তাদেরকে দিয়ে বাদীকে হামলা, মামলা ও হয়রানী করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। আসামি মোশাররফ হোসেন বাড়িওয়ালাকে হুমকি দেওয়ায়, বাড়িওয়ালা বাদীকে বাসা ছাড়তে নির্দেশ দিলে, বাদী ডিসেম্বর ২০২০ ইং এ বাসা ছাড়তে বাধ্য হন।
তখন বাদীর বৃদ্ধ মা খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। করোনা মহামারির এই সংকট-মুহূর্তে ব্যবসা-বানিজ্যে ও চাকরিতে মন্দা-ভাব চলছে। আয়ের পথ একপ্রকার বন্ধ বলার পরেও বাড়িওয়ালা কোনো কর্ণপাত না করে এমডির হুমকিতে ও বিভিন্ন অজুহাতে বাদীকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করেন। বাদী বাসা ছেড়ে দিয়ে খুবই আতংকে আছেন। স্কুল পড়ুয়া ছোটছোট ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ব্যাপারে ‘মানবাধিকার খবর’ সেপ্টেম্বর ২০২০ সংখ্যায় একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে আবারও তুলে ধরা হলোঃ
মোশাররফ হোসেনের অবৈধ উপায়ে
অর্জিত শত কোটি টাকার সম্পত্তি
গত ২৬ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয় ও সেগুনবাগিচা দুদক কমিশনে সাবেক বনসংরক্ষক ও মেঘনা বিল্ডার্সের এমডি মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক অংশিদার ও ‘মানবাধিকার’ খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতিবাজ মোশাররফ হোসেন দুর্নীতি করে শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। অপরদিকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে মো: রিয়াজ উদ্দিনের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অপচেষ্টা মামলা ঢাকা সিএমএম কোর্টে বিচারাধীন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক বনসংরক্ষক ও মেঘনা রিয়েল এস্টেট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বন বিভাগে চাকুরিরত অবস্থায় তৎকালীন বিএনপির আমলে সাবেক বন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, শাহজাহান সিরাজ, প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিচ চৌধুরী সহ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়মিত ঘুষ প্রদান করে নানান রকম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা; যা সৎ ও বৈধ উপায়ে আয় করে কোন অবস্থাতে করা সম্ভব নয়। তার সম্পত্তির অধিকাংশই স্ত্রী পারভীন সুলতানা (মেঘনা) ও অন্যান্যদের নামে করে রেখেছেন। বনবিভাগে দূর্নীতির কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শাখা-২ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ২৮/০৬/২০০৫ইং তারিখে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন। বনবিভাগের অনেকের সম্পদের হিসাব উন্মোচিত হলেও তার অবৈধ সম্পদের হিসাব গোপনই রয়ে গেছে। সে ছিল দুর্নীতিবাজ বনখেকো ওসমান গনির একনিষ্ট প্রতিদ্ব›দ্বী।
দুর্নীতিবাজ ওসমান গনি দুর্নীতির কাহিনী আমাদের সবারই জানা। তৎকালীন ২০০৭ সালে যৌথবাহিনী তার বাড়ি তল্লাশি করে বালিশের ভিতর ও চালের ড্রাম সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধার সহ তাকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী। কিন্তু ধুরন্ধর মোশাররফ হোসেন এ সময় আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গা ঢাকা দেয়। চলে যায় বিদেশে। এ সময় তিনি জরুরী-ভাবে ০৩ জুন ২০০৭ সালে অন-এরাইভাল ভিসায় প্রথমে মালয়েশিয়া, তারপর সিংগাপুর, কম্ভোডিয়া, লাওস, মরিশাস ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান স্বাভাবিক হলে দীর্ঘ ৪ মাস পর উচ্চ মহলের সাথে যোগাযোগ করে আবারও দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে তার আয়-বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তি বৈধ করার উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে এক আইনজীবির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। তারপর থেকে সে দুর্নীতির মহারাজা হয়েও এক প্রকার ফ্রি স্টাইলে চলতে থাকে। এর আগে ২০০৫ সালে চাকরি হতে অব্যাহতি পাওয়ার পরে ঐ বছরই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে মেঘনা বিল্ডার্স নামে ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরুর মূল উদ্দেশ্য ছিল তার অবৈধ টাকা বৈধ করা। তার দূর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সে মেঘনা বির্ল্ডাসে পার্টনারশীপ দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী সহ বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে। তার অবৈধ টাকা দিয়ে অনেক নারীকে সে ঢাকার ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, দোকান ও দামী গাড়ী ক্রয় করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে সে অনেক সময় অনেক নারীর সাথে ঝামেলা করায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও জিডি করেছে, যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে তৎকালীন ২০০৭ সালে বহুল প্রচারিত ‘প্রথম আলো’ ও ‘আমাদের সময়’ পত্রিকা সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, টাকার বিনিময়ে সে সব জায়গায় ম্যানেজ করে ফেলে।
দুর্নীতিবাজ হওয়ার কারনে ব্যবসায় ঠিকমত মন না দেওয়ায় ব্যবসায়িক পার্টনার ও কোম্পানীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগন কাজ ও চাকরি হারিয়ে পথে বসে গেছে। বর্তমানে তারা অসহায় ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তার অবৈধ সম্পত্তি বৈধ প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হাসিল করে বর্তমানে সে রাজকীয় জীবন যাপন করছে। এদিকে সম্পত্তি বৈধ করণ ও নিরাপত্তা করনের উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী পারভীন সুলতানাকে “মেঘনা’স ফিট্নেস সেন্টার” নামে একটি জিম করে দেয়; যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। এছাড়া, তার এক ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে চাকরি করছে। জানা গেছে, সে বিতর্কিত সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত এবং বর্তমানে সে আমেরিকায় অবস্থান করছে। মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে, তার ছেলেকে দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে। মোঃ রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করলে মানবতার শত্রু ও সরকারী সম্পদ লুন্ঠনকারী দুর্নীতিবাজ মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী পারভীন সুলতানার দেশ বিদেশে আয় বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাবে সন্দেহ নেই। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান হওয়া একান্তই জরুরী। এ অভিযানে সামিল হওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের দুর্নীতি করতে সাহস না পায়। তাহলেই, বর্তমান সরকারের চলমান দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান সফল ও স্বার্থক হবে এবং দুর্নীতি-মুক্ত পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র পরিচালনাতেও সহায়ক হবে। দুদকের জনসংযোগ ও তথ্য প্রদানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য ‘মানবাধিকার খবর’-কে জানান, অভিযোগটি নিয়মিত কার্যতালিকায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দুর্নীতিবাজ সাবেক বন সংরক্ষণ (সিএফ) ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে জেনেটিক প্লাজায় অবস্থিত মেঘনা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বন-খেকো মোশাররফের বিরুদ্ধে গত ০৩ মার্চ ২০২০ প্রতারনা মামলা করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার ও ‘মানবাধিকার খবর’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিন। মামলা নং-১০৩/২০২০ ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৫০৬ দন্ডবিধি। এর আগে গত ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২০ বাদীকে ভয়ভীতি হুমকি দেওয়ায় মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ধানমÐি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয় যার নং-৫৯৭। এছাড়া গত ১২ ফেব্রæয়ারি ২০২০ তার বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার ধানমন্ডি আমলী আদালত-১৪ এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ দিদার হোসাইন বাদীর জবানবন্দী গ্রহন করেন এবং ৫ এপ্রিলের-২০২০ এর মধ্যে ডিবি ডিসি, (ঢাকা দক্ষিন) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ডিবির পরিদর্শক রবিউল ইসলাম মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন। করোনা মহামারির কারনে মামলাটির তদন্ত এতদিন আটকে ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নির্ধারিত ১৬ সেপ্টেম্বর-২০২০ তারিখের আগেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারবো বলে আশা করছি।
অপর দিকে, স্বাক্ষর জাল করে ‘মানবাধিকার খবর’ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়েরের ঘটনায়, অভিযোগকারী হিসেবে প্রদর্শিত ব্যক্তিরা পুলিশের নিকট তাদের যথাযথ জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি সাধারন ডাইরী (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে। লিখিত অঙ্গীকার-নামা ও সম্পাদকের বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার অধিন কাঠালিয়া থানার আইনুলবুনিয়া গ্রামের মোঃ জয়নাল হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হাওলাদার ‘মাসিক মানবাধিকার খবর. পত্রিকার অফিসের একজন সাধারণ কর্মচারি ছিল; যার বর্তমান ঠিকানা : বাসা ৪৬ (৫ম তলা) ঝিলপাড় উত্তর মুগদা, থানা : মুগদা, ঢাকা। শৃঙ্খলা-পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাÐের কারণে তাকে একাধিকবার চাকুরিচুত্য করা হয়েছিল। বাধ্যতামূলক চাকরিচ্যুতির ধরুণ প্রতিহিংসা মূলকভাবে ‘মানবাবিধাকার খবর’ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ কারনে মনিরের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার সাধারন ডাইরী নং ১৫৫৬ তারিখঃ ২২/১১/২০২০ ইং দায়ের করা হয়েছিল। এর আগে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগে
বাগেরহাট জেলার মৃত শেক আকবর আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে ‘মানবাাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট সিআর মামলা নম্বর ১৩০/২০২০; দÐবিধি ধারার নাম্বার ৪০৬/৪২০/৫০৬। বতর্মানে এটা সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন আছে। উল্লেখ্য অভিযুক্ত মেশাররফ হোসেনের বর্তমান আবাসিক ঠিকানা: ঢাকাস্থ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা ১১ নম্বর রোডের ৩৮ নম্বর বাড়ির ৭/এ অ্যাপার্টমেন্টে।
পরবর্তীতে মোশাররফ ও মনির পরস্পর একজোট হয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়।এরই ধারাবাহিকতায় মোশাররফ ও মনির সম্পাদককে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য,অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুনাম নষ্ট করার চক্রান্তে, মানবাধিকার খবর পত্রিকা অফিসের যে কোনো ধরনের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করেছিল। যার অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ আছে। এরপর গত ২৮/১২/২০২০ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকার সময় সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বর্তমান ঠিকানায় মতিঝিল মানবাধিকার খবর অফিসে অবস্থানকালিন সময়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফ্ল্যাট নং ২০৩, ইস্টার্ন মহল, ৭০-৭১ সিদ্ধেশ্বরী ঢাকার বাসিন্দা মো. সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইল : ০১৭১১৬৯৮৪৭৯ নম্বর দিয়ে সম্পাদকের মোবাইল নম্বর ০১৭১১৩৯১৫৩০-এ ফোন করে অভিযোগের বিষয়ে অবহিত করেন। একই বিষয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ঠিকানাঃ ১৫০,নাহার ম্যানশন, মতিঝিল ঢাকার বাসিন্দা মো.সাগির আহম্মেদ ০১৭১৩০৪১৯৪৭ নম্বর থেকেও অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করেন এবং লোক মারফৎ অভিযোগের কপি প্রেরন করেন। সম্পাদক অভিযোগের কপি হাতে পেয়ে দেখতে পান যে, মনির হাওলাদার, জনৈক মিস তানিয়া, মোবাইল নং ০১৮২৮৭৩২৯৫৮, জনৈক মো. সোহেল রানা, মোবাইল নং ০১৭১৫৩৮৩৮২০ এবং গাজী সিরাজুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট ঢাকাকে অভিযোগকারী দেখিয়ে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মো. মনির হাওলাদারকে মুঠোফোনে অফিসে ডাকলে জিজ্ঞাসাবাদে মনিরের বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হলে, মতিঝিল থানার এস আই মো. জলিলকে ডাকা হয়। এস আই জলিলের জিজ্ঞাসাবাদে মনির জানায়, এ রকম কোনো অভিযোগ মনির দায়ের করে নাই এবং অভিযোগে দেওয়া স্বাক্ষরও তাঁর নয়। মনির উপস্থিত ব্যক্তিদের মোকাবেলায় এই মর্মে একটি লিখিত অঙ্গিকারনামাও প্রদান করে। বর্তমানে মোশাররফ সম্পাদকের দায়েরকৃত মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাঁচতে মনির হাওলাদারকে হাতিয়ার বানিয়ে ৪ জন ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে কিংবা পরস্পর এক জোট হয়ে সম্পাদক এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের অর্জিত সুনাম নষ্ট এবং সম্মানহানী করার জন্য, যে কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী ও অপূরণীয় ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অবাধে চলাফেরার সময়ে দুর্বৃত্তরা এবং তাদের দলিয় দুষ্কৃতিকারীচক্রের দ্বারা যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের ক্ষতি ও শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনার কথা জানান রিয়াজ উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে মোশাররফ হোসেন এর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও মনির হালাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকরম কোনো অভিযোগ আমি সম্পাদক স্যারের বিরুদ্ধে দায়ের করি নাই এবং অভিযোগে স্বাক্ষরও আমার নয়।মনির উপস্থিত ব্যক্তিদের মোকাবেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অঙ্গিকারনামা প্রদান করার কথাও ব্যক্ত করেন।
মতিঝিল থানার এস আই জলিল মিয়া বলেন, মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক কর্মচারী মনিরের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেছিলেন এবং মনিরের বিরুদ্ধে থানায় হওয়া জিডি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে সম্পাদকীয় কার্যালয়ে যাই এবং মনিরের কাছে সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনির অস্বীকার করে এবং লিখিত অঙ্গীকার নামা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে গত ২৯-১২-২০২০ইং মতিঝিল থানায় একটি জিডি করা হয়; যাহার নং-২২৯৭।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রােটারিয়ান মােঃ রিয়াজ উদ্দিন এর ব্যবসায়িক পার্টনার মেঘনা বিলডার্সের এমডি মােশাররফ হােসেন এর বিরুদ্ধে ঢাকার সি এম এম আদালতে একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মােঃ রবিউল ইসলাম তদন্ত করছেন। তদন্তকালে আসামি মােশাররফ হােসেন বাদীর সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণাদি অস্বীকার করায় তদন্ত কর্মকর্তা মােশাররফ হােসেন এর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে সিআইডিতে প্রেরনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মনজুর করে আসামি মােশাররফ হােসেন এর ব্যাংক একাউন্ট, বিভিন্ন আদালতে দেওয়া স্বাক্ষর ও অন্যান্য দালিলিক কাগজপত্র জব্দ করার নির্দেশ
দিয়েছেন এদিকে, বাদী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আসামি সাবেক বনসংরক্ষক মােশাররফ হােসেন এর দুর্নীতির খতিয়ান চেয়ে ও তথ্য অধিকার আইনে মহাপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই তার সকল দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে। তার প্রায় ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযােগ রয়েছে অপরদিকে, মানবাধিকার খবর পত্রিকার
সম্পাদক এর আবাসিক ভাড়া বাসায় পিবিআই পরিচয় লােক পাঠিয়ে বাদীর পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বাড়িওয়ালাকে ফোন দিয়ে বাসা ছাড়তে হুমকি দেওয়ায় আসামি মােশাররফ হােসেন এর বিরুদ্ধে বাদী গত ১ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নাম্বার ৪৮। এর আগে ২৪ নভেম্বর একই থানায় আরো একটি জিডি দায়ের করা হয়। যার নাম্বার -১৪২৫। জিডিতে বাদী উল্লেখ করেন যে, মােশাররফ হােসেনের এক ছেলে এএসপি ও তার বড় ভাইয়ের মেয়ের জামাই এসপি। তাদের দিয়ে বাদীকে হামলা, মামলা ও হয়রানী করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে আসামি মােশাররফ হােসেন বাড়িওয়ালাকে হুমকি দেওয়ায়, বাড়িওয়ালা বাদীকে বাসা ছাড়তে নির্দেশ দিলে, বাদী চলতি ডিসেম্বরই বাসা ছাড়তে বাধ্য হন।
বাদীর বৃদ্ধ মা খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। করােনা মহামারির এই সংকট মুহূর্তে ব্যবসা-বানিজ্যে ও চাকরিতে মন্দা ভাব চলছে। আয়ের পণ একপ্রকার বন্ধ কার পরেও বাড়িওয়ালা কোন কর্ণপাত না করে এমডির হুমকিতে ও বিভিন্ন অজুহাতে বাদীকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করেন।
রকম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা। যা সং ও বৈধ উপায়ে আয় করে কোন অবস্থাতে করা সম্ভব নয় তার সম্পত্তির অধিকাংশই স্ত্রী পারভীন সুলতানা
(মেঘনা) ও অন্যান্যদের নামে করে রেখেছেন। বনবিভাগে দূর্নীতির কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শাখা-২ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ২৮/০৬/২০০৫ইং তারিখে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন। বনবিভাগের অনেকের সম্পদের হিসাব উন্মোচিত হলেও তার অবৈধ সম্পদের হিসাব গােপনই রয়ে গেছে। সে ছিল দুর্নীতিবাজ বনখেকো ওসমান গনির একনিষ্ট প্রতিদ্বন্ধী। দুর্নীতিবাজ ওসমান গনি দুর্নীতির কাহিনী আমাদের সবারই জানা। তৎকালীন ২০০৭ সালে যৌথবাহিনী তার বাড়ি তল্লাশি করে বালিশের ভিতর, চালের ড্রাম সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধার সহ তাকে আটক করে আইনের হাতে তারপর সিংগাপুর, কম্বোডিয়া, লাওস, মরিশাস ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযান স্বাভাবিক হলে দীর্ঘ ৪ মাস পর উচ্চ মহলের সাথে যােগাযােগ করে পার্টনারশীপ দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ
মােশাররফ হােসেন
বাদী বাসা ছেড়ে দিয়ে খুবই আতংকে আছেন। স্কুল পড়ুয়া ছােটছােট ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তুলে দিতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী। কিন্তু ধুরস্কর বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মােশাররফ হােসেন এসময় আইনের চোখকে এব্যাপারে মানবাধিকার খবর সেপ্টেম্বর ২০২০ ফাকি দিয়ে গা ঢাকা দেয়। চলে যায় বিদেশে। সংখ্যায় একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা এসময় তিনি জরুরী ভাবে ০৩ জুন ২০০৭ সালে হয়। উক্ত প্রতিবেদনটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে অন এরাইভাল ভিসায় প্রথমে মালয়েশিয়া, আবারও তুলে ধরা হলাে ও
মােশাররফ হােসেনের অবৈধ উপায়ে অর্জিত শতকোটি টাকার সম্পত্তি
গত ২৬ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও আবারও দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে তার কার্যালয় ও সেগুনবাগিচা দুদক কমিশনে সাবেক আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পত্তি বৈধ করার উদ্দেশ্যে বনসংরক্ষক ও মেঘনা বিলডার্সের এমডি দুর্নীতি দমন কমিশনে এক আইনজীবির মাধ্যমে মােশাররফ হােসেন এর বিরুদ্ধে অভিযােগ প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার দায়ের করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক চেষ্টা চালিয়েছিল। তারপর থেকে সে দুর্নীতির অংশিদার ও মানবাধিকার খবর পত্রিকার মহারাজা হয়েও এক প্রকার ফ্রি স্টাইলে চলতে সম্পাদক ও প্রকাশক রােটারিয়ান মাে: রিয়াজ থাকে। এর আগে ২০০৫ সালে চাকরি হতে উদ্দিন। অভিযােগ রয়েছে, দুর্নীতিবাজ অব্যাহতি পাওয়ার পর ঐ বছরই ঢাকা সিটি মােশাররফ হােসেন দুর্নীতি করে শত কোটি কর্পোরেশন থেকে মেঘনা বিল্ডার্স নামে ট্রেড টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। অপরদিকে, লাইসেন্সের মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে মােঃ করে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরুর মূল উদ্দেশ্য রিয়াজ উদ্দিনের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ ছিল তার অবৈধ টাকা বৈধ করা। তার দুর্নীতি করার অপচেষ্টা মামলা ঢাকা সিএমএম কোর্টে ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সে মেঘনা বিল্ডাসে বিচারাধীন।
অনসন্ধানে জানা যায়, সাবেক বনসংরক্ষক ও থেকে মােটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার মেঘনা রিয়েল এস্টেট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা চেষ্টার অভিযােগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী লক মােশাররফ বন বিভাগে কেলেংকারী সহ বহুবিদ অভিযােগ রয়েছে। তার চাকুরিরত অবস্থায় তৎকালীন বিএনপির আমলে অবৈধ টাকা দিয়ে অনেক নারীকে সে ঢাকার সাবেক বন মদী তরিকুল ইসলাম, শাহজাহান ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, দোকান ও সিরাজ, প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং দামী গাড়ী ক্রয় করে দেয়ার অভিযােগ রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ এসব নিয়ে সে অনেক সময় অনেক নারীর সাথে চৌধুরী সহ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় দুরনীতিবাজ ঝামেলা করায় ভুক্তভােগীরা তার বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের নিয়মিত ঘুষ প্রদান করে নানান একাধীক মামলা ও জিডি করেছে যা বিচারাধীন।
তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৎকালীন ২০০৭ সালে
বহুল প্রচারিত প্রথম আলাে, আমাদের সময় সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রকাশিত হলেও টাকার বিনিময়ে সে সব জায়গায় ম্যানেজ করে ফেলে। দুর্নীতিবাজ হওয়ার কারনে ব্যবসায় ঠিকমত মন না দেওয়ায় ব্যবসায়িক পার্টনার ও কোম্পানীতে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগন কাজ ও চাকরি হারিয়ে পথে বসে গেছে। বর্তমানে তারা অসহায় ও মানবতার জীবন যাপন করছে। তার অবৈধ সম্পত্তি বৈধ প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হাসিল করে বর্তমানে সে রাজকীয় জীবন যাপন করছে। এদিকে সম্পত্তি বৈধ ও রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী পারভীন সুলতানা কে “মেঘনা`স ফিটনেস সেন্টার নামে একটি জিম করে দেয়। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। এছাড়া তার এক ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে চাকরি করছেন। জানাগেছে সে বিতর্কীত সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত এবং বর্তমানে সে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। কেউ তার দুর্নীতি প্রতিবাদ করলে তার ছেলেকে দিয়ে ভয়ভীতি দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। রিয়াজ উদ্দিন অভিযােগ আরাে উল্লেখ করেন, ও পূর্ণাঙ্গ তদস্ত করলে মানবতার শত্রু ও সরকারী সম্পদ উজারকারী দুর্নীতিবাজ মােশাররফ হােসেন ও তার জী পারভীন সুলতানার দেশ বিদেশে আয় বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরােধী অভিযান হওয়া একান্ত ও খুব জরুরী। এ অভিযানে সামিল হওয়া আপনার আমার ও সকলের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের দুর্নীতি করতে সাহস না পায়। তাহলেই বর্তমান সরকারের চলমান দুর্নীতি বিরােধী অভিযান সফল ও স্বার্থক হবে এবং দুর্নীতি মুক্ত পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র পরিচালনায় সহায়ক হবে। দুদকের জনসংযােগ ও তথ্য প্রদানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য মানবাধিকার খবরকে জানান, অভিযােগটি নিয়মিত কার্য তালিকায় নিয়ে যাচাই বাছাই করে আমরা প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে দুর্নীতিবাজ সাবেক বন সংরক্ষণ (সিএফ) ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে জেনেটিক প্লাজায় অবস্থিত মেঘনা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বন খেকো মােশাররফের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ মঙ্গলবার ২০২০ প্রতারনা মামলা করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার ও মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রােটারিয়ান মােঃ রিয়াজ উদ্দিন। যার নাম্বার সি, আর, মামলা নং-১০৩/ ২০২০ বারা ৪০৬/৪২০/৫০৬ দন্ডবিধি। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বাদীকে ভয়ভীতি হুমকি দেওয়ায় মােশাররফ হােসেনের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয় যার নং-৫৯৭। এছাড়া গত ১২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে একটি আইনি নােটিশ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার ধানমন্ডি আমলী আদালত-১৪ এর বিজ্ঞ বিচারক মােহাম্মদ দিদার হােসাইন বাদীর জবান বন্দী গ্রহন করেন এবং ৫ এপ্রিলের-২০২০ মধ্যে ডিবি ডিসি (দক্ষিন) ঢাকাকে তদন্ত করে
মানবাধিকার খবর ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ডিবির পরিদর্শক রবিউল ইসলাম মামলাটির তদন্তভার দায়িত্ব নিয়েছেন। করােনা মহামারির কারনে মামলাটির তদন্তু এতদিন আটকে ছিল। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর -২০২০ নির্ধারিত তারিখের আগেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারবাে বলে আশা করছি।
অপর দিকে স্বাক্ষর জাল করে মানবাধিকার খবর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় পুলিশের নিকট অভিযােগকারী স্বীকারােক্তিমূলক অঙ্গিকার নামা প্রদান করেছে।এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি সাধারন ডাইরী (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে। লিখিত অঙ্গীকার নামা ও সম্পাদকের বক্তব্য সূত্রে জানা বুনিয়া,থানাকাঠালিয়া, যায়,সাং আইনুল জেলা:বালকাঠি। বর্তমান ঠিকানা ও বাসা: ৪৬,উত্তর, মুগদা, (৫ম তলা) ঝিলপাড়, থানা : মুগদা, জেলা : ঢাকার বাসিন্দা মাে. জয়নাল হাওলাদার ছেলে মাে,মনির হাওলাদার মানবাধিকার খবর পত্রিকা অফিসের একজন কর্মচারী ছিল। একাধিকবার শূঙখেলা পরিপন্থী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারনে তাকে চাকুরী হতে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। এই অব্যহতির কারনে মনির প্রতিহিংসুক হয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকা ও সম্পাদকের ক্ষতি সাধারনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ কারনে মনিরের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার সাধারন ডাইরী নং ১৫৫৬ তারিখঃ ২২/১১/২০২০ ইং দায়ের করা হয়েছিল। এর আগে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অভিযােগে
সাং গােপালকাঠী, ডাকঘর : বাগেরহাট, থানা বাগেরহাট, জেলা : বাগেরহাট। বর্তমান ঠিকানা : এপার্টমেন্ট ৭/এ,বাড়ি-৩৮, রােড-১১, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মৃত শেখ আকবর আলীর ছেলে মােশাররফ হােসেন এর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে সম্পাদক বাদী হয়ে সিআর মামলা নং ১০৩/২০২০, ধারা:৪০৬/৪২০/৫০৬ দণ্ডবিধি মামলা দায়ের করেছিলেন। যা আদালতে বিচারাধীন আছে। পরবর্তীতে মােশাররফ ও মনির পরস্পর একজোট হয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মাে. রিয়াজ উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়।এরই ধারাবাহিকতায় মােশাররফ ও মনির সম্পাদককে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুনাম নষ্ট করার জন্য,আমার মানবাধিকার খবর পত্রিকা অফিসের যে কোনাে ধরনের ক্ষতি করার
উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে মিথ্যা ভিত্তিহীন,মনগড়া কাল্পনিক অভিযােগ দায়ের করেছিল। যার অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করার বিষয়ে অভিযােগে উলেখ আছে। এরপর গত ২৮/১২/২০২০ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকার সময় সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বর্তমান ঠিকানায় মতিঝিল মানবাধিকার খবর অফিসে অবস্থান কালিন সময়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফ্ল্যাট নং ২০৩,ইস্টার্ন মহল,৭০-৭১ সিদেশ্বরী ঢাকার বাসিন্দা মাে.সাখাওয়াত হােসেন এর মােবাইল : ০১৭১১৬৯৮৪৭৯ নম্বর দিয়ে সম্পাদকের মােবাইল নম্বর ০১৭১১৩৯১৫৩০ তে ফোন করে অভিযােগের বিষয়ে অবহিত করেন।একই বিষয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ঠিকানা ১৫০,নাহার ম্যানশন, মতিঝিল ঢাকার বাসিন্দা মাে.সাগির আহম্মেদ ০১৭১৩০৪১৯৪৭ নম্বর থেকেও অভিযােগের বিষয়টি অবহিত করেন এবং লােক মারফৎ অভিযােগের কপি প্রেরন করেন সম্পাদক অভিযােগের কপি হাতে পেয়ে দেখতে পান যে,মনির হাওলাদার, জনৈক মিস তানিয়া, মােবাইল নং ০১৮২৮৭৩২৯৫৮,জনৈক মাে. সােহেল রানা, মােবাইল নং ০১৭১৫৩৮৩৮২০ এবং গাজী সিরাজুল ইসলাম,এ্যাডভােকেট, সুপ্রিম কোর্ট ঢাকাকে অভিযােগকারী দেখিয়ে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হয়েছিল। বিষয়টি সম্পর্কে বিড়রিত জানতে মাে.মনির হাওলাদারকে মুঠোফোনে জানতে মাে.মনির ডাকলে অফিসে আসে,পরে জিজ্ঞাসাবাদে মনিরের বক্তব্য সন্দেহ জনক মানে হলে, মতিঝিল থানার এস আই মাে.জলিলকে ডাকা হয়। এস আই জলিলের জিজ্ঞাসাবাদে মনির জানায়, এরকরম কোনাে অভিযােগ মনির দায়ের করে নাই এবং অভিযােগে স্বাক্ষরও তার নয় মনির উপস্থিত ব্যক্তিদের মােকাবেলা এই মর্মে একটি লিখিত অঙ্গিকার নামাও প্রদান করে বর্তমানে মােশাররফ সম্পাদকের দায়েরকৃত মামলার অভিযােগের দায় থেকে বাচতে মনির হাওলাদারকে হাতিয়ার বানিয়ে ৪ জন ব্যক্তিদের
স্বাক্ষর জাল করে কিংবা পরস্পর একজোট হয়ে সম্পাদক এবং তার প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের অর্জিত সুনাম নষ্ট এবং সম্মানহানী করার জন্য, যে কোনাে প্রকার ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযােগ দায়ের করে হয়রানী ও অপুরণীয় ক্ষতি করার অপচেষ্ট্যয় লিপ্ত রয়েছে। অবাদে চলাফেরার সময়ে দুবৃত্তরা এবং তাদের দলিয় দুষ্কৃতিকারী চক্রের দ্বারা যে কোনাে সময় যে কোনাে ধরনের ক্ষতি ও শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা কথা জাননা রিয়াজ উদ্দিন। অভিযােগের বিষয়ে মােশাররফ হােসেন এর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও মনির হালাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,এরকরম কোনাে অভিযােগ আমি সম্পাদক স্যারের বিরুদ্ধে দায়ের করি নাই এবং অভিযােগে স্াক্ষরও আমার নয়।মনির উপস্থিত ব্যক্তিদের মােকাবেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অঙ্গিকার নামাও প্রদান করার কথা ব্যক্ত করেন। মতিঝিল থানার এস আই জলিল মিয়া বলেন, মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক কর্মচারী মনিরের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেছিলেন এবং মনিরের বিরুদ্ধে থানায় হওয়া জিডি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযােগ বিষয়ে জানতে সম্পাদকীয় কার্যালয়ে যাই এবং মনিরের কাছে সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযােগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনির অস্বীকার করে এবং লিখিত
অঙ্গীকার নামা প্রদান করে। এ ব্যাপারে গত ২৯-১২-২০২০ইং মতিঝিল থানায় একটি জিডি করা হয়। যাহার নং- ২২৯৭।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : করোনা মহামারি এবং আম্ফানের ফলে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে পড়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় ছোট ছোট কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
এমনটাই মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সম্প্রতি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, খাতটিকে শিল্প হিসেবে গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া মহামারি সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেও কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
করোনা মহামারিতে সৃষ্ট বেকারত্ব মোকাবেলা প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ও আম্ফানের আঘাতে যে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে পারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে বিপুল মানুষকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ রয়েছে। যার বাড়িতে দুই কাঠা জমি আছে, সে সেখানেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে। যার ১০ কাঠা জমি আছে, সে ছোট একটি পুকুর খনন করে মাছ উৎপাদন করতে পারে। এ খাতে বিপুল মানুষকে কাজে লাগানো যায়।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনা ও আম্ফানের ফলে দেশে ভয়াবহ বেকারত্ব সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। সেই বেকারত্ব নানা ক্ষেত্রে আসছে। ছোট ছোট কাজ, যেমন রিকশা চালানো, পোশাকশিল্পের কাজ, হোটেলের কর্মচারী। এমন অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশ থেকে মানুষ চলে আসছে দেশে। তাদের সবাইকে আমরা চাকরি দিতে পারব না। অনেকের বয়স বেশি হয়ে গেছে, অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে সর্বোপরি রয়েছে কর্মসংস্থানের সংকট। সব মিলিয়ে অনেককেই আমরা চাকরি দিতে পারব না।
ফলে এসব মানুষকে স্বাবলম্বী করতে, তারা যেন কারো মুখাপেক্ষী না হয় সে জন্য আমরা তাদের জন্য ছোট ছোট পরিসরে নানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। কাউকে ২০০ মুরগির বাচ্চা নিয়ে, কাউকে দুটি গাভি নিয়ে বা ১০টি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে অথবা বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ চাষ করে যেন মানুষ স্বাবলম্বী হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব থেকে তারা নিজের ও পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত অংশ বিক্রি করবে। এভাবে এই ক্রান্তিকালে বেকারত্ব দূর করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করে তোলার বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে। এ খাতে সব স্তরের বেকারদের যুক্ত করে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে চাই। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সবল হয়ে উঠলে মানুষ শহরমুখী হবে না। শহরমুখী না হলে আমাদের খাদ্যাভাব বা সংকটেরও আশঙ্কা থাকবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত একসময় উপেক্ষিত ছিল। পুষ্টিকর খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে এখন আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের অন্যতম খাত হলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সে জন্য এ খাতকে শক্তিশালী করা উচিত। দুধ, মাছ, মাংস আমাদের পুষ্টির প্রধান উৎস। একসময় মানুষ এগুলো উৎপাদন থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনার কারণে এ খাতে অনেকে উৎসাহী হয়েছে। অনেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে চাইছে। তারা মাছ, মাংস, দুধ উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করছে। আমি এই খাতকে শিল্প খাতে উত্তীর্ণ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এবার বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জরিপে বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্ব। চীন, ভারতের মতো বড় রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ইন্দোনেশিয়ার পরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। আর ইলিশ উৎপাদনে আমরা অভাবনীয় সাফল্যের জায়গায় পৌঁছেছি। জাটকা নিধন থেকে বিরত রেখে, মা ইলিশ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে কঠোর নজর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো হালদায় সর্বোচ্চ রেণু উৎপাদিত হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে বড় একটি অবস্থানে পৌঁছেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বাজার থেকে আমাদের কাছে চাহিদা এসেছে, তারা হালাল মাংস নিতে চায়। এ হালাল মাংস রপ্তানি করে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একইভাবে আমাদের কাঁকড়া, কুঁচে, সাদা মাছ, চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একটি বড় জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও আম্ফানের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্তরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যাঁরা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করেন তাঁরা বিপণনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সেই মানুষদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় আমরা সেই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি বা উদ্যোক্তা যাঁরা, তাঁদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর যাঁরা বড় খামারি তাঁদের সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে ঋণ দিলে কিভাবে তাঁরা মৎস্য খামার, পোল্ট্রি, ডেইরি এগুলো করতে পারেন তেমন কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছি।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য, পোল্ট্রি, ডেইরি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ জড়িত। তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। যারা একেবারে অল্প আয়ের মানুষ তাদের অল্প করে হলেও আর্থিক সহায়তা দেব, যে অর্থ ফেরত দিতে হবে না। আর বড় খামারিদের ঋণ দেব। আমরা আশা করছি, শিগগিরই সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব।’
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদক মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : আমি মা-বাবার কাছে ফিরতে চাই, সেই সুযোগটুকু করে দেন আংকেল। মা-বাবার কাছে যেতে না পারলে আমার একা একা এখানে কিছুই ভালো লাগছে না। অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি দেশে মা-বাবার কাছে ফিরে যেতে। সুদূর ভারত থেকে কথা গুলো মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিনকে গত ১৬ মে-২০২০ কান্না জড়িত ও আর্তনাতের কন্ঠে মোবাইল ফোনে বলেছিল সাকিব ওরফে সুমন (১০) নামে পথহারা ও হারিয়ে যাওয়া এক শিশু। সে বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা লক্ষীকান্তপুর নুর আলী মেমোরিয়াল হোমে বন্দী আছে।
অনুসন্ধান ও সাকিবের কাছ থেকে জানা যায়, গত প্রায় ১বছর আগে বাড়িতে মা বকাবকি করলে, মায়ের সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে সাকিব। উদ্দেশ্যহীন ঘুরতে ঘুরতে, কখনো ট্রেনে,কখনো পায়ে হেঁটে, খেয়ে না খেয়ে চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল হয়ে চলে যায় ভারতীয় সীমান্তে। সীমান্ত অতিক্রম করে পেটরাপোল হয়ে বিএসএফ এর চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রেনে চলে যায় শিয়ালদহ। সেখানে খেয়ে না খেয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে থাকে সে। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে একটু খাবারের জন্য সেখানে একটি মুদির দোকানদারকে খাবার দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। খাবার চাইতে গিয়ে সেই দোকানেই কাজ নেয় এই ছোট্ট শিশুটি। শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। এ সংগ্রামে তাঁর কেটে যায় ৭/৮ মাস। এরইমধ্যে ভারতে করোনা মহামারির সংকট মুহূর্তে শুরু হয় লকডাউন।
এই লকডাউনে দোকান-পাট বন্ধ হয়ে গেলে, সে পরে মহাবিপদে। আবারও উদ্দেশ্যহীন শুরু হয় তার ঘোরাঘুরি। ঘুরতে ঘুরতে চলে যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ভাঙ্গরের চন্ডীপুর। সেখানে একটি বন্ধ মিষ্টির দোকানে সামনে বসে খাবার না পেয়ে ক্ষুধার কষ্টে কাঁদতে ছিল।তখন ঐ দোকানের সামনে এক নারী দেখে তার মনে পরে যায় মায়ের কথা।ঐ নারীর চেহারা অনেকটাই মায়ের মত। অগত্যা ঐ নারীকে ছড়িয়ে ধরে তার কাছে সাকিব কান্না জড়িত কন্ঠে খাবার চায়। সাকিব ভুল বুঝতে পেরে ঐ নারীকে তার কষ্ঠের কথা শোনায়। সাকিবের কথা শোনার পর ঐ নারী ও তার স্বামী হাসেম আলী বৈদ্য তাদের বাড়িতে আশ্রায় দেন। হাসেম আলী শিশুটিকে থাকা খাওয়া ও পোষাকের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু সেখানে শিশুটি বেশি দিন থাকতে পারেনি।
স্থানীয় ভাঙ্গর থানা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে হাসেম আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তুলে দেয় ভারতীয় সরকারি সংস্থা চাইল্ড লাইনের হাতে। চাইল্ড লাইন নিয়ম অনুসারে আদালতের মাধ্যমে তুলে দেয় শিশু সুরক্ষা হোমের হাতে। বর্তমানে শিশুটি সেখানেই নিরাপদে আছে। হোমটি মানবাধিকার খবরের খুবই পরিচিত।
একাধিকবার সুযোগ হয়েছে হোমটি পরিদর্শনের এবং সেখান থেকে মানবাধিকার খবরের মাধ্যমে অনেক শিশুকে আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। হোমটির কর্নধার আসিফ ইকবাল জানিয়েছেন, শিশুটি আমাদের এখানে অনেকটা ভালো আছেন। সে গত ২৯ এপিল-২০২০ থেকে এখানেই রয়েছে।আমরাও সাকিবকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। বিষয়টি আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানিয়েছি। অনুরোধ করেছি রাজ্য সরকার শিশুটিকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছি।
শিশুটির মা-বাবার এখনো সঠিক সন্ধান পাওয়া যায়নি। কেউ সন্ধান পেলে জানাবেন। জানামতে, বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুবর্নচর থানার চরক্লার্ক ইউনিয়ন, পোস্ট জনতা বাজার, আদর্শ কলোনীর আলালের বাড়ি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শিশুটির মা-বাবার অনুসন্ধান চলছে। তার পিতার নাম কাসেম সেখ, মাতার নাম ফিরোজা খাতুন। শিশুটি যখন অজানা উদ্দেশ্য নিরুদ্দেশ হয়, তখন তারা চট্টগ্রামে আকবর শাহ থানাধীন একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো। এখন তার মা-বাবা সেখানে আর থাকে না বলে জানা গেছে। তার বাবা একজন পিক-আপের ড্রাইভার।
মানবাধিকার খবর দীর্ঘ এক মাস অনুসন্ধান চালিয়ে গত ২০ জুন-২০২০ তার মা ফিরোজা বেগমের সন্ধান পায়। ফিরোজা বেগমের সন্ধান দেয় চট্রগ্রাম সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন চাইল্ড হেলপ লাইনের কতৃপক্ষ। শিশুটির মা ফিরোজা বেগম মানবাধিকার খবরের এ প্রতিবেদককে জানান, তারা এখন চট্রগ্রামের পাহারতলী থানাধীন গ্রীন ভিউ এলাকায় থাকেন। সাকিব হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার মা ফিরোজা বেগম গত ১২-৫-২০২০ ইং পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন যাহার নাম্বার -৩৮২।
মানবাধিকার খবর উদ্ধার পক্রিয়ায় কলকাতাস্থত উপ-দূতাবাসসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেছে। মানবাধিকার খবরের মাধ্যমে শিশু সাকিবের সাথে তার মাকে ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে প্রায়ই মা-শিশু সাকিবের সাথে কথা হচ্ছে। কিছুটা হলেও তারা স্বস্থিতে আছেন।
লকডাউন চলে গেলে ও করোনা ভাইরাস বিশ্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে , "মানবাধিকার খবর " উদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। শিশুটিকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে মা বাবার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিশেষ চেষ্টা করছে মানবাধিকার খবর। করোনা ভাইরাস এর কারণে সারা বিশ্বের এই কঠিন পরিস্থিতিতেও মানবাধিকার খবর এর সামাজিক ও মানবিক কাজ অব্যাহত রয়েছে। এর আগেও মানবাধিকার খবর পত্রিকার উদ্যোগে দেশ-বিদেশে থেকে অসংখ্য নারী-শিশু উদ্ধার করে মা বাবা ও আইনের হাত তুলে দিয়ে সাফল্য দেখিয়েছে।
উল্লেখ, প্রথম আলো এবং ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার, বর্তমান সহ বিভিন্ন দৈনিক ও টিভি চ্যানেল সংবাদটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদক : মানবাধিকার খবর প্রতিেিবদন : মানবাধিকার খবর এর কাছে মায়ের আহাজারি, যেভাবেই হোক আমার মেয়ে কে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে দিন,একটু মানবিকতা দেখান, আমাকে একটু শান্তি দিন,আমি নিরুপায়। অনেক চেষ্টা করেও মেয়ে কে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারছি না। আপনার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করবো, রোজাও মানত করছি ইত্যাদি ইত্যাদি ।
কান্নাজড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে ২৯ মে-২০২০ মোবাইল ফোনে মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিনকে কথাগুলি বলছেন, ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া এক কিশোরীর অসহায় মা। মানবাধিকার খবরের মাধ্যমে নারী ও শিশু উদ্ধার করার খবর জানতে পেরে কিশোরীর মা সুফিয়া বেগম মানবাধিকার খবর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করেন।
ঘটনাবিবরণঃ জানা গেছে, কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। সে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার একটি গ্রামে। (প্রসঙ্গে উল্লেখ, কিশোরীর সামাজিক মর্যাদা এবং নিরাপত্তা জনিত কারণে তার পুর্নাঙ্গ নাম, ঠিকানা ও স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করতে পারছি না)। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
কিশোরীর পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। তারা ৩ ভাই বোন। বাবা তাদের খোঁজ নেয় না। মা পরের বাড়িতে কাজ করে ও দুধ বিক্রি করে কোন মতে সংসার চালায়। ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা অবস্থায় তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পরপরই নববিবাহিত জীবনে দেখা দেয় অশান্তি। তার স্বামী ছিল দুশ্চরিত্র ও মাদকসেবী। ফলে তার সংসার জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ। ছয় মাসের মাথায় তাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি ঘটলে বিচ্ছেদ হয়। কিশোরী মেয়েটি তখন নিরুপায় হয়ে ওঠে।
এসময়ে নারী ও শিশু পাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্র তার অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়। তাকে ভারতে ভাল কাজ দেওয়ার কথা বললে, সে সরল মনে রাজি হয়ে যায়। এরপর তাকে পাচারকারীরা অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে দালালের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। দালালরা কলকাতা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্য মুম্বাইয়ে বা দিল্লীতে নিয়ে যাওয়ার সময় শিয়ালদহ রেল স্টেশনে পুলিশের সন্দেহ হলে, কলকাতা রেলওয়ে পুলিশ কিশোরীকে আটক করে। এসময় দালালরা সটকে পড়ে। এরপর পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হোমে পাঠায়।
গত ৭ মাস ধরে কিশোরী মেয়েটি ভারতের কলকাতার সেক্টর ফাইভে সরকারি সুকন্যা হোমে আছে। আইনি জটিলতা ও কাগজপত্রের অভাবে কিশোরী মেয়েটি দেশে ফিরতে পারছে না। তবে এ মুহূর্তে মানবাধিকার খবর এর হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পৌঁছেয়েছে। মানবাধিকার খবর উদ্ধার পক্রিয়ায় কলকাতাস্থত উপ-দূতাবাসসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেছে। মানবাধিকার খবরের মাধ্যমে কিশোরী সাথে তার মাকে ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে প্রায়ই মা-কিশোরী সাথে কথা হচ্ছে। কিছুটা হলেও তারা স্বস্থিতে আছেন।
মানবাধিকার বিষয়ক নিয়মিত সৃজনশীল বাংলা প্রকাশনা "মানবাধিকার খবর" পত্রিকা প্রতিষ্ঠা থেকে নানান সামাজিক কাজ করে আসছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সব সময়ই অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। দায়বদ্ধতা থেকেই নিয়মিত ভাবে দেশ-বিদেশ থেকে পাচার কৃত বা সমস্যায় পতিত নারী ও শিশু উদ্ধার করে মা বাবার হাতে তুলে দিতে চেষ্টা করে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে কিশোরীকে ভারত থেকে উদ্ধার করে, দেশে ফিরিয়ে এনে মায়ের হাতে তুলে দিতে, উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মানবাধিকার খবর।
অসহায় কিশোরী মেয়েটির মায়ের পাশে দাড়িয়েছে মানবাধিকার খবর। আশা করছি, লকডাউন এর পর মহামারির করোনা ভাইরাস প্রকোপ স্বাভাবিক হলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে মায়ের কাছে তুলে দিতে চেষ্টা করবে মানবাধিকার খবর।
সাফল্যঃ উল্লেখ, ২০১৫ সাল থেকে মানবাধিকার খবর দুধর্ষ ও শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ২ শতাধিক নারী ও শিশু দেশ- বিদেশ থেকে উদ্ধার করে মা বাবার হাতে তুলে দিয়ে সাফল্য দেখিয়েছে। উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে আরো শতাধিক নারী ও শিশু।
মানবাধিকার খবর পত্রিকাটি তার সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার- ২০১৯ ভূষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আবেদনঃ মানবতার কল্যানে মানবাধিকার খবর পত্রিকা নিয়মিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশনার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানবিক ও সামাজিক এ কাজ করতে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা এখনো এগিয়ে আসেনি। নানান রকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি মানবাধিকার খবর।
এজন্য দরকার বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান, সমাজের উচ্চবিত্তসহ সব শ্রেণীর মানুষের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা। মানবিকতা দেখিয়ে, মানবকল্যানে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এর পাশে দাড়াতে সকলের প্রতি বিনীতভাবে ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদজ্ঞাপনঃ মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি, বিজ্ঞাপনদাতা, লেখক,পাঠক সহ শুভাকাঙ্ক্ষীগন নিয়মিত সহায়তা দিয়ে পাশে দাড়িয়েছে, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মহামারীর এই সংকট মুহূর্তে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
|
|
|
|
ছবি : আটককৃত ৩ কিশোর ১ কিশোরী ও ২ বছরের বাচ্চাসহ ১ নারী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মানবাধিকার বিষয়ক নিয়মিত সৃজনশীল বাংলা প্রকাশনা মাসিক মানবাধিকার খবর’র সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো. রিয়াজ উদ্দিনের অপহরণকারীদের ধরেও মামলা না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এফএম শাহেদ হোসেনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি এবং সাভার থানাধীন ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক, অপহরণে জড়িত বৃষ্টি, তার স্বামী শুধাংশ রায়, নয়ন কুমার ও রণিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রয়ারি) ‘মানবাধিকার খবর’র সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার সিআর-২০২/২০২০ ধারা ২০১/২০১৭/২০২৩/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৮৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৬৫/৪২০/৪০৬/৪৪৭/৫০৬ দন্ডবিধি।
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ডিসেম্বর ২০১৯ ফেসবুকে আসামি বৃষ্টি বাদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এর কিছুদিন পর বাদী মানবাধিকার কর্মী জেনে আসামি বৃষ্টি একটি ছেলেসহ অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন মর্মে জানিয়ে তার কাছে সহায়তা চান।
আসামির অনুরোধে বাদী একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সাভার থানার হেমায়েতপুরের হরিনধরায় যান। এরপর রাস্তা থেকেই ৩-৪ জন ছেলে তাকে বৃষ্টির ভাড়া বাড়ির বালুর মাঠ নামক সোহরাব হোসেনের বাড়ির পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় একটি ফ্লাটে নিয়ে যায়। ফ্লাটে ঢোকার সাথে সাথে দরজা আটকিয়ে দেয়। তাকে অতর্কিত ভাবে মারধর করে হতভম্ব করে দেয়। মুখে গামছা বেঁধে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালায় ও আপত্তিকর ছবি তুলে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১১ হাজার ৫শত টাকা, দুইটা মোবাইল, একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে যায়।
নির্যাতন করে বিকাশ ও কার্ডে পিন নম্বর জেনে এটিএম কার্ড ও বিকাশের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকা তুলে নেয় তারা। বাদীর মোবাইল থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
মুক্তিপণের বিষয়ে কেউ সাড়া না দিলে বিকেল ৪টা নাগাদ অপহরণকারীরা তাকে হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ডে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে বাদী সাভার থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃষ্টিসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে। কিন্তু মামলার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে পুলিশ মামলা না করে ওই নারীর সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন। না করলে উল্টো ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাদীকে আদালতে চালানের ভয় দেখায়। তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়।
বাদী বিপদ বুঝে পুলিশের কথামতো কাজ করে থানা থেকে মুক্তি পান। পরে বাদী জানতে পারেন, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য এবং পুলিশ তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে বাদী গত ১২ ফেব্রয়ারি পুলিশ সুপার ঢাকা মারুফ হোসেন সরদার এর বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এএসপি কেরানীগঞ্জ সার্কেল মহানন্দা সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ২৪ ফেব্রæয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তদন্তে মানবাধিকার খবর’র সম্পাদক উপস্থিত হলেও আসামী পক্ষের তেমন কেউ উপস্থিত হয়নি। পুনরায় তদন্তের জন্য আবারো ডাকা হবে বলে সম্পাদকে আসতে বলে । এখানেও তদন্তে ঘড়িমশি করছে পুলিশ।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, আইনজীবী আজাদ রহমান, প্রিয়লাল সাহা, সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি, মো: জাহিদুর রহমানসহ প্রমুখ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি দূর্ঘটনায় তছনছ করে দিয়েছে লাকী বেগম (৩৪) জীবন। লাকী বেগমের বাবা জাহের মিয়া ছোট খাটো ব্যবসায়ী মা বকুল বেগম গৃহিনী। দুই ভাই তা নিয়ে আমাদের সংসার। প্রতিটা মানুষের মত তারও স্বপ্ন ছিল অনেক লেখা পড়া করবে। ভাল ঘরে বিয়ে হবে সুন্দর সাজনো ঘুছানো টিপটপ পরিপাটি একটা সংসার হবে। তাই হলো ২০০৯ সালে ২১ শে আগষ্ট মাসে একজন শিক্ষিত বুটিকস ব্যবসায়ী কাছে বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে।
অনেক দিন পড়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নিয়ে আসা হয় শ্বশুর এর ঢাকা আজিমপুরের একটি বাসায়। তখন সে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী। বিয়ের পর বেগম বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স সম্পূর্ণ করে। কিন্তু মাস্টার্স আর করা হয়নি। কারণ সে বড় ছেলের বউ। যদি বউ চাকরি করে সংসার দেখবে কে। হয়তো পড়া শুনা না হয় সংসার কথা উঠে বাঙালি নারীদের মতো সেও সংসারকে বেঁচে নিতে হয়।
২০১১ সালে অনার্স শেষ করে এবং বড় মেয়ে পৃথিবীতে আসে। তার স্বামী একজন নাট্য কর্মী ছিলেন। তিনি তারেক এনাম সাহেবের গ্রæপ নাট্য কেন্দ্রর একজন কর্মী ছিলেন বিভিন্ন সংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত ছিল। তারপর ২০১২ সাল থেকে নেমে আসে তার জীবন অগচরে বড় ঝড়। যা তার জীবনের সমস্ত আশা আকাঙ্খা ভেঙ্গে চুড়ে চুড়মার করে দেয়। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমন এক মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিল যা আর কোন দিন ভাল হবার নয়। সবে মাত্র নতুন সংসার, সংসার বুঝে উঠতে না উঠতে সংসার নষ্ঠ হওয়া সব সুর বেজে গেলে। তার মধ্যে পারিবারিক অনেক কলহ শুরু হয়ে যায়।
সে দিশেহারা হয়ে যায়। কি করবে একটি বাচ্চা হয়েগেছে তাকে নিয়ে কিভাবে এত বড় পথ পারি দিবে। সবকিছুর পর সে আবার ২০১৫ সালে প্রাইভেটে মাষ্টার্সে ভর্তি হয়ে তা নিয়েও অনেক গনজনা শুনতে হয়েছিল। এর মাঝে চলে আসে তার দ্বিতীয় বাচ্চা এটাও মেয়ে। এখন তার চিন্তা আরো বেশি বেড়ে যায়। দুই মেয়ে নিয়ে সে কি ভাবে এই পথ পাড়ি দেবে।
তার সাথে তার স্বামীকে বাংলাদেশের যে সব হসপিটালগুলো ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, নিউরোলজি, মডার্ণ, ল্যাবএইড, মেডিনোভা, পপুলার, স্কয়ার থেকে সব গুলো হাসপাতালের নিউরোউবিভাগের চিকিৎসকদের দেখানো শেষ। তার পর নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই, মাদ্রাস, সবার একই কথা গ.ঘ.উ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগ আর ভাল হবে না। আস্তে আস্তে সে সমস্ত শরীর অকেজো হয়ে মারা যাবে। যে কথা সে কাজ ডাক্তার যে ভাবে বলেছে ঠিক সে ভাবে শারীরিক অবনতি হতে থাকল। সে তো পাগল পাড়া। কি হবে কি করবে, এভাবে দিন চলতে থাকে অবশেষে ০২-১০-২০১৬ সালে তার স্বামী পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। সে আরো হতভাগ হয়ে পড়ে।
সমস্ত পৃথিবী যেন তার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ল। তার শ্বশুর বাড়ির কথা ছিল ওনারা যে ভাবে রাখে সে ভাবে থাকতে হবে। কিন্তু সে পড়াশুনার জানা মেয়ে কেন কারো ওপড় বোঝা হয়ে বেঁচে থাকব। এরপর তার স্বামরি সাথে সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এম.পি সাহেব ভালো সম্পর্ক ছিল। অনেক কষ্ট করে তার সাথে যোগাযোগ করে এবং এর মাঝে তার সরকারী চাকরীর বয়স শেষ হয়ে যায়। পরে মন্ত্রী এই কথা শুনে তাকে জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শক প্রভাষক পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে একটি চাকরি দিয়ে দেয়
এরপরে শুরু হয় আরো অমানবিক জীবন। এখান থেকে মাত্র ১০,০০০ হাজার টাকা আসে। তা দিয়ে কিভাবে দু- বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় বসবাস করা সম্ভব হয়। যা পায় তা দিয়ে কোন ভাবেই জীবন মান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তার বয়ষ্ক বাবা তার ও বাচ্চাদের ভরন- পোষণ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। বর্তমানে জানা মতে আমাদের দেশনেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন গার্মেন্টস কর্মীর বেতনও ৮,২০০ টাকা স্কেলে করে দিয়েছেন। তাহলে তারা কোন স্কেলে কাজ করছে। সবচেয়ে অমানবিক বিষয় হচ্ছে কাজে আসলে টাকা পায় না হলে টাকা পায় না। এমনকি দুটি বোনাস, এমনকি কোন নির্দিষ্ট বেতন পায় না। সে সাথে যখন তখন চাকরীর শেষ হয়ে যাবার ভয় কাজ করে। এভাবে কি জীবন চলে। লাকী আমাদেরকে বলেন তাহলে কি শিক্ষিত হয়ে মহাপাপ করেছি। আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে নিজের উপার্জনের দু মুঠো ডাল ভাত খেয়ে কি বেঁচে থাকতে পারবনা।
এই পর্যন্ত চাকরীর জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। কিন্তু কোথাও কোন কাজ হয়নি। তাহলে মানবতা কি শুধু মুখে মুখে। একজন সংস্কৃতিক কর্মীর স্ত্রী- সন্তান হয়েও আজ কেন এই অমানবিক জীবন। আমি নিজের যোগ্যতায় গায়ে খেটে কাজ করে বাঁচতে চাচ্ছি কিন্ত তাও কি হবে না। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক মানবিক এবং অনেক দয়ালো তিনি ও আমাদের জন্য এগিয়ে আসবেন না।
জননেত্রী অনেক মানবিক তিনি অনেক অসহায়, অসুস্থ, এতিম এবং বিধবাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে আমি খবরে দেখে থাকি। আমিও তো একজন বিধাব ও দুই এতিম কন্যা সন্তান নিয়ে জীবন যাপন করছি। তাহলে কি আমি তার সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হব। আমি অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং দেশের অনেক বড় বড় মাপের মানুষের দ্বারে দ্বারে একটি চাকরির জন্য অসহার এর মত আবদার করে করে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে গেছি। আমার মাননীয় দেশ নেত্রী জননেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন তিনি যেন এক বিধাবা ও এতিম দু কন্যা সন্তানের অসহায় মা’য়ের দিকে তাকিয়ে একটু সহানুভূতি হয়। আমাদের সাহায্য যেন এগিয়ে আসে। অনেক আশা নিয়ে আমি তার কাছে এই লিখা গুলো লিখেছি জানিনা পৌছাবে কি না।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক চেষ্টায় বাংলাদেশিদের জন্য ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে চালু হয় অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা। পর্যটনসমৃদ্ধ এসব দেশে বাংলাদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য দরজা খুলে দিলেও সেটাকে পুঁজি করে নীরবে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল মানবপাচারকারীরা। অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধাযুক্ত দেশগুলোকে ট্রানজিট বানিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো অন্য দেশে। তাই ভিসা ছাড়া বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন। এছাড়া, পাসপোর্ট ছাড়া যারা ট্রাভেল পারমিট নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরছেন তাদের জন্যও এই কড়াকড়ি রয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার ভিসা বন্ধ থাকায় ইন্দোনেশিয়ার অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধায় সেদেশে (মালয়েশিয়ায়) প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। আর সাগর পাড়ি দিয়েই মালয়েশিয়া পৌঁছানোর আশ্বাস দেয় পাচারকারীরা। তাই অবৈধ অনুপ্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দুই দেশই। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধায় যারা যাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভিসা ছাড়া অনেক যাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন থেকে, পাসপোর্টে মেরে দেওয়া হচ্ছে ‘অফলোডেড’ সিল। এবছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ায় মেদান শহরের একটি তালাবদ্ধ দোকান থেকে ১৯৩ জনকে উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এদের পাচার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর ঠিক দু’দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৫৯ বাংলাদেশিকে। তাদের সবারই গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। মেদান শহরের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থারপ্রধান মোনাং শিহিতি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমরা ধারণা করছি তারা নৌকায় করে এখানে এসেছে। তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। আমরা এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফিরে আসা ভুক্তভোগী ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের কারণে এরইমধ্যে আরও নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে ইন্দোনেশিয়াকে। ইন্দোনেশিয়ার বালি ও মেদান দ্বীপকে ব্যবহার করে নৌকা এবং ঢাকা থেকে বিমানে কুয়ালালামপুর হয়ে জাকার্তায় এবং সেখানে নেমে চলে যাচ্ছে সোরাবাইয়া,বালি,বাতাম এবং মেদানে। সুযোগ বুঝে পাচারের অপেক্ষায় রাখা হয় দীর্ঘদিন। এর আগেও পাচারের অপেক্ষায় রাখা বহু বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয় বালি থেকে। অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টার সময় ২০১৮ সালের এপ্রিলে ৩০ বাংলাদেশিকে আটক করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ও মেরিন পুলিশ। কর্মকর্তারা আরও জানান, অনেক বাংলাদেশি নাগরিক অন অ্যারাইভাল ভিসার সুযোগে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভানুয়াতু এবং জামাইকার মতো দেশে পাচারের শিকার হন। অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রাপ্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশে গিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। এছাড়া, দালালের মাধ্যমে শ্রুীলঙ্কা হয়ে মালদ্বীপ, কেনিয়া হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার মতো দেশগুলোতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধায় মূলত অনেককে অন্য কোনও দেশে পাঠানোর উদ্দেশে নিয়ে আসা হয়। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বন্ধ থাকায় ইন্দোনেশিয়া দিয়ে সেদেশে প্রবেশের একটা প্রবণতা দেখা যায়। তাই এখন দুই দেশের সীমান্তেই কড়াকড়ি আরোপ করা আছে। ইন্দোনেশিয়ায় পাচারের শিকার অনেককেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে মালিন্দো এয়ারে কুয়ালালামপুরে ট্রানজিট দেওয়া হয়েছিল তাদের। এরপর কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে সবুজ নামের এক বাংলাদেশি দালাল তাদের বলেন, এখান থেকে মালয়েশিয়ায় ঢোকা যাবে না,সেক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফের মালয়েশিয়া আসতে হবে। একথা বলে যুবকদের ইন্দোনেশিয়া পাঠান। বালি থেকে জাকার্তা,তারপর চার দিন বাস যোগে ম্যাডোনা নামক এলাকায় পৌঁছে একটি গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে তারা ২৯৫ জন বাংলাদেশিকে আটক অবস্থায় দেখতে পান।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদবক
দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে মহাপরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বলেন, পর্যটন খাতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে গতিশীলতা আনতে মহাপরিকল্পনার কাজ এগিয়ে চলেছে। পর্যটন ব্যবসা ও সেবার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের আওতায় নিয়ে আসতে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুরিস্ট গাইড আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আইনে সংশ্লিষ্টদের জন্য সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি রয়েছে। আইনানুযায়ী ট্যুর গাইডদের নূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। ট্যুর অপারেটররাও একটি গাইড লাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস। এসময় তিনি জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দেশে এবারই প্রথম ৬৪টি জেলায় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন স্ব-স্ব জেলার প্রশাসক। এছাড়া জেলাগুলোতে দিবসটি ঘিরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অন্য বারের মতো এবারও বিশ্ব পর্যটন দিবসটি যথাযথ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালনের ব্যবস্থা করা হয়। ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনার দেশ। এই খাতকে শক্তিশালী ও গতিশীল করা গেলে দেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। আর সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করছে। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে, ১৭ ও ১৮ অক্টোবর ভারতের দিল্লিতে রোড-শো`র আয়োজন। বিজনেস টু বিজনেস সেশনের পাশাপাশি ভারতে বছরব্যাপী পর্যটনবিষয়ক প্রচারণা চালানো। এছাড়া পর্যটন বিষয়ে ফ্লায়ার ও টিভিসি নির্মাণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে পর্যটনপ্রেমিদের আকর্ষণের লক্ষে। দেশেও জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানোর জন্য। পর্যটনের বিকাশে এতদিন রাজধানীকেন্দ্রিক কর্মকান্ড হলেও এবার তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জানতে চাইলে ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও বলেন, পর্যটনের মুল লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যিক গুরুত্ব প্রচার করা। সে লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে যেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, তেমনি বহির্বিশ্বেও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা চলছে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে পর্যটনবিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ অন্তর্ভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পাঠ্যক্রমে পর্যটনবিষয়ক রচনা থাকলে দেশের মানুষ এ বিষয়ে উৎসাহ পাবে। তিনি বলেন, পর্যটন একটি বহুমাত্রিক শিল্প। এটি সকল শিল্পের সমন্বিত রূপ। পর্যটনের জন্য আর্থিক সামর্থ্য জরুরি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষের সে সামর্থ্য তৈরি হয়েছে বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন বাঙালিরা। তবে পর্যটনের বিকাশে যে কোনো দেশেরই অবকাঠমো উন্নয়ন ও বিনোদন ব্যবস্থার সুযোগ থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি। সেটা না হলে বাংলাদেশের পর্যটন পিপাসুরা যেমন বাইরে যাবেন ভ্রমণ পিপাসা ও চিত্ত তৃষ্ণা মেটাতে, তেমনি বিদেশি পর্যটক টানতে প্রতিবন্ধকতা বাড়বে। ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার বিষয়টি অনুধাবন করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন আইন-২০১০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছরে গঠন করা হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর মাধ্যমে পর্যটন খাত অনেকটাই গতিশীল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটনের নীতি-নির্ধারণ, প্রচার-প্রসার, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বিপণন, জনমত সৃষ্টি ও সচেতনতা সৃষ্টিতে নানা ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠনসহ সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে। তিনি বলেন, আমরা পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সারাদেশে কাজ করছি। সাসটেইনেবল ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপন করছি। তার মতে, পর্যটনমনস্ক জাতি গঠিত না হলে বাংলাদেশে পর্যটন খাতে সাফল্যের সম্ভাবনা কমে আসবে। সেজন্য দেশের প্রতিটি স্তরে থাকা ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : মানবাধিকার খবর সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো ঃ রিয়াজ উদ্দিন “পিস সম্মান ২০১৯” পাচ্ছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বর্ধমান জেলার সীমান্তপল্লী, রুপনারায়নপুরের পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানইজেশন এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমাজকর্মী হিসেবে তাকে এই এ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। রুপনারায়নপুরের পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানইজেশসন এর সভাপতি শুভদীপ সেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে মানবাধিকার খবর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনকে বলা হয়, বারো মাসে তেরো পার্বনের এই বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখে, বাংলা ও বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব গুলির মধ্যে দূর্গাপুজা অন্যতম। উৎসবে মেতে থাকার আনন্দের চেয়ে ও অপার আনন্দ বুঝি নিরন্ন দুঃখী পথ শিশুদের মুখে একটু হাসি ফোঁটানো। যে কাজটি রুপনারায়নপুরের পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানইজেশন নীরবে নিভৃতে করে চলেছে ২০১০ সাল থেকে। পিসের নবম বর্ষপুর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগামী ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ মহালয়ার পুণ্য তিথিতে আগমনীর নব আনন্দ সবাই কে নিয়ে ভাগ করে নিতে এক সান্ধ্যকালীন গুনীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভিন্ন ধারার গুণী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আপনিও সামাজিক দায়বদ্ধতার যে নিদর্শন রেখেছেন তাই পিসের পক্ষ থেকে উক্ত দিনে আপনাকে “পিস সম্মান ২০১৯” প্রদান করে সম্মানিত করতে পারলে আমরা গর্ব অনুভব করবো। প্রসঙ্গত, মানবাধিকার খবর সম্পাদক মো ঃ রিয়াজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দেশ-বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া নারী-শিশু উদ্ধারে কাজ করে আসছেন। এই সময়ের মধ্যে ভারতের পশিচমবঙ্গ, দিল্লীসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে অর্ধশতাধিক নারী-শিশু উদ্ধার করে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি সমাজকর্মী হিসেবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রিড়া, সাংস্কৃতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। অধিকার বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে থেকে মানবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এর আগেও মানবাধিকার ও সমাজ সেবায় দেশÑবিদেশ থেকে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।
|
|
|
|
সৈয়দ সফি : সুস্থ্য ও শৃঙ্খল জীবনের পথ দেখায় কোয়ান্টাম মেথড। আত্মশক্তির জাগরণ ঘটিয়ে মেধা, প্রতিভা ও বিশুদ্ধ সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে নিজেকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। আর নিজের মেধাকে সমবেত ও সমন্বিতভাবে মানবতা ও সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে বিশ্বকে মানবিক মহাসমাজে রূপান্তরিত করাই কোয়ান্টামের স্বপ্ন। সুস্থ্য দেহ সুন্দর মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন। এমন জীবন সবারই কাম্য। মানুষ তার কর্মের মাধ্যমেই জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারে। কিভাবে সুন্দর জীবন গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে চমৎকারভাবে ধারণা পাওয়া যাবে কোয়ান্টাম মেথডে। কোয়ান্টাম মেথড সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
কোয়ান্টাম মেথড : কোয়ান্টাম মেথড জীবন যাপনের বিজ্ঞান। এ বিজ্ঞান জীবনকে বদলে দেয়ার, জীবনে ভালো রাখার। শুরু হয় জীবনদৃষ্টি বদলের মধ্য দিয়ে। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মস্তিষ্কের নিউরোনে নতুন ডেনড্রাইট সৃষ্টি করে, সূচিত হয় নিউরোনে নতুন সংযোগায়ন প্রক্রিয়া। ফলে মস্তিষ্ক বদলে যায় ইতিবাচকভাবে। আর এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তির আচরণ ও দৈনন্দিন প্রতিটি কাজে। অশান্তি পরিণত হয় প্রশান্তিতে। রোগ সুস্থতায় আর ব্যর্থতা সাফল্যে। তিনি লাভ করেন সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখীজীবন। প্রাচ্যের সাধনা আর আধুনিক বিজ্ঞানের নির্যাসে সঞ্জীবিত কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন প্রক্রিয়া। সাধকদের সাধনা ও মনোবিজ্ঞানের প্রক্রিয়ার সমন্বয়ের ফলে সহজে মেডিটেটিভ লেভেলে পৌছে আত্মনিমগ্ন হওয়া যায়। গভীর আত্মনিমগ্নতা আত্মশক্তির জাগরণ ঘটায় ভেতর থেকেই। আর অন্তরের জাগরণ বদলে দেয় জীবনের বাকি সবকিছু। সৃষ্টির সেবায় স্ব-অর্থায়নেই যেকোনো কাজ করা সম্ভব। এক যুগ নিরলস পরিশ্রমে কোয়ান্টাম গড়ে তুলেছে রক্তদাতাদের সবচেয়ে বড় ডোনার পুল ও আধুনিক ল্যাব, রক্ত দিয়ে বাঁচাতে সাহায্য করেছে আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ। ধ্যানচর্চার শত কেন্দ্রসহ বান্দরবানের লামার দুর্গম এলাকায় গড়ে তুলেছে এক আলোকিত জনপদ। বিশুদ্ধ পানির জন্যে নলকূপ স্থাপন, সুন্নতে খতনা, মাতৃমঙ্গল, ত্রাণ ও দাফন কার্যক্রমসহ সেবার যেকোনো সুযোগ গ্রহণ করেছে আন্তরিক মমতায়। স্বনির্ভরয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলেছে অবহেলিত পরিবারগুলোকে। হাজার হাজার মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছে সৎ দানে ও সৎ কাজে।
কোয়ান্টামের মূল উদ্দেশ্য : কোয়ান্টামের মূল উদ্দেশ্য প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি এবং সম্ভাবনাকে জাগ্রত করা যাতে সে তার মেধার সর্বোত্তম বিকাশ ঘটিয়ে একজন সফল মানুষে পরিণত হতে পারে। সেই সাথে সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তার একক কল্যাণশক্তিকে বহুগুণে বৃদ্ধি করা। কারণ একক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় বড় কোনো কল্যাণমূলক কাজ করা না গেলেও অনেকে যখন সমবেত হন, তখন এটা দিয়েই সম্ভব দূরপ্রসারি কিছু করা। অবশ্য সবকিছুর আগে প্রয়োজন ব্যক্তির আত্মনির্মাণ, ব্যক্তির সাফল্য। কারণ ব্যক্তি যদি সফল না হয়, তাহলে সমাজ সফল হবে না, রাষ্ট্র সফল হবে না। তাই ব্যক্তির আত্মিক, বৈষয়িক, পারিবারিক স্বাস্থ্যগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সফল মানুষদের সঙ্ঘশক্তি সৃষ্টি করে বিশ্বকে কল্যাণের পথে নেতৃত্ব দেয়াই কোয়ান্টামের মূল উদ্দেশ্য।
কোয়ান্টামের কার্যক্রম : কোয়ান্টামের কার্যক্রম মূলত দুটি ধারায় পরিচালিত হচ্ছে, আত্মউন্নয়ন এবং সৃষ্টির সেবামূলক। আত্মউন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে এর সদস্যদের সফল জীবনের সূত্রের পাশাপাশি একজন মানুষ যাতে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি আয়ত্ত করে অনন্য মানুষ হয়ে উঠতে পারে সেজন্যে সারা মাসজুড়ে পরিচালিত হচ্ছে কোয়ান্টামের নানা ধরনের আত্মউন্নয়নমূলক কাজ। এর পাশাপাশি সৃষ্টির সেবার জন্যে ফাউন্ডেশন করছে সৃষ্টির সেবামূলক কার্যক্রম। স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, বান্দরবানের লামায় বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত মানুষররুপে গড়ে তোলার জন্যে কোয়ান্টাম শিশুকানন, রাজশাহীতে অভিভাবকহীন শিশুদের আলোকিত মানুষরুপে গড়ে তোলার জন্যে কোয়ান্টাম শিশুসদন, খতনা কার্যক্রম, বিশুদ্ধ খাবার পানি কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা, এবং দুস্থদের ঋণমুক্তি ও পুনর্বাসন কার্যক্রম।
নামকরণ কোয়ান্টাম কেন : কোয়ান্টাম ফিজিক্স, নিউরো সাইন্স এবং জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ শতকে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের বিশ্বদৃষ্টিকেই পাল্টে দেয়। যে বিজ্ঞান ছিলো দীর্ঘদিন বস্তুকেন্দ্রিক, নিউটনিয়ান মেকানিক্সের নিগড়ে বন্দি, কোয়ান্টাম মেকানিক্স আসার পর সে বিজ্ঞান এখন হয়ে উঠেছে চেতনানির্ভর। যেহেতু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞান থেকে নির্বাসিত মনকে বিজ্ঞানে পুনর্বাসিত করেছে, তাই চেতনার শক্তিকে, মনের অসীম ক্ষমতাকে মানবতার কল্যাণে ব্যবহারের সহজ ও পরীক্ষিত এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটির নাম আমরা রেখেছি কোয়ান্টাম মেথড। কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে পরমাণুর ভেতরে নিউক্লিয়াসকে ঘিরে একটি ইলেকট্রন যখন তার কক্ষপথে ঘোরে তখন ঘুরতে ঘুরতে কেন্দ্রের দিকে এগুতে থাকে। এরই একপর্যায়ে সে একটা উচ্চতর কক্ষপথে লাফ দেয়। খুব দ্রুত ঘটা এ পরিবর্তনটিকে বলা হয় কোয়ান্টাম লিপ বা কোয়ান্টাম উলম্ফন। তেমনি একজন মানুষ যখন ধ্যান করে, আত্মনিমগ্নতার গভীরে হারিয়ে যায়, তখন তার মধ্যেও একটা উপলব্ধির স্ফূরণ ঘটে যা তাকে আগের চেয়ে উন্নততর স্তরে নিয়ে যায়। ধ্যানের স্তরে যখন একজন মানুষ যায় তখন কোয়ান্টাম লিপের মতো তার চেতনার জগতেও একটা উলম্ফন হয়। কোয়ান্টাম মেথড নামকরণের এটাও একটা কারণ। আর কোয়ান্টাম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো পরিমিতি। কারণ সুস্থ, সুন্দর ও সার্থক জীবনের জন্যে প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ জীবনদৃষ্টি এবং সবকিছুর মধ্যে একটা পরিমিতি। কোয়ান্টাম হচ্ছে সাইন্স অফ লিভিং বা সাইন্স অব ওয়েল বিয়িং। জীবন যাপনের বিজ্ঞান বা ভালো থাকার বিজ্ঞান যা বলে দেয় জীবনটাকে কীভাবে সুন্দর করা যায়, ভুল থেকে কীভাবে দূরে থাকা যায়, আর ভালো বা কল্যাণ কত বেশি করা যায়। তাই আমরা কোয়ান্টামকে বলি জীবন যাপনের বিজ্ঞান, জীবন আচরণের বিজ্ঞান। কোয়ান্টাম চর্চা করে আমরা ভালো থাকছি, আমরা আলোকিত হচ্ছি এবং আলোকিত করছি সাধারণ মানুষকে। বদলে দিচ্ছি নিজেদের এবং পরিচিতজনদের জীবনকে।
কোয়ান্টামের অর্থের উৎস : কোয়ান্টামের প্রতিটি সৃষ্টির সেবামূলক কার্যক্রমের অর্থায়ন হয় ফাউন্ডেশনের সদস্যদের অর্থায়নে। শুধু অর্থায়নই নয়, পরিকল্পনা এবং উদ্যোগও ফাউন্ডেশনের নিজস্ব।কারণ আমরা বিশ্বাস করি, স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় যেকোনো কাজ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আমাদের অর্থায়নের একটি জনপ্রিয় উৎস হলো মাটির ব্যাংক। এছাড়াও রয়েছে সদস্যদের অনুদান ও বিশেষ দান। কোয়ান্টাম মেথডে যেসব ফল পাওয়া যায়- ১. সচেতনভাবে দেহ এবং স্নায়ুর শিথিলায়ন : ঘুমের সময় একজন মানুষের দেহ ও স্নায়ু শিথিল হলে তার চেতনাও তখন হয়ে পড়ে অচেতন। কিন্তু মেডিটেশনে আমাদের দেহ ও স্নায়ু যেমন শিথিল হয়, তেমনি চেতনাও থাকে সজাগ। ফলে সচেতন মন তখন অবচেতন মনকে যথাযথ নির্দেশ প্রদান করতে ও সৃজনশীলভাবে কাজে লাগাতে পারে। ২. মনকে বর্তমানে নিয়ে আসা আমাদের মন হয় অতীত নিয়ে অনুশোচনা করে, না হয় ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, বর্তমানে থাকতে চায় না। মেডিটেশন মনকে বর্তমানে নিয়ে আসে। ফলে দুশ্চিন্তা বা আশঙ্কায় সময় নষ্ট না করে মনের শক্তি নিয়োজিত হয় দেহের স্বাস্থ্য উদ্ধারে, সৃজনশীলতার বিকাশে, চেতনার অভ্রভেদী বিস্তারে। ৩. মনোযোগায়ন মনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো মনোযোগ। আর মনোযোগায়ন হলো একটি বিষয়ের উপর মনকে নিবদ্ধ করা। ক্রমাগত মেডিটেশনের মধ্য দিয়েই একজন মানুষ অর্জন করে মনকে সূচাগ্র করার এই শক্তি অর্জন করতে। ৪. ব্রেনকে বেশি পরিমাণে ব্যবহার মানবদেহের সবচেয়ে জটিল, রহস্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ব্রেন বা মস্তিষ্ক। ব্রেনই মানুষকে প্রথম পাথরের অস্ত্র তৈরি করতে শিখিয়েছে। আর সেই ব্রেনের জেনেটিক উত্তরসূরীরাই বানিয়েছে মহাশূন্য যান। মানুষ অতীতে যা করেছে, ভবিষ্যতে যা করবে তা এই ব্রেনেরই ফসল। ব্রেনই মানুষকে মানুষ বানিয়েছে। এই ব্রেনকে বেশ পরিমাণে কাজে লাগাবার জন্যে যে সুসংহত মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন তা গঠনেই সাহায্য করে মেডিটেশন। ৫. আত্ম-নিমগ্নতা মেডিটেশন মানে একজন মানুষের নিজের গভীরে নিমগ্ন হওয়া এবং অন্তরতম আমি-র সাথে সংযুক্ত হওয়া। তখনই একজন মানুষের অনুভবের দরজা খুলে যায় এবং সে নতুন সত্যকে অনুভব করতে পারে।
কোয়ান্টাম সম্পর্কে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ : বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কোয়ান্টাম সম্পর্কে বলেন, একটি যুগের ভেতর যে দুঃখ আর বেদনাগুলো থাকে সে যুগের প্রতিটি সচেতন ও বেদনাবান মানুষকে সেসব বেদনা আর দুঃখের সাধ্যমতো জবাব দিতে হয়। মানবিক মুক্তির জন্যে এই সংগ্রাম আর আত্মোৎসর্গের পথ ধরেই মানুষ তার নিজের অসহায়তাগুলো অতিক্রম করে, রচিত হয় মানবসভ্যতার উচ্চতর সোপান। মহাজাতক শহীদ আল বোখারী একসময় তার চারপাশের মানুষের ভেতর আধ্যাত্মিক নিঃস্বতার এই কালো অন্ধকার লক্ষ্য করেছিলেন । দেখেছিলেন আত্মশক্তি বা আত্মোৎবোধনের অভাবে, মনের একাগ্রতা ও শৃঙ্খলার অনটনে বহু মানুষ এক ধরনের শারীরিক ও মানসিক নৈরাজ্য ও নিষ্কিয়তায় ভুগে দুর্লভ মানবজন্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তো হারিয়ে ফেলছেই, সেই সঙ্গে নিজেদের ন্যুনতম সুস্থতা রক্ষা করতেও অপারগ হচ্ছে। কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশনের মাধ্যমে তিনি তাদের দিকে শুশ্রুশার হাত বাড়িয়ে দিয়েছন। তার চেষ্টার ফলশ্রুতিতে বহু মানুষ নানা মানসিক ও নিষ্ক্রিয়তা থেকে সেরে উঠে আলোকিত জীবনের পথ খুঁজে পেয়েছ। যে আত্মাহীন নৈরাজ্যপূর্ণ যুগের আক্রমণে আজ আমাদের প্রতিটি মানুষের স্নায়ু ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে, মানুষ প্রতি মুহূর্তে সুস্থতা হারাচ্ছে সে মুহূর্তে মহাজাতকের এই সেবার উদ্যোগ সেই মানবিক ধসের বিরুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট প্রতিরোধ । আজ তিনি কোয়ান্টামকে পারিবারিক রুপ দিয়েছন। তার পরিবারের সভ্যরা সবাই সবার দোসর হিসেবে বন্ধু হিসেবে যে অভিন্ন একাত্মতায় জেগে উঠেছেন, তা-ও মনকে মুগ্ধ করে। তাদের মাধ্যমে তিনি যেসব সামাজিক কার্যক্রম সফল করে চলেছেন যেমনÑ রক্তদান কর্মসূচি, স্বেচ্ছা দাফন কার্যক্রম, মাতৃমঙ্গল কার্যক্রম, যাকাত ফান্ড, মেডিকেল ক্যাম্প থেকে শুরু করে অনান্য কার্যক্রম- সেসবের সাফল্যও অনন্য। কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের ৩০০ তম পর্বের পূতি উপলক্ষে এই প্রতিষ্ঠানের বিরল সাফল্যকে আমি অভিনন্দন জানাই। আজকের বাংলাদেশের আতœস্বার্থসর্বস্ব পরিবেশে এমন অভাবিত সাফল্য বিরল।
পরিশেষে : এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রতিমাসেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স। কোর্স করে প্রশান্তি সুস্বাস্থ্য সাফল্যের পথে ফাউন্ডেশনের আজীবনের একজন সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য দান করা যায়, কোয়ান্টাম মাটির ব্যাংকসহ ফাউন্ডেশনের শিশুকানন, শিশুসদন, টিউবওয়েল, খতনা, দাফনসহ অন্য যেকোনো খাতে। রক্ত দিতে পারেন যে কেউ। ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমে রক্ত দান করা যায়।
মানবিক বিশ্বায়নের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবেই প্রফেসর আনু মোহম্মদ
অন্তর্গতভাবে মানুষ একক, অখন্ড একটি জাতি। অর্থ্যাৎ মানবজাতি। কিন্ত সৃষ্টির নিয়মেই তার মধ্যে কিছু বৈচিত্র আছে, পার্থক্য আছে। যেমন, গায়ের রঙ, জাতীয়তা, ধর্ম, ভাষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যা খুব স্বাভাবিক। কিন্ত এ পার্থক্যগুলোর ভিত্তিতে যদি তার সাথে বৈষম্য করা হয়, নিপীড়ন, নির্যাতন করা হয় বা তাকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে সেটা খুবই অযৌক্তিক একটি ব্যাপার। কারণ এ বৈশিষ্ট্যগুলো তার ইচ্ছানিরাপেক্ষ। যেমন, একজন মানুষ কেন দেশে, কোন বর্ণে, কোন ধর্মে বা কোন ভাষা নিয়ে জন্মাবে এটা সে নিজে নির্ধারণ করে না। এটা নির্ধারিত হয়। বৈষম্যের এই যে নানা রূপ, নানা মাত্রা- এর বিপরীতে একটি অখন্ড মানবসমাজের ঐক্যের জন্যেই বিশ্বায়নের ধারণার উদ্ভব। বলাবাহুল্য, তাতে মানবসমাজের স্বাভাবিক বৈচিত্রপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো থাকবে। কিন্তু তারপরও তারা হবে অখন্ড একটি মানবসমাজ। সেটা বিশ্বায়নের প্রচলিত ধারণা নয়; বরং সেটা হলো এক মানবিক বিশ্বায়ন, যেখানে একটি দেশ বাকি পৃথিবীর সঙ্গে তার শক্তি এবং দুর্বলতাগুলোর বিনিমযের মাধ্যমে সুস্থ ভারসাম্য পৌছাতে পারে । আরও আশার কথা হলো, যে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও সম্পদের অবস্থা- তা দিয়েই অর্জিত হতে পারে এই কাক্সিক্ষত বিশ্বায়ন। আমাদের সম্পদের অভাব আছে- এ বাংলাদেশ বা পৃথিবী- দুই ক্ষেত্রেই খুবই ভুল একটি কথা। বলা হয় পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের অর্ধেকেরও বেশি দরিদ্র । বাংলাদেশের ৭ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। এ দারিদ্র সম্পদের অভাবের জন্যে নয়, এ দারিদ্র সম্পদের অসম ব্যবহার এবং অসম বন্টনের জন্যে হয়েছ। যেমন, জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি একটি হিসেব করে দেখিয়েছিলো যে, পৃথিবীর জমি, পানি এবং প্রযুক্তি এই তিনের সমন্বয় ঘটিয়েযে খাদ্য উৎপাদন করা যাবে তাতে ৬,০০০ কোটি মানষের খাবারের সংস্থান হবে যেখানে পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো মাত্র ৬০০ কোটি। গত ৩৪ বছরে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ ভাগ এবং এ সময়ে খাদ্যোৎপাদন বেড়েছে ১৭০ ভাগ। এখন বাংলাদেশে মাথাপিছু খাদ্যের উৎপাদনও বেশি। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের ৬০ ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার । এখন সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হয় যে খাতে তা খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা বা শিক্ষা নয়, তা হলো সমরাস্ত্র এবং যুদ্ধ সরগ্রাম। প্রতিবছর ৯০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এ খাতে । আর এর ৬০ ভাগ অর্থাৎ ৬০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে একা আমেরিকাই। তারপরও আমেরিকা প্রতিনিয়তই হুমকি মনে করে এমন সব দেশকে যারা এর ১ ভাগও খরচ করে না। বাংলাদেশের মতো এত সমৃদ্ধ অঞ্চল খুব কমই আছে। মাটি যদি উর্বর হয়, তাহলে তা সোনার খনির চেয়েও দামী হতে পারে। কারণ সোনার খনি তুলে ফেললেই শেষ। কিন্তু যে মাটি উর্বর তা-তো অনন্তকাল ধরে উৎপাদন দিতে থাকে। বাংলাদেশের আছে সেই মাটি। বাংলাদেশের মতো এত সমৃদ্ধ পানিসম্পদ খুব কম দেশেই আছে। এমনকি এর বিপুল জনসংখ্যাও এর জন্যে সম্পদ হতে পারে যদি এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হয়। কারণ মানুষ শুধু মুখ নিয়েই জন্মায় নি, এর সাথে আরো আছে তার হাত, পা এবং অমিত সম্ভাবনাময় ব্রেন। একটা কম্পিউটার নষ্ট হয়েগেলে আমরা কত আফসোস করি কিন্তু এই কম্পিউটারের চেয়েও হাজার গুণ শক্তিশালী যে মস্তিষ্কগুলো ফুটপাতে বস্তিতে হেলায় নষ্ট হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই । এগুলো তো মাটির ওপরের সম্পদ। মাটির নিচের সম্পদের মধ্যে রয়েছ গ্যাস, কয়লা । কিন্ত একটি দেশের শাসকগোষ্ঠী যদি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে কতিপয় কোম্পানি বা বিদেশি গোষ্ঠীর ক্রীড়নকের ভূমিকা গ্রহণ করে তাহলে এতসব সম্পদ বরং সে দেশের জন্যে বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়। বিশেষত সে চক্রান্ত যদি অনবায়নযোগ্য সম্পদ নিয়ে হয়। বাংলাদেশের অবস্থাও অনেকটা তা-ই । আগে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে শুনছিলাম, পৃথিবীতে যে দুটি তেলভান্ডারকে কিছুই করা হয় নি তার একটি হলো আলাস্কা এবং আরেকটি হলো বঙ্গোপসাগর এই তেল বা গ্যাসকে যদি আমরা আমাদের কাজে ব্যবহার করি তাহলে কত কিছুই না করতে পারবো । এখন বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানষের কাছে বিদ্যুৎ নেই। গ্যাস দিয়ে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো । কমে যাবে আমাদের উৎপাদন সম্পদ উত্তোলন বা ব্যবহার করার সামর্থ্য আমাদের নেই। এর জন্যে বিদেশি বিনিয়োগ লাগবে, বিদেশি কনসালটেন্ট লাগবে । তারা এসে মাইলের পর মাইল কৃষিজমি নষ্ট করবে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তচ্যুত করবে, পানি শুকিয়ে মরুভূমি বানাবে। তারপর গ্যাস বা কয়লা সব তুলে নিয়ে গিয়ে আমাদের কাছেই আবার বিক্রি করবে দ্বিগুণ, তিনগুণ বেশি দামে। “দাতা সংস্থা" বা “বিদেশি সাহায্য শব্দগুলো আমাদের খুব পরিচিত। আমরা কেউ কেউ মনে করি এটা বোধ হয় হাতেম তাঈ, হাজী মুহস্মদ মুহসীন বা আর পি সাহার দান। আসলে তা নয়। “দাতা সংস্থা" বলতে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে বোঝায়, আর `সাহায্য` বলতে বোঝায় এ সংস্থাগুলোর নিজস্ব কৌশল বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশকে খণ দেয়া। আর এরকম বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের নেমে এসেছে আর্সেনিক নামের এক ভয়াবহ বিপর্যযের খন্ড । গভীর নলকৃপ দিয়েনির্বিচার পানি উত্তোলনের ফলে মাটির নিচে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়েগেছে। আবার এখন এই আর্সেনিক সমস্যা নিয়ে চলছে তাদের হাজার কোটি টাকার নতুন নতুন প্রকল্পে ঝাপিয়ে পড়ার প্রতিযোগিতা । বলা বাহুল্য, এসব প্রকল্পের কাজ আর্সেনিক সমস্যার কারণ উদঘাটন নয়, সমাধানও নয়। কাজ হলো নানারকম জরিপ করা আর কনসালটেন্টের লাখ লাখ টাকার বেতন গোনা । এ প্রেক্ষাপটে মানবিক বিশ্বায়নের পথ যতই দুর্গম হোক, আমি বিশ্বাস করি সেটা অসম্ভব নয়। কারণ এ অবস্থা বদলানো যাবে না বা বাংলাদেশ পারবে না- এ ধরনের মানসিক হতাশা হীনম্মন্যতা থেকে আন্তে আস্তে আমরা বেরিয়ে আসছি। মানুষের ভেতরের অমিত সম্ভাবনা এবং তার সঙ্গে সম্পদের যোগ করে যে বিপুল ক্ষমতার স্ফুরণ সম্ভব সেটা ভাবলেই বিশ্বাস হয় যে, এ পরিবর্তন অবশ্যই আমরা করতে পারবো। সকল প্রকার জাতিগত হীনম্মন্যতা ঝেড়ে ফেলে এ আত্মবিশ্বাস এবং এ স্বপ্ন দেখার প্রক্রিয়া কোয়ান্টাম ইতোমধ্যেই শুরু করেছে- এটা খুবই ইতিবাচক একটি দিক। [কোয়ান্টাম মুক্ত আলোচনায় প্রদত্ত ভাষণের অনুলিখন]
|
|
|
|
ছবিটি গত ২৫ মে কলাবাগান বাস স্টান্ড থেকে তোলা
মোঃ রিয়াজ উদ্দিন : আদর, স্নেহ, ভালোবাসা জড়িয়ে থাকা কথাটির নাম শিশু। সেই শিশুরা আবার অনেক সময় টোকাই বা পিচ্চি নামে পরিচিত হয়। ওরা আর সব সাধারণ শিশুর মতো নয়। এ বয়সে ওদের কেউ মায়ের কোলে, কেউ স্কুলে থাকতে পারত। থাকতে পারত পরিবারের অটুট বন্ধনে। কিন্তু নিয়তির ফেরে এসব কিছুই পাওয়া হয় না ওদের। ওরা রাস্তায় ঘুমায়। পথে পথে ঘোরে। ক্ষুধার দায়ে রাস্তায়ই বেছে নেয় জীবিকার পথ। ওরা টোকাই, ওরা ছিন্নমূল পথশিশুমানুষগুলোর জন্য সচ্ছল প্রত্যেক মানুষ সাহায্যের হাত প্রসারিত করে মানবতার সেবা করবে বলে আশা করি।
|
|
|
|
৯ বছরে আসমা আজমেরীর শততম দেশ ভ্রমন ঃ দাঁড়াতে চান অসহায় মানুষের পাঁশে
সৈয়দ সফি : খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী। ছোট বেলা থেকেই তার প্রবল ইচ্ছা ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করার। অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও সব ইচ্ছা সব সময় পূরণ হয় না। তবে, ইচ্ছার সঙ্গে যদি দৃঢ়তা আর মনোবল থাকে তা’হলে সে ইচ্ছা যে বিফলে যায়না সেটি প্রমাণ করেছে আজমেরী। মাত্র ৯ বছরে শততম দেশ ভ্রমন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তরুণী আসমা। এখন নতুন করে তার ইচ্ছা গোটা বিশ্বকে দেখা।
কাজী আসমা আজমেরী ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড ভ্রমণের মধ্য দিয়ে দেশ ভ্রমণ করতে শুরু করেন। এর পর ২০০৯ সালেই ভ্রমণ করেন আরও ৬টি দেশ- ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং। ২০১০ সালে তাকে ভ্রমণের নেশা পেয়ে বসে। সে বছর ঘুরে বেড়ান কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, চীন, ম্যাকাও, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, তুরস্ক, মিশর, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত। সব মিলিয়ে ১৪টি দেশ। ২০১১ সালে ঘুরে দেখেন আরও ১৫টি দেশ- স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ। ২০১২ সালে ৫টি দেশ- অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, কুক দ্বীপ ও টঙ্গা। ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্টসহ ৭টি দেশ। বাকিগুলো হচ্ছে- নিউ ক্যালেডোনিয়া, তাহিতি, সলোমন দ্বীপ, নিউ কিরিবাটি, তাইওয়ান, ভানুয়াতু। ২০১৪ সালে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, এল সালভাডর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর মিলিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ১৩টি দেশে যান। ২০১৫ সালে পোর্টোরিকো, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বেলিজ, জ্যামাইকা, বাহামা, আরুবা মিলিয়ে আরও ৭ দেশ ভ্রমণ করেন।২০১৬ সালে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৯টি দেশ ভ্রমণ করেন। এবছর যান- ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, কোসোভো, আবলানিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মোল্দাভিয়া, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, নরওয়ে, কুয়েত। ২০১৭ সালে কিউবা, সামোয়া ও কাতার এই তিন দেশ ভ্রমণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন। আর ২০১৮ সালে এসে ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, বেলারুশ, আজারবাইজান, চেচনিয়া, উজবেকিস্তান হয়ে তুর্কমেনিস্তান-এর মধ্যদিয়ে ১০০টি দেশ ভ্রমণ শেষ করেন।
আসমা জন্মগ্রহণ করেন খুলনার বিখ্যাত কাজী পরিবারে। বড় হয়েছেন খুলনা শহরে। তার বাবার নাম কাজী গোলাম কিবরিয়া। মায়ের নাম কাজী সাহিদা আহমেদ। বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী। আসমা ইকবালনগর গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তারপর খুলনা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর তিনি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে (বিবিএ) মার্কেটিং-এ স্নাতক করেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একই বিষয়ে এমবিএ করেন। কাজী আসমা আজমেরী কয়েক বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের রেড ক্রসে কাজ করেছেন। তিনি একজন রোটারিয়ানও। বর্তমানে সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে জড়িত রেখেছেন।
দেশ ভ্রমণ কিভাবে শুরু হলো জানতে চাই কাজী আসমা আজমেরী বলেন, ছোটবেলায় মায়ের সাথে স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। একদিন স্কুল ছুটির পর তার মা নিতে এলেন না। অবশেষে আমি একাই সাহস করে বাসার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটছি আর তাকিয়ে দেখছি আকাশটাকে। আকাশ দেখে মনে হলো, আকাশের শেষ সীমানা দেখব। কিন্তু আকাশের শেষ সীমানা আর দেখা পায় না। সে দিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাঁটেছিলাম। পরে খুলনা কাজী বাড়ি ছোট্ট মেয়েকে দেখে এলাকাবাসী আমাকে ধরে নিয়ে বাসায় পৌঁচ্ছে দেন। তারপর থেকে দেশ ভ্রমণ করার ইচ্ছাটা লালন করি। আকাশের সীমান খুঁজে চলেছি। যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন আমার এক বন্ধুর মা আমাকে বলেছিলেন, তুমি একজন দুর্বল ও যোগত্যহীন মেয়ে। আমার ছেলে ২০ দেশ ঘুরেছে। আর তুমি মাত্র দুটো দেশ ঘুরেছ। এইতেই তোমার অংহকার। বন্ধু মায়ের কথাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে ছিলাম। আমিও দেশ ভ্রমণ করে দেখিয়ে দেব। কমপক্ষে হলেও ৫০টি দেশ ঘুরব। ৫০টি দেশ ভ্রমণ করে থেমে থাকেনি। আমি ঘুরছি। আমি শততম দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছি। ইচ্ছা আছে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করব। কাজী আসমা আজমেরী বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের কত না ঘটনা কত না স্মৃতি তার ঝুলিতে। কখন আনন্দের কখন বেদনার। কিছু কিছু দেশে গিয়ে তার অনেক ভোগান্তি হয়েছে, বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকে ঘুরে ঘুরে দেখার ঐকান্তিক সাধনায় তিনি পিছিয়ে পড়েননি। ২০০৯ সালে ভিয়েতনাম ভ্রমণে গিয়ে ফিরতি টিকিট না থাকায় তাকে ২৩ ঘণ্টা জেলে আটকিয়ে রাখা হয়। তারপর ২০১৪ সালে ব্রাজিল ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে মানিব্যাগসহ ব্যাংকের কার্ড অনেকে কিছু চুরি হয়ে গিয়েছিল। তখন বেশ কয়েকদিন টাকার অভাবে খাওয়ার কষ্ট হয়েছিল তার। আসমা ছোটবেলা থেকেই খেতে খুব পছন্দ করেন। দেশে ভ্রমণে তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিয়ত প্রায় নতুন নতুন খাবার খান। অদ্ভুত রকমে খাবারগুলো বেশি খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে তিনি জানান, জর্জিয়ার কিংকালি তার প্রিয় খাবারের একটি। এ ছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাবারের মধ্যে একটি চায়নার অ্যাবালন ফুড। ভারতের জয়পুরের ফালাক। অস্ট্রেলিয়ার পর্ন কোকটেন। কাজী আসমা আজমেরী বাবা বলেছিলেন, যে দেশে যাবে, সে দেশে গিয়ে আগে জাতীয় জাদুঘর দেখবে। আসমা তাই করেন।
যে দেশে যান, সে দেশে প্রথমেই জাদুঘর দেখেন। জাদুঘর দেখলে তিনি সে দেশের সংস্কৃতি সম্পর্ক ধারণা পেয়ে যান। পৃথিবীর অনেক জাদুঘর দেখেছেন কিন্তু ভালো লেগেছে শিকাগোর ফিল্ডং জাদুঘর। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জাদুঘর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হারমিটেজ। সেখানে গিয়ে তিন বন্ধু একসাথে ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে গিয়েছিলেন। তার সাথে ছিল অস্ট্রেলিয়ার বন্ধু মার্ক ও সুইডেন্টের বন্ধু টয়। কাজী আসমা মিশরীয় পিরামিড থেকে শুরু করে মরক্কোর ইবনে বতুতার বাড়ি, বার্লির সেভেন উন্টার গ্রেট ওয়ান। ফ্রান্সের প্যারিস শহরে আইফেল টাওয়ার। স্ট্যাট অব লিবার্টিসহ বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য দেখেছেন। আসমা মানবাধিকার খবরকে বলেন, অসম্ভবকে সম্ভব করে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ মা-বাবার প্রতি। এছাড়া যাদের সহযোগিতা আমার শততম দেশ ভ্রমণে সফলতা এসেছে তাদের সবার প্রতি আমি ঋনি। আমার এ অর্জন শুধু আমার নয়, আমি মনে করি এটা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অর্জন। আমি পেরেছি বাংলাদেশের পতাকাকে বিশ্বের ১০০ দেশে পৌঁছে দিতে। প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের ছাপ রেখে এসেছি। আমার এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, আমি চাই বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে। তিনি বলেন, বিগত দিনে আমাকে যারা সহযোগীতা করেছেন আগামীতেও তাদেরকে পাশে পাবো এই বিশ্বাস আমার আছে।
তিনি বলেন, আমি আমার অলঙ্কার বিক্রি করে ভ্রমণের যাত্রা শুরু করি। কারণ অলঙ্কার পরায় আমার কোনো লাভ হবে না। বাঙালি মেয়েরা শাড়ি কেনে, আমি কিনেছি টিকেট। আমি চাই আমার ভ্রমণ হোক দুঃসাহসিক। আর আমার ভ্রমণ থেকে আমি শিখতে পেরেছি যে আমি যথেষ্ট শক্তিশালী। মেয়েরা দুর্বল নামে যে ধারণা প্রচলিত তা ভুল। কাজী আসমা আজমেরী জানালেন, মানুষের মঙ্গলের জন্য সেবামূলক কাজ করার প্রবল আগ্রহ তার। সে কারণে মানবিক দিক বিবেচনা করে দেশের অসহায় মানুষের জন্য তিনি একটি চক্ষু হাসপাতাল, একটি ডেন্টাল হাসপাতাল ও একটি ট্রেনিং সেন্টর এবং একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। পাশাপাশি দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আজীবন তাদের পাশে থাকতে চান খুলনা মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী।
মানবাধিকার খবর
|
|
|
|
|
|
|