ওজন বাড়ানোর ৭ উপায় ৭ দিনে
ওজন কমানো নিয়ে যেমন অনেকে মুশকিলে পড়েন, তেমনই ওজন বাড়ানো নিয়েও ভুগে থাকেন অনেকেই। যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, ওজন বাড়ে না।
আমাদের শরীরের ওজন সঠিক কি না তা পরীক্ষা করার উপায় হলো বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) বা উচ্চতা ও ওজনের অনুপাত। বিএমআই চার্ট অনুযায়ী ওজন কম হলে তা বাড়ানো জরুরি। নয়তো ওজনহীনতা আপনার নানারকম ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
এমনকিছু উপায় আছে যা মেনে চললে মাত্র সাত দিনেই আপনি স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। তবে সেজন্য অনিয়ম করলে চলবে না। ওজন বাড়াতে হবে নিয়ম মেনেই। জেনে নিন মাত্র সাত দিনে ওজন বাড়ানোর সাত উপায়
শুকনো ফল: ওজন বাড়াতে খেতে পারেন শুকনো ফল। এক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো বাদাম, খেজুর ও কিসমিস। দিনের শুরুটা হোক বাদাম. কিসমিস ও খেজুর দিয়ে। কারণ এসব খাবার থেকে প্রচুর ক্যালরি মেলে। এই ক্যালরি আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
একটু বেশি করে খান: আপনার ওজন না বাড়ার কারণ কিন্তু কম খাবার খাওয়া। তাই প্রতিদিন যতটুকু খান, তার থেকে খানিকটা বাড়িয়ে খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের চার ভাগের একভাগ বাড়িয়ে খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত খাবেন না যেন। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।
উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার: খাবার যেন উচ্চ ক্যালরি যুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। খেতে পারেন ঘি, মাখন, ডিম, পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, কন্ডেনস্ড মিল্ক, ডিম, কিসমিস, খেজুর, দই, কলা, আঙুরের জুস, আনারস ইত্যাদি। কারণ এসব খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে।
ফল ও শাক-সবজি: ফল ও শাক-সবজি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনই ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। কারণ কিছু ফল আছে যাতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি খান।
ঘুমের আগে মধু ও দুধ: ওজন বাড়াতে প্রতিবেলা পেটপুরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ঘুমের আগে মধু ও দুধ খাবেন। এটি আপনার শরীরে বাড়তি ওজন যোগ করবে। প্রতিরাতে ঘুমের আগে এক গ্লাস দুধের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন।
শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চা যে শুধু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন, এমন নয়। ওজন বাড়াতেও এটি কার্যকর। কিভাবে? আপনি যদি প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন তবে হজমশক্তি ও ক্ষুধাভাব বাড়বে। নির্ধারিত সময়ে ক্ষুধা লাগার কারণে খাবারে রুচিও বাড়বে। আর তখন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে ওজন বাড়বেই।
পর্যাপ্ত ঘুম: ওজন বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে পর্যাপ্ত ঘুম। এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাও জরুরি। কারণ দুশ্চিন্তামুক্ত থাকলে খুব সহজেই আপনার ভালো ঘুম হবে। দৈনিক অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম হলেই আপনার ওজন বাড়বে নিশ্চিত।
|
ওজন কমানো নিয়ে যেমন অনেকে মুশকিলে পড়েন, তেমনই ওজন বাড়ানো নিয়েও ভুগে থাকেন অনেকেই। যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, ওজন বাড়ে না।
আমাদের শরীরের ওজন সঠিক কি না তা পরীক্ষা করার উপায় হলো বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) বা উচ্চতা ও ওজনের অনুপাত। বিএমআই চার্ট অনুযায়ী ওজন কম হলে তা বাড়ানো জরুরি। নয়তো ওজনহীনতা আপনার নানারকম ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
এমনকিছু উপায় আছে যা মেনে চললে মাত্র সাত দিনেই আপনি স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। তবে সেজন্য অনিয়ম করলে চলবে না। ওজন বাড়াতে হবে নিয়ম মেনেই। জেনে নিন মাত্র সাত দিনে ওজন বাড়ানোর সাত উপায়
শুকনো ফল: ওজন বাড়াতে খেতে পারেন শুকনো ফল। এক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো বাদাম, খেজুর ও কিসমিস। দিনের শুরুটা হোক বাদাম. কিসমিস ও খেজুর দিয়ে। কারণ এসব খাবার থেকে প্রচুর ক্যালরি মেলে। এই ক্যালরি আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
একটু বেশি করে খান: আপনার ওজন না বাড়ার কারণ কিন্তু কম খাবার খাওয়া। তাই প্রতিদিন যতটুকু খান, তার থেকে খানিকটা বাড়িয়ে খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের চার ভাগের একভাগ বাড়িয়ে খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত খাবেন না যেন। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।
উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার: খাবার যেন উচ্চ ক্যালরি যুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। খেতে পারেন ঘি, মাখন, ডিম, পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, কন্ডেনস্ড মিল্ক, ডিম, কিসমিস, খেজুর, দই, কলা, আঙুরের জুস, আনারস ইত্যাদি। কারণ এসব খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে।
ফল ও শাক-সবজি: ফল ও শাক-সবজি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনই ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। কারণ কিছু ফল আছে যাতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি খান।
ঘুমের আগে মধু ও দুধ: ওজন বাড়াতে প্রতিবেলা পেটপুরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ঘুমের আগে মধু ও দুধ খাবেন। এটি আপনার শরীরে বাড়তি ওজন যোগ করবে। প্রতিরাতে ঘুমের আগে এক গ্লাস দুধের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন।
শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চা যে শুধু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন, এমন নয়। ওজন বাড়াতেও এটি কার্যকর। কিভাবে? আপনি যদি প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন তবে হজমশক্তি ও ক্ষুধাভাব বাড়বে। নির্ধারিত সময়ে ক্ষুধা লাগার কারণে খাবারে রুচিও বাড়বে। আর তখন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে ওজন বাড়বেই।
পর্যাপ্ত ঘুম: ওজন বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে পর্যাপ্ত ঘুম। এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাও জরুরি। কারণ দুশ্চিন্তামুক্ত থাকলে খুব সহজেই আপনার ভালো ঘুম হবে। দৈনিক অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম হলেই আপনার ওজন বাড়বে নিশ্চিত।
|
|
|
|
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা রোজা রেখে হঠাৎ অজ্ঞান হলে যা করবেন! হঠাৎ করেই খাওয়া-দাওয়া ও জীবনযাপনে বড় ধরণের পরিবর্তন আসায় রোজার সময় দুর্বলতা থেকে শুরু করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে এবার গ্রীষ্মের মধ্যেই রোজা পড়ে যাওয়ায় হিট স্ট্রোকও হয় অনেকের। এরকম সমস্যা হলে রোজা রাখা অবস্থায় হঠাৎ জ্ঞান হারানো বিচিত্র কিছু না। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি, রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক কমে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে অজ্ঞান হওয়ার সমস্যা হয়। অনেক সময় এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ অবস্থায় ঘাবড়ে না গিয়ে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নিলে অনেক সময় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা এড়ানো যায়। জেনে নিন কেন এরকম হয়, এবং এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়। রোজায় অজ্ঞান হওয়ার কারণ : ১. সেহরিতে সুষম খাবার না খাওয়া ২. সেহরিতে কম খাওয়া বা না খাওয়া। ৩. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস অবস্থায় রোজা রাখা ৪. বেশি গরম পরিবেশে দীর্ঘ সময় কাজ করা ৫. রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে দীর্ঘক্ষণ ভিড় আছে এমন জায়গায় থাকা ৬. রোজায় দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রমের ব্যায়াম করলে ৭. পানিশূন্যতা ৯. রক্তচাপ কমে যাওয়া অজ্ঞান হলে যা করবেন : ১. অজ্ঞান ব্যক্তিকে লম্বা করে সমতল স্থানে শুইয়ে দিন। ২. মাথা পেছনের দিকে সামান্য হেলিয়ে দিন, যেন মুখ খোলা থাকে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহজ হয়। ৩. বেশি গরম থাকলে বাতাসের ব্যবস্থা করুন। চোখে-মুখে পানির ঝাঁপটা দিন। পাশাপাশি রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনুন। ৪. শ্বাসনালী বন্ধ কি না দেখুন। শ্বাস বন্ধ থাকলে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে। ৫. পড়ে গিয়ে কোথাও কেটে রক্তক্ষরণ হলে তা চাপ দিয়ে বন্ধ করুন। ৬. সাধারণত অজ্ঞান হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ আবার জ্ঞান ফিরে পায়। তবে বেশি সময় ধরে কেউ অজ্ঞান থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিরোধের উপায় ১. রোজাদারকে সেহরি ও ইফতারে আদর্শ সুষম খাবার খেতে হবে ২. বেশি করে তরল খাবার, পানি, দুধ ও বাসায় বানানো ফলের শরবত খেতে হবে ৩. ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজা রাখতে হবে ৪. রোজা রেখে বেশি গরম ও বেশি ভিড় এড়িয়ে চলুন ৫. বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে কাজ করুন ৬. সেহরিতে কম খেয়ে বা না খেয়ে রোজা রাখা যাবে না। ৭. শেষ মুহূর্তে সেহরি খেতে হবে। এতে সারা দিন শরীরে শক্তি থাকবে।
|
|
|
|
গাইবান্ধা প্রতিনিধি, মানাধিকার খবর::
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করছে পুলিশ।
শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
মূলহোতাসহ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত সকলে গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহাবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে লিটনকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্তরা। লিটনকে উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর সাড়ে ৭টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ রোববার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার দেহে পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হত্যার প্রতিবাদে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবিতে সুন্দরগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে।
|
|
|
|
সারাদেশে শিক্ষার হার বাড়লেও বাড়েনি নৈতিকতার হার! তরুণরা আজ নৈতিকতা সম্পর্কে অজ্ঞ। নৈতিকতা আগুনের ধ্বংস লিলায় পতিত হয়েছে। নৈতিকতা যেন সমাজের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ নৈতিকতা ভুলেগিয়ে সিগারেটের সাথে মাদক সেবন করে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ মূলক কাজে। তারা মাদকের ভয়াল কালো থাবার কথা জানেনা। এর প্রতিবাদ করতে গেলে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে বড়দের। তাই অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে। মানবাধিকার খবর’র দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে এমন তথ্য। জানা গেছে, উঠতি বয়সের কিছু তরুণ সিগারেটের সাথে মাদক সেবন করে। কাস ফাঁকি দিয়ে অনেক তরুণ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে গিয়ে সিগারেট সেবন করে পুনরায় কাসে গিয়ে কাস করছে। তবে এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যব¯দা না নেওয়ায় হতাশ হয়েছে অভিভাবক মহল। তারা মনে করেন সন্তানদের উজ্বল ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তাকরে লেখাপড়ার জন্য স্কুল, মাদ্রাসা , কলেজে পাঠাই! মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষাকরাই তাদের ছাত্রদের কঠোর হাতে দমন করতে পাড়ছে না। তবে শিক্ষাকরা বলেন, তাদের পক্ষে তেমন কিছু করার নেই। মাদক সেবন করে এমন কয়েকজন তরুণের সাথে কথা হয় আমাদের উপজেলা প্রতিবেদকের সাথে। তারা বলেন, সিগারেটের সাথে গাঁজা, ইয়াবা টেবলেট, গাম, আঠাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এগুলো সেবন না করে কোনো উপায় নেই। অনেকে মা-বাবার কাছ থেকে লেখাপড়ার কথা বলে টাকা এনে মাদকের বিল পরিশত করেন। মা-বাবা টাকা না দিলে সন্তানরা ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত ভাঙ্গতে দ্বিধা বোধ করেন না। যে বয়সে তরুণদের লেখাপড়া নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকার কথা তারা মাদক নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত! অনেক তরুণের পকেটে সর্বদা সিগারেটের প্যাকেট দেখা যায়। অনেকে লেখাপড়া বাদ দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী তরুণদের এ ভয়াবহতা দেখে এলাকার সচেতন মহল দোষারোপ করছে গ্রাম্য সালিশ নিয়ন্ত্রণকারীদের। তাঁরা মনে করেন অপরাধ মূলক কাজে যখন তরুণরা জড়িয়ে পড়ে তখন গ্রাম্য সালিশে তাদের সঠিক বিচার করা হয় না। আর সঠিক বিচার না করার কারনে তারা (তরুণরা) আবার অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) নিয়ে জমজমাট জুয়ার আসর বসেছে গোটা উপজেলায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজারের চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকান, অলিগলি ও পাড়া মহল্লায় চলছে এসব জুয়া। তিন চার বছর ধরে চলে আসা এই বিপিএল-এ জুয়ার বড় বড় আসরগুলোতে খেলতে এখন স্ট্যাম্পে লিখিত হচ্ছে। যোগাযোগ হচ্ছে মোবাইল ফোনে লেনদেন হচ্ছে বিকাশে। ফলে এলাকায় বসে ঢাকা বা দেশের অন্য কোনো প্রান্তের লোকের সাথে মেতে উঠেছে জুয়াড়িরা। মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও সমাজের কর্তা ব্যক্তিরাও বাদ পড়ছেন না জুয়া খেলা থেকে। প্রতিটি ম্যাচের প্রত্যেকটি বলে বলে চলছে এসব জুয়া। কোন ব্যাট্স্ম্যান কত রান করবে বা কোন বোলিং কয়টা উইকেট পাবে তা-নিয়েও চলছে জুয়া। দৈন্দদিন গড়ে প্রায় ১০ বা ১২ লক্ষ টাকার জুয়ার আসর বসে গোটা উপজেলায়। জুয়া খেলায় নিজের সর্বত্র বিক্রি করে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। এমনকি স্বামীর জুয়া খেলার কারনে স্বামীকে তালাক দিয়ে চলেগেছেন স্ত্রী এমন ঘটনাও ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়ারি বলেন, আমার এখন পর্যন্ত চার লক্ষ টাকার উপরে হার। তবে এলাকার সচেতন নাগরিক মহল মনে করে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর ব্যব¯দা নিলে জুয়াড়িদের নির্মুল করা সম্ভাব। তাই এলাকার সচেতন নাগরিক মহল পত্রিকার রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে ‘উপজেলা প্রশাসনের’ কাছে এ ব্যাপারে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
|
|
|
|
সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় শত ভাগ স্যানিটেশন ব্যব¯দা থাকলেও বর্তমান তা ভেঙে পড়েছে সাথে সুপেয় পানি সংকট ও অস্বা¯দ্যকর টয়লেটের ফলে পানি বাহিত রোগে সাড়ে তিন লাখ মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। পর্যাপ্ত পরিমানে সুপেয় পানি ব্যব¯দা না থাকায় সাধারণ টিউবয়েলের পানি পান করে ৪৩৫ জন মরণব্যাধি আর্সেনিকে অক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। পানি সংকটের সত্যতা স্বীকার করেছেন তালা উপজেলা জনস্বা¯দ্য প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, গত ১যুগ ধরে তালা উপজেলায় সাধারণ মানুষ কপোতাক্ষ অববাহিকায় বন্যার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন, ২০০০ সালের পর থেকে ভয়ানক জলাবদ্ধতার স্বীকার হয়ে আসছে এ এলাকার মানুষ, সরকারী বেসরকারী জরিপ অনুযায়ী ২০০১ ল্যাটিন তৈরিতে জনসচেতনতা বাস্তবায়নে ২০০৩ সালে শত ভাগ অর্জন করে, বর্তমানে ১৫ বছরের ব্যাবধানে সঠিক তদারকি, রাজনৈতিক অ¯িদরতা, প্রচার প্রচরণা ও লোকবলের অভাবে তালার স্যানিটেশন ব্যাব¯দা অতান্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে। জানা যায় ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এ উপজেলায় ১২ ইউনিয়ানে ২২৯টি গ্রামে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮২০ জন জনসংখ্যা ছিল বর্তমানে বেসরকারী জরিপ অনুয়য়ী এর সংখ্যা ৩লাখ ২৯হাজার কিšদ প্রকৃতি পক্ষে আদমশুমারী হলে আরো সংখ্যা বাড়তে পারে জলাবদ্ধতার কারনে এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের ঘর বাড়ি স্যাঁতস্যঁতে ও নোংড়া পরিবেশ ও অস্বা¯দ্যকর স্যানিটেশন ব্যবহার করায় বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলায় সরকারি ভাবে ৪ হাজার ৯৬২টি নলকুপ থাকলেও ২হাজার ৭৫০টি নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে বর্তমানে ঐ সব নিরাপদ পানির উৎস নষ্ট হতে চলেছে, এছাড়া উপজেলার প্রতেকটি বাসাবাড়িতে নলকুপ থাকলেও ২০০৫ সালে নিরাপদ ও অনিরাপদ জরিপে লাল সবুজ রং চিহ্নিত করা হয় বর্তমানে চিহ্ন না থাকায় ৮০ভাগ মানুষ আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করছে। এ বিষয়ে তালা উপজেলা সদর হাসপাতালের ডাক্তার প্রতাপ ক্যাশপী জানান অস্ব্যা¯দকর ল্যাটিন ও সুপেয় পানি সংকট থাকায় আর্সেনিক, ডাইরিয়া, কলেরা, টাইফয়েড এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে তালা উপজেলা জনস্বা¯দ্য প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান তালা, কলারোয়া, পাইকগাছা চারটি উপজেলার দায়িত্ব থাকায় সঠিক ভাবে তদারকি হয় না তবে আগামী দুই মােেস জনস্বা¯দ্য প্রকৌশলতে লোকবল নিয়োগ হলে এ সমস্য সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বহী অফিসার জানান জনস্বা¯দ্য প্রকৌশলী চারটি উপজেলার দায়িত্ব রয়েছেন তা লিখিত ভাবে জানালে প্রয়জনীয় ব্যাব¯দা নেয়া হবে।
|
|
|
|
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাইকেল মধুসুদন দত্তের প্রানের নদ কপোতাক্ষ পাড়ের কোমলমতি শিশুদের এখনও হাঁটু-কাঁদা মাড়িয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকে এখনও পানি রয়েছে। তাই কাস করতে হচ্ছে অন্যের বাড়ী অথবা রাস্তার উপর। এরই মধ্যে বার্ষিক এবং সমাপনী পরীক্ষা আসন্ন। তাই ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার সফলতা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। এমনই অব¯দার মধ্য দিয়ে গত ৪ মাস ধরে চলছে জলাবদ্ধ এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম। সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যব¯দা অবকাঠামগত উন্নয়ন ঘটলেও কপোতাক্ষ পাড়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য ¯দানের তুলনায় ৪/৫ মাস পিছিয়ে পড়ছে। সেই সাথে পিছিয়ে পড়ছে শিশুদের আগামী দিনের স্বপ্ন। সরেজমিন তালার গংঙ্গারামপুর, গোনালী, হরিচন্দ্রকাটি, কানাইদিয়া, খরাইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বসত ভিটার পাশা-পাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে আছে। গংঙ্গারামপুর সরকাকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকরে মধ্যে পানি, তাই পাশ্ববর্তী একটি ধানের চাতলে চলছে পাঠদান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা প্রতিভা রানী ঘোষ জানান, স্কুল মাঠে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি নিষ্কাষনের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ৯৫ জন ছাত্র/ছাত্রীর বিপরীতে ৩ জন শিক্ষিকা রয়েছেন, তবে বছরের পর বছর জলাবদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এলাকার সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ছেলে-মেয়েদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এক শিক্ষিকা। ১৪৮ নং গোনালী সরকারী বিদ্যালয়টি পানি বেষ্ঠিত একটি দ্বীপের মত দাড়িয়ে আছে। ৫ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী রজব আলী গাজীর বাড়িতে পাঠদান করছেন। এমন অব¯দায় প্রতি বছরের ৫/৬ মাস যাবৎ চলে পাঠদান কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষিকা লতিফা খানম জানালেন সুপেয় পানি সহ স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে মারাত্বক সংকট চলে আসছে এ ক’মাস। তালা টেকনিক্যাল কলেজে এখনও পানি, তালা উপজেলা সদরের একটি ভাড়া ভবনে চলছে কাস। টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, এখনও বেতন হয়নি শিক্ষকদের, তারপরেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এগিয়ে নিতে অনেক টাকা ব্যায়ে ভবন ভাড়া করে কাস চালাতে বাধ্য হয়েছি। হরিচন্দ্রকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাস চলছে পানির মধ্যে মারাত্বক ঝুকিপূর্ণ একটি ভবনে। লাড়িপাড়া, খরাইল সহ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এখনও পানি, আসা যাওয়ার পথে হাটু-কাঁদা। তালা শহীদ কামেল মডেল হাইস্কুল সহ ভবানীপুর, কেসমতঘোনা, মাঝিয়াড়া, খানপুর, কাজীডাংগা, ইসলামকাটি এলাকার আরও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশ পানি বেষ্টিত থাকায় এখনও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে আসেনি।। ফলে জলাবদ্ধতার কবলে মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে এলাকায় শিক্ষা ব্যব¯দা। শিক্ষা অফিসের হিসাব মতে এবছর কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানিতে তালা উপজেলার ৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং ৩ টি কলেজ পানিবন্দি হওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হওয়ায় শিশুদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটেছে, তবে আমরা বিপদকালীন সময়ে অন্যত্র কাস নেওয়ার ব্যব¯দা করেছি।
|
|
|
|
বাংলাদেশ কৃষি প্রধানদেশ। একসময় ৮৫% লোক কৃষিকাজের উপর নির্ভর ছিল। কিšদ কালের ব্যাবধানে কৃষি তথা কৃষিজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গাজীপুর জেলা বর্তমানে শিল্পনগরী হিসেবে আমাদের সবার নিকট সু পরিচিত। গাজীপুরের সর্বত্র শিল্প- কারখানা, ঘড়বাড়ী, আর বিভিন্ন ¯দাপনা গড়ে উঠেছে জেলার বিভিন্ন ¯দানে দ্রুতবেগে। কারণ গাজীপুর জেলা বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতি ও শিল্পনগরী এলাকা। কাজের অনুসন্ধানে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে এসে ভিড় জমাচ্ছে। আর সেই ল্েয তৈরী হচ্ছে অতিরিক্ত ঘড়বাড়ি। ঘড়বাড়ি বৃদ্ধি করা হলেও জমি বাড়ছে না, এ কারনে আবাদি জমিতে আবাদের পরির্বতে তৈরী হচ্ছে নানান ¯দাপনা ও কলকারখানা। এজন্য প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সারাবছরে কি পরিমান জমি কমে যাচ্ছে তা জেলা কৃষি বিভাগের নিকট জানা যায়নি। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠেছে শিল্প কারখানা ঘর ,বাড়ি, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন রকমের ¯দাপনা। এসব কারনে প্রতিবছর কৃষিজমির পরিমান কমে যাচ্ছে, সেই সাথে কৃষক তার কৃষি কাজে অমনযোগী হয়ে পড়ছে। কৃষি জমি হ্রাস রোধে সরকারের কি কোনো পদপে নেই? জেলাকৃষি বিভাগের তথ্য মতে ১৮০৬.৩৬ বর্গ কি: মি: আয়তনের গাজীপুর জেলায় আবাদী জমির পরিমান ১১২০৫৩ হেক্টর মাত্র। তবে এ হিসাব সর্বশেষ কবে করা হয়েছিল তা সাংবাদিকদের জানাতে পারেনি জেলাকৃষি বিভাগ। রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলায় সরকারী ও বেসরকারী ভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের, কলকারখানা, রা¯দা-ঘাট হাটবাজার সহ নানা রকমের ¯দাপনা। এধরনের পরির্বতনে বাড়তি চাপ পড়ছে আবাদী জমিতে। কারণ বাড়তি লোকের থাকার জন্য বাড়তি জায়গার প্রয়োজন। সম্প্রতি গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে এ দৃশ্য ল করা যায়। ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের পাশে ছয়ফর মুকুলের বহূরূপকথার বেলাভূমি লবলঙ সাগর। এর দুপাশে অনেক লোক বাস করে। আদিকাল থেকে এ মৃত সাগরে দু পাশের প্রায় ল কৃষক কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বর্তমানে এ সাগরে বেশকটি ফ্যাক্টরী তৈরী হয়েছে। এর মধ্য রয়েছে রং ফ্যাক্টরী। এ কারখানা থেকে রাসায়নিক ক্যামিকেল যুক্ত পানি এসব আবাদী জমিতে আসার কারনে ধান ভালো উৎপন্ন হয় না। শ্রীপুরের একজন প্রবীণ লোকের সাথে কথা বলে জানা যায় সেটেলমেন্টের রেকর্ডের পূর্ব থেকে এ মৃত সাগরে আবাদ চলছে যা প্রায় দুইশত বছরের আগের কথা। এ সাগরটি বর্তমানে সকলের নিকট খাল নামে পরিচিত। ¯দানীয় যেসব কৃষক ছিল তাদের নিজ নামে কমপক্ষে একশত বিঘা জমি ছিল। কৃষি ছিল তাদের প্রধান কাজ, যা ছিল একমাত্র আয়ের পথ। লবলঙ সাগরটি উত্তরে ভালুকার জামিদিয়া মাস্টার বাড়ি বিলাই জুরি খাল থেকে বারচুরি পর্যন্ত। অপর দিকে দেিণ হালদা নদীর মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ নদীর সাথে গিয়ে মিশেছে। কিšদ কলকারখানা ¯দাপন ও জনসংখার বাড়তি চাপের কারনে আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। পরিবেশ আন্দোলন কর্মীদের মতে কৃষিজমি কমে যাওয়ার অন্যতম কারন অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা। এতে করে একদিকে যেমন ফসলী জমি কমে যাচ্ছ অপরদিকে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মাসুদ রেজা সাংবাদিকদের জানান কৃষি জমি হ্রাস রোধে তাদের কিছুই করার নেই।
|
|
|
|
ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরগামী একটি চাউলের ট্রাক খাদে পড়ে গিয়ে ঘটনা¯দলে একই গ্রামের দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়। জানাযায়, চাল ভর্তি ঐ ট্রাকটি গত ২১নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চরছয়ানী মোড়ে ¯দানীয় একটি রোগী বহনকারী এম্বুলেন্সকে সাইড দিতে গিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত হন বাঞ্ছারামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে শাকিল মিয়া(১৮) আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ এরশাদ মিয়া(২৮)। নিহত শাকিল এর বড় ভাই মোঃ সগির আহত হয়। আহত সগিরকে ¯দানীয় স্বা¯দ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনা¯দল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানার এসআই আবুল কালাম বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেণ। যার নং-৯৪৬/১৬ইং নিহতদের নিজ গ্রামে আজ(২২ নভেম্বর) জানাজা শেষে পারিবারিক গোর¯দানে সকাল ১০ টায় দাফন করা হয়। সড়ক দুর্গটনায় নিহতের পরিবরসহ পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
|
|
|
|
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের উপজেলা শ্রীপুরে ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত তরুন নেতাকর্মীরা ¯দানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ শে নভেম্বর বুধবার দুপুরে শ্রীপুর পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্র জেলা পরিষদ ডাকবাংলা অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত সভাপতি মেধাবী ও তরুণ ছাত্রনেতা জাকিরুল হাসান জিকুর সভাপতিত্তে, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের এ মতবিনিময় সভায় শ্রীপুরের প্রায় অর্ধ শত সাংবাদিক উপ¯িদত ছিলেন। নব নির্বাচিত সভাপতি তার বক্তিতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগকে সু- সংঘঠিত এবং সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সংগঠন হিসেবে গড়ার ল্েয উপ¯িদত সকল সাংবাদিক তথা সকলের সহযোগীতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
|
|
|
|
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
‘ইসলাম জঙ্গীবাদকে বিন্দুমাত্র সমর্থন করে না। সম্প্রতি গুলশানের হলিআর্টিজনে হামলাকারী নিহত জঙ্গীদের ব্যক্তিগত জীবন দর্শন তারই প্রমান বহন করে। ইতোপূর্বে ইসলামী জ্ঞান, সংস্কৃতি-সভ্যতার সাথে যাদের কোন সম্পর্ক ছিলো না এমন জঙ্গীদের দুষ্কর্ম স্পষ্ট করে দেয়, ধর্মান্ধতা নয় বরং ধর্মহীনতাই জঙ্গীবাদের মূল কারণ।’ গত ১৪ নভেম্বর ২০১৬ সোমবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা বড়বিল মুসলিম পাড়া আজিজিয়া এমদাদুল উলুম মাদরাসার ৩৯ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আলোচক এবং মানবাধিকার খবর পত্রিকার সহকারী সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক আদ্দাঈ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের নানুপুর ওবাইদিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা সালাহ উদ্দীন। বিশেষ আলোচক ছিলেন তবলছড়ি ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্য, মাওলানা সাইফুল ইসলাম নিজামী এবং মোল্লাবাজার দারুসসুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মাদ আব্দুল মমিন। এছাড়া ¯দানীয় উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।
|
|
|
|
জাহেরুল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে:
“টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ি- ১৭টি লক্ষ্য অর্জন করি” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ২৫তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলার আগমনি কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধী সমাজ কল্যাণ সং¯দা’র অয়োজনে এবং কমিউনিটি প্রোগ্রাম দি লেপ্রসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ৩ ডিসেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটির শুরুতে উপজেলা স্বা¯দ্য কমপ্লেক্স চত্বর হতে ব্যানার সহ একটি বণার্ঢ্য র্যালী বের করে প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করা হয়। র্যালীতে স্বা¯দ্য বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারী, আগমনি কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধী সং¯দার সদস্যবৃন্দ, কমিউনিটি প্রোগ্রাম দি লেপ্রসী মিশন ইন্টার ন্যাশনাল বাংলাদেশ আটোয়ারী উপজেলা শাখার কর্মীবৃন্দ সহ গণমাধ্যমকর্মী গন উপ¯িদত ছিলেন। র্যালী শেষে মোঃ জাফর আলীর সভাপতিত্বে উপজেলা স্বা¯দ্য কমপ্লেক্স চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯িদত থেকে পরামর্শমুলক বক্তব্য দেন উপজেলা স্বা¯দ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডাঃ মওলা বক্স চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯িদত থেকে বক্তব্য দেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা টি.এল.সি.এ রেজাউর রহমান, সি.ডি.এফ প্রতিমা রাণী, নাজিম উদ্দীন, নূর জাহান, খলিলুর রহমান, মোছাঃ নূর নাহার প্রমুখ। পরে উপজেলা স্বা¯দ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডাঃ মওলা বক্স চৌধুরী হুইল চেয়ারে অব¯দানরত প্রতিবন্ধীদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে কুশলাদি বিনিময় করেন।
|
|
|
|
আতাউর রহমান সোহেল, গাজীপুর থেকে:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি ও শ্রীপুর পৌর বিএনপির যৌর্থ উদ্যোগে শ্রীপুর ভাংনাহাটি মাদ্রাসা মাঠে এ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহ্জাহান ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯িদত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা বি এন পি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পীরজাদা এস এম রূহুল আমীন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপ¯িদত ছিলেন আব্দুল মোতালেব, সিরাজুল, রাজ্জাক ও শ্রীপুর পৌর বি এন পি সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শহীদ সহ আরো অনেকে।
|
|
|
|
মোঃ এমরান আলী রানা, নাটোর প্রতিনিধি:
একটি পা দিয়েই চলছে রাসেল মৃধার জীবন সংগ্রাম। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। এদিকে প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও হাল ছাড়ে রাসেলের বাবা-মা। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর মনের জোরে এবার বাম পায়ে কলম ধরেই ইবতেদায়ি শিা সমাপনী পরীায় অংশগ্রহণ করেছে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। সিংড়া দমদমা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিশেষ কৌশলে বেঞ্চের ওপর খাতা রেখে সেখানে বসেই বাম পায়ের দুই আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে এভাবেই অন্য সবার সঙ্গে ২য় দিনের বাংলা পরীা দিচ্ছে সে। সে শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ছাত্র। প্রতিবন্ধী শিার্থী রাসেল মৃধা (১১) বাড়ি নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লায়। বাবা আবদুুর রহিম মৃধা পেশায় একজন সাধারণ কৃষক। শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্য মাওলানা নাজমুল হক বলেন, রাসেল ছাত্র হিসেবে মেধাবী। ইসলামী সংগীতেও রয়েছে তার ব্যাপক প্রতিভা। তার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সুবিধা দেয়া হয়। ভবিষ্যতে তার জন্য পড়াশুনার বিষয়ে যতটুকু সম্ভব সুবিধা দেয়া হবে। অদম্য রাসেলকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সে সরকারী চাকুরি করবে। বাবা মায়ের অভাব অনটন দূর করবে। রাসেলের বাবা মা জানায়, সে পা দিয়ে লিখে এবং শুকনা খাবার খায়। সে স্বাভাবিকভাবে কথা শুনতে ও বলতে পারে। রাসেল প্রতিবন্ধী হিসেবে তিন মাস পরপর ১৫শ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। ¯দানীয় সাংসদ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয় রাসেলের চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার দিয়েছেন।
|
|
|
|
নিলয় মাহমুদ সুজন:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার মাওনা বাজার রোডের কিছু অংশ পানিতে টয়-টম্বুর। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাওনা চৌরাস্তার হাজী মালেক মাস্টার কমপ্লেক্স সংলগ্ন মাওনা বাজার রোডের কিছু অংশ বাসা-বাড়ির বাথরুমের নোংরা পানি এবং মার্কেট পরিষ্কারের ময়লা পানি রাস্তায় এসে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেকের শরীরে ময়লা পানি ছিটে গিয়ে ব্যহত করছে যাত্রা। একটু বৃষ্টি হলেই মাওনা চৌরাস্তা থেকে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটুকু পানিতে ভরপুর। রাস্তার এক পাশে একটি ড্রেন থাকলেও সুষ্ঠ নয় পানি নিষ্কাশন ব্যব¯দা। রাস্তার পানি ড্রেনে না গিয়ে বরং ড্রেনের পানি রাস্তায় আসে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটুকু বর্ষাকালে যেমন যাতায়াতের অযোগ্য তেমনি শুকনো মৌসুমেও ছুট-বড় গর্তের কারণে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে যাতায়াত অযোগ্য। রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকান, রাস্তা হয়ে গেছে সরু। এসকল কারণে দেখা যায় যানবাহনের লম্বা লাইন, সৃষ্টি হয় জ্যাম, নষ্ট হয় যাত্রীদের মূল্যবান সময়। মাওনা বাজারে অব¯িদত মাওনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, জি.এম. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ আরো অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। প্রশিকা মোড়ে রয়েছে ডা: পলাশ মেডিকেল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার। তেমনি মাওনা চৌরাস্তায় রয়েছে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম একাডেমি এন্ড কলেজ, মাওনা সিটি কলেজ, পাবলিক স্কূল এন্ড কলেজ, গাজীপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট(জি. আই. পি. আই.) সহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে স্বদেশ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার, আল্হেরা হাসপাতাল, বিল্লাল মাষ্টার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার, এ. কে. মেমোরিয়াল হাসপাতাল সহ আরো অনেক প্রাইভেট কিনিক। মাওনা চৌরাস্তার পশ্চিম পার্শে¦র ছাত্র-ছাত্রী, রোগী, জনসাধারণ মাওনা চৌরাস্তা এবং শ্রীপুর উপজেলার কাক্সিক্ষত বিভিন্ন হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে যেতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। তদ্রুপ মাওনা চৌরাস্তার পূর্ব পার্শে¦র শিক্ষার্থী, জনসাধারণ মাওনা বাজারের, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে যেতে ব্যবহার করতে হয় এই রাস্তাটি আর পরতে হয় চরম ভুগান্তিতে। সবমিলিয়ে মাওনা চৌরাস্তা থেকে প্রশিকা মোড় পর্যন্ত ভাল নয় যাতায়াত ব্যব¯দা। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক সহ যাত্রী সাধারণের প্রত্যাশা এবং দাবি রাস্তাটুকুর ¯দায়ী সমাধান। এ ব্যপারে ¯দানীয় কাউন্সিলর ইজ্জত আলী ফকির মানবাধিকার খবরকে জানান রাস্তার পাশের ড্রেনটি তিনি পরিষ্কার করার ব্যব¯দা নিবেন।
|
|
|
|
মোহাঃ হারুন-অর-রশিদ
অন্যান্য জেলার মতই ঠাকুরগাঁও জেলাতে ও ভূমি দখলবাজরা নতুন কৌশল অবলম্বন করে জেলার সাধারণ মানুষের জমি দখলের চেষ্টা করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিকদেরকে বিভিন্ন কৌশলে একটি প্রভাবশালী মহল এদেশের নাগরিক সাজিয়ে জেলায় বাংলাদেশী প্রকৃত নাগরিকদের জমি “জাল দলিল” তৈরীর মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করে চলেছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ঠুমনিয়া গ্রামের রইশ উদ্দীনের ছেলে রবিউল আলম ও খোদা বক্স এর ছেলে মোহাঃ জমিদার শেখসহ ঐ এলাকার আরো কয়েকজন মিলে একটি প্রভাবশালী ভূমি দখলকারী সিন্ডিকেট বাহিনী গড়ে উঠেছে। তারা ভারতের লোকজনকে বাংলাদেশে এনে বাংলাদেশী নাগরিক সাজিয়ে সাধারণ মানুষের ভুমি দখল করে চলেছে। ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গা উপজেলা ঠুমনিয়া, গ্রামের ¯দানীয় বাসিন্দা মোঃ ফজলু হক, যতেন্দ্রনাথ সিংহ, রিয়াজ উদ্দিন, আব্দুল বাতেনসহ ¯দানীয় সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ঠুমনিয়া গ্রামের মোহাঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ আমিরুল ইসলাম, সাদেকুল ইসলাম, মিসেস সায়েমা আনজু, মাছাঃ সায়েমা খাতুন, মোছাঃ ইফতারা খাতুন সকলের পিতা মৃত আয়ূব আলী বিশ্বাস, মোছাঃ আনোয়ারা বেওয়া স্বামী মৃত আয়ূব আলী বিশ্বাস ¯দায়ী বাসিন্দা। কিšদ বর্তমানে জীবিকা নির্বাহের কারনে তারা কেহ ঢাকায় কেহ রাজশাহীতেসহ বিভিন্ন¯দঅনে জেলার বাহিরে বসবাস করে। এই এলাকার জমিজমা কিছু নিজে মাঝে মধ্যে এসে আর কিছু জমি বর্গাচাষীাদের মাধ্যমে আবাদ করে। ১৯৬৫ সালের বিনিময় দলিল মূলে পৈতৃক সম্পত্তি প্রাপ্ত ১৫.২৩ একর জমি ২৬/০৪/২০১৪ইং তারিখে সাত জনের নামে খারিজ করে নিজ নামে নাম জারি করে। প্রয়োজনে কিছুদিন পরে সেখান থেকে কিছু জমি বিক্রি করতে গেলে ঐ এলাকার ভুমি দখলবাজ জমিদার শেখ ও রবিউল আলমসহ কয়েকজন জমি বিক্রি করতে বাধা দেয়। পরে ভূমি দখলবাজ জমিদার শেখ ও রবিউল আলম মিলে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মালদা জেলার বৈঞ্চবনগর থানার কৃঞ্চপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শফিকুল আলম কে দিয়ে সম্পত্তি তারা জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। ভুমি দখলবাজ জমিদার শেখ ও রবিউল আলম মিলে ভারতীয় নাগরিক শফিকুল আলম পিতা মোঃ মোশারফ আলী বিশ্বাস, মাতা মোছাঃনুর আলম ¯দানীয় বড়বাড়ী ইউপি থেকে গত ১২/০২/২০১৬ ইং তারিখে জন্ম নিবন্ধন নং ১৯৭১৯৪১০৮২১১০৫৪১ জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৭১ ইং, জন্ম ¯দান- গ্রাম: ঠুমনিয়া, ওর্য়াড নং -০৮, ইউপি: ০৩ নং ধনতলা, নউপজেলা: বালিয়াডাঙ্গি, জেলা: ঠাকুরগাঁও। এবং ¯দায়ী ঠিকানা: গ্রাম: গোয়ালকারী, ওর্য়াড নং ০৪, ইউনিয়ন পরিষদ: ০৮ নং বড়বাড়ি, উপজেলা: বালিয়াডাঙ্গী, জেলা: ঠাকুরগাঁও এই ঠিকানায় একটি জন্ম সনদ বানিয়ে দেয় কিšদ আদৌ তার নিজস্ব কোন বাড়ী নেই। অজ্ঞাত কারণে সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করে বাংলাদেশের নাগরিক বানিয়ে তাকে দিয়ে ভোগ-দখলীয় ও খাজনা-খারিজকরা সম্পত্তি যাহা: ঠুমনিয়া মৌজার জেএলনং ১৪, খতিয়ান নং-১৪০২ এবং প্রস্তাবিত আগত খতিয়ান নং ৩৯৬, ৩৯২, ৩০১, ২৮১, ২৬২, ২৬১, ২৪৬, ২৩৫, ২২৮, ২২৫, ১১৪, ৩২৭, ৫৫২, ৪২৬, দাগ নং ৭৮১৬, ৫৮৮৩, ৫৭৯৩, ৭৬৯৪, ৬৮৯৬, ৫৬০৪, ৭৭৬৬, ৭০৯২, ৬৯৬৫, ৭০৬৬, ৭০৭০, ৮৮৪৫, ৭০৬৪, ৭৯০৫, ৫৯০৫, ৭৬৩৭, ৮২৭৫, ৮২৭২, ৮৩৩০, ৮৩৬৩, ৮৩৮৯, ৮৩৬৫, ৮৩৪৯, ৮৩৩৯, ৮৩৭৪, ৮৪২৪, ৭৬২৮, ৭৬২৫, ৭৬৩১, ৮৪০৭, ৮৯৮৫, ৯০৫৭, ৬৯২১, ৯০১৬ মোট জমি ১৫.২৩ একরের মধ্যে বেশীর ভাগ জমি অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করছে। অথচ তার বাড়ি হচ্ছে, ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মালদা জেলার বৈঞ্চবনগর থানার কৃঞ্চপুর গ্রামে। সেখানকার সে ¯দায়ী বাসিন্দা। ২০১৬ ইং সালের ভারতের(সাধারণ) বিধানসভা নির্বাচন তালিকা অনুযায়ী, রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। কোড নং ঝ২৫/ডই ৫৪ বৈঞ্চবনগর। ভাগ নং ১: খুদিটোলা, মৌজা-কৃঞ্চপুর, জেএল নং-৩৯ গ্রাম+পোষ্ট-কৃঞ্চপুর, থানা- বৈঞ্চবনগর -৭৩২২১০ ভোটার নং ৪৮৮, ডই/০৭/০৪৯/৩১৮৮৩৯, বাড়ির নং- হ০০৩১ বয়স: ৪৫। সে বাংলাদেশে অবৈধভাবে এসে ভুমিদস্যুদের বাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে সংশিষ্ট বিভিন্ন অফিসসমূহে যেমন জেলা রেজিষ্টার, ঠাকুরগাঁও অফিসে জাল দলিল রেজিষ্ট্রি বন্ধ করা জন্য গত ২২/০৩/২০১৬ইং তারিখে, সহকারী কমিশনার(ভূমি) লাহিড়ী, উপজেলা-বালিয়াডাঙ্গী, জেলা-ঠাকুরগাও অফিসে ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক অবৈধভাবে মূল মালিকের জমির খারিজ বাতিল ও জাল দলিলের মাধ্যমে নিজ নামে খারিজ করে নাম জারি বন্ধ করা প্রসঙ্গে গত ২২/০৩/২০১৬ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ঠাকুরগাঁও, ১৪/০৩/২০১৬ইং তারিখে উপজেলা নিবার্হী অফিসার-বালিয়াডাঙ্গী জেলা-ঠাকুরগাঁও, ১৫/০৩/২০১৬ইং তারিখে পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁও, ২২/০৩/২০১৬ইং, এবং সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর আবেদন করা হয়। গত ০৬/০৪/২০১৬ইং তারিখে ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী বন্ধ করে আইনানুগ ব্যব¯দা গ্রহনের জন্য আবেদন করেন ¯দানীয় ভুক্তভুগীরা। এলাকাবাসীগন জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যব¯দা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান।
|
|
|
|
ফরিদুর রহমান শামীম, বাগেরহাট প্রতিনিধি.
বাগেরহাটে তপন শীল (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। তপন শীল উপজেলার বাসাবাটি এলাকায় বসবাস করতেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তপন শীলের শ্যালক বাসুদেব সরকারকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। পরদিন সকালে উপজেলার বাসাবাটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তপন শীলের স্ত্রী আখি শীল বলেন, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে আমার স্বামীর সেলুন রয়েছে। ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সেলুন থেকে কয়েকজন যুবক আমার স্বামীকে ডেকে বাসস্ট্যান্ডের পাশের পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে মারধর করে ও মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে মোবাইল ফোনে আমাকে ঘটনাটি জানালে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি আরো বলেন, আমার বিয়ের পর বাসাবাটি এলাকায় বাবার লিখে দেয়া জমিতে বসবাস করে আসছি। আমার সৎ ভাই বাসুদেব সরকারের অংশ বাদে অন্য অংশ বোনদের নামে লিখে দেন বাবা। এই স¤পত্তির ভাগভাগি নিয়ে ২-৩ বছর ধরে বোনদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। বাবার স¤পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুসফিকার শামস মেনন বলেন, রাত ৮টার দিকে তপন শীল নামে এক ব্যক্তিকে বিষপান করা অব¯দায় তার স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসা দেওয়ার কিছু সময় পর তিনি মারা যান। তার মাথা ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, তপন শীলের সঙ্গে তার শ্যালকদের স¤পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে মামলাও চলছে। সেই বিরোধের জেরে প্রতিপরা তাকে মারধর করে মুখে বিষ দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কচুয়ায় ২টি দোকান পুড়ে ছাই ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
কচুয়ায় ২টি দোকান পুড়ে ছাই,২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি। জানা যায়, কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের সম্মানকাঠি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পাশে জেসমিন বেগম(৩০)নামের এক দু¯দ্য মহিলার ১টি চায়ের দোকান ও জয়দেব শীল (৩২)নামের এক অসহায় লোকের ১টিসেলুন গতকাল গভীর রাতে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।দোকানের মালিক জেসমিন বেগম প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় দোকন বন্ধ করে বাড়ি গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের সময় পার্শবর্তী এক গাছের চারা বিক্রেতা দোকানে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে জেসমিন বেগম ও জয়দেব শীল দ্রুত আসতে আসতে দোকান দুটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।জেসমিন বেগমের ১টি মেয়ে ৯ম শ্রেনীতে পড়ে, অন্য মেয়েটি ৫ম শ্রেনীতে এবং ছোট ৪বছরের ১টিছেলে সন্তান রয়েছে।স্বামী অসু¯দ্য থাকায় অসহায় জেসমিন বেগম এই চায়ের দোকানের আয়ের টাকা দিয়েই মেয়েদের পড়াশুনা ও সংসার চালাতেন। একমাত্র আয়ের উৎস চায়ের দোকানটি পুড়ে যাওয়ায় জেসমিন বেগম এখন স্বামী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে।এব্যাপারে জেসমিন বেগমের স্বামী মোঃ জাকির হোসেন কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দয়ের করেছে।
খেলায় জয়লাভ উল্লাসে সমর্থকের মৃত্যু জাকারিয়া শেখ, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে ঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ফুটবল খেলায় নিজ ইউনিয়ন জয়লাভ করায় উল্লাসে ইউনুচ সিকদার (৪০) নামে এক ফুটবল সমর্থকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে এঘটনা ঘটে। জানা গেছে, “কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ টুর্নামেন্টে’র” সেমিফাইনাল খেলায় পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ কোটালীপাড়া পৌরসভা একাদশকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। এতে উল্লাসে ফেঁটে পরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। উল্লাসের এক পর্যায়ে ইউনুচ সিকাদার হঠাৎ অসু¯দ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উপজেলা স্বা¯দ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করেন। উপজেলা স্বা¯দ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। ইউনুচ সিকদার ওই ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোন্তাজ সিকদারের ছেলে। মৃত্যুর খবর মূহুর্তের মধ্যে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ খেলোয়াড়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
|
|
|
|
|
|
|