শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ   * রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ   * কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব   * চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী গ্রেপ্তার   * চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটক   * পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে চলছে বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে   * এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা - রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল   * সর্বোৎকৃষ্ট মানের স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিল্প সচিব   * উপকূলের শ্যামনগরে বোরোর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি   * চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  

   বিশেষ প্রতিবেদন
বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা এ দায় কার?
  Date : 07-05-2017


ইলিয়াস সাগর
প্রশাসন ও সমাজপতীদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও গাজীপুরে সন্ত্রাসী চক্রের হাত থেকে অন্যায়ের প্রতিকার না পেয়ে এক বাবা ও মেয়ের ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা প্রমাণ করেছে আইনের শাসনের ব্যত্যয় কী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আত্মহত্যাকারী হতভাগ্য বাবার নাম হজরত আলী। তার শিশু কন্যার নাম আয়েশা। গাজীপুরের শ্রীনগরে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা আমাদের সমাজ, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের হতশ্রী চেহারা তুলে ধরেছে। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠার পর যে বাবা বখাটে পুত্রকে শাসন করার বদলে অভিযোগকারীকে ধমক দেন তিনি অধঃপতনের কোন স্তরের বাসিন্দা তা সহজে অনুমেয়। যে ইউপি মেম্বার তার এলাকার একজন বালিকার সম্ভ্রমহানির চেষ্টার প্রতিকার না করে বখাটের পক্ষাবলম্বন করেন, তার আসল পরিচয় কী সে প্রশ্নটি সামনে আসা স্বাভাবিক। আর দুর্জনকে দমন ও সুজনকে পালন পুলিশের ধর্ম হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার ব্যত্যয় ঘটছে। সুজনদের বদলে দুর্জনদের পৃষ্ঠপোষকতা এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।  
মাত্র এক দিন বয়সে আয়েশা আক্তারকে নিজেদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি হযরত আলী ও হালিমা বেগম। গত আট বছরে এক দিনের জন্যও মেয়েকে কাছ ছাড়া করেননি। সেই মেয়েকে সুরক্ষা দিতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন বাবা।
২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশু হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন হযরত আলী (৪৫) ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮)। পরিবার বলছে, হযরত আলী মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন হালিমা বেগম। কান্না থামাতে পারছিলেন না সব হারানো ওই নারী। ওই কাহিনীর পরতে পরতে ছিল সমাজ, স্থানীয় সরকার আর পুলিশ প্রশাসনের উপেক্ষার কথা।
হালিমা বলছিলেন, তাঁদের ৮ বছরের মেয়েটি হেরাপটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আয়েশা প্রায়ই অভিযোগ করত স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেনের (২২) নামে। ফারুক তাকে জোর করে সাইকেলে ওঠাত। জঙ্গলের দিকে নিয়ে যেতে চাইত জোর করে। বেশ কয়েকবার একই অভিযোগ করায় হযরত আলী গিয়েছিলেন ফারুক হোসেনের বাবা ফজলু মিয়ার কাছে। কোনো প্রতিকার তিনি পাননি। অনেকটা নিরুপায় হয়েই পরে তিনি গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীর কাছে যান। তিনিও বিচার করেননি। পাগল বলে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন হযরত আলীকে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের কাছে অভিযোগ করায় ফারুক হোসেন জোর করে হযরত আলীর গরু নিয়ে যান। এ ঘটনারও বিচার হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত ৪ এপ্রিল হযরত আলী শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বিচার না পাওয়ায় কষ্ট পেয়েছিলেন হযরত আলী। ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বেঁচে থেকেও সন্তানকে নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিপন্ন বোধ করেছিলেন।

 

 


তবে হালিমা আক্তার একবারও ভাবতে পারেননি মেয়েকে সঙ্গে করে বাবা মরতে যাচ্ছেন। ঘটনার দিন সকালবেলা নাশতা করে মেয়ের হাত ধরে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হযরত আলী। ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শোনেন স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর খবর।
হযরত আলীদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে। লোকের অভাবে বাড়ি খাঁ খাঁ করছিল কাল। প্রতিবেশী মাজেদা বেগম বলেন, ফারুক হোসেন শিশু আয়েশাকে উত্ত্যক্ত করতেন এ কথা তাঁরা আগেও শুনেছেন। তিনি নিজেই মেয়েটির পায়ে আঘাতের চিহ্ন ও ব্যান্ডেজ দেখেছিলেন। কী করে পা কাটল জানতে চাইলে আয়েশার বাবা-মা সে সময় জানিয়েছিলেন, ফারুক হোসেন জোর করে সাইকেলে তোলার চেষ্টা করছিলেন। সাইকেলের চেইনে আটকে আয়েশার পা মারাত্মকভাবে কেটে যায়।
প্রতিবেশীরা বলছিলেন, সে সময় যদি স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, পুলিশ এগিয়ে আসত, তাহলে হয়তো এভাবে বাবা-মেয়ের প্রাণ যেত না। বাবা ও মেয়ের এই আত্মহত্যার দায় কার?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হালিমা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে দুবার তাঁর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে যে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ৮ বছরের শিশুকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ, তিনি এখন পলাতক। বাবা-মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার খবর নাড়া দিয়েছে সবাইকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও চলছে আলোচনা। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকেয়া রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। বিপদে পড়ে অনেক মানুষ তাঁদের কাছে আসেন। কিন্তু হযরত আলী আসেননি। এ ঘটনার পর হালিমা বেগম যেন সুবিচার পান, সে ব্যাপারে তাঁদের নজর থাকবে।
মানবাধিকার খবরের গাজীপুর প্রতিনিধি গাজী আতাউর রহমান সোহেল জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর শীতপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি নিহত বাবা-মেয়ের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।
মর্যাদাহানি, লজ্জা, ক্ষোভ সর্বোপরি বিচারহীনতার কারণেই হযরত আলী ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবী করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, হালিমার অভিযোগ অনুযায়ী তার ৮ বছরের মেয়েকে যে নির্যাতন এবং মর্যাদাহানি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে থানায় জিডি হয়েছিল। সেটি একটি স্পেসিফিক এলিগেশন ছিল। কি কি ধরণের অন্যায় তার প্রতি করা হয়েছে সেগুলো জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সে ব্যাপারে তারা (পুলিশ) তদন্ত করেছে এবং বাদীর সাথে কথা বলেছে। কিন্তু সে ব্যাপারে তারা (পুলিশ) কোনো লিখিত প্রতিবেদনও দেয়নি।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে এ অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে ট্রিট করে বিবাদীদের ধরার জন্য আরো অনেক বেশি সক্রিয় হওয়ার কথা ছিল। হালিমা বেগম বলেছে থানা এ বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়নি। এটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়ার দরকার ছিল। তার মেয়েকে মর্যাদাহানির জন্য দুঃখ, ক্ষোভ, লজ্জা, গ্লানি থেকে মনে হয়েছে, হয়তো হযরত আলী মনে করেছে তারা তাকে পাগল বানিয়ে ফেলবে। এ অবস্থায় আমার (হযরত আলীর) বেঁচে থাকার যুক্তি নেই। সমাজ, আইনের প্রতি তার বিশ^াসের অভাবের কারণেই তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। মানবাধিকারের বিষয়টা হচ্ছে যে, আইন বলেছে রাষ্ট্র যাকে যে দায়িত্ব বা ক্ষমতা দিয়েছে তা যদি সে সঠিকভাবে ব্যবহার না করে তবে তার দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন যারা করেছেন তাদের সাথে পুলিশও এ দায়বদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। আমাদের বিচার ব্যবস্থা, আমাদের সিস্টেম এগুলো মানুষকে পাগল বানিয়ে দেয়। বার বার বিচারহীনতার কারণে মানুষের মধ্যে এ্যাবনর্মালিটি আসতে পারে। তাকে প্রকৃত পক্ষে পাগল হিসেবে ভাবা যাবেনা। হালিমাকে সত্যিকার অর্থে বদ্ধ পাগল এটা বলা যাবে না। তা মেডিকেল সায়েন্স ভাল বলতে পারবে।

 




হযরত আলী মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকতে চেয়েছিল। বার বার সংগ্রাম করে ব্যার্থ হয়েছেন তিনি। জনপ্রতিনিধি, সমাজ তার প্রত্যাশার প্রাপ্তিতে ব্যার্থ হয়েছে। তবে এরকম অবস্থাতে পড়লে যে কোনো মানুষের মধ্যে পাগলামি ভাব আসতে পারে। তার সম্পত্তির ওপর একদল স্বার্থান্বেষী মানুষের লোভ পড়েছে। সম্পত্তি তার কাল হয়েছিল। গত চার মাসে হালিমা বেগমের মেয়ের প্রতি যে নির্যাতন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে, যার জন্য সে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে এবং থানায় অভিযোগ করেছে, তা থেকে সে কোনো বিচার পায়নি। এ কারণেই সে ও তার স্বামী হতাশ হয়েছে। আত্মহত্যাটা হতাশার একটি অভিব্যাক্তি। যার কারণে বাবা মেয়েকে সাথে নিয়ে আত্মহত্যা করতে সে বাধ্য হয়েছে।
 
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যারা এর জন্য দায়ী তা বলতে গেলে বলতে হবে এক ধরণের স্বার্থান্বেষী লোকেরা দীর্ঘদিন যাবত তার দখলে থাকা প্রায় তিন বিঘা সরকারী সম্পত্তি দখল করার জন্য তার ওপর অত্যাচার জুলুম করেছে তারা দায়ী, যারা তার মেয়েকে লাঞ্ছিত করেছে মর্যাদার সাথে তাকে বাঁচতে দেয়নি তারা দায়ী,  এবং সেই সাথে আমাদের যাদের প্রটেকশন দেয়ার দায়িত্ব ছিল তারা অর্থাৎ (জনপ্রতিনিধি) তা করেনি। এমন মর্যাদাহানির মামলায় সালিশীর কোনো দায়িত্ব তাদের থাকে না, তারা দায়ী। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে আবেদন পেয়েও কোনো অ্যাকশন নেয়নি এরকম একটা ঘটনায় তারাও তাদের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে পারে না। এটি শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, তাদেরকে ফৌজদারী বিচারের আওতায় এনে আইনের কাঠগড়ায় তাদের সোপর্দ করতে হবে।আমরা অর্থাৎ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে লিগ্যাল এইড সাপোর্টের এক্সটেন্ড করেছি। নিহত পরিবারের বাদী হালিমা বেগমের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সকল আদালতে লড়ে যাব।
তাকে কেন্দ্র করে অসহায়ের প্রতি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব। এতে সফল হলে আমরা অনেক ক্ষেত্রে সফল হব।
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, বিচারহীনতার জন্য বাবা ও মেয়ে যে জীবন দিল এটা আমাদের জন্য জাতির জন্য একটা লজ্জাষ্কর বিষয়। আইনের শাসনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ এখনও আসেনি। আইনের শাসন থেকে আমরা এখনও অনেকটা দূরে আছি। যার কারণে একটা মানুুষকে কোনো জায়গায় বিচার না পেয়ে জীবন দিয়ে বিচারের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হল, দেশের অসহায় মানুষ যেন বিচার পায়। আমাদেরকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, অসহায় মানুষদের বাাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আমাদের দেশে যত মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনা হয়েছে, নাসিরনগরের হিন্দুদের ওপরে বলেন, সেখানে হচ্ছে যে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জমি গ্রাস করার উদ্দেশ্য নিয়েই এসমস্ত অসহায় মানুষের ওপর নির্যাতন করে। একসময় তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হলে জমিটুকু তারা গ্রাস করে ফেলে।
এখানেই আইনের শাসন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। আইনের শাসনের প্রতি আমাদের বিশ^াসহীনতার কারণেই হযরত আলীকে তার মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে। এখন হালিমাকে দেখে রাখার দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের। পুলিশকে তার সম্পত্তি, তার গরু, ঘর প্রটেকশন দিতে হবে। তাছাড়া তাকে বয়ষ্কভাতা, বিধবা ভাতা সকল কিছু দিতে হবে।
পরিদর্শনের সময় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক শরীফ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুস সবুর, শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রেজা, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ কামরুল হাসান সহ প্রমূখ।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এর নির্দেশে এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ হেড কোয়াটার্স) সাদিরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঢাকা রেঞ্জ) আকতারুজ্জামান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা-গাজীপুর) মো. সোলাইমান।



  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ
রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308