ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রশংসা করলেন আদালত
সড়ক নিরাপদ রাখতে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে প্রশংসা করেছেন আদালত। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় করা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে রোববার (১ ডিসেম্বর) এ কথা বলা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে একজন আইকনে পরিণত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার মতো আমাদেরও নিরাপদ সড়কের জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া সড়ক নিরাপদ করতে গণমাধ্যম, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বানও জানান বিচারক।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সংবাদ এমনভাবে প্রচার করবেন না যাতে ছাত্রসমাজ বা সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় বা মানুষ সংক্ষুব্ধ না হয়। এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আসামিদের দণ্ড দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তিই যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেটি আগে উল্লেখ করার অনুরোধ করছি। এ ধারায় এর চেয়ে বেশি দণ্ড দেয়ার সুযোগ ছিল না।
এর আগে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসচালকের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। এর মধ্যে কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও বাকি দুজন কারাগারে রয়েছেন।
|
সড়ক নিরাপদ রাখতে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে প্রশংসা করেছেন আদালত। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় করা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে রোববার (১ ডিসেম্বর) এ কথা বলা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে একজন আইকনে পরিণত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার মতো আমাদেরও নিরাপদ সড়কের জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া সড়ক নিরাপদ করতে গণমাধ্যম, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বানও জানান বিচারক।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সংবাদ এমনভাবে প্রচার করবেন না যাতে ছাত্রসমাজ বা সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় বা মানুষ সংক্ষুব্ধ না হয়। এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আসামিদের দণ্ড দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তিই যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেটি আগে উল্লেখ করার অনুরোধ করছি। এ ধারায় এর চেয়ে বেশি দণ্ড দেয়ার সুযোগ ছিল না।
এর আগে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসচালকের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। এর মধ্যে কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও বাকি দুজন কারাগারে রয়েছেন।
|
|
|
|
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে (১৪) ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদলত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে ওবায়দুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারাগার থেকে মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুলকে আদালতে উপস্থিত করেনি পুলিশ। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার জন্য আজ (১০ অক্টোবর) দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদের রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সতর্ক করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ওবায়দুল রিশাকে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট মারা যায় রিশা।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
|
|
|
|
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেশে-বিদেশে প্রায় ২৮ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নোয়াখালী জেলা আদালতের নাজির মো. আলমগীর হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, সাত কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দেশে-বিদেশে ২৮ কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। এই দুই মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন নোয়াখালীর একটি আদালত। একইসঙ্গে যে জমি নিয়ে অভিযোগ সেই জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ অবস্থায় মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার জন্য হাইকোর্টে পৃথক তিনটি আবেদন করেন আলমগীর হোসেন। এই তিন আবেদনের মধ্যে সম্পদ ও অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত। অপর দুটি আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
ছোট কর্মচারীর বড় দুর্নীতি : জেলা আদালতের নাজিরের ৭ কোটি টাকার সম্পদ! শিরেনামে গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নাজমুন নাহারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
|
|
|
|
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। এদিকে ২৮ মার্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় শুনানীর তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, কারাবন্দী খালেদা জিয়া অসুস্থ তা কর্তৃপক্ষ গোপন করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি সংক্রান্ত রুল জারি করে। চার সপ্তাহের মধ্যে আসামি খালেদা জিয়া এবং ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুনানি করেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেয় রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। এর আগে গত ২৫ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রিভিশন আবেদন দাখিল করে দুদক। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুদকের এ আবেদনকে সরকারের হস্তক্ষেপ বলে দাবি করছেন। এ বিষয়ে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এখানে দুদকের রিভিশন করার কোনো সুযোগ নেই। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন ‘অনেকে বলছেন সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে দুদক এ আবেদন (রিভিশন) করেছে, এটা মোটেও ঠিক নয়। যখন আপিল বিভাগে জামিনের শুনানি হয়, তখনই আমরা আদালতকে বলেছি জাজমেন্টের (বিচারিক আদালতের রায়ের) এই সাজায় আমরা সন্তুষ্ট নয়। এটা অপর্যাপ্ত সাজা। তখন আদালত আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিল আমরা কিছু করেছি (সাজার বিরুদ্ধে দুদকের রিভিশন) কিনা। জবাবে আমরা আদালতকে বলেছিলাম, বিষয়টি দুদক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। দুদক পুরো জাজমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আবেদনটি করি।’খালেদাকে হাজির করা কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানি পিছিয়ে গেছে। খালেদার আইনজীবীদের আবেদনে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান নতুন দিন ধার্য করেন।খালেদা জিয়াকে আনা হবে, এ জন্য বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আদালতের বাইরের সড়কে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। এ সময় পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানকেও রাস্তায় দেখা যায়। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের তল্লাশি করে আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লøাহ আবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আজকে অসুস্থতার কারণে আনা হচ্ছে না বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি।’ আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিচারককে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু কেন হাজির করা হয়নি তা বলতে পারছি না। কোনো কারণ আছে নিশ্চয়ই। আদালত চাইলে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করতে পারে।’ এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লøাহ মিয়া মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে ওই সময় পর্যন্ত তিনি জামিন দেন খালেদা জিয়াকে। খালেদার অসুস্থতা গোপনের অভিযোগ : কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গোপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তার আইনজীবীরা বলছেন, চেয়ারপারসনকে নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। বকশীবাজারের বিশেষ আদালত থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এসব কথা বলেন।আইনজীবী সানাউল্লøাহ মিয়া বলেন, ‘২৮ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) আদালতে আনা হয়নি।’ আদালতের পরোয়ানার ফিরতি কাগজ (কাস্টডি পরোয়ানা) দেখেছেন বলে জানিয়ে সানাউল্লøাহ মিয়া বলেন, ‘আমরা দেখেছি খালেদা জিয়া অসুস্থ। যেহেতু তিনি অসুস্থ, আমরা খুবই চিন্তিত। কারণ আমরা জানতে পারছি না। উনারাও পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি।’ সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, তিনি কী রোগে ভুগছেন, তিনি কেন এলেন না, সরকারের পক্ষ থেকে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। শুধু লেখা আছে, খালেদা জিয়া জেলে অসুস্থ। এই মামলার আগামী তারিখ ধার্য করেছে ৫ এপ্রিল।আরেক আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৯টায় আদালতে এসেছি। দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ফোনালাপ করতে আমরা দেখলাম। তাদের মধ্যে আমরা বিভিন্ন দৌড়ঝাঁপ দেখেছি। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী কারণে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হচ্ছে না। অবশেষে আমরা যেটা দেখলাম, একটা পরোয়ানা জেলখানা থেকে এসেছে। সেখানে আমরা জানলাম, তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ।’
|
|
|
|
॥ রাহাত আমিন অভি, বাগেরহাট ॥ গজালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস হতে পারে দেশের আদর্শ মডেল । আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতি মুক্ত । এক সাহসী উচ্চারন । জমির দাখিলা আনতে গিয়ে অনেকেই শিউরে ওঠেন । প্রতি বছর জমির খাজনা আদায়ে মাইকিং করেও যেখানে পরিমিত রাজস্ব আদায় হতো না । এ অফিসে দাখিলা আনতে গিয়ে ডিজিটাল ব্যানারে চোখ পড়ল । ঐ লেখাটি দেখে গর্বে বুকটা ভরে উঠল। এর আগে এ অফিসটি ঘুষ ও দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন ছিল । কেউ ভয়তে খাজনা দিতে যেত না । যে খাজনা হত সরকারীভাবে তার প্রায় ৫০ গুন বেশি টাকা ঘুষ দিতে হত । এর অনেক প্রমান ও স্বাক্ষ্য বহন করে ভুক্তভোগী জমির কৃষক ও বাড়ির মালিকগন । বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ও ধোপাখালী ইউনিয়নের এ অফিসটি এখন সম্পূর্ন ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত । খাজনা ও দাখিলা কাটতে লাইন পড়ে যায় । যে কৃষক রাজস্ব প্রদান করে এলাকার অন্যকে বলেন অতিরিক্ত টাকা লাগে না । এভাবেই কৃষকদের মুখে বিজ্ঞাপনী সংস্থার মত মাইকিং ছাড়াই ৮০ শতাংশের অধিক রাজস্ব আদায় হয়েছে । ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা রাজস্ব প্রশাসন জনাব মোঃ জাকির হোসেন । তিনি একজন সৎ আদর্শবান এবং সম্পূর্ন ঘুষ ও দুর্নীতিকে গর্হিত কাজ মনে করে একনিষ্ট সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যান সমিতির বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে জেলাবাসীকে এক অনন্য সেবা প্রদান করছেন । জাকির হোসেন এর আগে বাগেরহাট জেলা রেডক্রিসেন্ট যুব প্রধান হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে । অসহায় গরীব মুমুর্ষ রোগীদের ক্ষেত্রে নিজেরা চাঁদা প্রদান করে শত শত ব্যাগ ছাড়াও তিনি নিজে তার শরীর থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ ব্যাগ রক্ত প্রদান করেছেন । জাকির হোসেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থেকে দেশ ও জাতির কল্যানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন । তিনি বাগেরহাট জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শুধু সঞ্চিত অর্থ জমা করতেন । তিনি কোন বেহুদা কাজে খরচ করতেন না । জাকির হোসেন বাগেরহাট সংলাপ সাহিত্য আসরের অন্যতম সংগঠক । তিনি একজন কবি প্রবন্ধকার এবং লেখক । এ অফিসের আওতাধীন মৌজার সংখ্যা ২৩টি । মোট আয়তন ৩০.৮৬ বর্গকিলোমিটার । জমির পরিমান ৮,০৬৬.৫১ একর । এর মধ্যে কৃষি ৭,৯৩৫.৯৮ একর । অকৃষি ১৩০.৫৩ একর । খতিয়ান সংখ্যা ৭,৫০১ টি । মোট হোল্ডিং সংখ্যা ৭,৭৫৫ টি । আবাসিক ১৩৫.৩০ একর । বানিজ্যিক ২.৮৫ একর হাট বাজার দোকানপাট । সরকারী প্রতিষ্ঠান ১২.২১৫০ একর । বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্কুল মাদ্রাসা ১০.১৫ একর । খাস জমির পরিমান ৪৭৫.৯০ একর । গ্রামের সংখ্যা ৩৬ টি । মোট জনসংখ্যা ১,৬৭,০৭০ জন । পুরুষ ৮১,৫৩৫ জন । মহিলা ৮৫,৫৩৫ জন । হাইস্কুল ০৫ টি । সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ টি । মাদ্রাসা ০৩ টি । মসজিদ ৪৩ টি । মন্দির ০৮ টি । ঈদগাহ ০৯ টি । জনাব জাকির হোসেন একজন উন্নত চরিত্রের । অত্যন্ত সাদাসিধে সহজ সরল জীবন যাপন করেন । তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক যে বেতন পাই । তা দিয়ে সংসার সামাজিক কর্মকান্ড রক্ষা করতে সর্বদা নিয়োজিত । অতিরিক্ত অবৈধ টাকার কোন প্রয়োজন বা চাহিদা আমার নেই । আমি আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিরলসভাবে স্বচ্ছ থেকে মানুষের সেবা করতে চাই । জাকির হোসেন ২০১৭ সালের ২১ শে আগষ্ট দায়িত্ব পালনের পর এখানে ভূমির মালিকদের এক প্রকার স্বস্তি ফিরে এসেছে । এলাকার গজালিয়া একটি বৃহৎ বাজার । এখানে সর্বত্রই দোকান এবং ব্যবসায়ীদের মুখে মুখে জাকির হোসেনের গুনকীর্তন এবং এই অফিস দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় বাগেরহাটে অন্যান্য ভূমি অফিস ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে এলাকার জনগন মাননীর জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন । বাংলাদেশের মধ্যে এ অফিসটি হতে পারে দেশের একটি আদর্শ মডেল । আমি মাত্র দু`বার গজালিয়া ভূমি অফিসে এসে এবারই প্রথম এক ব্যাতিক্রমী সেবা প্রদান দেখে সত্যিই মুগ্ধ । জনবল কম হলেও যারা আছেন তারা অত্যন্ত আন্তরিক ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন । এটি আমার নিজ এলাকা আমি নিজে গর্বিত । সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেন এভাবেই দেশের কাজে অগ্রনী ভূমিকা সততা ও আদর্শকে সমুন্নত রাখতে পারেন । আমি তাদের সাফল্য ও নিরাময় জীবন কামনা করছি ।বাগেরহাট জেলার ছোট্ট একটি উপজেলার নাম কচুয়া । এর মধ্যে গজালিয়া ও ধোপাখলী ইউনিয়নের প্রধান অর্থকরী ফসল ধান নারকেল ভূট্টা সুপারী আঁখ তরমুজ মাছের ঘের তাল খেজুর গুড় আর হরেক রকম সবজী ক্ষেত । এ মৌসুমে ধানের ও তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষক ও কৃষাণীর মুখে হাসি ফুটতে শুরু হয়েছে । ভূমি ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী রাজস্ব প্রশাসন জাকির হোসেন বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যান সমিতির বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জবাবদিহিতা নিরপেক্ষতা স্বচ্ছতা ও শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন । এটি তার দৃঢ় চেতা মনোবল । শক্তি সাহস জোগায় প্রতিনিয়ত । ধোপাখালী - গজালিয়া দু`টি ইউনিয়ন যেন সুন্দর একটি বাংলাদেশ । এটি হতে পারে দেশের একটি অন্যতম ঘুষ দুর্নীতিমুক্ত আদর্শ ভূমি অফিস ।
|
|
|
|
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া মাওনা গ্রামে ৮টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। চক্রের সদস্যরা বুধবার সকালে ওইসব পরিবারের বসতভিটার আশপাশের গাছপালা কেটে ফেলেছে। এসময় পরিবারের সদস্যদেরকে উচ্ছেদ করতে মাদকসহ নানা মিথ্যা মামলারও হুমকি দিয়েছে। ওইসব পরিবারের পক্ষ থেকে হযরত আলীর স্ত্রী মোছা: জোসনা আক্তার শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। একই উপজেলার শিরিষগুঁড়ি রিয়াজ উদ্দিন, আহাম্মদ, মাওনা গ্রামের আব্দুর রশিদ, শহীদ এবং তাদের সহযোগীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ডায়েরী সুত্রে জানা গেছে, মাওনা গ্রামের জাবের স্পিনিং মিলস লিমিটেড সংলগ্ন এলাকায় ওই ৮টি পরিবারের লোকজন খাস জমিতে গত ৩০ বছর যাবত সন্তানাদি নিয়া বসবাস করে আসছেন। ঐ জায়গা দখলে নিয়ে অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশে এ চক্রটি বহুদিন দরে বিভিন্নভাবে এ ৮টি ভূমিহীন পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। গত মঙ্গলবার ৬ই জুন সকাল ১১টায় ঐ এলাকার সেলামতের পুত্র অদুতের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন লোক এই ভূমিহীন পরিবারের ছোট বড় অনেকগুলো গাছপালা কেটে ফেলেছে। বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে মাদক এবং নানা ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়। তাছাড়াও ঐ এলাকার গিয়াস উদ্দিনের কন্যা ফাতেমা আক্তার ও তার স্বামী কাজল রানা এ ভূমিহীনদের কে বলেন অত্যাচারের কারণে তোরা এ বসতভিটা থেকে পাওলানোর সময় ঘরে জিনিসপত্র নেওয়ার সময় পাবিনা। সে আরও বলে আমরা এ জায়গাটুকু খালি করে দিলে। কোম্পানি জায়গা দখল করবে। মাওনা ভূমি অফিসের নায়েব জালাল উদ্দিনকে বিষয়টি জানালে তিনি তার প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পাঠান। প্রতিনিধি ঘটনা স্থলে এসে ঐ চক্রের সাথে কথা বলে ভূমিহীনদের সাথে দেখা না করেই চলে যান। এ ব্যাপারে জাবের স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপক প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এডমিন) কাজি হোসেন সৌহরুয়ার্দী সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান বহুদিন আগে কানি পুকুর নামে এ পুকুরটি মাওনা উত্তরপাড়া মৎস্য সমবায় সমিতি মাধ্যমে লিছ নিয়েছে। এই লিছের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন এ বিষয়ে নাছির উদ্দিন সাহেবের সাথে কথা বললে ভাল হয়। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো: জয়নাল আবেদীন জানান, সাধারণ ডায়েরী রুজু নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি একজন পুলিশকর্মকর্তা তদন্ত করছেন। অভিযুক্তদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সাতক্ষীরায় ব্যাপক ভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ রফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার প্রবাহমান আদি যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বাজারের বর্জ্য ফেলার ফলে ব্যাপক ভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। শুধু তা নয় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনে। অতীতে প্রবাহমান আদি যমুনার নদী ভরা যৌবনে দুকূলে আছড়ে পড়া ঢেউ আর জোয়ার ভাটার ¯্রােত হয়তো অনেকে দেখেছে, সে সময় অনেকে পালতোলা নৌকায় চড়েছে ধরেছে বৈঠা। শ্যামনগর উপজেরার প্রবাহমান আদি যমুনার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। তাই অনেকে দুঃখ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদক কে জানায়, বর্তমান সময়ে প্রবাহমান আদি যমুনা তার পুরাতন যৌলুস হারিয়েছে। হারিয়েছে ¯্রােত আর ঢেউ। অবৈধ দখল গ্রাম করেছে যমুনা নদীকে। অবৈধ দখলের ফলে যমুনা নদী একটা সরু ড্রেনে পরিনত হয়েছে। যা বর্ষা হলেই পানিতে ভরে যায়, সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আবার সুষ্ক মৌসূমে যমুনার একবারে শুকিয়ে যায়। সে সময় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারে না। কারণ পানির অভাবে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তারা। বর্তমানে যমুনার সৃষ্টি হয়েছে নতুন সমস্যা একদিকে নেই তার প্রবাহ অন্যদিকে অসচেতন মানুষেরা নিয়মিত ময়লা আবর্জনা ও বজ্য ফোলার কারনে যমুনা নদীতে সৃষ্টি হচ্ছে মারক্তক দুর্গন্ধ। আর শ্যামনগর বাজারের পরিবেশ হচ্ছে ব্যাপক ভাবে দূষিত। উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে যমুনা নদী। যমুনা নদী দিয়ে একদিন চলত লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলার, বিভিন্ন নৌকাসহ নৌয়ান। সে যমুনাতে বইছে না আগের মতো জোয়ার ভাটা। এখন পরিণত হয়েছে ডাষ্টবিনে। শ্যামনগরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলার বাজারসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি, মৎস ঘেরের পানি নিস্কাশনের জন্য যমুনা নদীর উপর তৈরি হয় ব্রীজ। আর ব্রীজের আশপাশে তৈরি হয়েছে দোকান পাট। বাজারের ও দোকান পাটের ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যমুনাতে। ফলে যমুনা নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মাধ্যমে বন্যায় পরিণত হবে এলাকাটি এমনকি অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের। ইতিমধ্যে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন বে-সরকারী সংগঠন আদি যমুনার জোয়ার ভাটা পূর্বেররুপ নিতে পারে সে জন্যে মানব বন্ধন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কয়েকবার। কিন্তু কোন কাজ হয়নি তাছাড়া কিছু প্রভাবশালী মানুষ যমুনা নদীর মধ্যে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। সবাই যমুনা নদীতে যে যার মতো বর্জ্য ময়লা ফেলছে। এ সমস্ত ফেলা বদ্ধ না হলে আদি যমুনা তার প্রান ফিরে পাবে না ধারনা করেছেন এলাকার র্কষক সচেত মহল। এভাবে যমুনা নদী ভরাট হতে থাকলে প্রভাব শালীদের দখল সত্ব কেড়ে যাবে। যতই যমুনার উপরে পাশবিক অত্যাচার বন্ধ আর তার বহমান ফিরে পেতে জন প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সকল সচেতন নাগরিক।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক |
অসুস্থ থাকায় কলেজছাত্রী খাদিজ আক্তার নার্গিস আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়েছে। সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো খাদিজার অনুপস্থিতির কারণে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।
অসুস্থতার কারণে খাদিজা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে রোববার সকালে পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছিলেন তার চাচা ও মামলার বাদি আবদুল কুদ্দুস।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আসামি বদরুল আলমের উপস্থিতিতে আজ খাদিজার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ্য থাকার কারণে খাদিজা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
খাদিজা বর্তমানে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসাধীন। সিআরপির চিকিৎসকের বরাত দিয়ে খাদিজার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিক চিন্তা করে আদালতে আরও এক মাস সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়। আদালত সময় বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন খাদিজা ছাড়া আরও দু’জনের সাক্ষ্য বাকি। তবে বাকি দু’জনের সাক্ষ্য না দিলেও চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। পরদিন ৪ অক্টোবর এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস মামলা করেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215. E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com Tel:+88-02-41010307 Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308
|
|
|
|