| |
| সাতক্ষীরার শাঁখরা সীমান্তে ডাকাতি, ধৃত ডাকাতকে ছিনিয়ে নিতে গুলি, আহত-৪ |
| |
|
|
|
|
|
|
|
| |
| |
|
| |
| |
| সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা সীমান্তবর্তী শাঁখরা গ্রামে ডাকাত দলের তাণ্ডবের ঘটনায় স্থানীয়দের চারজন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোররাতে সাবেক মেম্বার সাহেব আলীর বাড়ির সামনে ঘটে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ডাকাতির সময় ধরা পড়া এক সদস্যকে ছিনিয়ে নিতে এসে ডাকাত দল গুলি ও বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করে। এতে এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র আতঙ্ক। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভোররাতে মোটরসাইকেলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় স্থানীয়দের। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় তার চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা সতর্ক ছিলেন। শব্দ শুনে কয়েকজন গ্রামবাসী ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে ফেলেন। আটক ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে সে কেবল গ্রামের নাম মৌতলা বললেও নিজের নাম বলেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি স্থানীয়রা পুলিশে জমা দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, এসময় পালিয়ে থাকা অপর দুই ডাকাত ফিরে এসে গুলি ছোড়ে এবং বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করে তাদের অপর সহযোগীকে ছিনিয়ে নেয়। গুলিতে ও বিস্ফোরক আঘাতে আহত হন- হাড়দ্দহা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াইফাই ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন (৩৮), কোমরপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান সাগর (৩০), আব্দুর রউফের স্ত্রী ও গোবিন্দ দাস। এছাড়া বৈচনা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাঈদ হোসেন (২৪) এর শরীরে গান পাউডার লেগে পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত ২জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহিনুর সাংবাদিকদের বলেন- আমরা কয়েকজন মিলে একজনকে ধরার পরই বাকি দুই জন ফিরে আসে। তারা গুলি চালায়, বিস্ফোরক ছোড়ে। গুলির শব্দে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। তারা জোর করে তাদের আটক সদস্যকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা একটা মোটরসাইকেল রেখে যায় যেটি আমরা পরে পুলিশকে দেই।
|
| |
|
|
|