নিত্যপন্যের চরা দামের প্রতিবাদ ও লিফলেট বিতরন
জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে গতকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি বামরাইল বন্দরসহ সারা ইউনিয়নে লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। বিতরণ শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বি এন পির ইউনিয়ন সভাপতি প্রভাষক আ:হালিম হাওলাদার,বরিশাল জেলার যুবদল নেতা সামসুদ্দোহা আজাদ,বামরাইল ইউনিয়ন শাখা বি এন পির সাধারন সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহীন সিকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সেলিম রাঢ়ী, কালিহাতা ওয়ার্ড সভাপতি জনাব লিয়াকত হাওলাদার, এ সময় কালিহাতা ওয়ার্ড বি এনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাসুদ হাওলাদার সহ ইওনিয়ন বি এনপির সকল নেতা কর্মী উপস্তিত ছিলেন। বক্তারা বলেন নিত্যপন্যের এই লাগামহীন মুল্য নিয়ন্ত্রণে এ সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ, আজ যদি এভাবে চলতে থাকে জনগণ রাজ পথে নামতে বাধ্য হবে। জনাব আজাদ বলেন সরকার দলীয় দুর্নীতির কারনেই এই পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধিনে নির্বাচন দেওয়ার আহব্বান জানান।
|
জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে গতকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি বামরাইল বন্দরসহ সারা ইউনিয়নে লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। বিতরণ শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বি এন পির ইউনিয়ন সভাপতি প্রভাষক আ:হালিম হাওলাদার,বরিশাল জেলার যুবদল নেতা সামসুদ্দোহা আজাদ,বামরাইল ইউনিয়ন শাখা বি এন পির সাধারন সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহীন সিকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সেলিম রাঢ়ী, কালিহাতা ওয়ার্ড সভাপতি জনাব লিয়াকত হাওলাদার, এ সময় কালিহাতা ওয়ার্ড বি এনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাসুদ হাওলাদার সহ ইওনিয়ন বি এনপির সকল নেতা কর্মী উপস্তিত ছিলেন। বক্তারা বলেন নিত্যপন্যের এই লাগামহীন মুল্য নিয়ন্ত্রণে এ সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ, আজ যদি এভাবে চলতে থাকে জনগণ রাজ পথে নামতে বাধ্য হবে। জনাব আজাদ বলেন সরকার দলীয় দুর্নীতির কারনেই এই পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধিনে নির্বাচন দেওয়ার আহব্বান জানান।
|
|
|
|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরকে ‘নূরাহম্বক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন শব্দ ব্যবহার করেন।
তার দেয়া স্ট্যাটাসে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’কেও ব্যঙ্গ করে ‘গোটা সংস্কার আন্দোলন’ লিখেছেন। গোলাম রাব্বানীর দেয়া ওই স্ট্যাটাসে ইতোমধ্যে (১৯ ঘণ্টায়) পক্ষে-বিপক্ষে সাড়ে ৮ হাজার লাইক এবং ১৭শ’ কমেন্টস পড়েছে। একই সঙ্গে স্ট্যাটাসটি শেয়ার হয়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক।
স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“ধরুন, ‘গোটা সংস্কার আন্দোলন’ নামক তথাকথিত নিরপেক্ষ প্লাটফর্ম, যার সদস্যগণ সকল অসংগতি, অন্যায়, অনাচারের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার। এখন, জনৈক নূরাহম্বক মিয়া উক্ত সংগঠনে যোগদান পূর্বক সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়া একটি পদ বাগাইয়া লইলেন। একদা ব্যক্তিগত বদখাসলত আর রিপুর তাড়নায় পড়িয়া রাস্তায় জনৈক রমনীকে ইভ টিজিং করিয়া বসিলেন। অতঃপর, পাবলিক গণধোলাই দিয়া পুলিশে সোপর্দ করিলো।
এরপর যদি সকল গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়, ‘ইভটিজিং করে গণধোলাই খাইলেন গোটা সংস্কার আন্দোলনের অমুক। অথবা, বড় করে হেডলাইন হলো, ইভটিজারের সংগঠন ‘গোটা সংস্কার আন্দোলন’/ ইভটিজারের আখড়া গোটা সংস্কার আন্দোলন!
এহেন অপকর্মের দায়ে যদি নূরাহম্বক মিয়াকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়, তার শাস্তি নিশ্চিত করতে নিজ সংগঠনের সদস্যরাই আওয়াজ তোলে, দলের পক্ষ থেকে এহেন অন্যায়কে নূন্যতম প্রশ্রয় দেয়া না হয় তবে ব্যক্তি নূরাহম্বকের অপকর্মের দায় পুরো সংগঠনের উপর কতটুকু বর্তায়? কেন একজন নূরাহম্বকের জন্য হাজারো ‘গোটা সংস্কার আন্দোলন’ কর্মী ইভিটিজার আখ্যা পাবে, মানুষের গালী খাবে??
ইভটিজিংকে বিন্দুমাত্র সমর্থন না দেয়া সংগঠনটির বিরোধী গোষ্ঠী যদি সব জেনে বুঝেও একজন নূরাহম্বকের অপকর্মকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থে যদি স্লোগান ধরে, ‘ইভটিজারের পাহাড়াদার, গোটা আন্দোলন বাংলা ছাড়!’, তাহলে বুঝতে হবে, উহাদের চুলকানির সাবজেক্ট ম্যাটার, ইভটিজিং বা নূরাহম্বক নয়, স্বয়ং গোটা সংস্কার আন্দোলন!”
|
|
|
|
ভারতকে খুশি করতে বাংলাদেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নাইট এঙ্গেল মোড় হয়ে আবার বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘ভারতকে খুশি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়েছেন। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। দেশের গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে ধ্বংস করতে বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। কারণ খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেয়া যাবে, সীমান্তে হত্যা অব্যাহত রাখা যাবে। কোনো টু শব্দ হবে না, প্রতিবাদ হবে না।’
সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘আর না, অনেক হয়েছে, এবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তিনি মুক্ত হবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ’
দেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করে দেবে এটা কখনও হতে পারে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘মানুষ জানে আপনি তিস্তার পানির জন্য কথা বলবেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আনবেন। কিন্তু তা না এনে ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিলেন। এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেন নাই। দেশ বিরোধী চুক্তি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে হত্যা বন্ধে, ভারতের এনআরসি নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি, কোনো কথা বলতে পারেননি। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এত ক্রীতদাস কেন? আপনি এত নতজানু কেন?’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘আমরা এতদিন দেখলাম আপনি শুধু দিয়েই দিলেন। আপনি কিছু নিতে পারেননি। আপনি বলেছেন, ভারতকে এত দিলাম তারা মনে রাখবে। আপনি শুধু তাদেরকে মনে রাখার জন্য দিলেন, জনগণের জন্য কী আনলেন? কিছুই আনতে পারেননি।’
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, সাইফুর রহমান মিহির, কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান ফাহিম, দফতর সম্পাদক এ বি এম এ রাজ্জাক, বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন ভুইয়া, এল রহমান, শাহ আলম, মো. সাজ্জাদ, আব্দুল আউয়াল, আক্তার হোসেন জিল্লু, আমান উল্লাহ মেম্বার, সোহরাফ হোসেন স্বপন, হারুন অর রশীদ খোকন, জহিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাচ্চু, আকরাম বাবু, বুলবুল মল্লিক, মোহাম্মদ আলী, মাহাবুব আলম ভুইয়া শাহীন, আবদুল কাদের বাবু, প্রমুখ মিছিলে অংশ নেন।
|
|
|
|
আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানী ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পরে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এর পর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা অবমুক্ত করার পাশাপাশি বেলুন ওড়ানো হয়। পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল নিপীড়ন রোধ করতে। আওয়ামী লীগই দেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাও আওয়ামী লীগই প্রতিষ্ঠা করবে।।’ দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
|
|
|
|
অনলাাইন ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে আগামী ১৫মে (বুধবার) দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রবিবার সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেতু বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।
তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর বিজি ০৮৫ এ করে ১৫ মে সম্ভাব্য বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। পরে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরপরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে ঢাকা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে এক মাস চিকিৎসা শেষে গত ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান তিনি। বর্তমানে ওই হাসপাতালের কাছেই ভাড়া বাসায় থাকছেন তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে জোট ও সরকার গঠন করায় জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। মাহমুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। দায়মুক্তি পাবেও না। তারা এত দিন ধরে বাংলাদেশে যে রাজনীতি করেছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট গঠন করে একসঙ্গে নির্বাচন করা ও সরকার গঠন করার জন্য বিএনপিও একই অপরাধে অপরাধী। বিএনপিও দায়মুক্তি পেতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীর ভেতর থেকে দাবি উঠেছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। তাদের কয়েকজন নেতা ঘোষণা দিয়েছেন পদত্যাগ করার। এই পদত্যাগের ঘোষণা বা তাঁদের মধ্য থেকে ক্ষমা চাওয়ার যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে, এগুলো দেশ-বিদেশে চাপমুক্ত হওয়ার একটি কৌশল। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবীর সব দেশ সে কারণে বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আজকে শেখ হাসিনার কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হন, বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছে। অথচ একটি পক্ষ, দেশের কিছু রাজনৈতিক দল, দেশের অগ্রযাত্রাকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়, তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই বন্দী গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। তাঁর হাত ধরেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। তাঁর হাত ধরেই মুক্তচিন্তা মুক্তি পেয়েছে। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশের অগ্রগতি। শেখ হাসিনা শুধু অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক নন, মানবতার প্রতীক। তিনি ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহসভাপতি দিলীপ কুমার রায়, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ বইয়ের লেখক সুজন হালদার প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অন্যদিকে গণতন্ত্র হাইজ্যাককারী ও অগ্নি সন্ত্রাসীর দল বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন, যা অত্যন্ত হাস্যকর ও জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন, গত ২ মার্চ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের নতুন ঘোষিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের আগে জনগণের হাতে ক্ষমতা ছিল, ৩০ ডিসেম্বরের পরে ক্ষমতা ছিনতাই হয়েছে’- এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে ড. কামাল হোসেন স্বীকার করে নিয়েছেন যে দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতেই রয়েছে। কারণ ৩০ ডিসেম্বরের আগে যেহেতু শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় দেশের ক্ষমতা আগেও জনগণের হাতে ছিল, এখনো আছে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে শেখ হাসিনার হাতে আবারো দেশ পরিচালনার ভার তুলে দিয়েছেন। বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টকে প্রত্যাখ্যান করে কষে চপেটাঘাত করেছিল। ঢাকা সিটি নির্বাচনে এলে আবারো জনগণের চপেটাঘাত খেতে হবে এ ভয়েই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিশ্বের যে কোনো স্থানীয় উপ-নির্বাচনের মানদ-ে অত্যন্ত সন্তোষজনক হয়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনদিনের সরকারি ছুটি, বৈরি আবহাওয়া ও নির্বাচনে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্ধী না থাকার পরেও যে ৩১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে তা অত্যন্ত সন্তোষজনক। সর্ব-ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের সঞ্চাচলনায় এবং সভাপতি এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, বেলজিয়া, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশের আওয়ামী লীগের নেতারা।
|
|
|
|
॥ এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের কচুয়া মোসাঃ সেতারা বেগম ওরফে নাজমা শিকদার নামের এক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সময় আদালত তাকে ২লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোঃ জাকারিয়া হোসেন এই আদেশ প্রদান করেন। মোসাঃ সেতারা বেগম কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের সদস্য এবং বক্তারকাঠি গ্রামের মৃত ফজলু শিকদারের মেয়ে। রায় ঘোষনার সময় মামলার একমাত্র আসামী সেতারা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মামলার বিবরনে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ইউপি সদস্য সেতারা বেগম বক্তারকাঠি গ্রামের আমজাদ হোসেন শেখের ছেলে মোঃ চাঁন শেখ ওরফে ইদ্রিস আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ী করার জন্য ইট, বালী, রড, সিমেন্ট বাকীতে ক্রয় করেন। এসময়ে সেতারা বেগম ব্যবসায়ী চাঁনকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বাধাল বাজার শাখার ২লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। পরে ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ চাঁন শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় দেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি সাহা অসীম কুমার ও আসামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন শহিদুল ইসলাম বিপ্লব।
|
|
|
|
॥ এস কে সরকার, টাঙ্গাইল ॥ আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বাংলাদেশে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্র্র্র্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি,বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা, সমৃদ্ধ ঘাটাইল, ঢাকা এর আহবায়ক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল ফাইন্ডেশন, ঢাকার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. অধীর চন্দ্র সরকার এখন ব্যাপক আলোচনায়। দলীয় ও স্থানীয় সূত্রমতে, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে এবার পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। আর জনমুখী নানা ইতিবাচক কর্মকা- আর সুখে-দুঃখে সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকা প্রফেসর ড. অধীর চন্দ্র সরকার দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে আছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে তিনিই নৌকা প্রতীকের লড়বেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তাই সুখে-দুঃখে জনতার পাশে থাকা দলীয় কর্মকা- ও আন্দোলনে অন্যতম সাহসী ভূমিকা পালনকারী প্রফেসর ড.অধীর চন্দ্র সরকার কে নিয়ে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের দলীয় নেতাকর্মীরা স্বপ দেখতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন ইতিবাচক কর্ম আর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল-৩ তথা ঘাটাইল বাসীর আস্থা ও ভালাবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় নানান কর্মকা-ে বহুদিন থেকেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে, এই নির্বাচনী এলাকার জনগণও তাকে সাদরে গ্রহণ করছে বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের অনেকেই বলেন,প্রফেসর ড.অধীর চন্দ্র সরকার এ আসনের জনসাধারণকে যেভাবে বুকে জড়িয়ে নিয়ে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন, তা সত্যি অভূতপূর্ব। এছাড়া সে হাসি মুখে অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। তাই আমরা তাকেই আগামীতে সংসদ নির্বাচনে এই টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি হিসেবে পেতে চাই। এ ব্যাপারে প্রফেসর ড.অধীর চন্দ্র সরকার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাক্সক্ষার কথা জেনেছি। সাধ্যমত তাদের সেবা করেছি। ঘাটাইল বাসীর প্রাণের দাবি ঘাটাইল কে জেলা ঘোষণা, একটি পূর্ণাক্সগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, ঘাটাইলে আবাসিক গ্যাস সংযোগ, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়ন, সন্ত্রাস,মাদকও ভেদাভেদ হীন আধুনিক ঘাটাইল প্রতিষ্ঠার লক্ষে আমি রাত দিন কাজ করে যাচ্ছি। এবার দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। দলীয় কর্মকা-ে ও আন্দোলনে আমি জাতীয় পর্যায়ে সাহসী ভূমিকা পালনে সদা সচেষ্ট থেকেছি। আর আমি সারা জীবন মানুষের কল্যাণে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এ জন্য সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ কামনা করি। অন্যদিকে, প্রফেসর ড. অধীর চন্দ্র সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদী তার সমর্থকরা। তারা বলেন, তিনি নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি সহ পথসভা, মতবিনিময়, গণসংযোগ, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। আর তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। বিভিন্ন দুর্ঘটনা কবলিতদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। তাই তিনিই এবার মনোনয়নের দাবিদার। তার বড় ভাই স্বগীয় নিতাই চন্দ্র সরকার ছিলেন ঘাটাইলের মাটি ও মানুষের প্রিয় জন নেতা মরহুম শামসুর রহমান খান শাজাহানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দিগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তারা আরও বলেন, বিগত দিনে দলের জন্য তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা অনেক অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার ত্যাগ ও ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি মনোনয়ন পেলেই এমপি নির্বাচিত হবেন। আর তার পিতা বিশিষ্ট গণিত শিক্ষক বাবু মণিন্দ্র মোহন সরকার ও মাতা স্বগীয় অঞ্জলি সরকার । তার বাড়ী টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের গরাট্্র গ্রামে ।
|
|
|
|
কচুয়া উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ওই ওয়ার্ডের সদস্য নিমাই কুমার দত্তের মৃত্যুর পর গত ২২ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনী তফশীল ঘোষনা করা হয়। এতে বলা হয় মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১মার্চ, বাছাই ৫মার্চ, প্রত্যাহার ১২ মার্চ,১৩ মার্চ প্রতীক বরাদ্ধ ও ২৯ মার্চ নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নীং অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, ৪জন প্রার্থীকে বৈধ প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। প্রার্থীরা হলেন, মো. কামাল সরদার, মো.মোস্তফা মল্লিক, সমীর কুমার গুহ, মো.ইউসুফ হাওলাদার। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫৮৮ জন। এর মধ্যে ৮০০জন পুরুষ ও ৭৮৮ জন নারী ভোটার রয়েছে। ওই ওয়ার্ডে প্রয়াত ইউপি সদস্য নিমাই কুমার দত্ত একাধিক বার নির্বাচিত হন।তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে এ পদটি শুণ্য হয়।
|
|
|
|
॥ মানবাধিকার খবর ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা সাম্প্রতিক বক্তব্যের জের ধরে এই উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন এই নোটিশ পাঠান বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। সৌদি আরবে বিপুল সম্পদ পাচারের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের নাম উঠে আসার খবর সম্প্রতি বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। এরপর কম্বোডিয়া সফর শেষে ফিরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক এই প্রসঙ্গটি তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কথা বলেন। এ সংক্রান্ত খবর দেশের আরও অনেক সংবাদ মাধ্যমে না আসায় তিনি গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মালিক-সম্পাদক, সাংবাদিকরা কোনও সুবিধার বিনিময়ে এধরনের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থেকেছেন কি-না সে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, ওই বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং তা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তা করা না হলেও ক্ষতিপূরণের মামলা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার না করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলন থেকে এমন হুমকি দিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন- বিএনপি নেত্রীর দুর্নীতির তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেরিয়ে আসায় জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই এই নোটিশ। তাছাড়া, জিয়া পরিবারের দুর্নীতি সর্বজনবিদিত। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। মানহানিকর বিবৃতি দেয়ার কথা উল্লেøখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠানোর প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে আওয়ামী লীগ। সেখানে প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে হাছান মাহমুদ আরও বলেন- খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রের ২ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে খালেদা পরিবার। প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরি বলেছেন- আইনের মাধ্যমে এই আইনি নোটিশের মোকাবেলা করবে আওয়ামী লীগ।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক | মোশতাক রাইহান
বিনিপর দলের শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত ৬০ জন নেতাকে নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক’র সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল এটি।
তবে কোনো রাস্তায় দিয়ে খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে প্রবেশ করবেন এ বিষয়টি এখনো মিডিয়াকে জানাতে চাচ্ছে না বিএনপি।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক | মোশতাক রাইহান
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে অবদান রেখেছেন তা জাতি কোনোদিন ভুলবে না। তিনি একজন দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের পক্ষে সবসময় সোচ্চার থেকেছেন।’
‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন জাতীয় রাজনীতির একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে গণমানুষের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির পক্ষে ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধান প্রণয়নে একজন অন্যতম রচয়িতা হিসেবে তার ভূমিকা এদেশের মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।’
খালেদা জিয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
|
|
|
|
প্রবীণ রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির প্রেসউইং এ তথ্য জানিয়েছে।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুধু একজন রাজনীতিকই ছিলেন না, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নেও তিনি অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। সংসদীয় রাজনীতিতে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অতুলনীয়।’
রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন দক্ষ রাজনীতিবিদকে হারালো, এই ক্ষতি অপূরণীয়।’
তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক
জামায়াত, রাজাকার ও জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে কোনো গণতন্ত্র মজবুত করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে জাসদের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে ইনু এই মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনির্বাচিত কোনো সরকার গঠনের অবকাশ বাংলাদেশে আর নেই।
হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা পরে। আগে বিএনপিকে জামায়াত, রাজাকার ও জঙ্গি ছাড়তে হবে। তাদের নিয়ে গণতন্ত্র মজবুত করা যায় না।
সেখানে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপনসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন ফের পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ মামলায় খালেদার বাকি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৬ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন।
ঢাকার বকশীবাজার এলাকার উমেষ দত্ত রোডে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে এ আদেশ দেয়া হয়।
খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য পেশে আজ সময় আবেদন পেশ করেন। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী ওই তারিখ ধার্য করে আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে আনা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ শুরু করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অাগস্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বছর ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
|
|
|
|
হেড অব নিউজ, মোশতাক রাইহান
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার উপস্থিতিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নতুন সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন মামলাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক নূর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের অস্থায়ী আদালতে হাজির হন মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। আদালতটিতে চলছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম।
দুদক থেকে অবসরপ্রাপ্ত নূর আহমেদ ৩২তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন অরফানেজ মামলায়। এর আগে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ৩১ জন সাক্ষী। গত ০৫ জানুয়ারি নূর আহমেদের সাক্ষ্যগ্রহণে খালেদার আইনজীবীদের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলা
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- বিগত চারদলীয় জোট সরকার আমলে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
এ মামলায় মোট ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান আছেন দেশের বাইরে।
এ ছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।।
|
|
|
|
|
|
|