সোমবার, মে ১৩, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে ত্রুটি, শারজাহগামী ১৬৪ জন যাত্রী হোটেলে   * চট্টগ্রাম বোর্ডে এবারও শীর্ষে বন্দর নগরীর স্কুলগুলো   * চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় মোবাইল চার্জার এর পরিবর্তে ল্যাপটপ   * চিতলমারীতে বিশ “মা” দিবস পালিত   * কচুয়ায় বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   * ২দিন ব্যাপী কক্সবাজারের ডিসি সাহেবের বলীখেলা সম্পন্ন: চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ   * কুড়িগ্রামে গরীবের আলু, কাঁচা মরিচেও চোখ মধ্যস্বত্তভোগীদের   * রামগঞ্জ শিশু পার্ক সামনে ফিটফাট ভিতরে ফাঁকা মাঠ   * কচুয়ার রাধামাধব মন্দিরে শ্রীশ্রী অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন   * বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এক হার না মানা মা  

   প্রচ্ছদ
মানবাধিকার খবর’র দেশ-বিদেশ থেকে পাচারকৃত নারী-শিশু উদ্ধার অভিযান প্রশংসনীয় - শ.ম. রেজাউল করিম
  Date : 11-07-2019

 

ভারত থেকে চলতি মাসেই ফিরছে তিন শিশু

* ফিরেছে ১১ কিশোর-কিশোরী * উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আরও ৩ কিশোর

 

সৈয়দ সফি : ভারতে সাত মাসের অমানবিক বন্দী জীবন অবসান হতে যাচ্ছে বাংলাদেশী তিন শিশুর। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খুব শিগগিরই মা-বাবার কোলে ফিরে আসবে তানিয়া , হেনা আর রায়হান। এ বিষয়ে অতি সম্প্রতি ভারত সফর করে এসে মানবাধিকার খবরের সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান এই মূহুর্তে তিন শিশু ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দু’টি হোমে বন্দী রয়েছে। তবে, তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাবার জন্য অফিসিয়াল প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যায়, জুলাই মাসের মধ্যে তারা দেশে ফিরতে পারে। অপরদিকে পাচার হয়ে যাওয়া ১১ কিশোর-কিশোরী সম্প্রতি দেশে ফিরেছে। গত ১৫ জুন বেনাপোল সীমান্ত পথে ৫ কিশোর-কিশোরী এবং তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৬ কিশোরী ফিরে এসেছে।

পেছনের কথা :
দালালদের খপ্পরে পড়ে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নান্টু ফরাজী ও তার স্ত্রী লাকী বেগম দুই শিশু কন্যা ও এক শিশু পুত্রকে নিয়ে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় ৬ বছর আগে ভারতে চলে যায়। নান্টু ফরাজিকে পাচারকারি দালালরা একদিন বুদ্ধি দেয় এখানে এত কস্ট না করে চলে যাও ভারতে। দিল্লিতে কাজ মিলবে। আমি দিল্লিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। নিজেরাতো খেতে পারবে, আর কিছু টাকাও উপার্জন করতে পারবে। প্রলোভনে পড়ে যান নান্টু ফরাজি। ভাবতে থাকে তাহলে প্রস্তাবটাতো একেবারে খারাপ নয়। ভিটে মাটি বেঁচে দালাল ধরে নান্টু ফরাজি পাড়ি জমান দিল্লির পথে। সঙ্গে স্ত্রী এবং তিন শিশু পুত্র-কন্যা। ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত অবৈধভাবে পেরিয়ে দালালের মাধ্যমে পৌঁছে যান তাঁরা দিল্লিতে। হোটেলে কাজ পায় নান্টু ফরাজি। স্ত্রী লাকি বেগমের কপালেও জুটে যায় পরিচারিকার কাজ। এভাবে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে নান্টু ফরাজি বাঁচার নতুন পথ খুঁজে পান। আশ্রয় নেয় দিল্লির বস্তিতে। সে আজ থেকে ৬ বছর আগের কথা। পরে দিল্লিতে অনেকটা স্থায়ীও হয়ে যান নান্টুর পরিবার। তিন সন্তান এবং নান্টু ফরাজি ও তাঁর স্ত্রী শিখেও ফেলে হিন্দি ভাষা। স্কুলেও ভর্তি হয় তাঁর সন্তানরা। ২০১৮ সালের দিকে বাংলাভাষীদের তাড়াতে দিল্লিতে একসময় উদ্যোগী হয় পুলিশ। নান্টু ফরাজি ভয় পেয়ে যায়। শুনেছে আসামে বাঙাালিদের তাড়ানোর খবর। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন নান্টু ফরাজির পরিবার। তাঁদের হাতেতো ভারতে বসবাসের কোন বৈধ প্রমাণ পত্র নেই। অবৈধভাবে তাঁরা বাস করছেন। থাকছেন দিল্লির বস্তিতে ।
অগত্যা নান্টু ফরাজি সিদ্ধান্ত নেন, এবার ফিরে আসবেন দিল্লি থেকে দেশের বাড়িতে। আর নয় বিদেশে। গ্রামের মাটিতেই থাকবেন। ছেলে মেয়েরাতো বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে বাস করতে পারবে। যেভাবেই হোক নিজের দেশে আহার জোটাতে পারবেন তিনি।
সেই লক্ষ্য নিয়ে দেশে ফিরে আসার উদ্যোগ নেয় নান্টু ফরাজি। দালালও যোগাড় হয়ে যায়। গত বছর অর্থৎ ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস। দালালের মাধ্যমে ওরা দিল্লি থেকে ট্রেন যোগে পৌছে যায় কলকাতায়। তারপর উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার সীমান্তপথে বাংলাদেশে বেআইনি ভাবে ফিরে আসার উদ্যোগ নেয়। যথারীতি তাঁরা দালালের মাধ্যমে গোপালনগর যাওয়ার জন্য বাসে ওঠে। চাকদার সড়কপথে পুলিশ গোপনসূত্রে খবর পেয়ে আটকায় তাঁদের বাস। ওই বাসে আরও ছিল বেশ ক’জন বাংলাদেশী। তারাও পাড়ি দেবে বাংলাদেশে। নান্টু ফরাজির সঙ্গে ছিল তাঁর এক শ্যালকও। সেও দিল্লি থেকে ফিরে দেশে যাচ্ছে নান্টু ফরাজির সঙ্গে।

কিন্তু দুভার্গ্য নান্টু ফরাজির। দেশে ফেরার পথে গ্রেপ্তার হয় নান্টু ফরাজি ও তাঁর পরিবার। বাস থেকে নামিয়ে আনা হয় তাঁদের গোপালনগর থানায়। দায়ের হয় মামলা । আদালতে তোলা হয় নান্টু ফরাজির পরিবারকে। আদালত নান্টু ফরাজি ও তাঁর স্ত্রী লাকি বেগম আর শ্যালককে পাঠিয়ে দেয় কারাগারে। তাঁদের ঠাঁই হয় দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে। আর শিশু বিধায় নান্টু ফরাজির তিন সন্তানকে পাঠানো হয় পশ্চিমবঙ্গে সরকারি হোমে। কারণ ওদের বিচার হয় জুভেনাইল কোর্টে। সেই ভাবে সেদিন নান্টু ফরাজিও তার স্ত্রীর হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের তিন সন্তান।

বিচারে নান্টু ফরাজি ও তাঁর স্ত্রীর চার মাসের কারাদন্ড হয়। কারাদন্ড ভোগকরার পর তারা চলতি বছরের ১৯ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান। তারপর তাঁদের পুশব্যাক করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। কিন্তু যাওয়ার আগে নান্টু ফরাজি খোঁজ নিতে পারেননি তাঁর সন্তানরা কোন সরকারি হোমে আছেন। বুকভরা একরাশ ব্যথা আর কস্ট নিয়ে নান্টু ফরাজি ফিরে যান বাংলাদেশের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে কথা বলেন, পিরোজপুর ইন্দুরন্দী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে। এলাকাবাসীও জেনে যায় নান্টু ফরাজির দুর্বিষহ দিনগুলির কথা।সে শুধু বলতে থাকে, আমি জানিনা আমার তিন সন্তান এখন কোথায় রয়েছে। কোন হোমে রয়েছে তাঁরা। আপনারা তাদেরকে খুঁজে দেশে এনে আমাদের বুকে ফিরিয়ে দিন। পত্রিকার মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে কান্নাকাটি করে অনুরোধ জানায়।

ঈদুল ফিতরের আগে এ সংবাদ মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরে ঈদের পর গত ৭ জুন চলে যান পিরোজপুর। সেখানে ২ দিন অবস্থান করে পিতা মাতার কাছ থেকে তাদের ভারতে যাওয়ার পূনাঙ্গ কেস স্টাডি শোনেন এবং সব ধরনে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে ৯ জুন ঢাকায় ফিরে আসেন। এ সময় পিরোজপুরের স্থানীয় সাংবাদিক ফসিউল আলম বাচ্চু সহ অনেকে তথ্য সংগ্রাহে সার্বিক সহযোগিতা করেন। ১২ জুন দুপুরে সম্পাদক সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিমান যোগে চলে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। অন্যদিকে ভারতের আশ্রয় কেন্দ্রে বন্দী তিন সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবার জন্য নান্টু ফরাজি দম্পতি অনুরোধ জানান মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিনকে। এসময় দম্পতির ক্রন্দন ও আহাজারীতে সেখানকার বাতাশ ভারী হয়ে উঠে। তারা সম্পাদককে জানান, আমরা জানিনা কীভাবে, কোথায় ওরা বেঁচে আছে। নান্টু ফরাজির সেই ৬ বছর আগের বড় কন্যা তানিয়া আখতারের বয়স এখন ১৩, ছোট মেয়ে হেনা আখতারের বয়স ১১ আর পুত্র রায়হানের বয়স এখন ৭ বছর। এরপর পিতা-মাতার অনুরোধ ও মানবিক বিবেচনায় ওই তিন শিশুকে উদ্ধারে কলকাতায় ছুটে যান মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন । তিনি কলকাতার বাংলাদেশ উপÑহাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজখবর করেন ওই তিন শিশুর। কোন সরকারি হোমে রয়েছে তারা। অবশেষে কয়েকদিনের প্রচেষ্টায়এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করে খোঁজ পান ওই তিন শিশু সন্তানের । নান্টু ফরাজির শিশুপুত্র ঠাঁই পেয়েছে কলকাতা শহরের উপকন্ঠ বারাসাতের ’কিশলয়’ হোমে। আর দুই কন্যা রয়েছে কলকাতার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এ ’সুকন্যা’ হোমে। রিয়াজ উদ্দিন এই দুটি হোমে গিয়ে এই তিন শিশুকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কথাও বলেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। হোমের কর্মকর্তারা তাঁকে বলেছেন, কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন থেকে এঁদের ফেরত নেওয়ার চিঠি পেলে তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবেন এই তিন শিশুকে। রিয়াজ উদ্দিন এই নিয়ে কথা বলেছেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের হেড অফ চ্যান্সারী বিএম জামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনিও কথা দিয়েছেন, এই তিন শিশুকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার। বাচ্চাদের নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানা ভুল থাকার কারণে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছিলো। মানবাধিকার খবর সম্পাদক পূণাঙ্গ কাগজপত্র দাখিল করলে তাদের ফেরত পাঠানের প্রক্রিয়া সহজিকরণ হয়।

এ বিষয়ে পিতা নান্টু ফরাজী মানাধিকার খবরকে জানান, আমি স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে বনগাঁও জেলার গোপার নগর থানা পুলিশ আমাদেরকে আটক করে আদালতে পাঠায়। আদালত আমাদেরকে দমদম জেলে এবং তিন সন্তানকে পৃথক জেলে পাঠায়। জেল শেষ হলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মুক্তি দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের তিন সন্তান তানিয়া আকতার (১৩), হেনা আকতার (১১) ও রাহান উদ্দিন ফরাজী (৭) কে অন্যত্র রাখায় আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে জেল থেকে বের করে সরাসরি দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ফলে সন্তানদের কোনো খোঁজ-খবর নেয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে আমরা খুবই দুঃচিন্তার মধ্যে ছিলাম। তবে, মানবাধিকার খবরের সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ভারতে গিয়ে দুই দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহায়তায় আমাদের তিন সন্তানের খোঁজ বের করার পর থেকে আমরা বেশ স্বস্তিতে আছি। সন্তানদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলিয়ে দেয়ায় আমরা আনন্দিত। সন্তানদেরকে কখন কাছে পাবো সেই সময়ের অপেক্ষায় উৎগ্রিব আমরা।


সর্বশেষ উদ্ধার:
দুই বছর পর ফিরলো ৫ কিশোর-কিশোরী :
দুই বছর পর ভারতে পাচার হওয়া পাঁচ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরে এসেছে। ১৫ জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় ভারতের পেট্রাপোল থেকে তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ক্যাম্প কমান্ডার বেনাপোলের আইসিপি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্প কমান্ডারের হাতে তাদের তুলে দেন। ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীরা হলো সাতক্ষীরার আবু রায়হান (১৬), যশোরের শার্শার আপন (১৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেলিম (১৫), নড়াইলের রাব্বী (১৪) ও ঝিনাইদহের এক কিশোরী। এসব বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী দালালের খপ্পরে পড়ে দুই বছর আগে সীমান্ত পথে ভারতে যায়। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরবর্তিতে তাদেরকে কলকাতার বারসাত কিশলয়, লক্ষিকান্তপুর নুরআলী সোসাইটি হোম ও মূর্শিদাবাদ শেল্টার হোমে রাখে।
অবশেষে দু’দেশের যোগাযোগের মাধ্যম ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ আইনে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। বিজিবি ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় কিশলয় হোমের অফিসার্স ইনচার্জ দেবাশীষ ঘোষ ও প্যারালিগ্যাল ভলান্টিয়ার সুর্বত মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনান্য হোমের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এক তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় বারাসাত কিশলয় হোমে শতাধিক শিশু ও কিশোর রয়েছে তাদের মধ্যে ২৭ জনই বাংলাদেশী অনান্যরা ভারতীয় ও নেপালী। যাদের বয়স ৭ থেকে ১৮ বৎসর। ফিরে আসা কিশোর কিশোরীদেরকে বেনাপোল থানা থেকে যশোর রাইট নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারগুলো কিশোর কিশোরীদেরকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত। মানবাধিকার খবর সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্বের একমাত্র নিয়মিত সৃজনশীল বাংলা প্রকাশনা “মানবাধিকার খবর” এর আগেও দেশ-বিদেশ থেকে নিখোজ ও পাচারকৃত অসংখ্য নারী ও শিশু উদ্ধার করে অবিভাবক ও আইনের হাতে তুলে দিয়ে সাফল্য দেখিয়েছে।

ভারতে পাচার হওয়া ৬ কিশোরীকে বাংলাদেশে ফেরত :
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সময়ে পাচার হওয়া ৬ কিশোরীকে তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বিজিবি-বিএসএফের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফিরিয়ে আনা কিশোরীদের বাড়ি নড়াইল, খুলনা, পটুয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বাগেরহাট ও যশোর জেলায়।
জুন ১৬ দুপুরে ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ৬কিশোরীকে বাংলাদেশের একটি এনজিওর কাছে

হন্তান্তর করা হয়। এসময় পঞ্চগড় ব্যাটালিয়নের (১৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ এরশাদুল হক এবং বিএসএফ ৫১ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট কে উমেশসহ বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ, তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেনিয়ে যায়। তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, ওই ৬ কিশোরীকে ভারতের একটি এনজিও, বাংলাদেশের একটি এনজিওর কাছে বিজিবি-বিএসএফের সহযোগিতায় হন্তান্তর করেছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে। উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা হলো- নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাবুল শেখের মেয়ে আয়েশা খাতুন (১৭), খুলনা সদর উপজেলার বাঘমাড়াই গ্রামের মোঃ মহারাজা মির্জার মেয়ে মোছাঃ মায়া লাকি (২৫), পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার তোলাতুলি গ্রামের কালাম গাজীর মেয়ে মোছাঃ শারমিন (২৬), খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বলিচন্দ্রপাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে পাখি শেখ (১৯), বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার ডাবরাগ্রামের ইউসুফ শেখের মেয়ে মনিরা শেখ ও যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আছর আলীর মোল্লার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন (২৫)। কিশোরীদের চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। পরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্ক নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক বছর আগে ওই ৬ কিশোরীকে উদ্ধার করে চেন্নাইয়ের একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে হন্তান্তর করে। পরে ওই এনজিওর মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি এনজিওর সহযোগিতায় ওই কিশোরীদের নাম পরিচয় ও ঠিকানা নিশ্চিত করা হয়। এক বছর চিঠি চালাচালির পর ১৬ জুন তাদের ফেরত পাঠানো হয়।


শিশু পাচার প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে :
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভেকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া শিশু পাচার প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশু পাচার ও শিশু শ্রম প্রতিরোধের পাশাপাশি শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এবিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। ২০ জুন জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিউনিটি পার্টিসিপেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মোসলেমা বারীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ও গেন্ডারিয়ার ঝর্ণা সরকার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এমমাসুদ আলী। ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারনেই সরকার বাংলাদেশে শিশু বাজেট বরাদ্দ করেছে। এর আগে কোনো সরকার এ ধরনের বাজেট বরাদ্দ দেয়নি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের কল্যাণে সবসময় উদারতার পরিচয় দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বিধান করেছেন।

উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আরো ৩ কিশোর
এছাড় মানবাধিকার খবর আরো তিন কিশোরকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনে অভিবাভকদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা হলেন ১। আবু সাইদ (১৬). পিতা: কাসেম আলী মন্ডল, মাতা: আসমা বেগম, গ্রাম : রঘুনাথপুর, খালদাহ রোড, কোতওয়ালী যশোর। ২। রাসেল গাজী (১২) পিতা : মোসলেম, মাতা : মৃত ফুলি বেগম, গ্রাম : কামার ডাঙ্গা গোয়াল পোতা যশোর। ৩। মোঃ মেহেদী হাসান (১৩) পিতা: মনির হাওলাদার, মাতা: লাইকলি বেগম, সাং : উত্তর সাউথখালি পোস্ট: তাফাল বাড়ি থানা: শরনখোলা জেলা: বাগেরহাট। এ তিন কিশোরের মধ্যে আবু সাইদ পাচার হয়ে যায়, পরবর্তীতে পাচারকারীর হাত থেকে পালানোর পর পুলিশের হাতে আটক হয়। রাসেল বেনাপোল থেকে ট্রাকে করে চলে আসে ভারতে সেখানে হোটেলে থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করতে থাকে পরবর্তীতে পুলিশের হাতে আটক হয় এবং মেহেদী হাসান গত গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী মা-বাবার সাথে ব্যাঙ্গুলুর থেকে বাংলাদেশে আসার সময় কলকাতার চিৎপুর রেলওয়ে পুলিশ আটক করে। মেহেদীর বাবা মনির হাওলাদার মানবাধিকার খবরকে জানান দীর্ঘ পাচ বছর পর মা-বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ব্যাঙ্গালুর থেকে দেশে আশার উদ্দেশ্যে যখন তারা কলকাতার চিৎপুর রেলওয়ে স্টেশনে নামেন, তখন তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পুলিশ আমার স্ত্রী লাইকলি বেগম ও ছেলে সহ আটক করে শিয়ালদহ কোর্টে প্রেরণ করে। কোর্ট আমাদেরকে ১৩ মাসের জেল দেয়, ছেলেকে পাঠায় বারসাত কিশলয় হোমে। দমদম সেন্ট্রাল জেলে ১৩ মাস বন্দি থাকার পর গত ১৯ মার্চ আমাদেরকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করে। এ সময় আমরা ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আসার আকুতি মিনতি করলে জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে, বলে তোমরা চলে যাও ছেলে ১০ দিন পরে যাবে। প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো ছেলে ভারত থেকে আমাদের কাছে ফিরেনি। ছেলের জন্য তারা প্রসাশনের বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এবং কান্নাকাটি করছেন। উক্ত দম্পতি ছেলেকে ভারতে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করে দেশে এনে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মানবাধিকার খবরের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন। তিন কিশোর বর্তমানে বারাসাত সরকারি কিশলয় হোমে রয়েছেন। নাম ঠিকানা ও তথ্যগত ভুলের কারণে তারা দেশে ফিরতে পারছেন না। মানবাধিকার খবর খুব শিগ্রই ভারতে গিয়ে তাদের পূণাঙ্গ কাগজপত্র সংশ্লিস্ট দপ্তরে দাখিল করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

যাদের সহযোগীতায় উদ্ধার :
এবিষয়ে মানবাধিকার খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক রোটা. মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, পাচার হয়ে যাওয়া নারী-শিশু উদ্ধার কাজে দু’দেশে যাদের সার্বিক সহযোগীতা-সহায়তা পেয়েছেন তারা হচ্ছেন, কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, কাউন্সিলর ও হেড অব চ্যাঞ্চেলর বি এম জামাল হোসেন, ফাষ্ট সেক্রেটারী (প্রেস) মো. মোফাক্কারুল ইকবালসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি গিরিশ চন্দ্র গুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নপরাজিৎ মূখার্জি, রাজ্য সভার সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, লোকসভার সংসদ সদস্য ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীমতি প্রতিমা ম-ল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশু অধিকার ও পাচার রোধ যুগ্ন পরিচালক ভাষ্কর চক্রবর্তী, বারসাত কিশলয় হোমের সুপারিন্টেড শ্রী মলয় চ্যাটার্জী, সল্টলেক সুকন্যা হোমের সুপারিন্টেড বাপ্পি দাস, লক্ষিকান্তপুর নুরআলী সোসাইটি হোমের আসিফ ইকবাল। আলিপুর ভবানী ভবনে দক্ষিন ২৪ পরগনায় জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীমতি শান্তি দাস, জেলা ইন্টেলিজেন্ট ব্রাঞ্চের নিবেদিতা তালুকদার এডিশন সেক্রেটারি ফরেনার্স গভ পশ্চিমবঙ্গ হোম ডিপার্টমেন্ট গৌরাঙ্গ সরকার। জেলা শিশুরক্ষা সমিতির কর্মকর্তা অনিন্দ ঘোষ, কলকাতার সল্টলেকে বিকাশ ভবনে অবস্থিত শিশু রক্ষা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুচরিতা, প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি অমর সাহা, মানবাধিকার খবর পত্রিকার কলকাতা প্রতিনিধি দিশা বিশ্বাস, ভারত প্রতিনিধি মনোয়ার ইমাম, বারাসাত প্রতিনিধি প্রদীপ রায় চৌধুরী, মানবাধিকার খবরের কলকাতাস্থ আইন উপদষ্টা রাজীব মুখার্জি, নিলোৎপল মৈত্র, রিয়া সেন প্রমুখ।

নারী ও শিশু উদ্ধার করে মানব কল্যাণ করছে মানবাধিকার খবর
- শ. ম. রেজাউল করিম
নারী ও শিশু পাচারকে এক জঘন্য অপরাধ ও নিকৃষ্টতম কাজ উল্লেখ করে ৯ জুলাই সকালে বেইলী রোডের সরকারি বাস ভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম মানবাধিকার খবরকে বলেন, মানুষের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যারা নারী-শিশুদেরদে পাচার করে অন্ধাকার জীবনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সমাজে তাদের চাইতে খারাপ মানুষ, অন্যায়কারী বা অপরাধ আর কেউ হতে পারে না। তবে, আশার কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ। প্রধানমন্ত্রী নারী ও শিশু পাচার রোধ ও এই কাজের সাথে যুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রনয়ণ করে দিয়েছেন। ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার মানবাধিকার। সংবিধান নাগরিককে যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার থেকে তিনি যদি বঞ্চিত থাকেন, তাহলে তিনি মানবা ধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবার অধিকার নিশ্চিত করতে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন তথা সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে কেউ যেন মানবপাচার করতে না পারে। দেশ-বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া নারী-শিশু উদ্ধারে মানবাধিকার খবরের ভূমিকার ভুয়সী প্রশংশা করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার খবর মানব কল্যাণে কাজ করছে। মানবাধিকার খবরের উদ্যোগে নারী-শিশু উদ্ধারের ঘটনা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি বলেন, পাচার হয়ে যাওয়া নারী-শিশুকে উদ্ধার করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেয়া কতো বড় মহৎ কাজ সে কথা বলে বোঝানো যাবে না। তিনি বলেন মানবাধিকার খবর তার সীমিত শক্তি দিয়ে সমাজে যুগান্তকারী অবদান রাখছে। তাই, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মহতী কাজের জন্য মানবাধিকার খবর-এর সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সহ পত্রিকার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, মানবাধিকার খবরের ভালো কজের ব্যাপারে আমি সব সময় পাশে থাকবো।

 

মানবাধিকার খবর ডেস্ক: মোঃ রবিউল ইসলাম  



  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে ত্রুটি, শারজাহগামী ১৬৪ জন যাত্রী হোটেলে
চট্টগ্রাম বোর্ডে এবারও শীর্ষে বন্দর নগরীর স্কুলগুলো
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় মোবাইল চার্জার এর পরিবর্তে ল্যাপটপ
চিতলমারীতে বিশ “মা” দিবস পালিত

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308