বাংলার জন্য ক্লিক করুন

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   বিজ্ঞান-প্রযুক্তি -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকছে ‘জানুয়ারি জুড়েই’



হেড অব নিউজ, মোশতাক রাইহান
জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে এর আগে আশা করা হলেও টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেলের আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) এখনও মেরামত হয়নি বলে ইন্টারনেট গেইটওয়ে কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির জানিয়েছেন।

শুক্রবার তিনি বলেন, “ভারতী এয়ারটেলের কেবল মেরামত কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হতে পারে। আর এ মাসের শেষ নাগাদ টাটা ইনডিকমের কেবল ঠিক হতে পারে।”

সাবমেরিন কেবলের বিকল্প দুটি আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবলের মেরামত শেষ না হওয়ায় বাংলাদেশের ব‌্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ধীর গতির সমস‌্যায় ভুগতে হতে পারে পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে।

বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইথ, ‍যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

বাংলাদেশের ছয়টি আইটিসি অপারেটর প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে এই ব্যান্ডউইথ কিনে দেশে সরবরাহ করছে। এর বড় একটি অংশ টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেল দিচ্ছে বলে সুমন আহমেদ সাবির জানান।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিমও গ্রাহকদের সমস‌্যা নিয়ে একই কথা বলেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ধীরগতি সমস্যা এ মাস পর্য‌ন্ত চলবে।”  

আইএসপিএবি এর আগে বলেছিল, কেবল কাটা পড়ায় বাংলাদেশের গ্রাহকদের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভুগতে হতে পরে।

২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভর করত। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে আইটিসি অপারেটরগুলো কাজ শুরু করে।

এসব অপারেটর টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই বিকল্প ব‌্যবস্থায় তারা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখতে পারে।

চলতি বছরই একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ নামের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে বলে সরকার আশা করছে।

ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকছে ‘জানুয়ারি জুড়েই’
                                  



হেড অব নিউজ, মোশতাক রাইহান
জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে এর আগে আশা করা হলেও টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেলের আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) এখনও মেরামত হয়নি বলে ইন্টারনেট গেইটওয়ে কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির জানিয়েছেন।

শুক্রবার তিনি বলেন, “ভারতী এয়ারটেলের কেবল মেরামত কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হতে পারে। আর এ মাসের শেষ নাগাদ টাটা ইনডিকমের কেবল ঠিক হতে পারে।”

সাবমেরিন কেবলের বিকল্প দুটি আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবলের মেরামত শেষ না হওয়ায় বাংলাদেশের ব‌্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ধীর গতির সমস‌্যায় ভুগতে হতে পারে পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে।

বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইথ, ‍যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

বাংলাদেশের ছয়টি আইটিসি অপারেটর প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে এই ব্যান্ডউইথ কিনে দেশে সরবরাহ করছে। এর বড় একটি অংশ টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেল দিচ্ছে বলে সুমন আহমেদ সাবির জানান।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিমও গ্রাহকদের সমস‌্যা নিয়ে একই কথা বলেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ধীরগতি সমস্যা এ মাস পর্য‌ন্ত চলবে।”  

আইএসপিএবি এর আগে বলেছিল, কেবল কাটা পড়ায় বাংলাদেশের গ্রাহকদের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভুগতে হতে পরে।

২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভর করত। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে আইটিসি অপারেটরগুলো কাজ শুরু করে।

এসব অপারেটর টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই বিকল্প ব‌্যবস্থায় তারা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখতে পারে।

চলতি বছরই একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ নামের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে বলে সরকার আশা করছে।

র‌্যাংকিং ক্রেজ অনলাইন মিডিয়ায়!
                                  

 

হেড অব নিউজ | মানাধিকার খবর |

মাইওয়ে.কম, বেট৩৬৫.কম, সেভফ্রম.নেট, ক্রেজিএইচডি.কম, অ্যাডেক্স.কম। কি বলছেন? চেনেন না এরা কারা? কেনো চিনবেন না? এগুলো বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। অন্তত বাংলা নিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র চেয়ে বেশি।

মাইওয়ে.কম, বেট৩৬৫.কম, সেভফ্রম.নেট, ক্রেজিএইচডি.কম, অ্যাডেক্স.কম। কি বলছেন? চেনেন না এরা কারা?

কেনো চিনবেন না? এগুলো বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। অন্তত বাংলা নিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র চেয়ে বেশি। আরও নাম শুনবেন- দারাজ.কম, ক্লিকসগিয়ার.কম, পোপ্যাডস.নেট, আস্ক.কম, অনক্লিকঅ্যাডস.নেট এরাও এগিয়ে র‌্যাংকিংয়ে।

হাস্যকর ঠেকলেও ঠিক এমনটাই দেখাচ্ছে অ্যালেক্সা র‌্যাংকিং।

অ্যালেক্সা অ্যামাজন.কম’র কোম্পানি। ভার্চুয়াল জগতের স্রষ্টাদের একটি এই অ্যামাজন। তারই সিস্টার কনসার্ন অ্যালেক্সা। সুতরাং বিশ্বাস না করার উপায় আছে?

ইন্টারনেট থেকে কিছু কথা তুলে ধরছি-

দিমিত্রি শারমেন নামে একজন এই প্রশ্নটিই ছুঁড়েছিলেন অনলাইনে- আচ্ছা অ্যালেক্সা র‌্যাংকিংয়ের ওপর আমি কি ভরসা করতে পারি? প্রশ্নটি ছুঁড়েই ক্ষান্ত থাকেননি- একটা অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন। একটি ওয়েবসাইটের কথা জানালেন যার অ্যালেক্সা র‌্যাংকিং ও ডেইলি রিচ কমে যাচ্ছে কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনের ট্রাফিক সোর্সের হার বাড়ছে। এ থেকে কি বোঝা যাবে? প্রশ্ন ছিলো তার। সাইটটি যে অ্যালেক্সা সার্টিফায়েড, সে তথ্যও জানিয়ে রাখলেন শেরমান।

এরপর যে উত্তরগুলো এলো পড়ুন- ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক একটি কোম্পানির পরিচালক ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) বিষয়ক পরামর্শকের কাজ করেন এমন একজন বললেন- অবশ্যই অ্যালেক্সা র‌্যাংকিংয়ে গলদ রয়েছে। এই র্যাংকিংয়ের ওপর আমি মোটেই ভরসা করতে রাজি নই। পাঠকের ট্রেন্ড ছাড়া এই র‌্যাংকিং আর কিছুই দিতে পারে না।

ই-কমার্স ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন অপর একজনের উত্তর ছিলো- নিঃসন্দেহে অ্যালেক্সা খুবই ভুল র‌্যাংকিং করে। আর এর পদ্ধতিও সঠিক নয়। নিজের কম্পিউটারে অ্যালেক্সা টুলবার বসিয়ে স্রেফ নিজে নিজেও সাইট ব্রাউজ করে র‌্যাংকিং বাড়ানো যায়। সুতরাং অ্যালেক্সার ওপর ভরসা না করাই ভালো।

এমন ডজন ডজন উত্তর এসেছে যার কোনওটিতে অ্যালেক্সাকে নিয়ে ইতিবাচক কিছুই নেই।

বাংলাদেশের দিকে আরেকটু তাকানো যাক। দেশে সবাই অনলাইন নিউজ সাইট হিসেবে কিছু ওয়েব সাইটকে চেনে। এর মধ্যে প্রধান দুটি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম আরেকটি বিডিনিউজ২৪.কম। বাংলানিউজ প্রতিষ্ঠার সপ্তম বছরে পড়তে যাচ্ছে। আর বিডিনিউজ দেশের প্রথম অনলাইন সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার এক যুগ পূর্ণ করেছে। বাংলা নিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনই এই বিডিনিউজ২৪.কম’র প্রতিষ্ঠাতা। সেই ২০০৪ সালে যার যাত্রা শুরু। আর বাংলানিউজের যাত্রা শুরু ২০১০ সালে। দেশে-বিদেশে বাংলাভাষাভাষির মুখে মুখে আজ এই দুটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের নাম। বাংলাদেশের খবরের জন্য তাদের ভরসার স্থানও এই দুটি প্রধান অনলাইন।

র‌্যাংকিংয়ে ফিরি। শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক ছিলো। দীর্ঘ একটি সময় ধরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম দেশের নিউজ মিডিয়াগুলোর মধ্যে র্যাংকিংয়ে প্রথম ও বিডিনিউজ২৪.কম তৃতীয় অবস্থানে ছিলো। এ সময় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলো দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সন।

মূলত বাংলা ভাষায় ওয়েব সাইট এই তিনটির র‌্যাংকিং ছিলো যথাক্রমে পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম।

এসময় এক নম্বরে ছিলো গুগল.কম, দ্বিতীয় ছিলো ফেসবুক.কম, তৃতীয় গুগল.কম.বিডি চতূর্থ ইয়াহু.কম, ষষ্ঠ ইউটিউব.কম।

মূলত সারা বিশ্বের দেশে দেশেই গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক, ইউটিউব, উইকিপিডিয়া র‌্যাংকিংয়ে প্রথম দিকে থাকে। কারণ এগুলো আন্তর্জাতিকভাবেই প্রয়োজনীয় এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন কিংবা সাইট। এবং কোনও দেশেরই নিজস্ব কোনও ওয়েবসাইট নেই যা এগুলোর চেয়ে বেশি ব্রাউজিং হয়।

এর মধ্যে সাইবার জগতে আরেকটি বিষয় সামনে এলো- অন লাইনের অর্থনীতি। বিশ্ববাসী যখন ভার্চুয়াল জগতে ঢুকে পড়েছে, ওয়েব সাইটগুলোর নির্ভরতাও যখন নিশ্চিত হয়েছে তখন, এতদিন যেসব সেবা ছিলো ফ্রি তা এখন অর্থ আয়ের পথ খুঁজতে লাগলো। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান র‌্যাংকিং করতো, অ্যালেক্সা যাদের অন্যতম, তারা পদ্ধতি বের করলো কিভাবে এই খাতে আয় করা যায়।

প্রথমে র‌্যাংকিং বাড়ানোর ক্রেজ সৃষ্টি করে পরে সেই ক্রেজকে পুঁজি করলো অ্যামাজন.কম এর এই কোম্পানি অ্যালেক্সা।

সবাই চায় র‌্যাংকিং... র‌্যাংকিং....র‌্যাংকিং।
অ্যালেক্সা র‌্যাংকিং সাইট
তো নতুন নতুন টুলস বাজারে আনলো অ্যালেক্সা... এই খরচ করলে র‌্যাংকিং বাড়বে... ওই খরচ করলে র‌্যাংকিং বাড়বে এমন সব। এটা কেনো ওটা ডাউনলোড করো, ইত্যাদি।

ততদিনে বাংলাদেশে শুরু হলো আরেক নতুন ক্রেজ। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠতে শুরু করলো অনলাইন। অনলাইন বা ওয়েব সাইট হলে ক্ষতি ছিলো না, এদের অধিকাংশই হয়ে উঠলো অনলাইন সংবাদমাধ্যম নামধারী। হাজার হাজার অনলাইন সংবাদমাধ্যম আত্মপ্রকাশ করলো।

অফিসের কেরানি, রাজনৈতিক দলের পাতিনেতা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসাধু ব্যবসায়ী এদের অনেকেই রাতারাতি হয়ে উঠলেন অনলাইনের মালিক-সম্পাদক- সাংবাদিক। এরাই দলে দলে ছুটলেন সচিবালয়ে। শত শত জমা পড়লো অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের আবেদন। ফলে সরকার হিমশিম খেয়ে বললো- অনলাইনের জন্য নীতিমালা করা হবে।

সে অন্য কিসসা। আলোচনা র‌্যাংকিংয়েই থাক।

এই যে শত শত অনলাইন তার মধ্যে কিছু কিছু সাইট ভালো চিন্তা থেকেও হলো। ফলে তাদের আগ্রহ ছিলো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার। সেক্ষেত্রে তারা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ব্যস্ত হলেন। অনলাইনগুলোতে মোটামুটি নাম রয়েছে এমন কিছু মধ্যম গোছের সাংবাদিক কেউ সম্পাদক, কেউ উপদেষ্টা সম্পাদক, কেউ, বার্তাপ্রধান, কেউ এডিটর ইন চিফ এমন গালভরা পদবী ধারন করলেন। এরা মালিকের (সামান্য হলেও যারা অর্থ লগ্নি করেছেন তারাই তো মালিক) কাছে গিয়ে নানা স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন। আমি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে অন্যতম উচ্চতায় নিয়ে যাবো... এটা সেটা।

সে যাই হোক এই যে, অপরিপক্করা কিছু কিছু জায়গায় দায়িত্ব পেলেন তারা অনলাইন সাংবাদিকতাকে করলেন কলুসিত (তাদের নিজেদের ভাষায় নতুন উচ্চতায়)।

কিভাবে কলুসিত? সে প্রশ্ন আসবেই।

এই দলটি অনলাইন সাংবাদিকতাকে কাট-পেস্ট জার্নালিজমে পরিণত করলেন। সাংবাদিকতায় নতুন মাত্রা বটে! তবে তা কোনও সাংবাদিকতা নয়, স্রেফ চুরি। অন্যের কনটেন্ট চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া।

মূলধারার একটি অনলাইনে (বাংলানিউজ ও বিডিনিউজ) কোনও খবর এলেই এরা তা কাট-কপি-পেস্ট করে হুবহু নিজেদের নামে প্রকাশ করতে থাকে এই গজিয়ে ওঠা সংবাদমাধ্যমগুলো।

চৌর্য্যবৃত্তির পাশাপাশি এরা আরেকটি বিষয় চালু করে তা হচ্ছে- নোংরা কনটেন্ট। বিছানায় স্ত্রীকে খুশি করার ১০ উপায়, পুরুষাঙ্গের আকার বড় করার উপায়, নায়লা নাঈমের রাতের ক্ষুধা, সানি লিওনের যৌনজ্বালা এমন সব আইটেম তারা সংবাদ মাধ্যমের নাম ধারণ করেও প্রকাশ করতে থাকে। যা মূলত ‘চটি’রই নামান্তর।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে আরেকটি ট্রেন্ড শুরু হয়। দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনে এগিয়ে যাওয়া দেখে আরও কয়েকটি সংবাদপত্র (এখন প্রায় সবগুলো) তাদের অনলাইন ভার্সন চালু করে। এই সংবাদপত্রগুলো তাদের নিজেদের সংবাদপত্রের কনটেন্ট দিয়ে অনলাইনে জনপ্রিয়তা অর্জনে সচেষ্ট না হয়ে (যা প্রথমআলো করেছে) উল্টোপথে অর্থাৎ সস্তা জনপ্রিয়তার পথে হাঁটতে শুরু করে।

মূল সংবাদপত্রের কনটেন্ট দিয়ে যদি অনলাইনে পাঠক আকৃষ্ট করা যেতো তাহলে দেশের সবচেয়ে বেশি সার্কুলেশনের সংবাদপত্রটির অনলাইন র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকতো না।

এক্ষেত্রেও দেখা যায় কিছু কিছু সংবাদপত্র তাদের অনলাইনের দায়িত্বটি সেই সব বাকপটু অর্বাচীনদের হাতে দিয়েছে, যারা সাইটকে অল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে, অল্প আয়েশে দেশের সেরা বানিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মালিক পক্ষের দৃষ্টি কেড়েছে।

এক্ষেত্রে তাদেরও পথ একটাই ওই কাট-কপি-পেস্ট। নিজেদের সংবাদপত্রে যা কিছু প্রকাশিত হয় তা অনলাইনে খাবে না সেটা জানা। অনলাইনের জন্য চাই তাজা খবর। কনটেন্টের ভ্যারাইটি। সেক্ষেত্রে কাট-পেস্টই ভরসা। কারণ এদের সংবাদকর্মীরা দ্রুততর সময়ে খবর সংগ্রহ ও তৈরিতে আগ্রহী যেমন নয়, যোগ্যও নয়।

এর পাশাপাশি ওইসব গজিয়ে ওঠা অনলাইনের মতো এরাও ভরসা করলো সেই দশ উপায়, পাঁচ উপায়, রাতের ক্ষুধার মতো সুরসুরিমূলক কনটেন্টের ওপর। বলিউড হলিউডের কিছু কিছু নোংরা ছবি এরা প্রকাশ করতে থাকে। যা তাদের প্রিন্ট ভার্সনে না থাকলেও অনলাইনে জায়গা পায়।

এর পাশাপাশি এরা আরেকটি কাজ করলো তা হচ্ছে অর্থব্যয়।

আগেই বলেছি অ্যালেক্সাসহ র‌্যাংকিং ওয়ালারা ততদিনে অর্থ আয়ের ধান্ধা শুরু করেছে। সেই ধান্ধায় সাড়া দিয়ে এরা অর্থ খরচ করে র‌্যাংকিং বাড়ানোর কাজে নেমে পড়লো। আর তাতে সনৈ সনৈ করে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে গেলো।

অ্যালেক্সা র‌্যাংকিং বাড়ে কিভাবে: আপনি ন্যুনতম ১৪৯ ডলার খরচে অ্যালেক্সা ভেরিফায়েড হবেন। আর প্রতিমাসে ওই অংক পরিশোধ করে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবেন। তবেই আপনার র‌্যাংকিং স্টেডি থাকবে। অ্যালেক্সা টুলবার ডাউনলোড করে নেবেন। আছে অ্যালেক্সা উইডগেট ডাউনলোড করবেন তাতে সুবিধা পাবেন। সেই উইডগেটও আবার অবসরে গেছে গত অক্টোবরে। কিন্তু এগুলো করলেই যে এগিয়ে যাবেন তা নয়- এরপরেও প্রতিমাসে আপনি অ্যালেক্সার অফার পেতে থাকবেন। এসইও অডিট রিপোর্ট, কি ওয়ার্ড রিসার্চ ফর এসইও সাকসেস, গেস্ট ব্লগিং, নিউ অপরচুনিটি, গ্রোথ অপরচুনিটি, মিসড অপরচুনিটিস এমন সব ক্যাচি শব্দে আপনাকে ই-মেইল পাঠাবে। এসব পেতে ডলার লাগে। খরচ করলে র‌্যাংকিং বাড়ে।

অ্যালেক্সা তার সাইটে কিভাবে র‌্যাংকিং বাড়বে সে জন্য কিছু হিতপোদেশও দিয়েছে। যার মধ্যে ইউনিক কনটেন্ট লেখার জন্য বলেছে, আরও বলেছে নিয়মিত কনটেন্ট লেখার জন্য। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট পোস্ট দেওয়ারও উপদেশ রয়েছে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে এই হিতপোদেশের পর নিয়মিত কনটেন্ট না লিখেও কিভাবে র‌্যাংকিং বাড়ানো যায় তার জন্যও অফার রয়েছে, যা অর্থ খরচ করে পাওয়া সম্ভব। দেখবেন আপনার মেইল বক্সে এসে হাজির- নতুন কনটেন্ট না দিয়েও কিভাবে অরগ্যানিক ট্রাফিক বাড়ানো যাবে তার অফার।

এসব সুবিধা নিয়ে কনটেন্ট মূল্য থাক না থাক, র‌্যাংকিংয়ে তো এগিয়ে, এই বলে বাংলাদেশের একটি দল বুক চিতিয়ে দেশের অনলাইন জগতের সেরা বলে নিজেদের ঘোষণা দিতে শুরু করে।

আর এই ইঁদুর দৌড়ে সামিল না হয়ে র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ে মূল ধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো।

তবে তাতে কিছু এসে যায় না, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের পাঠকও তেমনই বাড়তে থাকবে। মানুষ খবর জানতে চায়, যখনকার খবর তখনই। আর সে জন্য এখনো বাংলানিউজকেই খোঁজে। কারণ বাংলানিউজ ব্রেকিং নিউজ দেয়। এই সাইটে প্রতিদিন তিন শতাধিক আইটেম প্রকাশিত হয়। বহু বিষয়ের কনটেন্ট এখানেই পাওয়া যায়।

র‌্যাংকিংয়ে এগুনো যে অর্থ খরচে সম্ভব সে তথ্য নেটিজেনদের জানা। ফলে হামবড়া ভাব নিয়ে লাভ নেই। নিজের কনটেন্টকে সম্মৃদ্ধ করতে হবে। তাতেই সত্যিকারের পাঠক মিলবে।

যারা ‘চটি’ জাতীয় লুজ কনটেন্ট দিয়ে জনপ্রিয়তা ধরতে চান, তাদের জন্য তথ্য হচ্ছে- ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট-২০১৬ নামে রয়টার্স সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে এসব কারণে সংবাদমাধ্যমের ওপর পাঠক আস্থা হারাচ্ছে বলেই তুলে ধরা হয়েছে।

র‌্যাংকিং বাড়ানোর প্রবণতারও সমালোচনা এখন চলছে ব্যাপক হারে। র‌্যাংকিং যারা করছে তাদেরও রয়েছে নানা অসাধু ব্যবস্থা (শর্ষের মধ্যেই ভূতের অবস্থান যেমন)। ফলে অ্যালেক্সায় ভরসা নয়। আর অ্যালেক্সার র‌্যাংকিংয়ে মন খারাপও নয়।

একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কতগুলো কাজ করে যেতে হবে তাতেই পাঠকের আস্থা অর্জন করা যাবে, পাঠকপ্রিয়তা মিলবে। নিজের কনটেন্ট নিজেই তৈরি করা, কনটেন্টের ভ্যারাইটি নিশ্চিত করা। অনলাইন সংবাদমাধ্যমটিকে সত্যিকার অর্থে মাল্টিমিডিয়া হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে ভিডিওতে দিতে হবে সবচেয়ে বেশি জোর। অ্যালেক্সা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে এখন কিন্তু ইউটিউবই এক নম্বরে, হয়তো বিশ্বেও।

আরেকটি তথ্য দিয়ে রাখি (নিঃসন্দেহে অবিশ্বাস্য)। বাংলাদেশে এখন ফেসবুকের চেয়েও র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে রয়েছে একটি সংবাদপত্র।

ফেসবুকে এই সংবাদমাধ্যমটির লাইক এক কোটি। অর্থ খরচ করলে ফেসবুকও এখন লাইক বাড়ায়, সে নিয়ে অন্য সুযোগে লিখবো।

গত আগস্টে বিটিআরসির একটি তথ্যে বলা হয়েছে-বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৪০ লাখ। অপর একটি খবরে এর আগে দেশের প্রধান ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার জানায় দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৮০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহার করে। সেই হিসেবে ৫ কোটি ১২ লাখ বাংলাদেশি ফেসবুকে রয়েছে।

দেশের মানুষ ওই সংবাদপত্রটি বেশি পড়ে নাকি ফেসবুক বেশি দেখে সে প্রশ্ন করাই বাহুল্য। তাহলে বলাই যায় এসবই র‌্যাংকিংয়ের কারসাজি। ঘাবড়াবেন না।

গ্রামীণফোনের ‘০১৩’ সিরিজ চূড়ান্ত হচ্ছে
                                  

 

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

বিদ্যমান নম্বর সিরিজ ফুরিয়ে আসায় গ্রামীণফোনের নতুন নম্বর সিরিজ ‘০১৩’ এর অনুমোদন নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ৩০ অক্টোবর রোববার বলেন, ‘০১৩’ কোড গ্রামীণফোনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নম্বর সিরিজের চূড়ান্ত অনুমোদন হলে কিছু প্রক্রিয়া শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা ‘০১৭’ এর পাশাপাশি ’০১৩’ সিরিজ ব্যবহার করতে পারবেন। গত ২১ আগস্ট বিটিআরসি’র কমিশন সভায় কিছু শর্ত অনুসারে গ্রামীণফোনকে নতুন এই নম্বর সিরিজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে নতুন নম্বর সিরিজ চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন।

 

রাম্বুটান বাংলাদেশের মাটিতে চাষ
                                  

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

বাংলাদেশের মাটিতে এই প্রথমবারের মতো মনকাড়া রসালো থাইল্যান্ডের রাম্বুটান ফলের চাষাবাদে সফলতা অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অজপাড়াগাঁয়ের ওসমান গনি। তিনি নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একজন সাধারণ পল্লী চিকিৎসক।

থাইল্যান্ডের অতি সুস্বাদু, পুষ্টিকর রাম্বুটান ফলের সাথে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মোটেও পরিচিত নন। কিন্তু যারা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়া গেছেন তারা ওই ফলটির সাথে পরিচিত। জনপ্রিয়তার কারণে ওইসব দেশে প্রচুর পরিমাণে রামভুটান চাষাবাদ হয়ে থাকে। রাম্বুটান দেখতে অনেকটা আমাদের দেশীয় কদম ফুলের মতো। কাঁচা অবস্থায় এই বিদেশী ফলটি দেখতে সবুজ বর্ণের হলেও পাকার পর টকটকে লাল রং ধারন করে। ছোট, বড় সবার কাছে আগ্রহের কারণে বিদেশী অতি লোভনীয় সুমিষ্ট এই ফলটির চাহিদা দিন দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

এ দিকে দেশের মাটিতে বিদেশী ফলের চাষ করে পল্লী চিকিৎসকের ভাগ্য বদলের সংবাদে অনেকে এখন উৎসাহী হয়ে সেখান থেকে রাম্বুটানের চারা সংগ্রহ করছেন। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিলাষ চন্দ্র পাল, অন্যান্য কর্মকর্তারা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ওই ফলটি পরখ করে দেখতে ওসমান গনির বাড়িতে ছুটে যান। ফলটি খেয়ে তারা সবাই প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেখানে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে কিছু ফল সাথে করে নিয়ে যান।

ওসমান গনি নিজেকে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র রাম্বুটান ফল চাষে সফল ব্যক্তি দাবি করে বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন শেষে ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে আসার সময় নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য দুই কেজি রামভুটান সাথে নিয়ে আসেন। ফল খাওয়ার পর অবহেলায় এমনিতে বীজগুলো অন্যান্য উচ্ছিষ্টের সাথে বাড়ির আঙিনায় ফেলে দেন কোনো কিছু না ভেবেই। কিন্তু কিছুদিন পর ফেলে দেয়া ওই বীজ থেকে অঙ্কুরিত হয়ে চারার জন্ম নিয়ে অযতœ অবহেলায় বাড়তে থাকে। বাড়ির আগাছা পরিষ্কার করার সময় ওসমান গনির দৃষ্টিতে পড়ে রাম্বুটানের দু’টি চারা। তখন তিনি আগ্রহী হয়ে চারা দু’টির পরিচর্চা করতে থাকেন। চার বছর পর চারা দুটি বড় হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে প্রথম ফলন দিতে শুরু করে। বছরের জুন থেকে জুলাই এই দুই মাস রাম্বুটান পরিপক্ব হয়ে খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।

এ বছর ওসমান গনি একটি গাছ থেকেই ৯০ কেজি ফল সংগ্রহ করেন বলে দাবি করেছেন। প্রতি কেজি রাম্বুটান ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন। রাম্বুটান ও চারা বিক্রি করে তিনি এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। জমি বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়েও আলোর মুখ দেখতে না পেয়ে শেষে হতাশ হয়ে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে আসেন ওই পল্লী চিকিৎসক। ওই ফলের অছিলায় তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ায় তিনি এখন ঘরে বসে অতি সহজেই অর্থ উপার্জন করছেন। এই সফলতায় তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে রাম্বুটান চাষের চিন্তা-ভাবনা করছেন। ওসমান গনি জানান, তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাম্বুটান প্রত্যক্ষ করে প্রফেসর শামছুল আলমের সাথে এ বিষয়ে মত বিনিময় করেছেন। কিন্তু সঠিক পরিচর্চার অভাবে কেউ সফলতা অর্জন করতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো: আব্দুর রহিম নয়া দিগন্তকে বলেন, রাম্বুটান সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। লিচু জাতীয় ওই ফলটির নানা গুণাগুণ রয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদের দেশের উপযোগী কলমের চারা এনে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব। তবে পাহাড়ি এলাকায় এর ফলন ভালো হয়ে থাকে। শুনেছি নেত্রকোনায় কে যেন ওই ফলের চাষ করছেন। তিনি কোন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন, বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর ব বোঝা যাবে আসলে এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা কতটুকু। অনেক চেষ্টার পর গত বছর বাকৃবির ১১ টি গাছে ফলন দিলেও এ বছর একটি গাছেও কোনো ফল দেয়নি। তবে এ নিয়ে আমাদের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।

 

 


ক্ষীন দৃষ্টির কষ্ট ভুলে যান
                                  

 

স্বাগতা বসু, কলকাতা থেকে

 

যখন চোখের দৃষ্টি ধীরে দীরে নিভে যায়, জীবনটাও হঠাৎ থমকে যায়। ক্ষীন দৃষ্টির কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দেখানোর কর্ম যজ্ঞে যার অবদান সবচেয়ে বেশী, তিনি হলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় অপটোমেট্রিস্ট ও লো-ভিশন বিশেষজ্ঞ শুভাশিষ চৌধরী। আমেরিকার বিখ্যাত লো-ভিশন বিশেষজ্ঞ (OD) ডাঃ হেনরী গ্রীনের সান্নিধ্যে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে কলকাতা তথা ভারত থেকে ক্ষীণ দৃষ্টিকে চির বিদায় করার লক্ষ্যে নিরন্তন কাজ করছেন তিনি। সোহম লো-ভিশন এইড অ্যান্ড অকিউলার প্রসথেসিস সেন্টারে চৌধুরি, নিয়ে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্টস্ যার মাধ্যমে ক্ষীন দৃষ্টির কষ্ট থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবে মানুষ। সোহমে আছে এমন সমস্ত সহায়ক যন্ত্র যা ক্ষীন দৃষ্টির রোগীকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। এই যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে অন্যতম, পোর্টাবেল Video Magnifier-এর সাহায্যে ৩.৫-২২ পর্যন্ত ম্যাগনিফিকেশন সম্ভব। যে কোন লেখাকে বড় করে দেয় এই Magnifier-এবং ক্ষীন দৃষ্টি সত্ত্বেও স্বাচ্ছন্দে যে কোন লেখা খবরের কাগজ একাডেমিক বই-অর্থাৎ প্রায় সব কিছুই স্বাভঅবিকভাবে পড়তে পারবে রোগীরা। চৌধুরী আরও জানান. যে কাছের দৃষ্টিকে ম্যাগনিফাই করার জন্য যেমন Video Magnifier - সেরকমই দূরের দৃষ্টির জন্য আছে Outech Ves sports-এটি এমন একটি অত্যাধুনিক চশমা- যার সাহায্যে দূরের যে কোন জিনিস দেখতে সক্ষম হবেন আংশিক দৃষ্টি আক্রান্ত মানুষ।TV দেখা থেকে প্রিয়জনের মুখ; রাস্তা ক্রস করা থেকে বাসের নাম্বার ঠাহর করা- সবকিছুই খুব সহজে সম্ভব করে Outech Ves sports এ ছাড়াও Glucoma আক্রান্ত রোগীদের জন্য আছে Fild Expander,Sight Scope.Sec TV and Ves Mini  ঝপড়ঢ়ব. ঝবপ ঞঠ ও ঠবং গরহর এর মতো অত্যন্ত কার্যকারী যন্ত্রসহায়ক যা ভুলিয়ে দেবে যে আপনার ‘ক্ষীন দৃষ্টি’ বলে কোনও সমস্যা আছে। পূর্ণ দৃষ্টির মানুষের মতোই স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবন যাপন করা এখন শুধু এক পদক্ষেপ দূরে - সোহম।

মধ্যবিত্তের নাগালে , স্বল্প ব্যায়ে, চৌধুরি হাসি ফোটাচ্ছেন বহু মানুষের মুখে। এই রকমই একজনের সাথে কথা বলেছি আমরা। রামকৃষ্ণ মিশনের  ছাত্র, ১৬ বছরের অঙ্কিত দে জানায় তার অভিজ্ঞতার কথাঃ ‘ক্ষীন দৃষ্টির কারনে গোটা জীবনই অবসাদ হয়ে গিয়েছিল। পড়াশুনো, খেলাধুলা, কিছুই করতে পারতাম না। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করতাম। রেজাল্টেও প্রভাবিত হচ্ছিল। কোথাও কোন সুরাহা পাচ্ছিলাম না। পরিবারের সবাই ভেঙে  পড়েছিল। ঠিক তখনই খোজ পাই সোহমের শুভাশিষ চৌধুরির। ছুটে চলে আসি তার কাছে। Video Magnifier যন্ত্রটি আমার হাতে তুলে দেন তিনি এবং পাল্টে যায় আমার জীবন। এখন যে কোন লেখা পড়তে কোন কষ্টই করতে হয় না আমার। খুব তাড়াতাড়ি দূরের দৃষ্টির সমস্যাও মিটে যাবে,কারণ চৌধুরি আমায় Outech Ves sports ও দেবেন যার মাধ্যমে সামাজিক সমস্ত কাজে নতুন করে মূল ¯্রােতে ফিরে যেতে পারব আমি’। অঙ্কিতের মতো হাজার-হাজার ক্ষীন দৃষ্টির মানুষের মুখে শান্তির হাসি ফোটাচ্ছেন সোহমের শুভাশিষ চৌধুরি। “অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে, হাতে ঘন্টা দেড়েক সময় নিয়ে চলে আসুন- ক্ষীন দৃষ্টির সাথে আপনার ‘ভিভোর্স’ নিশ্চিত জানান চৌধুরি। এ ছাড়া আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য আছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ও বৃদ্ধ ব্যাক্তিদের জন্য রয়েছে- বাড়ি গিয়ে ট্রায়েল করানোর ব্যবস্থা।

Diabetes, Macular Degeneration, Albinism, Optic Atropy, Retinitis Pigmentosa Glaucoma-কারণ যাই হোক ক্ষীন দৃষ্টি থেকে মুক্তির একটাই ঠিকানা “সোহম সেন্টার’। সম্পূর্ণ অন্ধ ব্যাক্তি বাদে যে কোনও আংশিক দৃষ্টির রোগীকে জীবনের মূল স্রোতে ফেরাতে অঙ্গিকারবদ্ধ-চৌধুরি

 যোগাযোগ করুন:

Soham Eye Clinic (Lwo Vision Aid Centre),

 56, Ballygunge Gardens, Near P.O. Golpark, Kolkata - 700019.

 Ph. : 033 2460 0348 M. : 9830046332, 9831754444

 Email : mrsubhashish@yahoo.co.in

 Website :ww w.sohameyeclinic.com

ww w.sohamcustommade artificial.in

   Page 1 of 1
     বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকছে ‘জানুয়ারি জুড়েই’
.............................................................................................
র‌্যাংকিং ক্রেজ অনলাইন মিডিয়ায়!
.............................................................................................
গ্রামীণফোনের ‘০১৩’ সিরিজ চূড়ান্ত হচ্ছে
.............................................................................................
রাম্বুটান বাংলাদেশের মাটিতে চাষ
.............................................................................................
ক্ষীন দৃষ্টির কষ্ট ভুলে যান
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308
    2015 @ All Right Reserved By manabadhikarkhabar.com    সম্পাদকীয়    আর্কাইভ

   
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale