বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ দুই ছাত্রের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বঙ্গবন্ধু হল ও নতুন কলা অনুষদ ভবনের নামকরণ হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন কলা ভবনকে ‘শহীদ ফরহাদ হোসেন ভবন’ এবং বঙ্গবন্ধু হলের নাম ‘শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হল’ রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে নতুন কলা অনুষদ ভবনের সামনে দুই শহীদের নামে ব্যানার নিয়ে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। পরে ভবনের সামনে শহীদ ফরহাদের নামে এবং বঙ্গবন্ধু হলের গেটে শহীদ হৃদয় তরুয়ার নামে ব্যানার টাঙানো হয়।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ইতিহাস বিভাগের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ শাহাদাতবরণ করেছেন। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে দুটি স্থাপনার নামকরণ হলো। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বৈরাচার না হয়ে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন একাধিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আন্দোলনে শহীদদের প্রশ্নে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। আন্দোলনের বিপক্ষে গিয়ে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে আমরা আবার আন্দোলনে নামবো। দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে অনেক স্থাপনা ভাস্কর্য আছে। তাই হৃদয় তরুয়ার বঙ্গবন্ধু হলের নামটি হৃদয় তরুয়ার নামে করা হলো।’
আরেক শিক্ষার্থী আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিহাস বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শহীদের স্মরণে নামকরণ করলাম। আমাদের দাবি এটা যেন প্রশাসন থেকে স্থায়ী করা হয়। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, তাদের পরিবারের যোগ্যদের চাকরির ব্যবস্থা এবং শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে ‘
হৃদয় তরুয়ার বন্ধু কবির হাসান শুভ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বন্ধু শহীদ হৃদয় তরুয়ারকে নিয়েও অপরাজনীতি করা হয়েছে। যারা শহীদদের রক্ত নিয়ে খেলা করেছে তাদের বিচার এ মাটিতে করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চবির অন্যতম সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে অফিশিয়ালি এই দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিহাস বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকে ভবনের নামকরণ করে আমাদের কাজে সহযোগিতা ও সহজ করে দিয়েছেন।’