নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্নীতিবাজ সাবেক বন সংরক্ষণ (সিএফ) ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে জেনেটিক প্লাজায় অবস্থিত মেঘনা বিল্ডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বন খেকো মোশাররফের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ (মঙ্গলবার) ২০২০ প্রতারনা মামলা করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার ও মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মো: রিয়াজ উদ্দিন। এছাড়া গত ১২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার ধানমন্ডি আমলী আদালত-১৪ এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ দিদার হোসাইন বাদীর জবান বন্দী গ্রহন করেন। আগামী তারিখের মধ্যে ওসি ডিবিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী মো: রিয়াজ উদ্দিন উল্লেখ করেন যে, বিগত ২০০৫ সাল থেকে লিখিত নিয়োগ পত্র ও অংশীদারী চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মোশাররফ হোসেনের সাথে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ব্যবসায়ে মোশাররফ হোসেন ৫০ লক্ষ টাকা মুলধন বা পুজি বুঝিয়া নিয়ে মোঃ রিয়াজ উদ্দিনকে ম্যানেজিং পার্টনার করে নেন।
ব্যবসার শুরুর ৩ থেকে ৪ বছর পর থেকে চুক্তি পত্রের একটি শর্ত ঠিকমত পালন করেননি। ম্যানেজিং পার্টনার হিসাবে কোম্পানী থেকে বসবাসের জন্য ধানমন্ডিতে একটি ফ্লাট ও একটি গাড়ী দেওয়ার কথা থাকলে ও সে ওয়াদা রক্ষা করেনি। শুরুতেই মাসে ৫০ হাজার টাকা সম্মানী ও দুই ঈদের বোনাস প্রদান করেননি। এছাড়া প্রতিবছর ১০% হারে সম্নানী বৃদ্ধির কথা থাকলেও তাও প্রদান করেননি। সর্বশেষ গত অক্টোবর ২০১৯ থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা প্রদান করছেন না। তার দ্বারা সৃজিত ঢাকা সিএমএম, জজকোর্ট ও হাইকোর্টে কয়েকটি মামলা পরিচালনা করার জন্য মো: রিয়াজ উদ্দিনকে লিখিত দায়িত্ব দিলে ও তারও কোন খরচ বহন করছেন না। গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ দুপুর অনুমানিক ১২ টার সময় রিয়াজ উদ্দিন ধানমন্ডির মেঘনা বিল্ডার্স এর অফিসে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে বের হয়ে যেতে বলে এবং হামলা-মামলা সহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখান যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্গন। যার ফলে মো: রিয়াজ উদ্দিন ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার নং ৫৯৭,তারিখ ১১-০২-২০২০ ইং।
মো: রিয়াজ উদ্দিন বিজ্ঞ আইনজীবি আব্দুল্লাহ আল মামুনের মাধ্যমে প্রেরিত আইনি নোটিশে ১ সপ্তাহের সময় দিয়ে মেঘনা বির্ল্ডাসে তার বিনিয়োগকৃত মুলধন ৫০ লক্ষ টাকা বিগত বছরের লভ্যংশ ও বেতন বোনাস সহ যাবতীয় হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। অন্যথায় মেঘনা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোাশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে কঠোর দেওয়ানী ও ফোজদারী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবেন।
উল্লেখ, দুনীতিবাজ বন খেকো ওসমান গনির একমাত্র অনুসারী ও প্রতিযোগি মোশাররফ হোসেন বন বিভাগে চাকুরী কালিন দুনীতির মাধ্যমে বন উজার করে অটেল সম্পাদের পাহাড় গড়েছেন। বনের গাছ চুরির মাধ্যমে বর্তমানে তিনি গাড়ী-বাড়িসহ প্রায় শত কোটি টাকার মালিক। দুর্নীতির দায়ে ২০০৫ সালে বন সংরক্ষকের পদথেকে বাধ্যতা মুলক অবসরে যান। এরপর শুরু করেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা।
এটা ছিল তার অবৈধ টাকা হালাল করার নাম মাত্র ব্যবসা। যার ফলে ন্যায় নীতিবান ও সরল মনের অধিকারী মো: রিয়াজ উদ্দিনকে বেছে নেন পার্টনার হিসাবে। যাতে তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে। মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের বিনিয়োগকৃর্ত, বেতন-বোনাস, লভ্যাংশ ও অন্যান্য প্রায় ৫ কোটি টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের পায়তারা করছে। বনখেকো মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি, নারী কেলংকারীসহ নানান অপকর্মের অভিযোগ। যা ইতিমধ্য বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ইলেক্টিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।