বাংলার জন্য ক্লিক করুন

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   জাতীয় -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
দীর্ঘ ২ থেকে ১০ বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া ৪০ বাংলাদেশি নারী ও শিশু

নারী ও শিশু পাচারকারীরা সমাজে যেমন ঘৃণিত অপরাধী। তেমনি তাদেরকে তিরস্কার করা উচিৎ। অপরদিকে নারী ও শিশু উদ্ধারকারীদেরও সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা এবং যথাযথ পুরষ্কার বা সম্মান দেখানো উচিৎ। তাহলে ভয়াবহ অবস্থার এ সামাজিক ব্যধি নারী ও শিশু পাচার ও পাচারকারী চক্রের তৎপরতা একটু হলেও এই সমাজ থেকে কমবে। ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া সম্পাদকের এক বোনের মেয়েকে দীর্ঘ আড়াই মাস রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে থেকে উদ্ধার করে। ভারত,পাকিস্তান, চীন ও নেপাল এ চার দেশের সীমান্ত এলাকা রুদ্রপুর থেকে । উদ্ধারের মধ্যদিয়ে সম্পাদক ২০১৫ সাল থেকে দেশ- বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অসহায় নারী ও শিশু উদ্ধার করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪শতাধিক নারী ও শিশু উদ্ধার করে মা বাবা ও আইনের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তার এ সফলতা এদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখে না পরলেও দেশের বাইরে থেকে মানবিক মানুষ হিসেবে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শান্তি পুরস্কারসহ দেশ বিদেশে অসংখ্য পুরস্কারে ভূশিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে নারী ও শিশু উদ্ধার, মানবিক কাজ এবং সমাজ সেবা ও মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানে ভারত থেকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, নারী ও শিশু পাচারের শিকার অধিকাংশই তাদের প্রতোক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় পাচার হয়ে থাকে। এজন্য নারী ও শিশু পাচার করা যত সহজ, উদ্ধার করা তার চেয়েও কঠিন। বাঘের মুখ থেকে শিকারকে যত সহজে উদ্ধার করা যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন একজন সুন্দরী নারীকে পাচারকারী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করা। নারী ও শিশু উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে এ কাজটি করতে হয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে আইনি লড়াই করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে এ কাজটি করে, সেই শুধু জানে কাজটি কত দুরূহ ও কঠিন। মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ দুরূহ কাজটি করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের ব্যাংগালোরে বাংলাদেশী এক তরুনীর যৌন নির্যাতনের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ায় নারী ও শিশু পাচার নিয়ে রাষ্ট্র ও সকল মিডিয়া সোচ্চার হয়েছে। টিকটকের মাধ্যমে এক কিশোর মেয়েদের অভিনয় নামে ভারতে পাচার করেছে প্রায় পাঁচশ নারীকে। একইভাবে আরও প্রায় এক হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছে বলে মিডিয়া থেকে জানা যায়। এরকম শত শত কাহিনি রয়েছে মানবাধিকার খবরের কাছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধার হয়ে মা বাবার কাছে আসতে পেরেছেন। আবার অনেকেই আইনের বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সেফহোমে অসহায় জীবনযাপন করছে। মানবাধিকার খবর সম্পাদক ২০২০সালে ব্যাংগালোরে গিয়ে আইনি লড়াই এর মাধ্যমে প্রায় ১৬ জন নারী ও শিশু উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন।
করোনা সংকট কালেও মানবাধিকার খবর পাচার হয়ে যাওয়া এসব নারী ও শিশুদের উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুন ২০২৩ইং ভারত থেকে ৪৮ নারি ও শিশু উদ্ধার প্রক্রিয় সহযোগিতা করেছে মানবাধিকার খবর। আরো ৮জন উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে তারা হলেন ১. জান্নাতার জেরিন, সেনবাগ, নোয়াখালী ২. তৌফিক হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৩. নুর নাহার, মতলব দক্ষিণ,চাঁদপুর ৪. জেসমিন আক্তার, মানিকগঞ্জ ৫. আফরিন জাহান আরিশা, কলারোয়া. সাতক্ষীরা ৬. আনিকা চৌধুরী, লোহাগড়া নড়াইল ৭. রুবিনা আক্তার, ঝিকরগাছা যশোর ৮. রিয়াজ মোল্লা , কালিয়া নড়াইল। আশা করছি খুব শীগ্রই তারা দেশে ফিরবে।
মানবকল্যানে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ মানবিক কাজ অব্যাহত রাখতে সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পাচারকারী চক্রের তৎপর বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করে তিরস্কার করা ও উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা দেওয়াসহ পুরষ্কারে ভূষিত করলে এধরণের কাজে উৎসাহ পাবে।
দীর্ঘ ২ থেকে ১০ বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া ৪০ বাংলাদেশি নারী ও শিশু। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ২০ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। ফেরত আসাদের মধ্যে ২০ নারী ও ২০ শিশু রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ১২টি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলো এরা। ফেরত আসারা বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই ও পাচার হয়ে যাই । এরপর বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ করেছি। এরপর সেখানে বিভিন্ন শেল্টার হোম আমাদের আশয় দেয়। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শেল্টারহোম থেকে আজ দেশে ফিরেছি। শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী ও শিশু আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম (দ্বিতীয় সচিব রাজনৈতিক) বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় আজ এ সমস্ত নারী ও শিশুদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফেরত আসাদের মধ্যে ২০ নারী ও ২০ শিশু রয়েছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারী-শিশুদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবিসমিতি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ১৭, রাইটস যশোর ১৬ এবং মহিলা আইনজীবি সমিতি ৭ জনকে গ্রহন নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত ২০ জুলাই ২০২৩ ফিরে আসা ৪০ জন নারী শিশুর নাম ও ঠিকানা তুলে ধরা হল:

দীর্ঘ ২ থেকে ১০ বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া ৪০ বাংলাদেশি নারী ও শিশু
                                  

নারী ও শিশু পাচারকারীরা সমাজে যেমন ঘৃণিত অপরাধী। তেমনি তাদেরকে তিরস্কার করা উচিৎ। অপরদিকে নারী ও শিশু উদ্ধারকারীদেরও সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা এবং যথাযথ পুরষ্কার বা সম্মান দেখানো উচিৎ। তাহলে ভয়াবহ অবস্থার এ সামাজিক ব্যধি নারী ও শিশু পাচার ও পাচারকারী চক্রের তৎপরতা একটু হলেও এই সমাজ থেকে কমবে। ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া সম্পাদকের এক বোনের মেয়েকে দীর্ঘ আড়াই মাস রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে থেকে উদ্ধার করে। ভারত,পাকিস্তান, চীন ও নেপাল এ চার দেশের সীমান্ত এলাকা রুদ্রপুর থেকে । উদ্ধারের মধ্যদিয়ে সম্পাদক ২০১৫ সাল থেকে দেশ- বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অসহায় নারী ও শিশু উদ্ধার করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪শতাধিক নারী ও শিশু উদ্ধার করে মা বাবা ও আইনের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তার এ সফলতা এদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখে না পরলেও দেশের বাইরে থেকে মানবিক মানুষ হিসেবে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শান্তি পুরস্কারসহ দেশ বিদেশে অসংখ্য পুরস্কারে ভূশিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে নারী ও শিশু উদ্ধার, মানবিক কাজ এবং সমাজ সেবা ও মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানে ভারত থেকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, নারী ও শিশু পাচারের শিকার অধিকাংশই তাদের প্রতোক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় পাচার হয়ে থাকে। এজন্য নারী ও শিশু পাচার করা যত সহজ, উদ্ধার করা তার চেয়েও কঠিন। বাঘের মুখ থেকে শিকারকে যত সহজে উদ্ধার করা যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন একজন সুন্দরী নারীকে পাচারকারী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করা। নারী ও শিশু উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে এ কাজটি করতে হয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে আইনি লড়াই করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে এ কাজটি করে, সেই শুধু জানে কাজটি কত দুরূহ ও কঠিন। মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ দুরূহ কাজটি করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের ব্যাংগালোরে বাংলাদেশী এক তরুনীর যৌন নির্যাতনের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ায় নারী ও শিশু পাচার নিয়ে রাষ্ট্র ও সকল মিডিয়া সোচ্চার হয়েছে। টিকটকের মাধ্যমে এক কিশোর মেয়েদের অভিনয় নামে ভারতে পাচার করেছে প্রায় পাঁচশ নারীকে। একইভাবে আরও প্রায় এক হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছে বলে মিডিয়া থেকে জানা যায়। এরকম শত শত কাহিনি রয়েছে মানবাধিকার খবরের কাছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধার হয়ে মা বাবার কাছে আসতে পেরেছেন। আবার অনেকেই আইনের বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সেফহোমে অসহায় জীবনযাপন করছে। মানবাধিকার খবর সম্পাদক ২০২০সালে ব্যাংগালোরে গিয়ে আইনি লড়াই এর মাধ্যমে প্রায় ১৬ জন নারী ও শিশু উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন।
করোনা সংকট কালেও মানবাধিকার খবর পাচার হয়ে যাওয়া এসব নারী ও শিশুদের উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুন ২০২৩ইং ভারত থেকে ৪৮ নারি ও শিশু উদ্ধার প্রক্রিয় সহযোগিতা করেছে মানবাধিকার খবর। আরো ৮জন উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে তারা হলেন ১. জান্নাতার জেরিন, সেনবাগ, নোয়াখালী ২. তৌফিক হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৩. নুর নাহার, মতলব দক্ষিণ,চাঁদপুর ৪. জেসমিন আক্তার, মানিকগঞ্জ ৫. আফরিন জাহান আরিশা, কলারোয়া. সাতক্ষীরা ৬. আনিকা চৌধুরী, লোহাগড়া নড়াইল ৭. রুবিনা আক্তার, ঝিকরগাছা যশোর ৮. রিয়াজ মোল্লা , কালিয়া নড়াইল। আশা করছি খুব শীগ্রই তারা দেশে ফিরবে।
মানবকল্যানে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর এ মানবিক কাজ অব্যাহত রাখতে সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পাচারকারী চক্রের তৎপর বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করে তিরস্কার করা ও উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা দেওয়াসহ পুরষ্কারে ভূষিত করলে এধরণের কাজে উৎসাহ পাবে।
দীর্ঘ ২ থেকে ১০ বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া ৪০ বাংলাদেশি নারী ও শিশু। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ২০ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। ফেরত আসাদের মধ্যে ২০ নারী ও ২০ শিশু রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ১২টি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলো এরা। ফেরত আসারা বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই ও পাচার হয়ে যাই । এরপর বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ করেছি। এরপর সেখানে বিভিন্ন শেল্টার হোম আমাদের আশয় দেয়। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শেল্টারহোম থেকে আজ দেশে ফিরেছি। শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী ও শিশু আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম (দ্বিতীয় সচিব রাজনৈতিক) বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় আজ এ সমস্ত নারী ও শিশুদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফেরত আসাদের মধ্যে ২০ নারী ও ২০ শিশু রয়েছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারী-শিশুদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবিসমিতি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ১৭, রাইটস যশোর ১৬ এবং মহিলা আইনজীবি সমিতি ৭ জনকে গ্রহন নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত ২০ জুলাই ২০২৩ ফিরে আসা ৪০ জন নারী শিশুর নাম ও ঠিকানা তুলে ধরা হল:

চিতলমারীতে নিহত রফিকের পরিবারের বাঁচার আকুতি
                                  

‘কি আপরাধ ছিল আমার স্বামীর? কেন আমার স্বামীকে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করা হল? এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব?’ এভাবে স্বামীকে হারিয়ে বিলাপ করছিলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের ছুরিকাঘাতে নিহত ইজিবাইক চালক রফিকের স্ত্রী হালিমা আক্তার। তিনি স্বামী হত্যার আসামী রিয়াজ শেখের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন ও সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।
এলাকাবাসি জানায়, ঘাতক রিয়াজ শেখ একজন মাদকাসক্ত মাতাল। ছুরিকাঘাত করার সময় নিহত এবং আহতের শরীর থেকে প্রবাহিত রক্ত তার গায়ে লাগে এসময় ওই রক্ত সে জিহ্বা দিয়ে চেটে খাচ্ছিল। এবংধারালো ছুরি উচিয়ে হিন্দি গান গাচ্ছিল সে। গত ১১ জুন রবিবার দুপুরে এমনই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটে চিতলমারী সদর বাজারের কোটি টাকার ব্রিজের কাছে।
নিহত রফিকের শ্যালক পাটরপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, গত ১১ জুন রবিবার দুপুরে তার ভগ্নিপতি রফিক খান ইজিবাইক নিয়ে চিতলমারী সদরবাজারস্থ ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় উপজেলার আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের মৃত আকরাম শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ ওরফে সম্রাট অতর্কিতভাবে লোকজনের উপর হামলা চালায়। অনেককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় রফিক খান প্রতিবাদ জানালে রিয়াজ শেখ তার শরীরে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। তাৎক্ষনিক রফিককে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাটরপাড়া গ্রামের ইউসুফ বিশ্বাস জানান, ইজিবাইক চালিয়ে কোন রকম সংসার চলত রফিকের। কোন সহায় সম্পত্তি নেই। বাড়িতে একটু থাকার ঘরছাড়া কাউকে কবর দেওয়ার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। এখন তার স্ত্রী সন্তানদের বেঁচে থাকার আর কোন অবলম্বন নেই। চিতলমারী থানার ওসি এ এইসএম কামরুজ্জামান জানান, রফিক হত্যার আসামি রিয়াজ শেখকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুয়ায়ী তার বিচার হবে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
                                  

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকার। গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শেলডন ইয়েটকে তলব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম। এসময় অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘ যেন প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে সরকারের এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। গোয়েন লুইস এই মুহূর্তে বাংলাদেশে না থাকায় বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’ তবে কোন বার্তা জাতিসংঘের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে গোয়েন লুইসের টুইট ভালোভাবে নেয়নি সরকার। বিশেষ করে নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যখন বাংলাদেশকে নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা হচ্ছে, তখন উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র একজন প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশ্যে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো নাক গলানোর শামিল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বার্তা জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে তলব করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এভাবে আচরণ করে কি না, তা শেলডন ইয়েটকে তলব করে জানতে চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য থেকে জাতিসংঘ বিরত থাকবে বাংলাদেশ সরকারের এমন প্রত্যাশার কথাও তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ জুলাই বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন। ওই টুইটে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তলবের বিষয়টি কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ আগেও নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের তলব করেছে। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে জাতিসংঘের কোনো প্রতিনিধিকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশের নজির নেই।

কিশোরী আনিকা প্রতিবন্ধী স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতন থেকে মুক্তি চায়
                                  

বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায় কিশোরী নুসরাত জাহান আনিকা । মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পড়া শুনা শেষে দেশ ও সমাজ গড়ার কাজে অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এজন্য সে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে।
ঘটনা বিবরণে জানা যায়, গত বছর ডিসেম্বরে এস এসসি পরীক্ষা শেষে তার এক খালার মাধ্যমে আনিকাকে তার চেয়ে দ্বিগুন বয়সের প্রতিবন্ধী ও মানষিক রোগী এক ছেলের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। তখন তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। স্বামী সংসার কি? তার বুঝে উঠার আগেই বিবাহ দেওয়ায় কিশোরী আনিকা হতভম্ব হয়ে যায়। আনিকার সাথে যার বিবাহ হয় তার নাম নুরুজ্জামান অনিক বয়স প্রায় ৩৩ বছর। তার পিতার নাম সাইদুল ইসলাম খোকন। তাদের বাড়ি ঢাকার মিরপুরের মনিপুর। নুরুজ্জামান আগেও একটি বিবাহ করেছিল যা বেশি দিন টেকেনি। সেই বউ চলে যাওয়ার পর আনিকার বড় খালার মাধ্যমে ছেলের মা অর্থাৎ বর্তমান আনিকার শাশুড়ী নুরুন্নাহার এর সাথে পূর্ব পরিচয় সুত্রে ঘটকালির মাধ্যমে আনিকাকে বিবাহ দেওয়া হয়। ছেলে প্রতিবন্ধী ও মানষিক রোগী এবং আগে বিবাহ ছিল তা আনিকার পরিবার জানত না। আনিকার স্বামী শশুরের এক মাত্র ছেলে ও ঢাকায় বাড়ি আছে, আনিকা সুখ শান্তিতে থাকতে পারবে সেই লক্ষ্যে আনিকার পিতা-মাতা কিশোরী আনিকাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বিবাহ দেয়, বিবাহের ২/৩ মাস পরেই বিবাহের মেহেদী রং মুছতে না মুছতেই আনিকার স্বামীর বাড়ি থেকে এক প্রকার পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে। সন্তান নেওয়ার অজুহাতে শাশুড়ীর ইন্ধনে প্রতিবন্ধি ও মানষিক রোগী স্বামীকে যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করে প্রতিদিন অসংখবার যৌন ও মানষিক নির্যাতন করতো। যা আনিকার কাছে অসহনীয় হয়ে উঠে। আনিকা তার মা,বাবা ও খালাকে এ সমস্যার কথা বললেও তারা বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বামীর ঘর সংসার করার অনুরোধ করতো। নির্যাতনের মাত্র বেড়ে যাওয়া আনিকা শশুর বাড়ী ছেড়ে বাপের বাড়ী চলে আসে। সেখান থেকে আসার পর গত ২/৩ মাস ধরে আনিকা মায়ের কাছেই আছে। শশুরবাড়ীর লোকজন কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এবং আনিকাও যেতে ইচ্ছুক না থাকায় বিষয়টি আনিকার মা-বাবার জন্য খুবই দুঃচিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। তার মা-বাবা আইনি কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা, কারণ আনিকার বিবাহটা রেজিষ্ট্রি করা ছিলনা রেজিষ্ট্রি না করার পিছনে আনিকার শাশুড়ী নুরুন্নাহারের কুট কৌশল ছিল। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে আনিকা তার পিতা-মাতাকে নিয়ে গত ২৫ মে ২০২৩ কারওয়ান বাজার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসে আসে। সেখানে কোন সহযোগিতা ও কাউকে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ফিরে যাবার সময় উক্ত ভবনের বিপরীত ভবনে মানবাধিকার খবর পত্রিকার বিলবোর্ড দেখতে পায়। সেই সূত্র ধরে মানবাধিকার খবর অফিসে আসে। তার সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত বিবরন দেন এবং লিখিত একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে বিবাহের পর থেকে শশুর বাড়ির লোকজন দ্বারা শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের বিষয়টি অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন প্রকাশ ও সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
মানবাধিকার খবর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে ফোনে শাশুড়ী নুরুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে শাশুড়ী এ প্রতিবেদক কে বলেন, খুব শীঘ্রই আপনাদের মাধ্যমে উভয় পক্ষ বসে চলমান সমস্যার সুষ্ট সমাধান করা হবে। কিশোরী আনিকা মানবাধিকার খবর অফিসে লিখিত অভিযোগ করার সময় অঝোরে কাঁদছিলেন সাথে মা শাহানা বেগম। বাবা আবুল কালাম নিচ্চুপ থেকে পাশে বসে মেয়েকে সান্তনা দিচ্ছিলেন। এ সময় আনিকা বার বার মুর্ছা গিয়ে মানবাধিকার খবর সম্পাদককে বলতে থাকেন তাকে যেন কোন অবস্থাতেই শশুরবাড়ীতে না পাঠানো হয়। সে শশুর ও স্বামীর বাড়ী থেকে মুক্ত হয়ে লেখা পড়া শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায়। আনিকার বাড়ী ঢাকার মিরপুরের দক্ষিন মনিপুরে।

বাবাকে কলেমা পড়ে মাফ করে দিতে বলে চিরবিদায় মবিনুলের
                                  

সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর বাড়িতে ফোন করে বাবাকে জানিয়েছিলেন সেখানকার আইসিটি বিভাগের তরুণ কর্মী মবিনুল হক। একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে বিস্ফোরণে একটি পা উড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বাবাকে বলেছিলেন মাফ করে দিতে। এ কথোপকথনের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে মবিনুল ও তাঁর পরিবারের স্বপ্নযাত্রা।

রাতে ছেলের কাছ থেকে ওই খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মবিনুলের বাবা ফরিদুল আলম। রাতেই বাঁশখালী থেকে রওনা দিয়ে শহরে আসেন তিনি। ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর খবর নিতে ভাতিজা ফরহাদ হোসেনসহ অন্য স্বজনদের হাসপাতালে পাঠান। শনিবার রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে মবিনুলের লাশ শনাক্ত করেন তাঁরা। সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এ বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মবিনুলের লাশই প্রথম শনাক্ত হয়।

শহরে এসে আর ছেলে নয়, তাঁর লাশ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ফরিদুল আলমকে। মবিনুলের মরদেহ এখনো মেডিকেলের লাশকাটা ঘরে পড়ে রয়েছে। বাইরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনেরা।

মর্গের সামনে থাকা চাচাতো ভাই ফরহাদ বলেন, ‘মবিন ভাই বাবাকে ফোন করে পা উড়ে যাওয়ার কথা জানান। ওই সংবাদ পেয়ে রাতেই আমরা হাসপাতালে চলে আসি। এসে দেখি ভাই লাশ হয়ে গেছে।’


ছেলের শোকে দিশাহারা ফরিদুল আলম বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে!’ তিনি জানান, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে মবিনুল প্রথমবার তাঁকে ফোন করেন। তখন তিনি বাবাকে বলেছিলেন, এখানে বারবার বিস্ফোরণ হচ্ছে। শেষবার ফোন করে বলে, ‘বাবা আমার একটি পা উড়ে গেছে। আমাকে কলেমা পড়ে মাফ করে দিও।’

মবিনুল কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাস করেন। এরপর চাকরি নেন বিএম ডিপোতে। বাঁশখালীর ছনুয়ায় তাঁদের বাড়ি। চাকরির পর বিয়ের আয়োজন চলছিল।

মবিনের অপর চাচাতো ভাই তায়েবও বিএম ডিপোতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, মবিন আইসিটি কাউন্টারে চাকরি করতেন। তিনি হয়তে আগুন লাগার পর দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

মানবাধিকার খবরের অফিস বিল্ডিং এ ফাটল । প্রশাসনের লোকজন ঘিরে রেখেছে ভবন
                                  

রাজধানীর মতিঝিলে একটি বহুতল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে মতিঝিলের ৫৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে ১৫ তলাবিশিষ্ট মডার্ন ম্যানশনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এই ফাটল দেখা দেয়। এতে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনের সব ব্যবহারকারীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স

সদরদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মতিঝিলে ১৫ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় ফাটল দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধান ও উদ্ধার টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ৯টা ৪০ মিনিটে কাজ শেষ করে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।মতিঝিল থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন, মডার্ন ম্যানশন নামে ভবনটি শাপলা চত্বরের পাশেই অবস্থিত। ১৫ তলাবিশিষ্ট ভবনটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। তিনি বলেন, ভবনটিতে যাতে কেউ প্রবেশ না করেন ফায়ার সার্ভিস সে নির্দেশনা দিয়ে গেছে।

ধর্ষণ কান্ডের মূল হোতা আশিক সহ গ্রেপ্তার ৫ঃ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটক গণধর্ষণের শিকার
                                  

স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদারীপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৮ বছর বয়সী আশিকের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, ঘটনার পর আশিক কক্সবাজার থেকে মাদারীপুরে এসে আত্মগোপন করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ ডিসেম্বর এক ব্যক্তি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তাঁর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আশিকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই নারী বলেছেন, আশিকের নেতৃত্বে তিনজন প্রথমে ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁর স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। চায়ের দোকান থেকে তাঁকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে হোটেলে নিয়ে যান আশিক।
১০ বছরে ১৭ মামলার আসামি সেই আশিক ১০ বছরে ১৭ মামলার আসামি সেই আশিক বর্তমানে ওই নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে আছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান বলেন, টানা তিন মাস ধরে ওই নারী কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন। সন্ত্রাসী আশিকের সঙ্গেও তাঁর পূর্বপরিচয় ছিল। কক্সবাজারে অবস্থানকালে তিনি কী কাজ করেছেন, সবই পুলিশের কাছে তুলে ধরেছেন ওই নারী। আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে পুলিশকে দেওয়া তথ্যের ভিন্নতা নেই বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কক্সবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুপুরে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম জানিয়েছেন, ওই নারী আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে গ্রেপ্তার তিন যুবকের নাম আছে। শহরের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবুনিয়ার মামুনুর রশিদ (২৮) ও পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২৫)।
ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মাদ মোসলে উদ্দিন আরো জানান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা ঐ পর্যটক নারী তার স্বামী সন্তান সহ জীবিকা নির্বাহের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিলো। মামলার প্রধান আসামী আশিকুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী ও আদায় করে আসছিলো। আশিক ও তার সহযোগিদের দাবী করা চাঁদা দিতে না পারায় ২২ ডিসেম্বর ঐ নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন ঐক্যঃ বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর
                                  

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন
জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন ঐক্য : বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের নব-নির্বাচিত সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও বাজুসের সহ-সভাপতি এম. এ. হান্নান আজাদ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে সারাদেশের সকল মালিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাজুসের সদস্য হলে, এই খাতে শৃঙ্খলা আসবে। পাশাপাশি বাজুসের তথ্যবহুল একটি পরিসংখ্যান ভান্ডার গড়ে তোলার ওপর তাগিদ দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা। গত ২০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের নব-নির্বাচিত সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। এই সভায় বাজুসের নব-নির্বাচিত সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও বাজুসের সহসভাপতি এম. এ. হান্নান আজাদ।

ওই সভায় বাজুস সভাপতি বলেন, ‘বাজুসকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এই পথ চলা। বাজুসের সেবার পরিধি ও কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল জেলায় বাজুসের আধুনিক ব্যবস্থাপনার অফিস স্থাপন প্রয়োজন। এছাড়া সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বাজুস সচিবালয় ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর আরও বলেন, ‘আমরা শিল্পটাকে আগামীতে উন্নত করার চেষ্টা করবো। আমি এ পর্যন্ত দেখেছি যে, জুয়েলারি শিল্পে শুধু আমদানিই করা হয়। এখনো আমরা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে পারিনি। দেশে জুয়েলারি শিল্পের আরও প্রসার ও রফতানি ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে হবে। মূলত আমার লক্ষ্যটা থাকবে জুয়েলারি শিল্পের প্রসার। এক্ষেত্রে ভ্যাট ও কর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করবো জুয়েলারি শিল্পের প্রসারের জন্য। জুয়েলারি শিল্পে আমরা রফতানিকারক দেশে পরিণত হতে চাই বলেও মত দেন দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রæপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।’ ওই সভায় আরও বক্তব্য দেন বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, বাজুস সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম. এ. হান্নান আজাদ, বাদল চন্দ্র রায় ও ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, সহ-সম্পাদক মাসুদুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বাজুস সহ-সম্পাদক সমিত ঘোষ অপু, বিধান মালাকার, মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, মো. লিটন হাওলাদার, নারায়ান চন্দ্র দে, মো. তাজুল ইসলাম লাভলু ও এনামুল হক ভুঞা লিটন।

মানবাধিকার খবরের সাথে প্রতারণা ।। সায়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম কায়েদের বিরুদ্ধে জিডি
                                  

মানবকল্যাণে নিয়োজিত মানবাধিকার খবরের সাথে প্রতারণা করায় উক্ত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সায়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম সাইফুল ইসলাম কায়েদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি সাধরণ ডায়েরি করেন। যার নং- ৮৮৪, তারিখ-১৩/১২/২০২১ নি¤েœ পাঠকদের উদ্দেশ্যে জিডির কপি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ- বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, পিতাঃ আবদুল হামিদ, সম্পাদক ও প্রকাশক, মাসিক মানবাধিকার খবর, ৫৩ মতিঝিল, মডার্ন ম্যানশন (৯ম তলা) ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা, গ্রাম: সহবৎকাঠি, থানা: কচুয়া, জেলা: বাগেরহাট। আপনাকে সদয় অবগতির জন্য জানাইতেছি যে, এ.কে.এম সাইফুল ইসলাম কায়েদ, পিতাঃ আলহাজ¦ এ.কে.এম সায়াকাতুল ইসলাম, সাং:- বাড়ি নং:- ১৯-২০, সড়ক নং:-১১৩/এ, থানা: গুলশান, জেলা: ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা, গ্রাম: রেজওয়ান নগর ভেলুপাড়া, থানা:-ঈশ্বরদী, জেলা:- পাবনা। মানবকল্যাণে নিয়োজিত মানবাধিকার পত্রিকার সাথে দীর্ঘদিন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে গত নভেম্বর ২০২১ মাসের প্রথম দিকে পত্রিকায় সকল প্রকার সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে প্রধান সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়। সে সুবাদে পত্রিকাটির বার্ষিক সাধারণ সভা, ১০ বছরে পদার্পণ ও ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানগুলি তার কোম্পানী সায়ান গ্রুপের স্পন্সর করে সকল ব্যয় বহন করবে বলে পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে জানায়। সে মোতবেক ১০ ডিসেম্বর-২০২১ শুক্রবার বিকালে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুম মানবাধিকার খবরের নামে বুকিং দেওয়া হয়। এর আগেও একই জায়গায় কয়েকটি বুকিং শিফটিং করা হয় । কিন্ত তার জন্য করা হয় নাই। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সোনরাগাঁও হোটেলের যাবতীয় খরচ বাবদ ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা) বাজেট করা হয়। বাজেটের সমুদয় টাকা তিনি দিবেন বলে বলেছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীসহ ১০টি বিষয়ে মানবাধিকার পুরষ্কার-২০২১ ঘোষণা করে। এজন্য ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ টাকা) বাজেট করে, পরিশোধ করেন নাই। এজন্য গত ২১/১০/২০২১ তারিখে হোটেলের বুকিং মানি বাবদ ২ লক্ষ টাকা জমা দেয়। বাকী টাকা কয়েকটি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করে, যা ৩০ নভেম্বর-২০২১ এর মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখের মধ্য টাকা পরিশোধ না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আমার ক্ষতি সাধন করে। অনুষ্ঠানের ঠিক ৩ দিন আগে আমাকে অনুষ্ঠানটি ক্যান্সেল/শিফটিং করতে বলে। আমি শিফটিং করতে চাইলে হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়ম অনুযায়ী ১২ লক্ষ টাকা ক্যান্সেল/শিফটিং চার্য বাবদ ৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্য পরিশোধ করার জন্য মেইল যোগে নোটিশ পাঠায়। তৎক্ষণাত আমি ঋণ করে হলেও পত্রিকার, আমার ও বিশিষ্ট অতিথিদের মান-সম্মান এবং সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে অনুষ্ঠান চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ১০ ডিসেম্বর হোটেল সোনারগাঁও এ নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। আমি মোবাইলে এবং ম্যাসেজে বার বার বলার পরেও অনুষ্ঠানের স্পন্সরকারী সায়ান গ্রুপের এমডি এ.কে.এম সাইফুল ইসলাম কায়েদ সেখানে আসেননি এবং কোন খোঁজ খবরও নেননি। আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ সকাল আনুমানিক ১০টায় আমি আমার অফিস হইতে তার ০১৬৭৮-০১৬৬০৬ নাম্বারে ম্যাসেজ ও ফোন দিলে আর কোন টাকা পয়সা দিবেনা বলে জানায় এবং আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। আমার সম্পাদিত পত্রিকা “মানবাধিকার খবর” ও আমার নাম ব্যবহার করে সে বিভিন্ন জায়গায়, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করিয়াছে বলে জানতে পারি।

মানবাধিকার খবর ও সায়ান গ্রুপ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার ২০২১
                                  

মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্বের একমাত্র নিয়মিত সৃজনশীল বাংলা প্রকাশনা ও মানবকল্যানে নিয়োজিত ‘মানবাধিকার খবর’ ১০ বছরে পদার্পন করেছে। এ উপলক্ষে মানবিক মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিতে এই প্রথম বাংলাদেশে চালু করতে যাচ্ছে মানবাধিকারের উপর কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার-২০২১। দেশ-বিদেশে যেসব মানুষ, মানুষের কল্যাণে, মানবিকতা দেখিয়ে, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন বা করে যাচ্ছেন পরিশ্রম ও একাগ্রতা দিয়ে  নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাদের স্বীকৃতি দিতে এ উদ্যোগ। ১০টি শ্রেণীতে সেরা মানবিক মানুষ/প্রতিষ্ঠানকে বছর সেরা মানবাধিকার উপর বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে। এ পুরস্কারের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে প্রতিবছর পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বা ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বিজয়ীদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হাত থেকে তুলে দেওয়া হবে এ পুরস্কার। সংবাদপত্র হিসাবে মানবাধিকার খবর মানবিক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সমাজকে অগ্রসর করতে নারী ও শিশু উদ্ধারের পাশাপাশি নানান ধরনের মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ ও দেশের কল্যাণ হয় এরকম সব কাজের সঙ্গে মানবাধিকার খবর সব সময়ই সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করছে। মানবিক মানুষ/প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করার এই উদ্যোগের ফলে মানবাধিকার খবর সবসময়ই তাদের সম্মানিত করতে চায়।

দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ই-মেইল, ডাক, কুরিয়ার অথবা সরাসরি আগামী ৩০ নভেম্বর-২০২১ এর মধ্যে আবেদনপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।

আবেদন ফরম ডাউনলোড লিংক: https://drive.google.com/file/d/1wQjgUBrYKbq7UL-8qSbjkvK8ppfLNsQM/view?usp=sharing

অফুরান বাংলার শাশ্বত মুজিব
                                  

গোপালগঞ্জ জেলার এক অজোপাড়াগাঁ। নাম টুংগিপাড়া। এ টুংগিপাড়ারই ছেলে খোকার জন্ম হলো ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চে। সেই খোকা বড় হতে থাক্লো। বড় হয়ে নাম পরিগ্রহ র্কলো ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ হিসেবে। সেই ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ বাংগালির প্রাণের নেতায় পরিণত হলেন। প্রাণপ্রিয় বাংগালিদের হৃদয় থেকে পেলেন ‘বংগবন্ধু’ উপাধি। উপাধি পেলেন ‘বংগশার্দুল’ বাংগালিদের মানসপট্ থেকে। সেই ‘খোকা’ নামের পরিব্যাপ্তি ঘট্লো: ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নাম পরিগ্রহ করে।
সেই ‘অজোপাড়াগাঁ’ টুংগিপাড়া এখন থানা পর্যায়ে উন্নীত। গঠিত হোয়েছে পৌরসভার প্রশাসন। বাংলাদেশের একটি গুরুত্ববহ মফস্বল শহর হিসেবে এখন বিবেচিত সেই টুংগিপাড়া।
সেই তখনকার টুংগিপাড়ার ‘খোকা’ বাংগালিদের হৃদয় জয় করেছিলেন বলেইÑ বাংগালিদের সুখ-দুঃখের বিষয়ে জান্তে শুরু র্কলেন। জেনেছিলেন বাংগালিদের শোষন, বঞ্চনা আর গঞ্জনার বিষয়Ñ অতি গভীরতরভাবে। তাই, পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর কাছ থেকে বাংগালিদের নিরাপদে বেরিয়ে আনতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠে-পড়ে লেগে গেলেন।
বাংগালিদের স্বাধিকার আদায়ের প্রত্যয়ে বংগবন্ধু প্রনয়ণ করলেন ছয় দফা। ছয় দফার প্রনয়ণ-অন্তে বাংগালিদের মানসপটে তিনি শক্তভাবে তাঁর খুঁটি গাড়্লেন। বাংগালিরা তাঁর আহŸানে সাড়া দিলো। এক সময় এই শোষিত-বঞ্চিত বাংগালিরা রেস্কোর্সের মাঠে সমবেত হলো। রেস্কোর্সের মাঠেই বংগবন্ধু ঘোষণা দিলেন: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধিনতার সংগ্রাম।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এবং লক্ষ-লক্ষ নারীর সম্ভ্রম হারিয়ে এদেশ স্বাধিন হলো। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হ’য়ে বংগবন্ধু বাংলাদেশের মানুষদের কল্যাণে নিজেকে সর্বাগ্রে নিয়োজিত করলেন। কিন্তু, এদেশের মানুষদের কল্যাণে নিজেকে সর্বাগ্রে নিয়োজিত করতে যেয়ে তিনি পদে-পদে বাধা-প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেন।
কিছু দুষ্ট-স্বার্থান্বেষী মানুষের অতীষ্ঠতায় নিপতিত হলেন তিনি। অনুশোচনার সুরে তিনি বল্তে বাধ্য হলেন: বিশে^র অন্যান্য দেশ পায় সোনার খনি ; আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।
বংগবন্ধু চেয়েছিলেন এদেশকে স্বনির্ভর ও স্বাধিন দেশ হিসেবে গড়্তে। তিনি চেয়েছিলেন এদেশের নি¤œ আয়ের মানুষদের কল্যাণ। কৃষকরাজ ও শ্রমিকরাজ গড়্তে আত্মনিয়োগ র্কতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলশ্রæতিতে, এক পর্যায়ে এসেÑ তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন র্কলেন। কৃষক-শ্রমিকভুক্ত সৎ শ্রেণীসম্বলিত মানুষদের নিয়ে অসৎ শ্রেণীর মানুষদের বিরূদ্ধে সংগ্রামে আবর্তিত হ’তে বাধ্য হলেন। অসৎ শ্রেণীর মানুষরাÑ এই ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ’ বা ‘বাকশাল’ গঠনকে বিতর্কিত-ভাবাপন্ন ক’রে তুলে পরিবেশটারে ভারী বানিয়ে ছাড়্লো। বাকশাল গঠনের অনুক‚লে তাঁর ব্যাখ্যা প্রদানের কোনো র্ফুসৎ-ই পেলেননা তিনি। কেউ-তো তাঁর নিকট গিয়ে বল্লো-ও না: এ-কি র্কলেন ? এ যে গণতন্ত্র হত্যা হলো! এমতো বলার সৎ-সাহসটুকু পর্যন্ত কারো হলোনা বৈকি।
অপ্রত্যাশিত নৃশংস যবনিকাপাত ঘট্লো বংগবন্ধুর, সপরিবারে। বাংগালির ভাগ্যাকাশে এক অন্ধকার কালো ছায়া রচিত হলো।
টুংগিপাড়াস্থিত সেই অজোপাড়াগাঁয়েরÑ ‘খোকা’ নামের শৈশবকালের ঐ ছেলেটি আবহমান বাংলার ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হ’য়ে রইলোÑ ‘অফুরান বাংলার শাশ^ত মুজিব’ হিসেবে।

 

দূর্ণীতি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো হবে
                                  

দুর্নীতি দমন কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। জনগণের আকাঙ্খা অনুসারে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে চাই। তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে আমরা কোনো কাজ করব না।
গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, দেশ আমরা সবাই চাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সবাই একমত। কিন্তু তারপরও পৃথিবীর সবদেশে কমবেশি দুর্নীতির প্রকোপ আছে। আমাদের লক্ষ্য হবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ। দুর্নীতি দমনে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যমান প্রতিটি আইনই দুর্নীতিবিরোধী। আমরা চেষ্টা করব দুর্নীতিবিরোধী এসব আইনের নিখুঁত ও নির্মোহ প্রয়োগ করতে। দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, দুর্নীতি দমনের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন আছে আমাদের, যা দিয়েই দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হয়েছে। সরাসরি আমাদের ওপর দায়িত্ব, তবুও আমি বলব- বাংলাদেশের যতগুলো আইন আছে প্রতিটি আইনই দুর্নীতি যাতে না হয় সেটা অন্তর্ভুক্ত আছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে সবগুলো আইনের মাধ্যমে দুর্নীতি যাতে কম হয় বা নিশ্চিহ্ন করা যায় সেই উদ্দেশ্য থাকবে। তারপরও আমাদের ওপর যে দায়িত্ব আছে আইন ও বিধি অনুযায়ী সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে কোন কোন অনুসন্ধান বা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা আছে তা যতখানি সম্ভব কমিয়ে আনা। একই সঙ্গে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে সবার প্রতি সমান দৃষ্টি দিয়ে কাজ করব। জনআকাঙ্খা পূরণে এই কমিশন কী ধরনের ভূমিকা রাখবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্খা যা, জাতির আকাঙ্খা যা এটার সঙ্গে যাতে দুদকের দূরত্ব কমে আসে সেই চেষ্টা থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা। নবনিযুক্ত কমিশনার জহুরুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা বাস্তব, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হচ্ছে। দেশের জন্য এটা বড় ধরনের সমস্যা। এই কমিশন তৎপর থাকবে ভবিষ্যতে যাতে কোনো টাকা পাচার না হয়। যে অর্থ পাচার হয়েছে, সেগুলো ফেরত আনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী কাজ করার কথা বলেছেন জহুরুল। অর্থ পাচারের ব্যাপারে হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দিচ্ছে, আমাদের কাছে লিস্ট চাচ্ছে। আমরা লিস্টগুলো কোয়ারি করব, খুঁজব, দেখব। তারপর কোর্টকে জানাব। কোর্ট যে অ্যাকশন নিতে বলবে, সেই অ্যাকশন নেব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার মো. জহুরুল হক গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এলে তাদের কমিশন সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার অভ্যর্থনা জানান।

এক সেতুতে দুই দেশঃ ভারত বাংলাদেশ
                                  

দিশা বিশ্বাস ও মনোওয়ার ইমাম
প্রথমবারের মতো নদীর ওপর সেতুর দুই প্রান্তে যুক্ত হলো দীর্ঘ সীমান্তের প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারত। গতকাল খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করা ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ত্রিপুরার আগরতলায় অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে নয়াদিলি­ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতুর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে ত্রিপুরার সাবরুমে একটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টেরও ভিত্তি স্থাপন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভারত ও ত্রিপুরার জনগণকে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করেছে। ১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে টাকার অঙ্কে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড-এনএইচআইডিসিএল। এই সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ফলে বন্দর থেকে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে দেওয়া ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতার স্মারক হিসেবে বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১০ সালে ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ফেনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য এই ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনুরোধটি ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করি। তারপর থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় পক্ষকে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করে আসছে। ১০ বছর পর আজ এই সেতুটি একটি বাস্তবতা। ফেনী মৈত্রী সেতু ত্রিপুরা এবং ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করবে বলে আশা করছি। আমরা আশা করি মৈত্রী সেতু এই এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের জীবন-জীবিকার উন্নতিতে অবদান রাখবে।

শুধু চট্টগ্রাম পোর্ট নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মাঝে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। আশা করছি এই সেতু কেবল ভারতের সঙ্গে নয়, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গেও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করবে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে কানেকটিভিটি দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন যুগের সৃষ্টি করছি। আমরা এমন একটি অঞ্চলে আছি, যেখানে কানেকটিভিটি চালুর বিষয়ে রক্ষণশীলতা ছিল এবং যেখানে সম্ভাবনার চেয়ে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য অনেক কম। আমি মনে করি রাজনৈতিক সীমানা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ত্রিপুরাবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভুলিনি- ১৯৭১ সালে কীভাবে আমার জনগণকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন এবং আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কাজেই আজকের দিনে আমি সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী আপনাকেও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতুকে দুই দেশের মধ্যে নতুন ‘বাণিজ্য করিডর’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য, মানুষে মানুষে সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। আর এই মৈত্রী সেতুর কারণে ত্রিপুরা হয়ে উঠল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নর্থ-ইস্টে পৌঁছানোর গেটওয়ে। পরে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে প্রতজ্ঞিাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
                                  

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে স্বপ্নরে ক্ষুধা, দারদ্র্যিমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে প্রতজ্ঞিাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানয়িছেনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শখে হাসনিা।

শুক্রবার (১৯ র্মাচ) বকিলেে রাজধানীর জাতীয় প্যারডে স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতর্বাষকিী ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজতি অনুষ্ঠানে এ আহ্বান তনি।ি

১০ দনিব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দনিে প্যারডে স্কয়ারে সম্মানতি অতথিি হসিবেে উপস্থতি ছলিনে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহন্দিা রাজাপক্ষ।ে

প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা বলনে, আসুন আমরা জাতরি পতিার ১০১তম জন্মর্বাষকিী আর স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীতে আমরা সইে প্রতজ্ঞিাই নইে জাতরি পতিা যে স্বপ্ন রখেে গছেনে সইে স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবো। বাংলাদশে হবে ক্ষুধামুক্ত, দারদ্র্যিমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়কি চতেনায় সোনার বাংলাদশে। যে বাংলাদশে জাতরি পতিার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। দুঃখী মানুষরে মুখে হাসি ফোটাবো।  

তনিি বলনে, শক্ষিা, স্বাস্থ্য, র্কমসংস্থান সবদকি থকেে বাংলাদশেরে মানুষ যনে উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পায় যটো জাতরি পতিার স্বপ্ন ছলি, যা তনিি সব সময়ই বলতনে। তার জীবনরে স্বপ্ন ছলি এদশেরে মানুষ উন্নত জীবন পাব,ে ক্ষুধা, দারদ্র্যি থকেে মুক্তি পাব।ে

রক্তাক্ত ১৫ আগস্টরে হত্যাকাণ্ডরে পর ইতহিাস থকেে জাতরি পতিার নাম মুছে ফলোর ষড়যন্ত্ররে কথা উল্লখে করে প্রধানমন্ত্রী বলনে, ৭৫ পরর্বতী ক্ষমতা দখলকারী সামরকি স্বরৈাচার, স্বাধীনতাবরিোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদরে দোসর যারাই ক্ষমতায় ছলি তাদরে একটি নাম নয়িইে যত ভয় ছলি। সইে নামটি হলো বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান। সে কারণইে তারা দশেরে ইতহিাস থকে,ে ভাষা আন্দোলনরে ইতহিাস থকেে বঙ্গবন্ধুর নামটি মুছে ফলোর চষ্টো করছেলি।  

‘২১টি বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর ৭ র্মাচরে ভাষণ বাজানো নষিদ্ধি করা হয়ছেলি। কন্তিু সত্যকে কখনো মুছে ফলো যায় না। বঙ্গবন্ধুর সইে ৭ র্মাচরে ঐতহিাসকি ভাষণ আজ বশ্বি ঐতহ্যিরে দললিে স্থান পয়েছে,ে আর্ন্তজাতকি স্বীকৃতি পয়েছে।ে ’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলনে, বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানই একমাত্র এদশেরে মাটরি সন্তান, যনিি এ দশেকে স্বাধীন করছেনে। মাটরি সন্তান হসিবেে প্রথম রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হয়ছেলিনে। ১৫ আগস্টরে পরে বা স্বাধীনতার আগওে যারা (বাঙাল)ি ক্ষমতায় এসছেলিনে, তাঁরা কউেই এদশেরে মাটরি সন্তান না। তাদরে জন্ম এ দশেরে মাটতিে হয়ন।ি একমাত্র ভূমপিূত্র ছলিনে জাতরি পতিা বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতর্বাষকিী ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থতি থাকায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহন্দিা রাজাপক্ষরে প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানয়িে প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা বলনে, শ্রীলঙ্কা আমাদরে ঘনষ্ঠি বন্ধুদশে। বাংলাদশে ও শ্রীলঙ্কা বভিন্নি আঞ্চলকি এবং আর্ন্তজাতকি ইস্যুতে একই ধরনরে মনোভাব পোষণ কর।ে আমরা পরস্পরকে সর্মথন ও সহযোগতিা দয়িে থাক।ি প্রধানমন্ত্রী মাহন্দিা রাজাপক্ষে বাংলাদশেরে একজন অকৃত্রমি বন্ধু এবং তনিি সব সময়ই বাংলাদশেরে পাশে অবস্থান করনে। আমওি চষ্টো করি সইে বন্ধুত্বরে প্রতদিান দতি।ে

শখে হাসনিা বলনে, বাংলাদশেরে জাতরি পতিার জন্মশতর্বাষকিী ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাহন্দিা রাজাপক্ষরে যোগদান তাঁর নজিরে ও শ্রীলঙ্কার জনগণরে আমাদরে মধ্যকার বন্ধুত্বর্পূণ সর্ম্পকরেই প্রতফিলন।

জাতরি পতিা বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে জন্মশতর্বাষকিী এবং স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘মুজবি চরিন্তন’ প্রতপিাদ্যে দশ দনিব্যাপী র্কমসূচি পালন র্কমসূচি পালন করছে বাংলাদশে।

অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দনি শুক্রবাররে (১৯ র্মাচ) অনুষ্ঠানরে থমি ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’। এর আগে দ্বতিীয় ও প্রথম দনিরে থমি ছলি যথাক্রমে ‘মহাকালরে র্তজনী’ ও ‘ভঙেছে দুয়ার, এসছে জ্যোতর্মিয়’।

তৃতীয় দনিরে আয়োজনরে আলোচনার্পবে সম্মানতি অতথিি হসিবেে বক্তব্য রাখনে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহন্দিা রাজাপক্ষ।ে

আলোচনা র্পবে রাশয়িার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্গেইে ভি লাভরফ এর ধারণ করা শুভচ্ছোর্বাতা প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মানতি অতথিদিরে ‘মুজবি চরিন্তন’ শ্রদ্ধা-স্মারক দওেয়া হয়।

স্বাগত বক্তব্য রাখনে সংস্কৃতি প্রতমিন্ত্রী কএেম খালদি।

স্বাগত সম্ভাষণরে পর থমিভত্তিকি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবনে অধ্যাপক সয়ৈদ মনজুরুল ইসলাম।

জাতীয় সংগীত, পবত্রি র্ধমগ্রন্থ থকেে পাঠ, মুজবির্বষরে থমি সংগীত, যতকাল রবে পদ্মা যমুনা র্শীষক ভডিওি প্রর্দশন করা হয়।

সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান র্পবে বন্ধুরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান পরবিশেনা, ‘মুজবি চরিন্তন’ প্রতপিাদ্যরে ওপর টাইটলে অ্যানমিশেন ভডিওি, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থমিরে ওপর সজিি অ্যানমিশেন ভডিওি, কবতিা আবৃত্ত,ি বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদশেরে ওপর লোকসংগীত পরবিশেনা, নৃত্যনাট্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়রে গান, দুই প্রজন্মরে শল্পিীদরে মলেবন্ধনে মশ্রি মউিজকি পরবিশেন করা হব।ে

বকিলে সাড়ে ৪টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান শষে হবে রাত ৮টায়। সন্ধ্যা ৬টা থকেে আধ ঘণ্টার বরিতি থাকব।ে

অনুষ্ঠানটি বাংলানউিজরে ফসেবুক পজেসহ সরকারি ও বসেরকারি সব টলেভিশিন ও রডেওি এবং বভিন্নি অনলাইন র্পোটালে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছ।ে

গত ১৭ র্মাচ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখনে বাংলাদশেরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামদি, সম্মানতি অতথিি হসিবেে বক্তব্য রাখনে মালদ্বীপরে রাষ্ট্রপতি ইব্রাহমি মোহামদে সলহি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভডিওির্বাতায় বক্তব্য রাখনে চীনরে রাষ্ট্রপতি শি জনিপংি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টনি ট্রুডো এবং জাপানরে প্রধানমন্ত্রী ইউশহিদিে সুগা, খ্যাতমিান সাংবাদকি র্মাক টাল।ি

বাগেরহাটে রিজিয়া নাসেরের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া
                                  

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচী,বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন মাতা রিজিয়া নাসেরের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বিকাল ৪টায় মোড়েলগঞ্জ উপজেলা ৮নং বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এ দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন,বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেনে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শাহ-ই- আলম বাচ্চু, বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মিলন ব্যানার্জী, পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুল, মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন  সম্পাদক এমদাদুল হক , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক,জেলা পরিষদের সদস্য আফরোজা আক্তার, কামাল হোসেন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নারায়ন বসু চৌধুরি, সাধারন সম্পাদক এম এম সেলিম মোল্লা, মৎস্য লীগ সভাপতি গোবিন্দ শীল জিকে, পানেল চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, রিযাজুল সরদার, আলাউদ্দিন মোল্লা, সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।

চট্টগ্রামে সম্পাদকের বাড়ি ঘেরাওর ঘটনা উদ্বেগজনক
                                  

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন :
একজন সম্পাদকের বাড়ি ঘেরাও, সেখানে মাইকে ¯েøাগান ও বক্তৃতা দেওয়া এবং এসব ঘটনার জের ধরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলো বন্ধ রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। গণমাধ্যমে দেওয়া নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহার দুদিন আগে (২৯ জুলাই ২০২০) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের ঘাট ফরহাদবেগের বাড়ি ঘেরাও করে। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পাঁচটি দৈনিকের প্রকাশনা ওই দিন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঈদের পরও পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা চালু হয়নি। নোয়াব মনে করে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অথবা পত্রিকার কার্যালয় বাদ রেখে সম্পাদকের বাড়ি ঘেরাও করার বিষয়টি নজিরবিহীন। একটি বাড়িতে পত্রিকার মালিক বা সম্পাদক ছাড়াও মহিলা, শিশু, ক্ষেত্রবিশেষে রোগীও থাকতে পারে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় দাবি-দাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের মতো পরিশীলিত একটি গোষ্ঠীর বাড়ি ঘেরাও করতে যাওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক।


সংবাদপত্রের মালিকদের এই সংগঠনটি বলেছে, কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শুধু চট্টগ্রাম নয়, ঢাকাসহ সারা দেশের সংবাদপত্র শিল্প নজিরবিহীন আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা, করপোরেশন ও অধিদফতরের কাছে বিজ্ঞাপনের বিল বাবদ পত্রিকাগুলোর কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। পত্রিকার আয় ও প্রচারসংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পত্রিকার পাতা কমিয়ে এবং শুধু অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করে অনেকেই অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাত প্রণোদনা পেলেও নিউজপ্রিন্টের ওপর আরোপিত অযৌক্তিক ভ্যাট কমানোসহ নোয়াবের পাঁচ দফা দাবির একটিও জাতীয় বাজেটে পূরণ করা হয়নি।


পত্রিকা প্রকাশ মালিক ও সাংবাদিকদের একটা যৌথ প্রয়াস- এ কথা উল্লেখ করে নোয়াব বলেছে, এখানে দুই পক্ষের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অবশ্যম্ভাবী। দেশের এই সংকটকালে সংবাদপত্রের প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা ও সমবেদনা প্রয়োজন। নোয়াব আশা করে, সব পক্ষের সুবিবেচনা ও সহযোগিতায় চট্টগ্রামের পত্রিকাগুলোতে চলমান অচলাবস্থা দ্রæত কেটে যাবে।


   Page 1 of 8
     জাতীয়
দীর্ঘ ২ থেকে ১০ বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া ৪০ বাংলাদেশি নারী ও শিশু
.............................................................................................
চিতলমারীতে নিহত রফিকের পরিবারের বাঁচার আকুতি
.............................................................................................
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
.............................................................................................
কিশোরী আনিকা প্রতিবন্ধী স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতন থেকে মুক্তি চায়
.............................................................................................
বাবাকে কলেমা পড়ে মাফ করে দিতে বলে চিরবিদায় মবিনুলের
.............................................................................................
মানবাধিকার খবরের অফিস বিল্ডিং এ ফাটল । প্রশাসনের লোকজন ঘিরে রেখেছে ভবন
.............................................................................................
ধর্ষণ কান্ডের মূল হোতা আশিক সহ গ্রেপ্তার ৫ঃ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটক গণধর্ষণের শিকার
.............................................................................................
জুয়েলারি শিল্পের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন ঐক্যঃ বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর
.............................................................................................
মানবাধিকার খবরের সাথে প্রতারণা ।। সায়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম কায়েদের বিরুদ্ধে জিডি
.............................................................................................
মানবাধিকার খবর ও সায়ান গ্রুপ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার ২০২১
.............................................................................................
অফুরান বাংলার শাশ্বত মুজিব
.............................................................................................
দূর্ণীতি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো হবে
.............................................................................................
এক সেতুতে দুই দেশঃ ভারত বাংলাদেশ
.............................................................................................
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে প্রতজ্ঞিাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
.............................................................................................
বাগেরহাটে রিজিয়া নাসেরের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া
.............................................................................................
চট্টগ্রামে সম্পাদকের বাড়ি ঘেরাওর ঘটনা উদ্বেগজনক
.............................................................................................
সাবরিনার দুই এনআইডি, নিজের বয়স স্বামীর নাম দু’রকম
.............................................................................................
করোনাভাইরাসে মারা গেলেন আরও ৩৫ জন
.............................................................................................
দুর্নীতি করলেই শাস্তি ঃ প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার শিখরে মানবাধিকার কমিশন
.............................................................................................
সাবেক বন সংরক্ষক ও মেঘনা বির্ল্ডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা
.............................................................................................
মন্ত্রিসভার পুনর্বণ্টন: শ ম রেজাউল করিম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে
.............................................................................................
মানবাধিকার নিয়ে সচেতনতা চান প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
বিজয়ের ৪৮ বছর উদ্যাপন অসাম্প্রদায়িক একাত্তরের চেতনায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
.............................................................................................
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম, সম্পাদক নঈম নিজাম
.............................................................................................
মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ের জের বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
.............................................................................................
পিরোজপুরে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শ ম রেজাউল করিম শেখ হাসিনার শাসনামল গণমাধ্যমের জন্য স্বর্ণালী অধ্যায়
.............................................................................................
ভারত ভ্রমণকালে অসুস্থ হলে মেডিক্যাল ভিসা লাগবে না
.............................................................................................
সংবাদ সন্মেলনে এএসডি ও বিএসএএফ’র তথ্য ৬ মাসে ধর্ষণের শিকার ৪৯৬ শিশু
.............................................................................................
নাছিমা বেগম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
.............................................................................................
মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও সচেতনতায় অবদান সৃষ্টিশীল শত নারীর তালিকায় সায়মা
.............................................................................................
খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি বিষয়: তথ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
দুর্গাউৎসব-এর শুভেচ্ছা ভারতে গেল ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ
.............................................................................................
বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের মানববন্ধন : ১৫ দফা দাবি
.............................................................................................
নাসায় চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশের মাহজাবিন
.............................................................................................
মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কারে ভুষিত, গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী, উপ রাষ্ট্রদূত, রাজ্য সভার সাংসদ সহ বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন
.............................................................................................
প্রধানমন্ত্রী: জনগণ ভোট না দিলে বিরোধী দল টেনে নামাতো
.............................................................................................
সম্রাট আপাতত হাসপাতালেই থাকছেন
.............................................................................................
অমিত শাহ’র প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ : আবরার হত্যা
.............................................................................................
১১ নম্বর আসামি গ্রেফতার আবরার হত্যায়
.............................................................................................
আবরার হত্যার দ্রুততম সময়ে বিচায় চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
.............................................................................................
শপথ নিলেন এমপি হিসেবে সাদ এরশাদ
.............................................................................................
সরব প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ আবরার হত্যার প্রতিবাদে
.............................................................................................
আবরার হত্যার শিগগিরই মামলার চার্জশিট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
আজ সাদ এরশাদের শপথ
.............................................................................................
রাজপথে নামবে আবরার হত্যার বিচারে রাজধানীর শিক্ষার্থীরা
.............................................................................................
মানবাধিকার খবর সম্পাদক ভারতে পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রথম বাংলাদেশী রিয়াজ উদ্দিন
.............................................................................................
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আর নেই
.............................................................................................
লাইফ সাপোর্টে এরশাদ
.............................................................................................
আশা করছি হোলি আর্টিজানে হামলার দ্রুত বিচার কাজ শেষ হবে : মনিরুল
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308
    2015 @ All Right Reserved By manabadhikarkhabar.com    সম্পাদকীয়    আর্কাইভ

   
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale