শনিবার, জুলাই ১৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * চিতলমারীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল করে, দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ   * ধরলার ভাঙনে কুড়িগ্রামে নিঃস্ব অর্ধশতাধিক পরিবার, হুমকিতে পাঁচশতাধিক   * এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ পদ্মা সেতু এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ   * ভ্যাট আইনের ভয় সংস্কারে কি দূর হয়?   * সাংবাদিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মওদুদ আব্দুল্লাহ দায়ের করা মামলায়,আসামীগনদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সহ যৌথ বাহিনী হার্ডলাইনে   * চিতলমারীতে নারী মাদককারবারী গ্রেপ্তার   * দারিদ্র্যতার কষাঘাত ভেঙে জিমের এসএসসি`তে জিপিএ-৫   * কুড়িগ্রামে টিউশনি পড়িয়ে জিপিএ-৫, অভাব রুখতে পারেনি পাখিকে   * অল্প আয়ের মানুষের জন্য কুড়িগ্রামে ১০ টাকার হাসপাতাল   * কুড়িগ্রামে নৌপথে দেশে ঢুকছে অজ্ঞাত মানুষ, স্থানীয়দের হাতে আটক  

   প্রবন্ধ
সবার ‘দুদু’ জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম
  Date : 06-01-2021

“দ্বীনের এক নিশাচর পাখি”
সমাজসেবা যার অলংকার
সবার ‘দুদু’
জনাব মুঃ আমিনুল ইসলাম

আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিক জনাব মতিউর রহমান মল্লিকের একান্ত ঘনিষ্ঠজন জনাব আমিনুল ইসলাম ফকির ইংরেজি ১৯৫৫ ইং সালে কচুয়া উপজেলার এক নিভৃত পল্লী টেংরাখালী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামেই তিনি বড় হয়ে ওঠেন,মূলতঃ কচুয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সি.এস.পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃৃতি ছাত্র হিসেবে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। তাঁর পিতা মরহুম সিরাজউদ্দীন ফকির এলাকার স্বনামধন্য সমাজ সেবক হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি আছে ; উপজেলার অন্যতম সিনিয়র মাদ্রাসার উন্নয়নে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। জনাব আমিনুল ইসলামের বড় ভাই বিশিস্ট আইনজীবী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাডঃ মুনসুর আলী ফকির অনেক সুনামের সাথেই বাগেরহাটের বার সমিতি পরিচালনা করছেন। কয়েক মাস হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সবার প্রিয় ছিলেন। তার এক ভাইপো মোঃ জাহিদুল ইমন (বাবুল ফকির) খুব মেধাবী ছাত্র ছিলো। সি.এস.পাইলট স্কুলের বাবুল ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিলো সবাই তাকে আদর করতো আর বাবুল তার চাচা আমিনুলকে চাচা না বলে ‘দুদু’ বলে ডাকতো। এতে, আমিনুল ইসলাম সাহেব খুব খুশী হতেন। তবে, তার মুখে ডাকা ‘দুদু’ নামটি সবার মুখে মুখে থাকলেও, সেই বাবুল এস.এস.সি. পাশ করার আগেই চলে গেলেন। পানিতে পড়ে তিনি মৃত্যু বরন করে। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। বাবুল চলে গেলেও, তার মধুমাখা ডাক জনাব আমিনুল ইসলাম সাহেবের বন্ধুরা ধরে রেখেছেন। আজও সর্বস্তরের মানুষ তাকে দুদু বলে ডাকে। সবাই বাবুলের স্মৃতি রক্ষার্থে দুদু নামে ডাকুক, এটাই সবার কাম্য।
সেই ৬ষ্ট শ্রেনী থেকেই জনাব আমিনুল ইসলাম সাহিত্য, সংস্কৃতি ও দ্বীনেদায়ী হিসেবে কাজ করে চলেছেন। আজও করছেন। কোনো কোনো সময়ে ভালো বক্তা পেলে ওয়াজ শুনতেন। ওয়াজ শুনে বেড়ানো ছিল তাঁর শখ। পরিনত বয়সে তিনি আমাকে নিয়ে যে কত মাহফিলে যেতেন তার ইয়াত্তা নেই। জীবনের এক অধ্যায়ে তিনি উদ্ভিদ বিদ্যার (ইড়ঃধহু) এর ছাত্র ছিলেন। বিধায়, কৃষি কাজের প্রতি তাঁর ছিল প্রবল আগ্রহ। যার কারণে,তিনি চাষী সমিতি করে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষীদের সহযোগিতা করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের পিতা,ছেলে শাকিল দেশের কৃতি ছাত্র। ফল ,ফুলের বনায়ন করা তার নেশা, পিতার সখ বাস্তবায়ন করার জন্য শাকিল বাড়ীর সামনে সুবৃহৎ ফল ও ফসলের বাগান করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। শাকিল প্রায় সময় বলতোঃ শিক্ষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে অনুসরন করা উচিত।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এরদোগান এখন বিশ্বের মডেল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করে চলছেন। আরব বিশ্বের গর্ব এরদোগানের নাম এখন সবার মুখে মুখে। শাকিল তার পিতার উদ্যোগ কে এগিয়ে নিতে বাড়ীর সামনে ফলের বাগান করেছে। আমারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শিক্ষানুরাগী জনাব আমিনুল ইসলাম ফকির শত কাজের পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লালন করতেন। তাঁর ¯েœহ-আদরে কতো ছেলে যে বড় হয়েছে, তা’ বলা মুশকিল।
আজকের মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব রিয়াজ উদ্দীনের উত্থানে তাঁর ভুমিকা ছিল অনন্য। তিনি উপজেলা সদরের সি.এস.পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র। জনাব রিয়াজের আন্তজার্তিক মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন শুনে তিনি খুশি হয়েছেন। কতো মানুষ চাকরি নিয়ে দেশে-বিদেশে বেঁচে আছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার ইয়াত্তা নেই। জনাব রিয়াজের মতো কতো ছাত্র যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা’ গুনে শেষ করা যাবে না। ষাটোর্ধ বয়সের জনাব আমিনুল ইসলাম একজন সফল শিক্ষক ছিলেন। তাঁর পিতার পিতা আলহাজ্ব সিরাজ উদ্দীনের অর্থায়নে কত ছাত্র যে পড়াশুনা করেছেন, তার হিসাব নেই। আল্লাহ তাঁর পিতাকে জান্নাত নসীব করুন এ দোয়া করি।
সারা জীবন আমাদের মত সাধারন মানুষদেরকে তিনি লালন করেছেন। লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। পড়াশুনার প্রতি তাঁর ঝোঁক অতীতে যেমন ছিলো,আজও তেমনি আছে।
শ্রদ্ধেয় আমিনুল ইসলাম সাহেব দেখা হলে প্রায়ই বলেন শেষ জীবনে অনেক ভালো বই হাতে এসেছে। কিন্তু, পড়ে এগুতে পারিনা বয়সের কারণে। লেখার কলেবর বৃদ্ধির কারণে, আবারো অন্য কোনো এক সময়ে জনাব আমিনুল ইসলাম দুদুর কৃীর্তিগাঁথা শুনবো। এ আশা নিয়ে শেষ করতে হচ্ছে। মহান আল্লাহর কাছে তাঁর দীর্ঘ্যায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।



  
  সর্বশেষ
চিতলমারীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল করে, দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ
ধরলার ভাঙনে কুড়িগ্রামে নিঃস্ব অর্ধশতাধিক পরিবার, হুমকিতে পাঁচশতাধিক
এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ পদ্মা সেতু এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ
ভ্যাট আইনের ভয় সংস্কারে কি দূর হয়?

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308