কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মণিপুর গ্রামের বাঘা শরীফ বলী। শনিবার (১১ মে) বিকালে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বলীখেলার ৬৯তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাঘা শরীফ বলী ও কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ছনখোলাপাড়ার শাহেদ হোসেন কালু বলী।
এর আগে, এক নম্বর মেডেলের বাছাইয়ের প্রথম খেলায় মহেশখালীর শফি বলীকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন বাঘা শরীফ। ওই মেডেলের দ্বিতীয় বাছাইয়ে কুমিল্লা সদরের রাশেদ বলীকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন কালু বলী।
ফাইনালে ৮ মিনিট লাড়াইয়ের পর বাঘা শরীফের কাছে হার মানতে হয় কালুকে। এ খেলায় দ্বিতীয় নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর মোহাম্মদ হোসেন বলী। তৃতীয় নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর শফি উল্লাহ বলী।
চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ বলীকে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি এবং রানারআপ কালু বলীকে ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ হোসেন বলীকে ১২ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি এবং রানারআপ লালু বলীকে ৮ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি দেওয়া হয়। এ ছাড়া তৃতীয় নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ শফি উল্লাহ বলীকে দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি এবং রানারআপ আমিন বলীকে ৭ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি।
গত ৬৮তম আসরে টানা চল্লিশ মিনিটেও কেউ কাউকে কুপোকাত করতে না পারায় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় কুমিল্লার বাঘা শরীফ ও কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার নুর মোহাম্মদ বলীকে।
বলীখেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। তিনি বলেন, `মাদক, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গ্রাম্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। যারা খেলছেন আমাদের উচিত তাদের যত্ন করা। গ্রামীণ খেলাধুলাকে আরও প্রসার করতে উচ্চপর্যায়ে সুপারিশ থাকবে।’
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন ও খেলা উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন কবিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।