করোনাকালে অসহায় পরিবারের পাশে মানবাধিকার খবর
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : গত ১২ আগস্ট ২০২০ বিকেলে মানবাধিকার খবর পত্রিকার মতিঝিল অফিসে করোনাকালীন এই সংকট মুহূর্তে একটি অসহায় পরিবারের হাতে ২২ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ, গত এক বছর আগে ঢাকার উত্তরায় একদল সন্ত্রাসী উবার চালক মোঃ আরমান কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার প্রাইভেট গাড়িটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর দুই বাচ্চাসহ আরমানের স্ত্রী রাবেয়া অসহায় হয়ে পরে, শুরু হয় তাদের মানবেতর জীবনযাপন। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস এর মহামারী পরিস্থিতির এই সংকট মুহূর্তে কেউ তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এই অসহায় পরিবারের সহায়তায় এগিয়ে এলেন। পরিবার এর পক্ষে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার এসোসিয়েশন সেক্রেটারি বেলাল হোসেন এই আর্থিক অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। আর্থিক অনুদানে সহায়তা করেন মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা রাহেলা রহমান।
করোনার এই সংকট মুহূর্তে অসহায় মানুষের মাঝে চলমান আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার এসোসিয়েশনে সদস্যবৃন্দ, মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা, প্রতিনিধি ও শুভাকাঙ্ক্ষীগন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগেও মাসিক মানবাধিকার খবর করোনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। গত ৯ জুন ২০২০ প্রায় ৫ হাজার অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : গত ১২ আগস্ট ২০২০ বিকেলে মানবাধিকার খবর পত্রিকার মতিঝিল অফিসে করোনাকালীন এই সংকট মুহূর্তে একটি অসহায় পরিবারের হাতে ২২ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ, গত এক বছর আগে ঢাকার উত্তরায় একদল সন্ত্রাসী উবার চালক মোঃ আরমান কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার প্রাইভেট গাড়িটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর দুই বাচ্চাসহ আরমানের স্ত্রী রাবেয়া অসহায় হয়ে পরে, শুরু হয় তাদের মানবেতর জীবনযাপন। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস এর মহামারী পরিস্থিতির এই সংকট মুহূর্তে কেউ তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এই অসহায় পরিবারের সহায়তায় এগিয়ে এলেন। পরিবার এর পক্ষে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার এসোসিয়েশন সেক্রেটারি বেলাল হোসেন এই আর্থিক অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। আর্থিক অনুদানে সহায়তা করেন মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা রাহেলা রহমান।
করোনার এই সংকট মুহূর্তে অসহায় মানুষের মাঝে চলমান আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার এসোসিয়েশনে সদস্যবৃন্দ, মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা, প্রতিনিধি ও শুভাকাঙ্ক্ষীগন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগেও মাসিক মানবাধিকার খবর করোনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। গত ৯ জুন ২০২০ প্রায় ৫ হাজার অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি সদস্য, ফেয়ার বিল্ডার্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এস.এম জাহিদুর রহমান "এর সার্বিক সহযোগিতায় মহামারী করোনাকালে খুলনা দীঘলিয়া উপজেলা, সেনহাটি গ্রামের "সূর্য-দীঘল বাড়ীতে এলাকার জুট মিলস শ্রমিক, নৌকার মাঝি, ভ্যান চালক, দিন-মুজুর, নিম্ন-মধ্যবিত্ত কর্মহীন মানুষ, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারগুলির মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরন করেন।
|
|
|
|
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :
পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেন এর উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেনের তত্ত¡াবধানে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাঁচশতহতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। গত ২৩ মে, গজারিয়া থানা কমপ্লেক্স চত্বরে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রতিটি পরিবারের মাঝে চাল,ডাল,তেল,লবণ, চিনি, সেমাই সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. হান্নান খান, গজারিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামীম ফরাজী, মহিলা সভানেত্রী কাকলি আক্তার কাকন, গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন সাংবাদিক দৈনিক আলোকিত সকালের সুজন বেপারী, দৈনিক ইনকিলাবের মোঃ রনি শেখ, অনলাইন পোর্টাল আলোকিত মুন্সিগঞ্জের সম্পাদক ইমন হোসাইন ও গজারিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ মোঃ সোহাগ চৌধুরী জয় সহ অন্যান্ন নেতাকর্মী বৃন্দ।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক পরতে উদভুদ্ধ করন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির’র যুগ্ন আহবায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম নেতা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মোংলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে প্রায় তিন হাজার সাস্ক হস্তান্তর করেন গত ১৮ জুন।
বিএনপি নেতার প্রেরণকৃত এই সাস্ক মোংলা উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোংলা উপজেলা যুবদল ধারাবহিক কর্মসূচী গ্রহন করে। ২১ জুন উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন, মিঠাখালি ইউনিয়নে নেতাকর্মীদের মাঝে এবং ২২ জুন চাদপাই ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রেরণ করে। ধারাবাহিক ভবে প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মাঝে এই মাস্ক পৌছে দেবে বলে জানা যায়।
উপজেলা যুবদলের মাস্ক প্রেরণ কর্মসূচীর নেতৃত্ব প্রদান করেন মোংলা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা যুবদলের সদস্য এম সাইফুল ইসলাম, মোংলা উপজেলা যুবদলের নেতা মোল্লা সফরুল হায়দার সুজন। ধারাবহিক কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকেন মোংলা সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক খালিদ মাহমুদ সোহাগ, মিঠাখালী ইউনিয়ন যুবদলনেতা এফ এম হাসান, মোসাল্লী সাইফুল ইসলাম, মোংলা থানা ছাত্রদল নেতা মঈনুদ্দিন সহ প্রতিটি ইউনিয়নের স্থানীয় নেতাকর্মী।
এসময় স্থানীয় সকল নেতাকর্মদিরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরিধান করে গুর্শতার সাথে চলা-ফেরা করতে বলেন ইপজেলা যুবদল নেতৃবৃন্দ। এর আগে তিনি ঈদুল ফিতরে অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : মানুষ মানুষের জন্য এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই দেশের যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গরীব ও হত দরিদ্রদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন কুমিল্লার এ কৃতি সন্তান। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের নির্দেশনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাড়ে ১২শ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রেমোটেক্স গ্রæপের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান কামাল উদ্দিন।
করোনাকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে অসহায়, হতদরিদ্র ও নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে চাল, তেল, আলু, ডাল, পিঁয়াজ এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। জানা যায় এর আগে উপজেলার চিওরা ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
মো. কামাল উদ্দিন বলেন চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের নির্দেশ মোতাবেক আমি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সামান্য চেষ্টা করছি, ঘরবন্দী খেটে খাওয়া মানুষের একমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করে দিতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল। তিনি আরো বলেন আপনাদের প্রিয় মুজিব ভাই। আপনারা সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। যথাসম্ভব ঘরে থাকবেন। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না।
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন : মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভূতি কি পেতে পারে না মানুষ। বিখ্যাত মানুষের অক্ষাত কথাগুলিকে সামনে রেখে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে চলছে মানবতার কল্যানে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর। মানবিকতা ও মনুষ্যত্ব দিয়ে মানুষই পারে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে,সেজন্য দরকার একটু আন্তরিকতা।
সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে মানবজাতি মহা সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। সেই মুহূর্তে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে মানবাধিকার খবর পত্রিকা।
করোনার এই সংকট মুহূর্তে মানবাধিকার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে সমাজের উচ্চ বিত্তদের অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে আহবান জানিয়েছেন। সেই আহবানে সারা দিয়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা ও সমাজ সেবক রাহেলা রহমানের স্নেহের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আর্থিক অনুদান নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।
মানবাধিকার বিষয়ক নিয়মিত সৃজনশীল বাংলা প্রকাশনা মানবাধিকার খবর পত্রিকার সামাজিক ও মানবিক কাজে আরো গতিশীল এবং মানুষের সহায়তা করার জন্য তিনি এই বিশেষ অনুদান প্রদান করেন। মানবাধিকার খবর এই বিশেষ অনুদানের অর্থ করোনা মহামারীর এই সংকট মুহূর্তে সমাজের নানান শ্রেণির অসহায়, কর্মহীন, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে মাঝে বিতরণ করে।
৯ জুন ২০২০ মংগলবার বিকাল ৩ টায় মানবাধিকার খবর পত্রিকার ৫৩, মতিঝিল অফিসে করোনায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন। এসময় আর্থিক অনুদান গ্রহণকারীসহ মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা, প্রতিনিধি ও শুভাকাঙক্ষীগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস এসোসিয়েশন (উবার,পাঠাও) এর প্রায় পাঁচ সহ¯্রাধিক সদস্যদের মাঝে ও দিনমজুর, রিকশাচালক, দারোয়ান, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তসহ কর্মহীন অসহায় মানুষকে এ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। জনসমাগম এড়ানোর জন্য রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান এবং সেক্রেটারি বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের হাতে এ অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। করোনার কারনে রাইড শেয়ারিং ব্যবসা বর্তমানে বন্ধ থাকায় শিক্ষিত এ লোকজন ও তাদের পরিবার মারাত্মক আর্থিক সংকটে রয়েছে। রাইড শেয়ারিং এসোসিয়েশনসহ অন্যান্যদের নগদ অর্থ সহায়তা সরাসরি ও বিকাশ এবং অন্যান্য মাধ্যমে প্রদান করা হয়। জন ও পরিবার প্রতি ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান করা হয়।
সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি উদ্যোগে যখন করোনায় অসহায় মানুষের অর্থ বা খাবারের সেবা কমে এসেছে, করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত বাড়ছে, ঠিক তখনই মানবাধিকার খবর অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে মানবাধিকার খবর এর করোনায় অসহায় মানুষের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এজন্য দরকার সমাজের বিত্তশালীদের সার্বিক সহযোগিতা।
মানবাধিকার খবর এর কাছে অসংখ্য অসহায় মানুষ সাহায্যের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেককেই আমরা এ পর্যায়ে সহযোগিতা প্রদান করতে পারিনি। তাদেরকে আগামী পর্যায়ে অবশ্যই স্মরণ করবো।
মানবাধিকার খবর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে, মানবতার কল্যানে দেশ বিদেশে থেকে পাচার কৃত অসংখ্য নারী শিশু উদ্ধার করে মা বাবার হাতে তুলে দিয়ে সাফল্য দেখিয়ে। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীেকে সহায়তাসহ বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবাধিকার খবর অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে।
মানবাধিকার খবর প্রতিষ্ঠার ৮ম বছর পার করছে। এ অবস্থায় নিয়ে আসতে মানবাধিকার খবর এর সন্মানিত উপদেষ্টা, প্রতিনিধি, বিজ্ঞাপনদাতা, লেখক, পাঠক, গ্রাহক ও শুভাকাঙ্ক্ষীগন তিলে তিলে সবাই প্রচেষ্টা করেছেন। যাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় মানবাধিকার খবর আজ মানবকল্যানে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে মানবাধিকার খবর কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করছে।
|
|
|
|
রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর এলাকায় কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে বসত ঘর সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এলাকার প্রায় সর্বত্রই কম বেশী ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত্র ৯ টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় ১ ঘন্টা যাবৎ ঘূর্ণিঝড় সহ বৃষ্টি হতে থাকে। এতে বসত ঘর, বোরো ধান, ছোট-বড় গাছ, কারেন্টের পোল সহ আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি। সরজমিনে জানা যায়, নুরনগরের বিভিন্ন এলাকা সহ মানিকপুর এলাকার প্রায় ২০/২৫ টি ঘরের চাল উড়ে গেছে। এ ছাড়া মানিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কারেন্টের পোল সহ একাধিক ঝড় ছোট-বড় গাছ উপড়ে পড়ে আছে। মানিকপুর ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় গরীব-অসহায়দেও বসত ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, আমি নিজে তাদের তালিকা করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর জমা দিয়েছি।নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সুবোল রক্ষিত তিনি ঝড় চলাকালিন সময়ে স্কুলের একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানান।
|
|
|
|
নির্মাণ শেষ না হতেই মেঝেতে ফাটলপক্ষাঘাতে অন্ধ যশোরের বাঘারপাড়ার রায়পুর ইউনিয়নের সদুল্ল্যাপুর গ্রামের বাবর আলী বিশ্বাস। চার সদস্যের পরিবার নিয়ে পূর্বপুরুষের জমির এক কোনায় জীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। সারাদিনের ভিক্ষার টাকাতেই হতো অন্ন সংস্থান। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জোটে একটি আধাপাকা ঘর। ঘর পাওয়ার খবরে যে শান্তি পেয়েছিলেন, তার পুরোটাই বরবাদ। কারণ সেই ঘরের জন্য এখন মোটা অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ক্ষোভের সঙ্গে বাবর আলী জানালেন, `এক বস্তা সিমেন্ট, ১৬ কড়াই বালি, মিস্ত্রি খরচ ১৬শ` টাকা, পলিথিন, তারকাঁটা, পেরেক, কব্জা দিয়েছি। পায়খানার জন্য শুধু টিন আর বাতা দিয়েছে। ৩/৪ জন মিস্ত্রির ৭ দিনের খাওয়া ও মজুরি মিলিয়ে সাড়ে ৮ হাজার টাকা গুনতে বাধ্য হয়েছি। তার পরও ঘর বানানো শেষ না হতেই মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে।` একই অভিযোগ রায়পুর ইউনিয়নের শালবরাট গ্রামের শিখা রানী, বিধান দেবনাথ, বন্দবিলা ইউনিয়নের গাইদঘাট গ্রামের সালেহা বেগমসহ অনেকের। প্রাইভেট পড়িয়ে, অন্যের বাসায় কাজ করে অনেক কষ্টে সঞ্চিত টাকা দিতে হচ্ছে ঘর তৈরির উপকরণ কিনতে। অথচ ঘর বানাতে না বানাতেই খসে পড়ছে পলেস্তরা। `জমি আছে কিন্তু ঘর নেই`- যশোরের বাঘারপাড়ার ৬টি ইউনিয়নে এমন ১৩২ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বসতঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে ৭০টি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। কিন্তু কাজের মান নিয়ে প্রান্তিক পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। তাদের দাবি, টয়লেটসহ ১৭৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ এক লাখ টাকা। তারপরও ঘর নির্মাণে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উপকরণ। ধলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ জানান, তাদেরকে না জানিয়ে কাজগুলো করা হচ্ছে এবং সব কাজই নিম্নমানের। এমনকি এ প্রকল্পের কোনো সভাও হয়নি। তবে তার কাছ থেকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন বলেন, আমি শুনেছি, এই ইউনিয়নে কাজ হচ্ছে। তবে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। নির্বাহী অফিসার নিজেই কাজ করাচ্ছেন বলে কোনো খোঁজ নেননি। উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সদুত্তর পাইনি। তবে এসব বিষয় অস্বীকার করে বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহনাজ বেগম বলেন, `সভা না হলে আমার কাছে তারা অভিযোগ করতেন। আমি তো কোনো অভিযোগ পাইনি। তা ছাড়া কাজ হচ্ছে নির্দেশনামতোই। ঘর পেয়ে সবাই খুশি। আমি নিজে অনেক ঘর দেখেছি। আমার কাছে খারাপ মনে হয়নি। তারপরও কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।` যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
॥ মোঃ রহমত উল্লাহ পাটোয়ারী, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের হানুবাইশ গ্রামের নাপিত বাড়ির পানির সেচকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ নূর আলমের বসতঘরে অর্তকিত হামলা চালিয়ে আসবাহপত্র ভাংচুর লুটপাট ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৩জনকে মারাতœক আহত করে। আহতদেরকে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হানুবাইশ নাপিত বাড়ির নূর আলম বাড়ির পাশে খালের পানি সেচ করেছে, এ সময় ডারি লোকজন বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকায় বাধা দেয়। বাধা না মেনে নুর আলম পানি সেচ করায় রবিন, পলাশ, রুবেল ও সাব্বিরের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে নুর আলমের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ফাতেমা আক্তার, কামরুন নাহার ও নূর আলমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ষ্টিলের সুকেইচ-আলমারী ভেঙ্গে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা সহ ১লক্ষ ২০হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
॥ মোঃ জানে আলম সাকী, কক্সবাজার ॥ রাখাইন রাজ্যে পরিকল্পিত গণহত্যার জন্য অনচান সুচিকে দায়ী করলেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ৩ নারী। এ জন্য তারা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবীও জানিয়েছেন। সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে কক্সবাজার শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিসে সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কাল কারমান ও যুক্তরাজ্যের মেরেইড ম্যাগুয়ার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবু কালাম ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে আবু কালাম বলেন ৩ নোবেল জয়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। এরপর তাদের কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুরোচিত্র তুলে ধরা হয়। পরে নোবেল জয়ী এ ৩ নারী বাংলাদেশের মানবিকতার প্রশংসা করেন। তার মনে করেন, রাখাইন রাজ্যে পরিকল্পিতভাবে স্মরণকালের ভয়াবহ এগণহত্যা চালানো হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার বালুখালী, থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। তারা ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে আবেগে-আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় কান্না জড়িত কণ্ঠে গণহত্যার বিচার দাবি করেন তারা। বাংলাদেশের মানবিকতার প্রশংসা করে তারা সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন। তাদের সার্বিক পরিস্থতি নিয়ে সম্মেলন করার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমতকে আরো সুসংহত করতে রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার আসেন শান্তিতে নোবেল জয়ী এ ৩ নারী। ঢাকা নারী পক্ষ নামক নারী সংস্থার সহযোগিতায় তাদের বাংলাদেশ সফরের আয়োজন করা হয়েছে। ১ম দিন দুই গ্রুপের ভিবক্ত হয়ে উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তারা। তারা বালুখালী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন তারা ৩ জন। গত বছরের ২৫শে আগষ্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নোবেল বিজয়ী ৩ নারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরবেন।
|
|
|
|
হেড অব নিউজ। মোশতাক রাইহান | ঘুষ না দেয়ায় আবু সাঈদকে উল্টো করে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় যশোর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৫ জানুয়ারি তাদেরকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রবিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। এছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় ঐ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে রুল জারি ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে যশোরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
|
|
|
|
দেড় কোটি মানুষের বাস রাজধানী ঢাকায়। তবুও জীবিকার তাগিদে এই নগরীকেই বেছে নিচ্ছেন সবাই। তাই প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে। ফলে বাইরে থেকে আসা মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল ভাড়াবাসা। আর এ সুযোগে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ির মালিকরা ভাড়ার বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেন ভাড়াটিয়াদের কাঁধে। সরকারের নিয়ম ও নির্দেশ অমান্য করে ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায়ের চাপে দিশেহারা ভাড়াটিয়ারা।
এছাড়া বাড়ির ভাড়া কেমন হবে, কখন ভাড়া বাড়বে, ভাড়াটিয়াকে কখন উচ্ছেদ করা যাবে, অগ্রিম জামানত গ্রহণ, ভাড়া আদায়ের রশিদ প্রদান, লিখিত চুক্তি, বাড়ি মেরামত ও বসবাস যোগ্য কিনা- বিষয়গুলো নিয়ে কোনো ধরণের আইনে তোয়াক্কা করেন না বাড়ির মালিকরা।
অন্যদিকে, বেশির ভাগ ভাড়াটিয়া বিষয়গুলো না জানায় সব অনিয়ম মুখ বুজে সহ্য করেন।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এর তথ্য মতে, ঢাকায় গত ২৪ বছরে (১৯৯০-২০১৩) বাসাভাড়া বেড়েছে প্রায় ৩৭২ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে।
সূত্রে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গুলশান এলাকার প্রতি বর্গফুট বাড়িভাড়া ১৫ থেকে ১৮ টাকা, বনানীতে ১৪ থেকে ১৬, মহাখালীতে ১১ থেকে ১২, নাখালপাড়াতে ৬ থেকে ৭, কল্যাণপুর-পল্লবীতে ৬ টাকা, উত্তরায় ৫ থেকে ৯ টাকা, শান্তিবাগে ৫ থেকে ৬ টাকা, নয়াপল্টনে ৯ টাকা, শান্তিনগরে ৮ থেকে ৯ টাকা, জিগাতলায় ৮ টাকা ও ধানমন্ডিতে ১১ দশমিক ২৫ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বাড়ির মালিকরা ভাড়া আদায় করছেন এর দ্বিগুণ থেকে তিনগুণেরও বেশি।
হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষিত :
২০১৫ সালের ১ জুলাই এক নির্দেশে বাড়িভাড়া নির্ধারণ এবং বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ‘উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন’ কমিশন গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশে জিম্মিদশায় থাকা ভাড়াটিয়াদের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশের পর ৬ মাসের বেশি সময় পার হলেও নির্দেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি।
বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন হালনাগাদ ও কার্যকরের দাবি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল একটি বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ নামে সংগঠনের ২০১০ সালে করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৭ মে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ১ জুলাই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি এলাকাভেদে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণের জন্য সরকারকে ৬ মাসের মধ্যে একটি ‘উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন’ কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে বলেন, সাত সদস্যের এ কমিশনের প্রধান হবেন আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজীবী। কমিশনে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন গৃহায়ণ ও নগর বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক স্বার্থ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ এবং সরকার মনোনীত সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা। ওই কমিশন ভাড়াটিয়া এবং বাড়ির মালিকদের মতামত শুনে, প্রয়োজনে গণশুনানির মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করবেন।
পাশাপাশি ভাড়াটিয়া-মালিকদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকারের সুপারিশ করার এবং ভাড়াটিয়াদের জিম্মিদশার অবসান ও বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরির পথ নির্দেশ করছে এই রায়।
রায়ে কমিশনের সুপারিশ আইনি কাঠামোর রুপ না পাওয়া পর্যন্ত ১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একজন করে নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক ও উপনিয়ন্ত্রক নিয়োগের উদ্যোগ নিতেও বলা হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরো বলেন, কমিশনের সুপারিশ আইনি কাঠামোতে আসার আগ পর্যন্ত কোনো ভাড়াটিয়াকে যাতে উচ্ছেদ বা ভয়ভীতি দেখানো না হয়, কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা যাতে দ্রুত মেটানো হয় এবং প্রয়োজনে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা যাতে নেয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে সব থানার ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
৮০ ভাগ ভাড়াটিয়া ১৫ ভাগ বাড়ির মালিকের কাছে জিম্মি :
বিভিন্ন জরিপ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে বসবাসকারীদের মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ ভাড়া বাসায় থাকেন। বাড়িভাড়ার হিসেব মিলিয়েই তাদের জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। অর্থাৎ ১৫ ভাগ বাড়িওয়ালাদের কাছে নগরীর কোটি মানুষ অসহায়। বছরের পর বছর ধরে বাড়িভাড়া বাড়ার ফলে ভাড়াটিয়াদের দুর্গতির যেন শেষ নেই।
সম্প্রতি এক জরিপে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারীদের উপার্জনের ৬০ ভাগ ব্যয় হয় বাড়িভাড়ায়। বাকি ৪০ ভাগ দিয়ে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের।
তবে অন্য এক জরিপে জানা যায়, রাজধানীতে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের ৫৫ ভাগ বাসার ভাড়া ও আয়তন সম্পর্কে জানেন না। ফলে বাড়িভাড়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আরো সক্রিয় হওয়া উচিত বলে মনে করছেন ভাড়াটিয়ারা।
বিশেষ প্রতিবেদক
|
|
|
|
প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। সড়ক-মহাসড়কগুলো যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। এতে অসংখ্য জীবন যাচ্ছে। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করছে চিরতরে। এইসব পরিবারের ওপর নেমে আসছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কালোছায়া। অথচ প্রতিকারহীনভাবেই চলছে এই ‘দুর্ঘটনা’ নামক ‘হত্যাযজ্ঞ’। এ নিয়ে অনেক কথা হলেও কাজের কাজ তেমন কিছুই হচ্ছে না। এর প্রমাণ গতকাল রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন মানুষের জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়া। প্রশ্ন উঠেছে এভাবে আর কতোদিন?
দেশের কোনো না কোনো স্থানে প্রতিদিনই কারো না কারো জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে ‘দুর্ঘটনা’ নামক দানবের হাতে। সর্বশেষ ২০ এপ্রিল রংপুরের তারাগঞ্জে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি এর সর্বশেষ সংযোজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
২০ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ইকরচালী বরাতির ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সায়মুন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ওই এলাকায় পৌঁছালে সামনের ডানদিকের চাকা পাংচার হয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর থেকে রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।
এক হিসেবে দেখা যায়, গত ১৫ বছরে দেশে প্রায় দেড় লাখেরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারায়। আহতের সংখ্যা এর চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্রতিবছর দেশের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ২ শতাংশ। নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত সমস্যা, পরিকল্পনা ও নীতির দুর্বলতা, অসচেতনতা ইত্যাদি বিষয় সড়ক দুর্ঘটনা ত্বরান্বিত করছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষকে সেসব সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, এক বছরে প্রায় ২০ হাজার ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়। আহত হয় এক লাখ। এদের বেশিরভাগই পঙ্গুত্ববরণ করে।
কারণগুলো জানা থাকলেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। যানবাহনের অধিক এবং বেপরোয়া গতিই কেড়ে নিচ্ছে অনেকের প্রাণ। রংপুরের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও চালকের বেপরোয়া গতিই অন্যতম কারণ। সংঘর্ষে দু’টি বাসের দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া থেকেই বিষয়টি আঁচ করা যায়। কিন্তু দোষী চালককে এজন্য তেমন কোনো শাস্তি পেতে হয় না। কারো শাস্তি হলে হরতাল ধর্মঘট ডেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা জিম্মিদশা সৃষ্টি করে। সত্যি বলতে কি নানাভাবেই পরিবহন সেক্টরের কাছে মানুষজন জিম্মি। এই দশা যে কবে কাটবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সুষ্ঠু ও নির্বিঘœ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য সমন্বিত ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি। দুর্ঘটনা রোধে চালক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যানবাহনের উচ্চগতি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষী ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং ও ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে হবে। যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া যাবে না। ফুটপাথগুলো দখলমুক্ত করে পথচারী চলার উপযোগী করতে হবে। তুলে দিতে হবে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন। রাস্তা চলাচলে আইন অমান্যের জন্য আরও কঠিন শাস্তি ও জরিমানা আদায় করতে হবে। তাছাড়া রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, একই রাস্তায় নছিমন-করিমনসহ বিভিন্ন গতির যানবাহন চলাচল, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি, চালকের মাদকাসক্তি ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ও সমন্বিত পদক্ষেপে দেশ দুর্ঘটনামুক্ত হবে এ প্রত্যাশা সকলের। দেশের মানুষ সড়কে নিরাপত্তা চায়। তারা এ ধরনের করুণ মৃত্যু ও কান্না আর দেখতে চায় না।
কাজে আসছে না কোনো পরিকল্পনা
সড়ক দুর্ঘটনা অপ্রত্যাশিত হলেও আমাদের দেশে তা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে লাশের মিছিল। চলতি বছরের শুধু দুই মাসেই প্রায় ৩শ’ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে প্রতিবছর প্রায় ৭ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
মৃত্যু মানুষের স্বাভাবিক নিয়তি। তাই বলে যদি এমন হয়, কোনো দুর্ঘটনার ফলে নিমিষেই ঝরে যাচ্ছে একেকটি প্রাণ, তবে তা সত্যিই বেদনাদায়ক এবং একই সঙ্গে উদ্বেগের। কেননা সাম্প্রতিককালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একের পর এক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। অথচ যা সতর্কতা অবলম্বন ও যথাযথ আইন মান্য করলে অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। আমরা তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, বিভিন্ন পেশার কৃতী সন্তানসহ অনেক মানুষকে হারিয়েছি শুধু দুর্ঘটনার কারণে, এটা আমাদের জাতি হিসেবেও দুর্ভাগ্যের। যে ক্ষতি একবার হয়ে গেছে তা আর শুধরানোর কোনো সুযোগ নেই, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন অপরিহার্য। ফলে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না।
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় মৃত্যুসংক্রান্ত যে চিত্র উঠে এসেছে, তা রীতিমতো উৎকণ্ঠাজনক। দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায়ই শুধু গড়ে ৫৫ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে গেল বছর জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংস্থা পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএ)।
সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা সত্য, বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা অনেকাংশেই উন্নত হয়েছে। একটি দেশে যখন প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ৫৫ জন মানুষ মারা যাচ্ছে তখন তাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা স্বাভাবিক ঘটনা বলারও কোনো সুযোগ নেই। গত ১০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাবে দেশে ৩৪ হাজার ৯১৮ জন লোক মারা গেছে যার বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই চালকদের ভুলের কারণে ঘটছে। একই সঙ্গে অবৈধ লাইসেন্স বাণিজ্যরও যে খবর জানা যায় তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আরো পরিতাপের যে যখন একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে মানুষ মারা যাচ্ছে তখনো অদক্ষ চালকরা লাইসেন্স পাচ্ছে যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে এবং আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা তার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ১শ’ ৪৪টি ব্লাকস্পট নির্ধারণ করে তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কয়েকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো ঔষধেই দুর্ঘটনার নিরাময়ক হচ্ছে না। অদক্ষ ড্রাইভার, সড়কের ত্রুটি, দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না হওয়া, ওভারটেকিং আর লাইসেন্সবিহীন পরিবহনই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবার পর থেকে তিনিই প্রথম দেশে ব্যাপকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করছেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)।
নিসচা এর তথ্য মতে, প্রতি বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এ হিসেবে গত ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৭ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে লক্ষাধিক মানুষ। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর জরিপ অনুযায়ী, বছরে কমপক্ষে ১২ হাজার ৮শ’ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় ২০ হাজার ২৩ জন। তবে পুলিশের হিসাবে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ২শ’ ৪১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যায় ২ হাজার ১৪০ জন। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩শ’ জন নিহত ও ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়। ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে দেশে মোট ৪০ হাজার ৯শ’ ২৭টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় নিহত হয় ৩২ হাজার ২শ’ ৬১ জন। আর আহত হয় ২৯ হাজার ৬শ’ ৭৯ জন।
বিশ্বে প্রতিবছর ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ সংখ্যা আরো বেশি। বাংলাদেশে এর পরিমাণ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিভিন্ন দুর্ঘটনার মাঝে ১৯৯০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে ছিল তা ২০২০ সালে ৩য় স্থানে এসে দাঁড়াতে পারে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন যানবাহন সমন্বয় বোর্ড (ডিটিসিবি)’র হিসাবে, ১৯৯১ সালে রাজধানীতে পথচারীরা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৬৭ শতাংশ তা ২০০৮ সালে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে। তার মধ্যে শহরে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে বাস, ট্রাক ও মিনিবাসের কারণে।
নিসচা-এর তথ্য মতে, ২০১৪ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬ হাজার ৫৮২ জন। জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৪টি। এতে নিহত ৪২৫, আহত ৬৪৬ জন। ফেব্রুয়ারিতে ১৯১টি দুর্ঘটনায় নিহত ৪৪৭, আহত ৯১৫ জন। মার্চে ২১৪টি দুর্ঘটনায় ৪৯৭ জন নিহতসহ ৯৮৪ জন আহত হন। এপ্রিলে ২৬টি দুর্ঘটনায় ৩৬৫ জন নিহতসহ আহত হয়েছে ৭৯৩ জন। মে মাসে ২৬১টি দুর্ঘটনায় ৪৫৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৬২ জন আহত হয়। জুন মাসে ২৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩১৬ জন নিহতসহ ৯৬৯ জন আহত হয়। জুলাইয়ে ২০৭টি দুর্ঘটনায় ৪৩৫ জন নিহতসহ আহত হয় ১ হাজার ২৪০ জন। আগস্টে দুর্ঘটনা ঘটে ২৫৬টি। ৩৮৪ জন নিহত ও আহত হয় ১ হাজার ১০৮ জন। সেপ্টেম্বরে ২৪৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২৭৮ জন নিহত ও ৫৯৯ জন আহত হয়। অক্টোবরে ২২৪টি দুর্ঘটনায় ৩৯৮ নিহত ও ১ হাজার ২৪ জন আহত হয়। নভেম্বরে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ২০৪টি। নিহতের সংখ্যা ২৫৩ ও আহত ৫৭১ জন। ডিসেম্বরে ১৯৬টি দুর্ঘটনায় ২৮১ জন নিহতসহ ৮৫৯ জন আহত হন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর মারা যায় ১ হাজার ৭৭ জন। আর হাসপাতাল ছেড়ে যাবার পর মারা যায় ৯৬৯ জন।
সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ এম, মনিরুজ্জামান ও রাকিব মিত্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত দেশে ২৩ হাজার ২৭৩টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসময় ১৭ হাজার ৮৪ জন নিহতসহ আহত হয়েছে ১৯ হাজার ৮৪১জন। একই সময় শুধু ঢাকা শহরেই ৫ হাজার ১৬৮টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত হন ২১০জন আর আহত হয় ৩ হাজার ৯২৩জন। বাংলাদেশ পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার প্রাণ বিনাশ হয় আর আহত হন প্রায় ৫ হাজার।
সম্প্রতি ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়’ থেকে ঝুকিপূর্ণ ১৪৪টি ব্লাক স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্পট সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্পের অধীনে ১৬৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ১২৬টি দুর্ঘটনা প্রবণ বাঁক চিহ্নিত করে এবং নতুন করে ১৮টি বাঁক প্রকল্পে যুক্ত করা হয়। একই প্রকল্পের আওতায় পথচারীদের ক্রসিংয়ের উন্নয়ন, মহাসড়কগুলোকে নিরাপদ করতে ইন্টারসেকশন উন্নয়ন, বাঁক সরলীকরণ, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার, সিগন্যালিং, রোড মার্কিং স্থাপন, সাইন সিগন্যাল, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হবে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের মধ্যে এ কাজ সমাপ্ত হবার কথা রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্ঘটনার সময়ে প্রায় ৫৪ শতাংশ গাড়ির গতি ছিল অতিরিক্ত। মোটরযান আইনে গতিসীমা নির্ধারিত হলেও তা প্রায় কেউই মানে না। মোটরযান আইন অনুযায়ী মহাসড়কে বাস, কোচ ও পিকআপের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। ভারী ট্রাক, লরির গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার। ট্রাক্টর ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার। মোটর ভেহিকেল অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩ অনুযায়ী চালককে লাইসেন্স দেয়ার পূর্বে মহাসড়কে ৩৫ মিনিট গাড়ি চালানোর পরীক্ষা ও তাত্তি¦ক পরীক্ষা নেয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর পেশাদার লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে প্রায় পুরোটাই হয় অর্থের বিনিময়ে। ফলে যথাযথ পরীক্ষা না দিয়ে লাইসেন্স পাওয়া ড্রাইভার মহাসড়কে গাড়ি চালাতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুকি বেশি। অন্যদিকে, বিআরটিএ এর হিসাবেই লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা ৮ লাখ। বিআরটিএ এর তথ্য মতে, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ২১ লাখ। এর বিপরীতে বৈধ চালকের সংখ্যা ১৩ লাখ। কিন্তু যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, বৈধ ও অবৈধ মিলে দেশে প্রায় ৪০ লাখ মোটরযান রয়েছে। ওই হিসেবে প্রায় ২৭ লাখ পরিবহন চলছে লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার দিয়ে। সমিতির ২০১৩ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৪০ লাখ যানবাহনের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র নেই। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রবাবে এসব অবৈধ যান রাস্তায় চলাচল করছে।
বিআরটিএ এর তথ্য মতে, রাজধানীতে মোটরসাইকেল বাদে যানবাহন রয়েছে ৫ লাখের বেশি। বিশাল সংখ্যাক এই পরিবহনের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য মাত্র ১ জন উপ-পরিচালক ১১ জন কর্মকর্তা নিয়ে কাজ করছেন। ফলে প্রকৃতপক্ষে ফিটনেস যাচাই করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া অর্থের বিনিময়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধের দায়িত্ব কার? এর উত্তর হল, এর দায় একক কোনো সংগঠনের নয়। সড়ক দুর্ঘটনা একক কারণে নয়, তেমনি দুর্ঘটনা রোধ করার দায়িত্বও একক কোনো কর্তৃপক্ষের নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় সড়কের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকগুলো মন্ত্রণালয় রয়েছে। এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কিন্তু সেতুমন্ত্রীর একার নয়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সাধারণ মানুষ, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, সংগঠন, সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব সরকারের।
আমরা আশা করি, সরকার সব ঘটনা বিচক্ষণতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করে এমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, যেন চালকের সতর্কতা নিশ্চিত হয় এবং সড়ক পথের যাবতীয় অনিয়মগুলো দূর হয়। যা দেশের দুর্ঘটনায় মৃত্যুরোধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সড়ক দুর্ঘটনাকে একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক ভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে দুর্ঘটনার পরিমান কমতে পারে বলে আমরা মনে করি। সরকার সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হবেন এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।
বিশেষ প্রতিবেদক
|
|
|
|
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে রাজধানীর প্রায় ১৫ লাখ বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার তথ্য জমা পড়েছে। সম্প্রতি বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার তথ্য চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের আহ্বানের প্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এতথ্য জমা পড়ে। ডিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রাজধানীর ৪৯ থানায় ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৩টি ফরম বিতরণ করে ডিএমপি। এর মধ্যে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ১৭৩টি ফরম জমা পড়েছে। প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে একটি যুগোপযোগী ডেটাবেজ তৈরির কাজও শুরু করেছে পুলিশ। এজন্য একটি সফটওয়্যারও তৈরি করেছে ডিএমপি।
সূত্র আরো জানায়, রমনা বিভাগে বিতরণ করা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৬টি ফরমের মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৩টি জমা পড়েছে। লালবাগ বিভাগ ১ লাখ ৫১ হাজার ৫২১টির মধ্যে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৪২টি, ওয়ারী বিভাগে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮১টির মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৮, মতিঝিলে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৮টির মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ২০৯টি, তেজগাঁওয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯টির মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৭৪টি, মিরপুরে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১০৩টির মধ্যে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১৭টি, গুলশানে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৮টির মধ্যে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৩টি এবং উত্তরা বিভাগে ২ লাখ ৫ হাজার ৮৮৭টি ফরমের মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৩৭টি ফরম জমা পড়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মারুফ হোসেন সরদার বলেন, যেসব বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া এখনো ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পাননি তাদের নিকটস্থ থানা থেকে সংগ্রহ করতে থানায় থানায় মাইকিং করেছে পুলিশ। ৎ
এর আগে ২৮৭টি বিট পুলিশের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে ডিএমপি। প্রথম দিকে ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম অনুযায়ী পুলিশকে তথ্য দিতে অনীহা থাকলেও পরবর্তীতে ডিএমপি কমিশনার ও আদালতের নির্দেশে এই তথ্য সংগ্রহ চলমান থাকে।
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গত বছরের শেষ দিকে রাজধানীতে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে পুলিশ। এর পক্ষে-বিপক্ষে গণমাধ্যমে বক্তব্য ও পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগও আসে।
তবে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে পুলিশ কমিশনার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৫ মার্চের মধ্যে ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ করে পার্শ্ববর্তী থানায় জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন ফরম জমা দেবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান পুলিশ কমিশনার। এরপরই পুলিশের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত পুলিশের পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আরেকটি রিট করা হলে সেটি এখনো আদালতে বিচারাধিন রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
|
|
|
|
|
|