শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;   * কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা   * ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;   * কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান   * শ্রীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ,পুলিশ- শ্রমিক সংঘর্ষ   * কক্সবাজারের রামুতে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, গ্রেপ্তার-১   * হেঁটে হজ পালন করতে যাওয়া কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জামিল এখন ইরানে;   * মহেশখালীর আলোচিত কিলার লোকমান প্রকাশ আজরাইল গ্রেফতার ;   * গাজীপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার পেল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ   * প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে `স্বাধীনতা পুরস্কার` গ্রহণ করলেন কুড়িগ্রামের কীর্তিমান সন্তান এস এম আব্রাহাম লিংকন  

   চলতি সংখ্যা
দেশের বাইরে ভ্রমণ: ভারত ঘুরে আসতে পারেন রাজস্থান
  Date : 01-07-2016

 

একঘেয়ে  জীবন  যাত্রায় মানুষ  যখন হাঁপিয়ে ওঠেন, তখন তার অন্তত কিছু সময়ের জন্য একটু আরাম,একটু বিরাম,একটু শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সৃষ্টিকর্তার অপরময় সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য কাছে বা দূরে কোথাও। ভ্রমণ করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় দুষ্কর। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সারা বিশ্ব। দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বদেশ মূল্যে ঘুরে আসতে পারেন বিদেশ। আর এই বিদেশ অন্য কোন দেশ নয়। আমাদেরই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে দেশের মধ্যে রয়েছে একদিকে মরুভূমি, অন্যদিকে বরফ আচ্ছাদিত পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকৃর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার। প্রবাদ আছে, ‘সমগ্র ভারত ভ্রমণ করলে পৃথিবীর অর্ধেক দেখা হয়ে যায়’। আর আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ভারতে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার আদি গোড়াপত্তন ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা দরকার। ভারত ঘুরে এসে ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশ্যে পর্যটন বোর্ড ও ভারতীয় ভ্রমণ সঙ্গী গাইডের অবলম্বনে লিখেছেন :

রোটা. মো: রিয়াজ উদ্দিন

 

রাজপুতদের দেশ রাজস্থান । শৌর্য আর বীর্যের স্মৃতি বিজড়িত রাজস্থানের আকাশ-বাতাস। এর বাতাসে যেমন মীরাবাঈয়ের ভজন ভেসে বেড়ায় তেমন স্থলা ভূমিকে ভারী করে রাখে রাণাদের বীরত্ত্ব গাথা। রানা বাপ্পারাও, রানাকুম্ভ, রানা প্রতাপ, ভীম সিং, ধাত্রী পান্নার কাহিনী সুধু রাজপুতদের ঘরনার মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র ভারত তথা বিশ্বে।

ধাত্রী পান্না প্রভুপ্রত্রকে বাঁচাতে, রাজপুত বংশ রক্ষার্থে নিজপুত্রকে অপরের হাতে তুলে দিয়ে ত্যাগের এক মহান ইতিহাসের সৃষ্টি করেছেন।

আবার রানী পদ্মাবতী তার সখীদের নিয়ে আগ্নিতে আত্মহূতি দিয়ে ধর্মপ্রান রক্ষা করেছে। ইতিহাসও রাজস্থানকে মহিমাম-িত করে তুলেছে। এখানে আছে প্রাসাদের পর প্রাসাদ। নানান রাজপুত রানা, মুসলিম স¤্রাটদের গড়া নানা রুপে সমৃদ্ধ স্থাপত্য ও ভাষ্কর্যের নিপুনতা পর্যটকদের কাছে স্বপ্নময় মনে হবে।

রাজস্থানের অন্যতম আকর্ষণ প্রাসাদ তথা দূর্গের অপরুপ কারুকার্যময় শোভা। গোলাপী শহর রাজস্থানে লোক আসছে দেশ দেশান্তর থেকে। রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী জয়পুর, লেক তথা প্রসাদ নগরী উদয়পুর, মিউজিয়ম নগরী শেখাবতী, জয়সলমির, যোধপুর, উদয়পুর, চিতরগড়, আজমের, ভরতপুর, আলোয়ার প্রভৃতি স্থানগুলি দেখতে কম করে ২১ দিন সময় লাগবে।

 

রাজস্থানের পূর্ব ইতিহাস

অতীতকালে রাজাস্থানে ছোট ছোট এলাকা নিয়ে এক এক জন রানা রাজত্ব করতেন। এরা ছিলেন অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। সকলে স্ব স্ব এলাকায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন। দীর্ঘ এক হাজার বছর ধরে এই এলাকার শাসন ক্ষমতা রানাদের হতেই ছিল। তবে রানাদের মধ্যে মিত্রতার অভাবে বহি:শত্রুর এখানে আগমন ঘটে। নব্বই ভাগ হিন্দু যে রাজ্যে বসবাস করে সেখানে ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম মহম্মদ ঘোরীর আগমন ঘটে। ভারতের শেষ স্বাধীন হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানকে হারিয়ে মহম্মদ ঘোরি প্রথম রাজস্থানে তার আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। তার পর আসেন আলাউদ্দিন খলজী, মুঘল সম্্রাটগণ, পরিশেষে বৃটিশের হাত ঘুরে স্বাধীন ভারত।

মন্দির, মসজিদ, প্রসাদ, দূর্গ, নন্দন কানন, মরুভূমি, পর্বতমালা বেষ্টিত রাজস্থান সব  শ্রেনীর লোকদেরই কাছে টানে।

 

জয়পুর

জয়পুর গোলাপী প্রাসাদনগর। মতরুভূমির দেশ রাজস্থানের রাজধানী শহর জয়পুর। ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে তিন দিক আরাবল্লী পর্বতে ঘেরা এ মনোরম পরিবেশে মহারাজা সেয়াই জয়সিংহ(দ্বিতীয় জয়সিংহ) এ নগরীরর পত্তন করেন। এক অবিশ্বাস্য ব্যপার, রাজা জয়সিংহ নগর পত্তনের দায়িত্ব স্থাপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্যকে দিয়েছিলেন। পাহাড়ের প্রাচীর ছাড়া নগরের চারদিক সু উচ্চ পাথর নির্মিত প্রাচীর দিয়ে সম্পূর্ণ নগরটিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। বহু অংশ আজ ধ্বংস হয়ে গেলেও তার চিহ্ন আজও নজরে পড়ে। তার ধ্বংসাবশেষে দেখা যায় নগরের আটটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত তোরণ। বাড়ীঘর সবকিছু গোলাপী পাথরে নির্মিত। রাজা জয়সিংহের নামানুসারে নগরটির নাম দেওয়া হয় জয়পুর। এখানে গোলাপী পাথরের বিচিত্র সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। এবং পটে আঁকা ছবির মত নগর বলে ইংরেজরা একে পিংকসিটি নামে অভিহিত করে।

 

যন্তরমন্তর

মহারাজা সোয়াই জয়সিংহ সারা ভারতে পাঁচটি মান মন্দির নির্মান করেন- দিল্লী, মধুরা, বারানসী, উজ্জয়িনী ও জয়পুরে। এদের মধ্যে জয়পুরে মানমন্দিরটিই বৃহত্তম। এর স্থপতি জয়সিংহ নিজেই। অবশ্য তার সহকারী হিসেবে তারই কর্মচারী বিদ্যাধর ভট্টাচার্য তাকে এ কাজে যথেষ্ঠ সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। জয়সিংহ একজন স্বনামধন্য জ্যোতির্বিদও ছিলেন। তাই অঘাত অর্থ  ব্যয় করে যন্তর মন্তর নামে পাঁচটি মানমন্দির নির্মান করেছিলেন। জয়পুরের এ মান মন্দিরটি নির্মানকাল ১৭২৬ খ্রিষ্টাব্দ।এর গায়েই রয়েছে একটি সূর্যঘড়ি। এর মাধ্যমেই আজও জয়পুরের সঠিক সময় নির্নয় করা সম্ভব হয়। আর এখান থেক আজও গ্রহ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা যায়। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের দর্শনের জন্য এর দরজা খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা। সোমবার টিকিট লাগে না। খোলা থাকে সকাল ৯.৩০ থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত

 

জলমহল

জলমহল জয়পুরের রাজার রাজরাজাদের গৃষ্মবাসরুপে ব্যবহৃত হত। বিশালায়তন হৃদের বুকে এমন একটি সুরম্য প্রাসাদেদর কথা ভাবাই যায় না। পূর্নিমা রাতে হৃদের জলে প্রাসাদটি ছায়া পড়লে মনে হয় সম্পূর্ণ প্রাসাদটি বুঝি জলে ভাসছে। এর স্থাপত্য ও ভাষ্কর্য যে কোন শিল্পরশিকের মন জয় করবে, সন্দেহ নেই।

নবাব সাহেব কি হাভেলি

হাভেলি শব্দটি সাধারণত প্রাসাদ বা অট্টালিকা অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এরকম নাম করণের পিছনে যুক্তি এই যে, একসময় এখানে জয়পুর মহারাজার প্রধানমন্ত্রী নবাব স্যার ফয়াজ আলী বাস করতেন। এর নির্মাণকাল  ১৮ খ্রিষ্টাব্দ। প্রাসাদটি নির্মানের পর এখানে বাস করতেন সোয়াই জয়সিংহের স্থপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। এর স্থাপত্য ও ভাষ্কর্যশেলী আজকের স্থপতিদেরও বিষ্ময়ের কারণ। সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এর দরজা খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য ২৫ টাকা। সোমবার টিকিট লাগে না।

 

কিভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে বাস অথবা বিমান যোগে কলকাতা। কলকাতা থেকে বিমান অথবা ট্রেন যোগে জয়পুর।

কোথায় থাকবেন :

জয়পুরে আপনার পছন্দমত যে কোন এলাকায় বিভিন্ন মূল্যমানের হোটেলে থাকা ও খাওয়াদাওয়া করতে পারেন।

প্যাকেজের ব্যবস্থা :

ঢাকা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, মোবা: ০১৯৭৮৮৮২২২৩, মাহিমা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লি:, মোবা: ০১৯৭৩১৭৩৩৬, ক্লাসিক ট্রুরস এন্ড ট্রাবেলস, মোবা : ০১৭১৫৮১৭৯৯৪, ইস্টার্ন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, মোবা : ০১৭১১১০২১৩৮ সহ অসংখ্য ট্রাভেল কোম্পানি সারা বছর প্যাকেজের ব্যবস্থা করে থাকেন।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক

মানবাধিকার খবর



  
  সর্বশেষ
তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;
কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা
ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;
কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308