শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   * চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;   * ঢাকা,চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান ;   * গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নিকাণ্ড   * কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ   * মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর   * ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ   * ৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;   * কুড়িগ্রামে অযৌক্তিক রেলভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন   * কুড়িগ্রামে তীব্র গরমে অচেতন হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু  

   বিশেষ প্রতিবেদন
সাবেক বন সংরক্ষক মোশাররফ হোসেনের ব্যাংক হিসাব ও গুরুত্বপূর্ণ নতিপত্র জব্দের নির্দেশ আদালতের
  Date : 21-03-2021

মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এর ব্যবসায়িক পার্টনার মেঘনা বিলডার্সের এমডি মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে ঢাকার  সি এম এম আদালতে একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন।  মামলাটি ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম তদন্ত করছেন। তদন্তকালে আসামি মোশাররফ হোসেন বাদীর সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণাদি অস্বীকার করায় তদন্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এর স্বাক্ষর সংগ্রহ  করে সিআইডিতে প্রেরনের জন্য  আদালতে আবেদন  করেন। আদালত  তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানীর শেষে গত ১৪-০২ ২০২১ ইং তারিখ ঢাকা মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন। সে মোতাবেক গত ৪-০৩-২০২১ তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডির ২৭ নম্বর শাখায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জব্দ করেন।

এছাড়া, দুর্নীতিবাজ মোশাররফ হোসেনের নিয়োজিত আইনজীবী আবু সাঈদ মোল্লা গত ২৮-০২-২০২১ ইং তারিখে তাঁর ফি বাবদ পাওনা টাকা আদায়ের জন্য একটি নোটিশ প্রদান করেছেন। নোটিশে আইনজীবী উল্লেখ করেন যে, আপনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক বন সংরক্ষক। আপনার পক্ষে আমি ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে, জজ কোর্ট মোশাররফ হোসেন বনাম ফারহানা ইসলাম পরিবেশ আদালতে মামলা (নং-৮০/১৮) সহ ও মহামান্য হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করি। আপনার পক্ষে আপনার ব্যবসায়িক অংশীদার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন শুরু থেকেই যোগাযোগ রক্ষা করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জনাব রিয়াজ উদ্দিন প্রায় দুই বছরের অধিক কাল যাবত আমার সাথে যোগাযোগ করছেন না। বিষয়টি আপনাকে ফোনে ও মৌখিকভাবে কয়েকবার জানানো হলেও, আপনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। মামলাগুলো বর্তমানে চলমান আছে এবং আমি নিয়মিত পদক্ষেপও গ্রহন করছি। আপনার নিকট ২০১৯ সাল থেকে ফেব্রæয়ারি ২০২১ পর্যন্ত কমবেশী ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা পাওনা আছি। যা পরিশোধ করতে আপনি আইনতঃ ও ন্যায়তঃ বাধ্য। আপনার ব্যক্তিগত সম্মান, মর্যাদা ও অবস্থানের কথা বিবেচনা ক’রে ১৫ই মার্চ ২০২১ ইং তারিখের মধ্যে আপনাকে আমার পাওনা পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করছি।

এদিকে, বাদী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আসামি সাবেক বনসংরক্ষক  মোশাররফ হোসেন এর দুর্নীতির খতিয়ান চেয়ে ও তথ্য অধিকার আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর  আবেদন করেছেন। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই তার সকল দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে। তার  প্রায়  ১০০ কোটি টাকার অবৈধ  সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  

অপরদিকে, মানবাধিকার খবর পত্রিকার  সম্পাদক এর ভাড়ার বাসায় পিবিআই পরিচয় লোক পাঠিয়ে বাদীর পরিবারকে ভয়ভীতি প্র্রদর্শন ও বাড়িওয়ালাকে ফোন দিয়ে বাসা ছাড়তে হুমকি দেওয়ায় আসামি মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে বাদী গত ১ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নাম্বার ৪৮। এর আগে ২৪ নভেম্বর ২০২০ একই থানায় আরো একটি জিডি দায়ের করা হয়; যার নাম্বার ১৪২৫। জিডিতে বাদী উল্লেখ করেন যে, মোশাররফ হোসেনের এক ছেলে এএসপি ও তার বড় ভাইয়ের মেয়ের জামাই এসপি। তাদেরকে দিয়ে বাদীকে হামলা, মামলা ও হয়রানী  করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। আসামি মোশাররফ হোসেন বাড়িওয়ালাকে হুমকি দেওয়ায়, বাড়িওয়ালা বাদীকে বাসা ছাড়তে নির্দেশ দিলে, বাদী ডিসেম্বর ২০২০ ইং এ বাসা ছাড়তে বাধ্য হন।

তখন বাদীর বৃদ্ধ মা খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। করোনা মহামারির এই সংকট-মুহূর্তে ব্যবসা-বানিজ্যে ও চাকরিতে মন্দা-ভাব চলছে। আয়ের পথ একপ্রকার বন্ধ বলার পরেও বাড়িওয়ালা কোনো কর্ণপাত না করে এমডির হুমকিতে ও বিভিন্ন অজুহাতে  বাদীকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করেন। বাদী বাসা ছেড়ে দিয়ে খুবই আতংকে আছেন। স্কুল পড়ুয়া ছোটছোট ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ব্যাপারে ‘মানবাধিকার খবর’ সেপ্টেম্বর ২০২০ সংখ্যায় একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে  আবারও তুলে ধরা হলোঃ

মোশাররফ হোসেনের অবৈধ উপায়ে

অর্জিত শত কোটি টাকার সম্পত্তি

গত ২৬ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয় ও সেগুনবাগিচা দুদক কমিশনে সাবেক বনসংরক্ষক ও মেঘনা বিল্ডার্সের এমডি  মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক অংশিদার ও ‘মানবাধিকার’ খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতিবাজ মোশাররফ হোসেন দুর্নীতি করে শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। অপরদিকে, তার বিরুদ্ধে  ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে মো: রিয়াজ উদ্দিনের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অপচেষ্টা মামলা ঢাকা সিএমএম কোর্টে বিচারাধীন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক বনসংরক্ষক ও মেঘনা রিয়েল এস্টেট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বন বিভাগে চাকুরিরত অবস্থায় তৎকালীন বিএনপির আমলে সাবেক বন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, শাহজাহান সিরাজ, প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিচ চৌধুরী সহ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়মিত ঘুষ প্রদান করে নানান রকম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা; যা সৎ ও বৈধ উপায়ে আয় করে কোন অবস্থাতে করা সম্ভব নয়। তার সম্পত্তির অধিকাংশই স্ত্রী পারভীন সুলতানা (মেঘনা) ও অন্যান্যদের নামে করে রেখেছেন। বনবিভাগে দূর্নীতির কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শাখা-২ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ২৮/০৬/২০০৫ইং তারিখে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন। বনবিভাগের অনেকের সম্পদের হিসাব উন্মোচিত হলেও তার অবৈধ সম্পদের হিসাব গোপনই রয়ে গেছে। সে ছিল দুর্নীতিবাজ বনখেকো ওসমান গনির একনিষ্ট প্রতিদ্ব›দ্বী।

দুর্নীতিবাজ ওসমান গনি দুর্নীতির কাহিনী আমাদের সবারই জানা। তৎকালীন ২০০৭ সালে যৌথবাহিনী  তার বাড়ি তল্লাশি করে বালিশের ভিতর ও চালের ড্রাম সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধার সহ তাকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী। কিন্তু ধুরন্ধর মোশাররফ হোসেন এ সময় আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গা ঢাকা দেয়। চলে যায় বিদেশে। এ সময় তিনি জরুরী-ভাবে ০৩ জুন ২০০৭ সালে অন-এরাইভাল ভিসায় প্রথমে মালয়েশিয়া, তারপর সিংগাপুর, কম্ভোডিয়া, লাওস, মরিশাস ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান স্বাভাবিক হলে দীর্ঘ ৪ মাস পর উচ্চ মহলের সাথে যোগাযোগ করে আবারও দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে তার আয়-বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তি বৈধ করার উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে এক আইনজীবির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। তারপর থেকে সে দুর্নীতির মহারাজা হয়েও এক প্রকার ফ্রি স্টাইলে চলতে থাকে। এর আগে ২০০৫ সালে চাকরি হতে অব্যাহতি পাওয়ার পরে ঐ বছরই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে মেঘনা বিল্ডার্স নামে ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরুর মূল উদ্দেশ্য ছিল তার অবৈধ টাকা বৈধ করা। তার দূর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সে মেঘনা বির্ল্ডাসে পার্টনারশীপ দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী সহ বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে। তার অবৈধ টাকা দিয়ে অনেক নারীকে সে ঢাকার ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, দোকান ও দামী গাড়ী ক্রয় করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে সে অনেক সময় অনেক নারীর সাথে ঝামেলা করায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও জিডি করেছে, যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে তৎকালীন ২০০৭ সালে বহুল প্রচারিত ‘প্রথম আলো’ ও ‘আমাদের সময়’ পত্রিকা সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, টাকার বিনিময়ে সে সব জায়গায় ম্যানেজ করে ফেলে।

দুর্নীতিবাজ হওয়ার কারনে ব্যবসায় ঠিকমত মন না দেওয়ায় ব্যবসায়িক পার্টনার ও কোম্পানীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগন কাজ ও চাকরি হারিয়ে পথে বসে গেছে। বর্তমানে তারা অসহায় ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তার অবৈধ সম্পত্তি বৈধ প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হাসিল করে বর্তমানে সে রাজকীয় জীবন যাপন করছে। এদিকে সম্পত্তি বৈধ করণ ও নিরাপত্তা করনের উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী পারভীন সুলতানাকে “মেঘনা’স ফিট্নেস সেন্টার” নামে একটি জিম করে দেয়; যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। এছাড়া, তার এক ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে চাকরি করছে। জানা গেছে, সে বিতর্কিত সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত এবং বর্তমানে সে আমেরিকায় অবস্থান করছে।     মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে, তার ছেলেকে দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে। মোঃ রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করলে মানবতার শত্রু ও সরকারী সম্পদ লুন্ঠনকারী দুর্নীতিবাজ মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী পারভীন সুলতানার দেশ বিদেশে আয় বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাবে সন্দেহ নেই। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান হওয়া একান্তই জরুরী। এ অভিযানে সামিল হওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের দুর্নীতি করতে সাহস না পায়। তাহলেই, বর্তমান সরকারের চলমান দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান সফল ও স্বার্থক হবে এবং দুর্নীতি-মুক্ত পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র পরিচালনাতেও সহায়ক হবে। দুদকের জনসংযোগ ও তথ্য প্রদানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য ‘মানবাধিকার খবর’-কে জানান, অভিযোগটি নিয়মিত কার্যতালিকায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুর্নীতিবাজ সাবেক বন সংরক্ষণ (সিএফ) ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে জেনেটিক প্লাজায় অবস্থিত মেঘনা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বন-খেকো মোশাররফের বিরুদ্ধে গত ০৩ মার্চ ২০২০ প্রতারনা মামলা করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার ও ‘মানবাধিকার খবর’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিন। মামলা নং-১০৩/২০২০ ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৫০৬ দন্ডবিধি। এর আগে গত ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২০ বাদীকে ভয়ভীতি হুমকি দেওয়ায় মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ধানমÐি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয় যার নং-৫৯৭। এছাড়া গত ১২ ফেব্রæয়ারি ২০২০ তার বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার ধানমন্ডি আমলী আদালত-১৪ এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ দিদার হোসাইন বাদীর জবানবন্দী গ্রহন করেন এবং ৫ এপ্রিলের-২০২০ এর মধ্যে ডিবি ডিসি, (ঢাকা দক্ষিন)  তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ডিবির পরিদর্শক রবিউল ইসলাম মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন। করোনা মহামারির কারনে মামলাটির তদন্ত এতদিন আটকে ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নির্ধারিত ১৬ সেপ্টেম্বর-২০২০ তারিখের আগেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারবো বলে আশা করছি।

অপর দিকে, স্বাক্ষর জাল করে ‘মানবাধিকার খবর’ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়েরের ঘটনায়, অভিযোগকারী হিসেবে প্রদর্শিত ব্যক্তিরা পুলিশের নিকট তাদের যথাযথ জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি সাধারন ডাইরী (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে। লিখিত অঙ্গীকার-নামা ও সম্পাদকের বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার অধিন কাঠালিয়া থানার আইনুলবুনিয়া গ্রামের মোঃ জয়নাল হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হাওলাদার ‘মাসিক মানবাধিকার খবর. পত্রিকার অফিসের একজন সাধারণ কর্মচারি ছিল; যার বর্তমান ঠিকানা : বাসা ৪৬ (৫ম তলা) ঝিলপাড় উত্তর মুগদা, থানা : মুগদা, ঢাকা। শৃঙ্খলা-পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাÐের কারণে তাকে একাধিকবার চাকুরিচুত্য করা হয়েছিল। বাধ্যতামূলক চাকরিচ্যুতির ধরুণ প্রতিহিংসা মূলকভাবে ‘মানবাবিধাকার খবর’ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।  এ কারনে মনিরের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার সাধারন  ডাইরী নং ১৫৫৬  তারিখঃ ২২/১১/২০২০ ইং দায়ের করা হয়েছিল। এর আগে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগে

বাগেরহাট জেলার মৃত শেক আকবর আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে ‘মানবাাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট সিআর মামলা নম্বর ১৩০/২০২০; দÐবিধি ধারার নাম্বার ৪০৬/৪২০/৫০৬। বতর্মানে এটা সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন আছে। উল্লেখ্য অভিযুক্ত মেশাররফ হোসেনের বর্তমান আবাসিক ঠিকানা: ঢাকাস্থ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা ১১ নম্বর রোডের ৩৮ নম্বর বাড়ির ৭/এ অ্যাপার্টমেন্টে।

পরবর্তীতে মোশাররফ ও মনির পরস্পর একজোট হয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়।এরই ধারাবাহিকতায় মোশাররফ ও মনির সম্পাদককে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য,অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুনাম নষ্ট করার চক্রান্তে, মানবাধিকার খবর পত্রিকা অফিসের যে কোনো ধরনের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করেছিল। যার অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ আছে। এরপর গত ২৮/১২/২০২০ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকার সময় সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বর্তমান ঠিকানায় মতিঝিল মানবাধিকার খবর অফিসে অবস্থানকালিন সময়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফ্ল্যাট নং ২০৩, ইস্টার্ন মহল, ৭০-৭১ সিদ্ধেশ্বরী ঢাকার বাসিন্দা মো. সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইল : ০১৭১১৬৯৮৪৭৯ নম্বর দিয়ে সম্পাদকের মোবাইল নম্বর ০১৭১১৩৯১৫৩০-এ ফোন করে অভিযোগের বিষয়ে অবহিত করেন। একই বিষয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ঠিকানাঃ ১৫০,নাহার ম্যানশন, মতিঝিল ঢাকার বাসিন্দা মো.সাগির আহম্মেদ ০১৭১৩০৪১৯৪৭ নম্বর থেকেও অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করেন এবং লোক মারফৎ অভিযোগের কপি প্রেরন করেন। সম্পাদক অভিযোগের কপি হাতে পেয়ে দেখতে পান যে, মনির হাওলাদার, জনৈক মিস তানিয়া, মোবাইল নং ০১৮২৮৭৩২৯৫৮, জনৈক মো. সোহেল রানা, মোবাইল নং ০১৭১৫৩৮৩৮২০ এবং গাজী সিরাজুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট ঢাকাকে অভিযোগকারী দেখিয়ে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে  মো. মনির হাওলাদারকে মুঠোফোনে অফিসে ডাকলে জিজ্ঞাসাবাদে মনিরের বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হলে, মতিঝিল থানার এস আই মো. জলিলকে ডাকা হয়। এস আই জলিলের জিজ্ঞাসাবাদে মনির জানায়, এ রকম কোনো অভিযোগ মনির দায়ের করে নাই এবং অভিযোগে দেওয়া স্বাক্ষরও তাঁর নয়। মনির উপস্থিত ব্যক্তিদের মোকাবেলায় এই মর্মে একটি লিখিত অঙ্গিকারনামাও প্রদান করে। বর্তমানে  মোশাররফ সম্পাদকের দায়েরকৃত মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাঁচতে মনির হাওলাদারকে হাতিয়ার বানিয়ে ৪ জন ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে কিংবা পরস্পর এক জোট হয়ে সম্পাদক এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের অর্জিত সুনাম নষ্ট এবং সম্মানহানী করার জন্য, যে কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী ও অপূরণীয় ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অবাধে চলাফেরার সময়ে দুর্বৃত্তরা এবং তাদের দলিয় দুষ্কৃতিকারীচক্রের দ্বারা যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের ক্ষতি ও শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনার কথা জানান রিয়াজ উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে মোশাররফ হোসেন এর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও মনির হালাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকরম কোনো অভিযোগ আমি সম্পাদক স্যারের বিরুদ্ধে দায়ের করি নাই এবং অভিযোগে স্বাক্ষরও আমার নয়।মনির উপস্থিত ব্যক্তিদের মোকাবেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অঙ্গিকারনামা প্রদান করার কথাও ব্যক্ত করেন।

মতিঝিল থানার এস আই জলিল মিয়া বলেন, মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক কর্মচারী মনিরের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেছিলেন এবং মনিরের বিরুদ্ধে থানায় হওয়া জিডি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে সম্পাদকীয় কার্যালয়ে যাই এবং মনিরের কাছে সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনির অস্বীকার করে এবং লিখিত অঙ্গীকার নামা প্রদান করে।

এ ব্যাপারে গত ২৯-১২-২০২০ইং মতিঝিল থানায় একটি জিডি করা হয়;  যাহার নং-২২৯৭।

 

 



  
  সর্বশেষ
বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;
ঢাকা,চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান ;
গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নিকাণ্ড

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308