একরামুল হক মুন্সী চিতলমারী, বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসবভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চিতলমারী উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে একর্মবিরতি, বিক্ষোভ সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসবভাতার প্রজ্ঞাপন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তারা দাবি জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।
চিতলমারী উপজেলা বিএনপি নেত্রী রুনা গাজী বলেন,
শিক্ষক সমাজ দেশের মেরুদণ্ড। তাদের ন্যায্য দাবি আজ বাস্তবায়ন না হওয়াটা লজ্জাজনক। সরকার দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের পাশে দাঁড়াবে - এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
জামায়াত ইসলামী চিতলমারী উপজেলা আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষকদের এই দাবিগুলো পূরণ করা মানে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি বিনিয়োগ করা। আমরা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ডা. আবুল কালাম কাজী বলেন, শিক্ষকদের প্রতি অবিচার সমাজে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। সরকারকে এখনই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চিতলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সী তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকদের এই ন্যায্য আন্দোলন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরব। তাদের পাশে আমরা আছি।
শেরে বাংলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এই আন্দোলন কারও বিরুদ্ধে নয়; এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
কালিদাস বড়াল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায় বলেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ১,৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা শিক্ষক সমাজের মৌলিক প্রয়োজন। সরকার আমাদের দাবি দ্রুত পূরণ করুক।
চিতলমারী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইদ্রিসুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষা সেবক, কিন্তু আজ আমাদের জীবনযাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুক।
চিতলমারী উপজেলা জিনারেল শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সোয়ায়েব হোসেন গাজী বলেন,
আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সমাজসেবক ও সাধারণ মানুষ তাদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।