মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন চিতলমারী সীমান্তে নগরমান্দ্রায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব   * কক্সবাজারের উখিয়ায় অপহরণ চক্রের ১সদস্যকে গ্রেফতার করেছে. র‍্যাব-১৫   * কুমিল্লার মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী সহ গ্রেফতার ৪ জন   * চিতলমারীতে দোহার তৈরি করে জীবিকা চলে শতাধিক পরিবারের   * ভেসে গেল মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁই: চর আব্দুল্লাহর রাকিব এখন খোলা আকাশের নিচে   * সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্যরে অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আর্ন্তজাতকি দবিস পালন   * পঞ্চগড়ে আবারও সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠালো ভারতীয় বিএসএফ   * কক্সবাজারে ছাত্রশিবিরের ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫   * চট্টগ্রামে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ   * কুমিল্লা থেকে সেনাবাহিনী, RAB ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক মুন্নার বাড়ি থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র  

   বিশেষ প্রতিবেদন
উন্নত বাংলাদেশের সন্ধানে- মাহাথির মোহাম্মদের দেশে ঢাবি হিসাববিজ্ঞানের আমরা
  Date : 25-03-2019

জন্মের পর থেকে মায়ের কোমল কোল থেকে নেমে হাটছি পথ চলছি । চাকার আবিস্কার পায়ে পথ চলা মানুষের গতি বাড়িয়েছে বহুগুন। জন্মস্থান দেশ মহাদেশ পাড়ি দিয়ে মানব মানবী আজ মহাকাষ যাত্রী।দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তঃদেশ যাত্রা আজ কোটি কোটি মানুষের। দেশে বড় বড় দলঁেবধে বড় যাত্রা শেষে আমরা যাত্রা করলাম তুন মাহাথিরের দেশে।কেমন দেশ গড়লেন-ভ্রমন আনন্দও শেখার নেশায়।আমরা ৩৮ জন।বেশী দুরে নয়-বাংলাদেশের পূর্ব সীমা অতিক্রম করে মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের পরেই মালয়েশিয়া।একেবারে হিমালয়ের পূর্ব প্রান্তসীমা। হিমালয়ের ল্যাজ বলা চলে। কক্সবাজার টেকনাখ সাগর পাড় ধরে দক্ষিন দিকে এগোলে পাওয়া যায় মালয় উপদ্বীপ।বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে মাত্র ৪ ঘন্টার পথ।মাহাথির আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার।অমীয় সম্ভাবনার সোনাল আশের ১৩০০ নদীর সুন্দর বনের দীর্ঘতম সাগর সৈকতের হিমালয়ে মূল পাদদেশে পলল গঠিত শস্য শ্যামলা আমাদের সোনার বাংলাদেশ।১৯৭১ থেকে আজ অবধি ইতোমধ্যে উন্নত দেশ হবার কথা।আমাদের পূর্বে দেশগুলো সেকথা বলে ।বোয়িং বিমানটি প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে উড়তে শুরু করল তখন আমি লিখছিলাম এমন একটি বিমান যেদিন বাংলাদেশ তৈরী করতে পারবে সেইদিন বাংলাদেশ উন্নত হবে।কুয়ালা লামপুর বিমানবন্দরে বিমানটি যখন আস্তে আস্তে অবতরণ করল তখন বন্দরের বিশালতা ব্যাপকতা দেখে প্রশান্ত হল মন। বিমান থেকে নেমে বিমান বন্দরের নক্স্রা সাজানো গোছানো ছুনসান রং ঢং দেখে নতুন দুনিয়ার বাতাস অনুভব করলাম।বুকিত বিতান কুয়ালা লামপুর ঐ দেখাখা যায় টুইন টাওয়ার। নীট এন্ড ক্লীন প্রসস্ত রাস্তা-অদূরে মেট্রোরেল।ক্ষনিকের জন্য ও মাটিতে আমরা।দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম।দেখছি শুধু।সবকিছু মন মগজে ।আর তার সংক্ষিপ্ত সার অক্ষর শব্দে।
দেখতে গেলাম গেন্টিং হাইল্যান্ড।কুয়লা লামপুর থেকে ৬০ কি মি দূরে গেন্টিং হাইল্যান্ড।৫৭১০ ফুট উচুতে কেবল স্কাইকারে চড়ে তীব্র কুয়াশা শীত পাড়ি দিয়ে গেন্টিং হাইল্যান্ড এ ওঠা সাহসী ও থিলিং।পাহাড়ের চ’ড়া থেকে প্রায় খাড়াভাবে নামতে থাকে তখন প্রান আতকে ওঠে। ৫৭১০ টি রুম বিশিষ্ট হোটেল বিশ্বের বৃহত্তম।স্কাইকারে চড়ে আমার মনে হল- আমরাও তো স্কাই কার দিয়ে আমাদের পাহাড়ে পাহাড়ে চড়ার ব্যবস্থা করে ভ্রমন-শিক্ষা পিপাসুদের মন ভরাতে পারি।আমাদের কক্সবাজার,রাঙামাটি,বান্দরবন,পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে পারে বিশ্বের আকর্ষনীয় টুরিষ্ট স্পট।
গেলাম পুত্র জায়া। মালয়েশিয়ার সরকারের কেন্দ্রবিন্দু হল পুত্রজায়া । মালয়েশিার সংসদ,মন্ত্রনালয়, সচিবালয়।কুয়ালালামপুর থেকে ২৫ কি. মি দক্ষিনে অত্যন্ত পরিকল্পিত উপায়ে নির্মিত।পুত্রজায়াকে মাহাথিরের ব্রেইন চাইল্ড বলা হয়।ছুটির দিনে ছিল বলে আমরা কোন অফিস ভ্রমন করতে পারিনি।ছোট টুরিষ্ট শীপে করে ভ্রমন করেছি। মনে হতে থাকল আমাদের সংসদ ভবনের কথা।লেকের কথ।ইটিকে বর্বিত ও গভীর করে সিমীত আকারে হলেও টুরিষ্টদের জন্য খুলে দিলে কিছুটা হলেও পুত্রজায়ার মত মনে হবে।আগারগাও, শেরে বাংলানগর, সংসদ এলাকাকে সেভাবে তৈরী করা যায় বলে আমার বিশ্বাস।আমাদের লেকগুলোর গভীরতা বাড়িয়ে টুরিষ্ট শীপ, ভাসমান হোটেল চালু করা য়ায়।
পিঙ্ক মসজিদঃ পুত্রজায়া
পেনাং? পেনাং মালয়েশিয়ার একটি প্রদেশ-কুয়ালা লামপুরের ঊত্তর পশ্চিমে সাগর মাঝে অবস্থান।১৮ কিমি এর ২ টি ব্রীজকরে মূল ভুভাগের সাথে সংযোগ করা হয়েছে। কুয়ালা থেকে উত্তরে পেনাংয়ে পাহাড়ী মসৃন পথে চলতে চলতে মনে হল আরো চলতে চলতে কক্সজাজারে মিলে যাই। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের ভিমরতী; সাম্পান-টলারে করে বাঙালী কাজের সন্ধানে মালয় দ্বীপে মালয়েশিয়া সিংগাপুর যেতে পারলে আমরা যাবার বাস্তা তৈরী করতে পারছি না -রেল তৈরী করছি না! দোহাজারী-কক্সবাবাজার-গনদুম রেল-রোড মিলবে মিয়ানমারের সাথে সে পথ যাবে চীনসহ পূর্ব এশিয়ার সকল দেশে। তাহলে বাংলাদেশ পাবে পূর্ব এশিয়ার সংযোগ আর এ অঞ্চল হবে পৃথিবীর সচচে গুরুত্বপূর্ন অঞ্চল।পেনাং পাতাইয়ার অতিথিরা আসবে আমাদের কক্সবাজারে-সোনার বাংলা হবে পৃথিবী সেরা।
পেনাং
বাটু কেভ ঃ
বাটু নদীর ধারে পাহাড়ের গুহায় হিন্দু মন্দির-২৭২ টি সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়।এটি মুরুগাং দেবতার মন্দির। মুরুগাং যুদ্ধের দেবতা।তামিলদের দেবতাও বলা হয়ে থাকে।কুয়ালালামপুর থেকে ১৫ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়াঃ
বন্ধু রমজান বলেছিল-রাস্তার কোথাও ভাঙা দেখলাম না।রিক্সা ভিক্ষুক ময়লা নেই।খুব কঠিন নয় রাস্তা ক্লীন করা রাখা।ইচ্ছা থাকলে কি না হয়?কিবরিয়া-ভাবী গেন্টিং ব্যাগ ফেলে এসেছিল।দীর্ঘপথ ফিরে এসে খেয়াল হল। ফিরে গিয়ে দেখল যেখারকার ব্যাগ সেখানেই-কেউ ধরেনি।পেনাং এ কালাম-ভাবী ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছিল-পরে ফিরে পেল-অত্যন্ত সাবধান হতে হয় ভ্রমনে।সকলের কথা মনে আছে-সময় স্থানাভাবে লিখছি না।আল্লার অশেষ রহমত মেহেরবানী।কুয়ালাতে শামসু থাকে-ও আমাদের দেখতে এসেছিল। ১০ লক্ষ বাঙালী থাকে।প্রায়শঃ দেশী ভাইকে খুঁজেছি ।সুখে থাকে যেন ওরা। কুয়ালা-মালাক্কা-পেনাং-পুত্রজায়া-যোহর বাহরু-বুকিতবিতান আজশুধু স¥ৃতি-প্রান মন টানে।দেখে যেতে পারব কি মায়াবিনী পৃথিবীটা ঘুরে ঘুরে?ঢাকা-কুয়ালা-কুনমিং রেল-রোড আর কত দূর?বাংলাদেশ;দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সেতু বন্ধন। সবকিছু ছাড়িয়ে আমার আমাদের বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার থেকে উন্নত হবার মত অমীয় সম্ভাবনার।রমজানের কথিত বিদেশীর মুখে-মালয়েশিয়া শুধু পাম পাম আর পাম। আর বাংলাদেশ-ফসলে ভরা মাঠ-নদী-সুন্দরবন-পাহাড়-সাগর-হাজারো ফল-ফুল-লতাগুল্ম-গাছগাছালি ভরা।তাই প্রতি পায়ে পায়ে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বলল-বাংলাদেশ তোমাকে ভালবাসি।চলুন গড়ে তুলি পৃথিবী শ্রেষ্ঠ দেশ-উন্নত বঅংলাদেশ।
মোঃ মহিদুল ইসলাম
যুগ্ম কর কমিশনার, কেন্দ্রীয় কর জরীপ অঞ্চল, ঢাকা।সমাজ কর্ম ঃ পাবলিক প্লেসে ফল বৃক্ষয়ন।
যোগাযোগঃ ঃধীসড়যরফঁষ@মসধরষ.পড়স ০১৭২০৩৪৩৫৬৯
জন্মের পর থেকে মায়ের কোমল কোল থেকে নেমে হাটছি পথ চলছি । চাকার আবিস্কার পায়ে পথ চলা মানুষের গতি বাড়িয়েছে বহুগুন। জন্মস্থান দেশ মহাদেশ পাড়ি দিয়ে মানব মানবী আজ মহাকাষ যাত্রী।দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তঃদেশ যাত্রা আজ কোটি কোটি মানুষের। দেশে বড় বড় দলঁেবধে বড় যাত্রা শেষে আমরা যাত্রা করলাম তুন মাহাথিরের দেশে।কেমন দেশ গড়লেন-ভ্রমন আনন্দও শেখার নেশায়।আমরা ৩৮ জন।বেশী দুরে নয়-বাংলাদেশের পূর্ব সীমা অতিক্রম করে মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের পরেই মালয়েশিয়া।একেবারে হিমালয়ের পূর্ব প্রান্তসীমা। হিমালয়ের ল্যাজ বলা চলে। কক্সবাজার টেকনাখ সাগর পাড় ধরে দক্ষিন দিকে এগোলে পাওয়া যায় মালয় উপদ্বীপ।বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে মাত্র ৪ ঘন্টার পথ।মাহাথির আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার।অমীয় সম্ভাবনার সোনাল আশের ১৩০০ নদীর সুন্দর বনের দীর্ঘতম সাগর সৈকতের হিমালয়ে মূল পাদদেশে পলল গঠিত শস্য শ্যামলা আমাদের সোনার বাংলাদেশ।১৯৭১ থেকে আজ অবধি ইতোমধ্যে উন্নত দেশ হবার কথা।আমাদের পূর্বে দেশগুলো সেকথা বলে ।বোয়িং বিমানটি প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে উড়তে শুরু করল তখন আমি লিখছিলাম এমন একটি বিমান যেদিন বাংলাদেশ তৈরী করতে পারবে সেইদিন বাংলাদেশ উন্নত হবে।কুয়ালা লামপুর বিমানবন্দরে বিমানটি যখন আস্তে আস্তে অবতরণ করল তখন বন্দরের বিশালতা ব্যাপকতা দেখে প্রশান্ত হল মন। বিমান থেকে নেমে বিমান বন্দরের নক্স্রা সাজানো গোছানো ছুনসান রং ঢং দেখে নতুন দুনিয়ার বাতাস অনুভব করলাম।বুকিত বিতান কুয়ালা লামপুর ঐ দেখাখা যায় টুইন টাওয়ার। নীট এন্ড ক্লীন প্রসস্ত রাস্তা-অদূরে মেট্রোরেল।ক্ষনিকের জন্য ও মাটিতে আমরা।দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম।দেখছি শুধু।সবকিছু মন মগজে ।আর তার সংক্ষিপ্ত সার অক্ষর শব্দে।
দেখতে গেলাম গেন্টিং হাইল্যান্ড।কুয়লা লামপুর থেকে ৬০ কি মি দূরে গেন্টিং হাইল্যান্ড।৫৭১০ ফুট উচুতে কেবল স্কাইকারে চড়ে তীব্র কুয়াশা শীত পাড়ি দিয়ে গেন্টিং হাইল্যান্ড এ ওঠা সাহসী ও থিলিং।পাহাড়ের চ’ড়া থেকে প্রায় খাড়াভাবে নামতে থাকে তখন প্রান আতকে ওঠে। ৫৭১০ টি রুম বিশিষ্ট হোটেল বিশ্বের বৃহত্তম।স্কাইকারে চড়ে আমার মনে হল- আমরাও তো স্কাই কার দিয়ে আমাদের পাহাড়ে পাহাড়ে চড়ার ব্যবস্থা করে ভ্রমন-শিক্ষা পিপাসুদের মন ভরাতে পারি।আমাদের কক্সবাজার,রাঙামাটি,বান্দরবন,পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে পারে বিশ্বের আকর্ষনীয় টুরিষ্ট স্পট।
গেলাম পুত্র জায়া। মালয়েশিয়ার সরকারের কেন্দ্রবিন্দু হল পুত্রজায়া । মালয়েশিার সংসদ,মন্ত্রনালয়, সচিবালয়।কুয়ালালামপুর থেকে ২৫ কি. মি দক্ষিনে অত্যন্ত পরিকল্পিত উপায়ে নির্মিত।পুত্রজায়াকে মাহাথিরের ব্রেইন চাইল্ড বলা হয়।ছুটির দিনে ছিল বলে আমরা কোন অফিস ভ্রমন করতে পারিনি।ছোট টুরিষ্ট শীপে করে ভ্রমন করেছি। মনে হতে থাকল আমাদের সংসদ ভবনের কথা।লেকের কথ।ইটিকে বর্বিত ও গভীর করে সিমীত আকারে হলেও টুরিষ্টদের জন্য খুলে দিলে কিছুটা হলেও পুত্রজায়ার মত মনে হবে।আগারগাও, শেরে বাংলানগর, সংসদ এলাকাকে সেভাবে তৈরী করা যায় বলে আমার বিশ্বাস।আমাদের লেকগুলোর গভীরতা বাড়িয়ে টুরিষ্ট শীপ, ভাসমান হোটেল চালু করা য়ায়।
পিঙ্ক মসজিদঃ পুত্রজায়া
পেনাং? পেনাং মালয়েশিয়ার একটি প্রদেশ-কুয়ালা লামপুরের ঊত্তর পশ্চিমে সাগর মাঝে অবস্থান।১৮ কিমি এর ২ টি ব্রীজকরে মূল ভুভাগের সাথে সংযোগ করা হয়েছে। কুয়ালা থেকে উত্তরে পেনাংয়ে পাহাড়ী মসৃন পথে চলতে চলতে মনে হল আরো চলতে চলতে কক্সজাজারে মিলে যাই। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের ভিমরতী; সাম্পান-টলারে করে বাঙালী কাজের সন্ধানে মালয় দ্বীপে মালয়েশিয়া সিংগাপুর যেতে পারলে আমরা যাবার বাস্তা তৈরী করতে পারছি না -রেল তৈরী করছি না! দোহাজারী-কক্সবাবাজার-গনদুম রেল-রোড মিলবে মিয়ানমারের সাথে সে পথ যাবে চীনসহ পূর্ব এশিয়ার সকল দেশে। তাহলে বাংলাদেশ পাবে পূর্ব এশিয়ার সংযোগ আর এ অঞ্চল হবে পৃথিবীর সচচে গুরুত্বপূর্ন অঞ্চল।পেনাং পাতাইয়ার অতিথিরা আসবে আমাদের কক্সবাজারে-সোনার বাংলা হবে পৃথিবী সেরা।
পেনাং
বাটু কেভ ঃ
বাটু নদীর ধারে পাহাড়ের গুহায় হিন্দু মন্দির-২৭২ টি সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়।এটি মুরুগাং দেবতার মন্দির। মুরুগাং যুদ্ধের দেবতা।তামিলদের দেবতাও বলা হয়ে থাকে।কুয়ালালামপুর থেকে ১৫ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়াঃ
বন্ধু রমজান বলেছিল-রাস্তার কোথাও ভাঙা দেখলাম না।রিক্সা ভিক্ষুক ময়লা নেই।খুব কঠিন নয় রাস্তা ক্লীন করা রাখা।ইচ্ছা থাকলে কি না হয়?কিবরিয়া-ভাবী গেন্টিং ব্যাগ ফেলে এসেছিল।দীর্ঘপথ ফিরে এসে খেয়াল হল। ফিরে গিয়ে দেখল যেখারকার ব্যাগ সেখানেই-কেউ ধরেনি।পেনাং এ কালাম-ভাবী ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছিল-পরে ফিরে পেল-অত্যন্ত সাবধান হতে হয় ভ্রমনে।সকলের কথা মনে আছে-সময় স্থানাভাবে লিখছি না।আল্লার অশেষ রহমত মেহেরবানী।কুয়ালাতে শামসু থাকে-ও আমাদের দেখতে এসেছিল। ১০ লক্ষ বাঙালী থাকে।প্রায়শঃ দেশী ভাইকে খুঁজেছি ।সুখে থাকে যেন ওরা। কুয়ালা-মালাক্কা-পেনাং-পুত্রজায়া-যোহর বাহরু-বুকিতবিতান আজশুধু স¥ৃতি-প্রান মন টানে।দেখে যেতে পারব কি মায়াবিনী পৃথিবীটা ঘুরে ঘুরে?ঢাকা-কুয়ালা-কুনমিং রেল-রোড আর কত দূর?বাংলাদেশ;দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সেতু বন্ধন। সবকিছু ছাড়িয়ে আমার আমাদের বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার থেকে উন্নত হবার মত অমীয় সম্ভাবনার।রমজানের কথিত বিদেশীর মুখে-মালয়েশিয়া শুধু পাম পাম আর পাম। আর বাংলাদেশ-ফসলে ভরা মাঠ-নদী-সুন্দরবন-পাহাড়-সাগর-হাজারো ফল-ফুল-লতাগুল্ম-গাছগাছালি ভরা।তাই প্রতি পায়ে পায়ে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বলল-বাংলাদেশ তোমাকে ভালবাসি।চলুন গড়ে তুলি পৃথিবী শ্রেষ্ঠ দেশ-উন্নত বঅংলাদেশ।
মোঃ মহিদুল ইসলাম
যুগ্ম কর কমিশনার, কেন্দ্রীয় কর জরীপ অঞ্চল, ঢাকা।সমাজ কর্ম ঃ পাবলিক প্লেসে ফল বৃক্ষয়ন।
যোগাযোগঃ ঃধীসড়যরফঁষ@মসধরষ.পড়স ০১৭২০৩৪৩৫৬৯
জন্মের পর থেকে মায়ের কোমল কোল থেকে নেমে হাটছি পথ চলছি । চাকার আবিস্কার পায়ে পথ চলা মানুষের গতি বাড়িয়েছে বহুগুন। জন্মস্থান দেশ মহাদেশ পাড়ি দিয়ে মানব মানবী আজ মহাকাষ যাত্রী।দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তঃদেশ যাত্রা আজ কোটি কোটি মানুষের। দেশে বড় বড় দলঁেবধে বড় যাত্রা শেষে আমরা যাত্রা করলাম তুন মাহাথিরের দেশে।কেমন দেশ গড়লেন-ভ্রমন আনন্দও শেখার নেশায়।আমরা ৩৮ জন।বেশী দুরে নয়-বাংলাদেশের পূর্ব সীমা অতিক্রম করে মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের পরেই মালয়েশিয়া।একেবারে হিমালয়ের পূর্ব প্রান্তসীমা। হিমালয়ের ল্যাজ বলা চলে। কক্সবাজার টেকনাখ সাগর পাড় ধরে দক্ষিন দিকে এগোলে পাওয়া যায় মালয় উপদ্বীপ।বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে মাত্র ৪ ঘন্টার পথ।মাহাথির আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার।অমীয় সম্ভাবনার সোনাল আশের ১৩০০ নদীর সুন্দর বনের দীর্ঘতম সাগর সৈকতের হিমালয়ে মূল পাদদেশে পলল গঠিত শস্য শ্যামলা আমাদের সোনার বাংলাদেশ।১৯৭১ থেকে আজ অবধি ইতোমধ্যে উন্নত দেশ হবার কথা।আমাদের পূর্বে দেশগুলো সেকথা বলে ।বোয়িং বিমানটি প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে উড়তে শুরু করল তখন আমি লিখছিলাম এমন একটি বিমান যেদিন বাংলাদেশ তৈরী করতে পারবে সেইদিন বাংলাদেশ উন্নত হবে।কুয়ালা লামপুর বিমানবন্দরে বিমানটি যখন আস্তে আস্তে অবতরণ করল তখন বন্দরের বিশালতা ব্যাপকতা দেখে প্রশান্ত হল মন। বিমান থেকে নেমে বিমান বন্দরের নক্স্রা সাজানো গোছানো ছুনসান রং ঢং দেখে নতুন দুনিয়ার বাতাস অনুভব করলাম।বুকিত বিতান কুয়ালা লামপুর ঐ দেখাখা যায় টুইন টাওয়ার। নীট এন্ড ক্লীন প্রসস্ত রাস্তা-অদূরে মেট্রোরেল।ক্ষনিকের জন্য ও মাটিতে আমরা।দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম।দেখছি শুধু।সবকিছু মন মগজে ।আর তার সংক্ষিপ্ত সার অক্ষর শব্দে।
দেখতে গেলাম গেন্টিং হাইল্যান্ড।কুয়লা লামপুর থেকে ৬০ কি মি দূরে গেন্টিং হাইল্যান্ড।৫৭১০ ফুট উচুতে কেবল স্কাইকারে চড়ে তীব্র কুয়াশা শীত পাড়ি দিয়ে গেন্টিং হাইল্যান্ড এ ওঠা সাহসী ও থিলিং।পাহাড়ের চ’ড়া থেকে প্রায় খাড়াভাবে নামতে থাকে তখন প্রান আতকে ওঠে। ৫৭১০ টি রুম বিশিষ্ট হোটেল বিশ্বের বৃহত্তম।স্কাইকারে চড়ে আমার মনে হল- আমরাও তো স্কাই কার দিয়ে আমাদের পাহাড়ে পাহাড়ে চড়ার ব্যবস্থা করে ভ্রমন-শিক্ষা পিপাসুদের মন ভরাতে পারি।আমাদের কক্সবাজার,রাঙামাটি,বান্দরবন,পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে পারে বিশ্বের আকর্ষনীয় টুরিষ্ট স্পট।
গেলাম পুত্র জায়া। মালয়েশিয়ার সরকারের কেন্দ্রবিন্দু হল পুত্রজায়া । মালয়েশিার সংসদ,মন্ত্রনালয়, সচিবালয়।কুয়ালালামপুর থেকে ২৫ কি. মি দক্ষিনে অত্যন্ত পরিকল্পিত উপায়ে নির্মিত।পুত্রজায়াকে মাহাথিরের ব্রেইন চাইল্ড বলা হয়।ছুটির দিনে ছিল বলে আমরা কোন অফিস ভ্রমন করতে পারিনি।ছোট টুরিষ্ট শীপে করে ভ্রমন করেছি। মনে হতে থাকল আমাদের সংসদ ভবনের কথা।লেকের কথ।ইটিকে বর্বিত ও গভীর করে সিমীত আকারে হলেও টুরিষ্টদের জন্য খুলে দিলে কিছুটা হলেও পুত্রজায়ার মত মনে হবে।আগারগাও, শেরে বাংলানগর, সংসদ এলাকাকে সেভাবে তৈরী করা যায় বলে আমার বিশ্বাস।আমাদের লেকগুলোর গভীরতা বাড়িয়ে টুরিষ্ট শীপ, ভাসমান হোটেল চালু করা য়ায়।
পিঙ্ক মসজিদঃ পুত্রজায়া
পেনাং? পেনাং মালয়েশিয়ার একটি প্রদেশ-কুয়ালা লামপুরের ঊত্তর পশ্চিমে সাগর মাঝে অবস্থান।১৮ কিমি এর ২ টি ব্রীজকরে মূল ভুভাগের সাথে সংযোগ করা হয়েছে। কুয়ালা থেকে উত্তরে পেনাংয়ে পাহাড়ী মসৃন পথে চলতে চলতে মনে হল আরো চলতে চলতে কক্সজাজারে মিলে যাই। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের ভিমরতী; সাম্পান-টলারে করে বাঙালী কাজের সন্ধানে মালয় দ্বীপে মালয়েশিয়া সিংগাপুর যেতে পারলে আমরা যাবার বাস্তা তৈরী করতে পারছি না -রেল তৈরী করছি না! দোহাজারী-কক্সবাবাজার-গনদুম রেল-রোড মিলবে মিয়ানমারের সাথে সে পথ যাবে চীনসহ পূর্ব এশিয়ার সকল দেশে। তাহলে বাংলাদেশ পাবে পূর্ব এশিয়ার সংযোগ আর এ অঞ্চল হবে পৃথিবীর সচচে গুরুত্বপূর্ন অঞ্চল।পেনাং পাতাইয়ার অতিথিরা আসবে আমাদের কক্সবাজারে-সোনার বাংলা হবে পৃথিবী সেরা।
পেনাং
বাটু কেভ ঃ
বাটু নদীর ধারে পাহাড়ের গুহায় হিন্দু মন্দির-২৭২ টি সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়।এটি মুরুগাং দেবতার মন্দির। মুরুগাং যুদ্ধের দেবতা।তামিলদের দেবতাও বলা হয়ে থাকে।কুয়ালালামপুর থেকে ১৫ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়াঃ
বন্ধু রমজান বলেছিল-রাস্তার কোথাও ভাঙা দেখলাম না।রিক্সা ভিক্ষুক ময়লা নেই।খুব কঠিন নয় রাস্তা ক্লীন করা রাখা।ইচ্ছা থাকলে কি না হয়?কিবরিয়া-ভাবী গেন্টিং ব্যাগ ফেলে এসেছিল।দীর্ঘপথ ফিরে এসে খেয়াল হল। ফিরে গিয়ে দেখল যেখারকার ব্যাগ সেখানেই-কেউ ধরেনি।পেনাং এ কালাম-ভাবী ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছিল-পরে ফিরে পেল-অত্যন্ত সাবধান হতে হয় ভ্রমনে।সকলের কথা মনে আছে-সময় স্থানাভাবে লিখছি না।আল্লার অশেষ রহমত মেহেরবানী।কুয়ালাতে শামসু থাকে-ও আমাদের দেখতে এসেছিল। ১০ লক্ষ বাঙালী থাকে।প্রায়শঃ দেশী ভাইকে খুঁজেছি ।সুখে থাকে যেন ওরা। কুয়ালা-মালাক্কা-পেনাং-পুত্রজায়া-যোহর বাহরু-বুকিতবিতান আজশুধু স¥ৃতি-প্রান মন টানে।দেখে যেতে পারব কি মায়াবিনী পৃথিবীটা ঘুরে ঘুরে?ঢাকা-কুয়ালা-কুনমিং রেল-রোড আর কত দূর?বাংলাদেশ;দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সেতু বন্ধন। সবকিছু ছাড়িয়ে আমার আমাদের বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার থেকে উন্নত হবার মত অমীয় সম্ভাবনার।রমজানের কথিত বিদেশীর মুখে-মালয়েশিয়া শুধু পাম পাম আর পাম। আর বাংলাদেশ-ফসলে ভরা মাঠ-নদী-সুন্দরবন-পাহাড়-সাগর-হাজারো ফল-ফুল-লতাগুল্ম-গাছগাছালি ভরা।তাই প্রতি পায়ে পায়ে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বলল-বাংলাদেশ তোমাকে ভালবাসি।চলুন গড়ে তুলি পৃথিবী শ্রেষ্ঠ দেশ-উন্নত বঅংলাদেশ।
মোঃ মহিদুল ইসলাম
যুগ্ম কর কমিশনার, কেন্দ্রীয় কর জরীপ অঞ্চল, ঢাকা।সমাজ কর্ম ঃ পাবলিক প্লেসে ফল বৃক্ষয়ন।
যোগাযোগঃ ঃaxmohidul@gmail.com  ০১৭২০৩৪৩৫৬৯



  
  সর্বশেষ
জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন চিতলমারী সীমান্তে নগরমান্দ্রায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব
কক্সবাজারের উখিয়ায় অপহরণ চক্রের ১সদস্যকে গ্রেফতার করেছে. র‍্যাব-১৫
কুমিল্লার মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী সহ গ্রেফতার ৪ জন
চিতলমারীতে দোহার তৈরি করে জীবিকা চলে শতাধিক পরিবারের

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308