বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৭ নং ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ;   * কুড়িগ্রামে অফিস সহকারীকে জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য   * কক্সবাজারে নলকূপ-মোটরে উঠছে না পানি, সংকট চরমে জন জীবনে দূর্ভোগ;   * কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ   * যৌথ বাহিনীর অভিযান: বান্দরবানের ৩ উপজেলা নির্বাচনের ভোট স্থগিত;   * গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায়   * চট্রগ্রামে সকাল থেকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে   * গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইকে শোকজ!   * এবার সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে সম্পূর্ণ কক্সবাজার কক্সবাজার;   * লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলার আবেদন;  

   চলতি সংখ্যা
দেশের বাইরে ভ্রমণ : ভারত
  Date : 01-09-2016

 

ঘুরে আসতে পারেন

মালদহ ও গৌড়

একঘেয়ে  জীবন  যাত্রায় মানুষ  যখন হাঁপিয়ে ওঠেন, তখন তার অন্তত কিছু সময়ের জন্য একটু আরাম,একটু বিরাম,একটু শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সৃষ্টিকর্তার অপরময় সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য কাছে বা দূরে কোথাও। ভ্রমণ করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় দুষ্কর। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সারা বিশ্ব। দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বদেশ মূল্যে ঘুরে আসতে পারেন বিদেশ। আর এই বিদেশ অন্য কোন দেশ নয়। আমাদেরই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে দেশের মধ্যে রয়েছে একদিকে মরুভূমি, অন্যদিকে বরফ আচ্ছাদিত পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকৃর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার। প্রবাদ আছে, ‘সমগ্র ভারত ভ্রমণ করলে পৃথিবীর অর্ধেক দেখা হয়ে যায়’। আর আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ভারতে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার আদি গোড়াপত্তন ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা দরকার। ভারত ঘুরে এসে ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশ্যে পর্যটন বোর্ড ও ভারতীয় ভ্রমণ সঙ্গী গাইডের অবলম্বনে লিখেছেন :

রোটা. মো: রিয়াজ উদ্দিন

 

আরবি শব্দ মাল অর্থ সম্পদÑএর সমার্থক মালদহ। পর্যটন মানচিত্রে আজ গৌড় ও পান্ডুয়া স্তিমিত হলেও মালদহ যথেষ্ট আদৃত। মালদহে গঙ্গার পুবে পান্ডুয়া আর মহানন্দা গঙ্গার মাঝামাঝি গৌড়ের অবস্থান ছিল সেকালে। মহানন্দা গঙ্গার সঙ্গমে লক্ষণ সেন প্রতিষ্ঠিত লক্ষণাবতী নগরী। আর শহর থেকে ৪ কি.মি. উত্তরে সেতুর মুখে কালিন্দী ও মহানন্দার সঙ্গমে পান্ডুয়া রাজাদের বন্দরনগরী প্রাকারে ঘেরা নিমাসরাই। সেকালে রেশম বা সুতি কাপড়ের বিখ্যাত ছিল। প্রথমে ওলন্দাজ এবং পরে ইংরেজ ও ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কুঠি গড়ে। ১৬৫৬ সালে প্রথম ব্রিটিশ ফ্যাক্টরিও গড়ে ওঠে নিমাইসরাইÑএ। আর ১৬৮০ তে রেশম ব্যবসার সুবিধার্থে ছোট্ট একটি গ্রাম কিনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠির সূচনা। নাম হয় তার ইংলেজাবাদ অর্থাৎ ইংরেজের আবাদ ; কালে কালে ইংলিশবাজার। ব্যবসার স্বার্থে তাতিঁ ও জোলার এসে বসতি গড়ে কুঠিকে ঘিরে। আর ১৭৭১ সালে কুঠি থেকে দুর্গ গড়ে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অর্থাৎ ব্রিটিশ। নেমে আসে ব্রিটিশরাজ সেদিনের মালদহতে। ১৮০২ সালে দেশীয় ভাষায় শিক্ষাদানের প্রথম স্কুলটিও গড়েন ক্রেটন সাহেব। ১৯৩৭ সালে জন্ম মালদহ মিউজিয়মে গৌড় ও পান্ডুয়ার প্রতœতত্ত্বর নানান সংগ্রহও উল্লেখ্য। তেমনই রেল স্টেশন চত্বরে পূর্ব রেলের তৈরি পার্কটি স্থানীয়দের সান্ধ্য ভ্রমনে অনুপম। আর আছে ১৫৯৬ সালে জামে মসজিদ, মহানদীর তীরে নিমাসরাই বরুজ, গোলাম হুসেনের কবর, চিএশালা, ময়নাবতীর হরিহর শিব মন্দির(১১ শতকের), শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন ও জহরাতলা থানা অর্থাৎ কামনা পূরনের অধিষ্টাএী তথা জাগ্রতা দেবী কালীর মন্দির। তবুও যেন আজকের মালদহ আমাদের কাছে সমধিক খ্যাত তার ফজলি আমের জন্য। মালদহর আমসত্ত্ব আজও পর্যটকদের জিভে জল আনে। তেমনই ক্ষিরের গুঁড়ো মাখানো চমচম অর্থাৎ কনর্সাট, তিল মাখানো রসকদম্বের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে মালদহর কনর্সাট সুইট, তৃপ্তিমহল, পাটনা সুইট, মিষ্টিমহল, মিষ্টিমুখÑএ।

মালদহর দক্ষিণে গৌড় আর উত্তরে পান্ডুয়ার অবস্থান।  তাই উচিতও হবে মালদহকে পুজি করে মালদহÑগৌড়Ñপান্ডুয়া বেড়িয়ে নেওয়া। অতীতে বাংলার রাজধানী ছিল মালদহর উপকণ্ঠে গৌড়ে। আর সেই মধ্যযুগীয় ধ্বংসাশেষ আজও পর্যটক আকর্ষণ করে চলছে। গৌড় ও পান্ডুয়া থেকে একে একে মুসলিম রাজ লোপ পেতে মালদহ শহরের পত্তন।

গৌড়:

জনশ্রুতি ,অতীতে গুড় ব্যবসার প্রসিদ্ধির জন্য গুড় থেকে গৌড় নামকরণ। তবে, ইতিহাসে পাওয়া যায় সূর্যবংশীয় রাজা মান্ধাতার দৌহিএ গৌড় এই ভূখন্ডের রাজা ছিলেন। নামটিও নাকি সেই থেকে। মালদহ (রথবাড়ি মোড়) থেকে ফারাক্কামুখী দক্ষিণে ৩ কিমি যেতে বামহাতি ভারতÑবাংলাদেশ সীমান্তের মহদীপুর পথে ৭ কি.মি. গিয়ে পিয়াস বারি বা পিয়াজবাড়ি। পিয়াস বারি থেকে ডানহাতি পথে ৩ কি.মি. জুড়ে গৌড়ের অতীত রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ। লুকোচুরি গেট হয়ে পথ পৌঁছায় মহদীপুরÑমালদহ বাস সড়কে। ফিরতি বাসে ফেরাও যেতে পারে শহরে। তবে হাঁটতে বিমুখ যাত্রীদের উচিত হবে মালদহ থেকে ২০০ টাকায়, ৫০০ টাকায় ট্যাক্সিতে ঘন্টা তিনেক গৌড় দর্শনে। জেলা পরিষদের ট্যুরিস্ট লজও হয়েছে পিয়াস বারিতে।

দীর্ঘ অতীতে শবর, পুলিন্দ প্রভৃতি দ্রাবিড় ও প্রাক আর্য কোমেরা বাস করতে গঙ্গার নি¤œ অববাহিকা ও করোতোয়ার দোয়াবে। গুপ্ত সা¤্রাজ্যের স্বর্ণযুগের তৃতীয় চন্দ্রগুপ্ত  বা বিক্রমাদিত্য মগধ থেকে রাজধানী স্থানান্তর করেন উত্তর ভারতের উজ্জয়িনীতে। আর সংঘাতেরও শুরু সেই থেকে আজকের গৌড় অর্থাৎ সেকালের বৌদ্ধ সাম্রাজ্য পুন্ড্যবর্ধন রাজ্যে। ইতিহাসের নানান টালমাটালের মধ্য দিয়ে সামান্তÑরাজা শশাঙ্কর অভ্যুত্থান। তরুণ শশঙ্ক রাজা হয়েই স্বাধীনতা ঘোষনার সাথে নামেরও বদল  ঘটান রাজ্যের। পুন্ড্রবর্ধন হল স্বাধীন গৌড়রাজ্য ৬০২ খ্রিষ্টাব্দে। রাজধানী তার কর্ণসুবর্ণ। শশাঙ্কও মৃত্যুর পর শতবর্ষের অনাচার দূর করতে গৌড়বাসী রাষ্ট্রপ্রধান নিয়োগ করলেন পুন্ড্যবধনের উত্তর পুরুষ গোপালদেবকে। গোপালদেব রাজ্য পেয়ে রাজধানী গড়েন কালিন্দী নদীর তীরে গৌড়ে। গোপালদেবের পুত্র ধর্মপাল ও ধর্মপালের পুত্র দেবপালের কালে গৌড়ের রমরমা। গড়ে ওঠে মন্দিরের পর মন্দির গৌড়ের আকাশ ছেয়ে। তাদেরই কালে দুই বিশিষ্ট ভাস্কর ধীমান ও বীটপালের অনুপম ভাস্কর্য মহীয়ান করে তোলে গৌড়কে। কালো রঙের ব্যাসাল্ট পাথরে বাড়িঘর। রাজ্যও প্রসার পায়Ñ উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে সেতু বন্ধ আর পশ্চিমে আরব সাগর থেকে পুবে বঙ্গোপসাগর।

 

কিভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে বাস অথবা বিমান যোগে কলকাতা। কলকাতা থেকে ট্রেন যোগে মালদহ।

কোথায় থাকবেন :

মালদহ আপনার পছন্দমত যে কোন এলাকায় বিভিন্ন মূল্যমানের হোটেলে থাকতে পারেন।

 

প্যাকেজের ব্যবস্থা :

ঢাকা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, মোবা: ০১৯৭৮৮৮২২২৩, মাহিমা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লি:, মোবা: ০১৯৭৩১৭৩৩৬, ক্লাসিক ট্রুরস এন্ড ট্রাবেলস, মোবা : ০১৭১৫৮১৭৯৯৪, ইস্টার্ন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, মোবা : ০১৭১১১০২১৩৮ সহ অসংখ্য ট্রাভেল কোম্পানি সারা বছর প্যাকেজের ব্যবস্থা করে থাকেন।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক

মানবাধিকার খবর



  
  সর্বশেষ
৭ নং ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ;
কুড়িগ্রামে অফিস সহকারীকে জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য
কক্সবাজারে নলকূপ-মোটরে উঠছে না পানি, সংকট চরমে জন জীবনে দূর্ভোগ;
কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308