বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;   * কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা   * ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;   * কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান   * শ্রীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ,পুলিশ- শ্রমিক সংঘর্ষ   * কক্সবাজারের রামুতে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, গ্রেপ্তার-১   * হেঁটে হজ পালন করতে যাওয়া কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জামিল এখন ইরানে;   * মহেশখালীর আলোচিত কিলার লোকমান প্রকাশ আজরাইল গ্রেফতার ;   * গাজীপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার পেল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ   * প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে `স্বাধীনতা পুরস্কার` গ্রহণ করলেন কুড়িগ্রামের কীর্তিমান সন্তান এস এম আব্রাহাম লিংকন  

   প্রচ্ছদ
মানবাধিকার খবর’র নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় কয়েকদফা সালিশী বৈঠক বাক্ প্রতিবন্ধী হামিদা ও সন্তানদের প্রাপ্য অধিকার অমিমাংসিত প্রতারক স্বামী কাদিরের বিরুদ্ধে মামলা
  Date : 14-10-2019

বিশেষ প্রতিনিধি :
আপোষ-মিমাংসার জন্য কয়েকদফা সালিশী বৈঠকের পরও দরিদ্র কৃষকের সুন্দরী বোবা মেয়ে হামিদা আক্তার ও সন্তানদের প্রাপ্ত অধিকারের বিষয়ে কোনো সূরাহা হয়নি। ফলে প্রতারক ব্যাংকার স্বামী সৈয়দ আবদুল কাদিরের নামে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে বোবা বোবা হামিদার মাতা মাজেদা বেগম। মামলা নং-৪৭ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০ সংশোধনী(২০০৩)-এর ১১(গ)/৩০ রুজু করা হয়েছে। এব্যাপারে এজাহার ভুক্ত আসামী কাদিরের এক ছেলেকে আটক করলেও সে জামিনে মুক্ত। এদিকে গত ১২ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মানবাধিকার খবর সম্পাদককে জানান, মূল আসামি কাদেরকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব শিগ্রই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সমর্পণ পূর্বক সুষ্ঠ বিচারের আওতায় আনতে পারব।
এর আগে বিষয়টি সুরাহার জন্য হামিদার পরিবারের অনুরোধে গত মাসের ১১ তারিখে মানবাধিকার খবরের সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম দেখা করেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুণ-অর রশিদের সাথে। পুলিশ সুপার অসহায় হামিদার করুণ কাহিনী শুনে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাৎক্ষনিকভাবে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পরে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম উভয় পক্ষকে নিয়ে তিন দফা সালিশী বৈঠক করেন। বৈঠকের প্রাথমিক পর্যায়ে একটি সন্তোষজনক সূরাহার আভাস পাওয়া গেলেও শেষ-মেষ হামিদার প্রতারক স্বামী আবদুল কাদির সুকৌশলে গা’ঢাকা দেয়। ফলে, একপ্রকার বাধ্য হয়ে বাক প্রতিবন্ধী কন্যা ও তার সন্তানদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে হামিদা বেগমের মা মাজেদা বেগম নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি নিন্মস্বাক্ষরকারিনী, স্বামী সুরুজ ব্যাপারী সাং-পঞ্চসার, থানা মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা মুন্সিগঞ্জ এই মর্মে অভিযোগ করছি যে, আমার বাক প্রতিবন্ধী কন্যা মোসাঃ হামিদা আক্তার (২৫) এর সাথে ১ নং বিবাদী সৈয়দ আব্দুল কাদির (৫৫), পিতা মোঃ দুদুমিয়া, সাং- সৈয়দপুর, থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ-এর সাথে ২০১১ সালের জানুয়ারি মামের ১৩ ইং তারিখে ইসলামি শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। পরবর্তীতে তাদের সংসারে প্রথমে পুত্র ও পরে কন্যা দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পুত্র ইব্রাহিমের এখন বয়স ৭ ও কন্যা ইলমা’র বয়স ৬ বছর। বিবাদী আমার মেয়েকে বিবাহের আগে আরো একটি বিবাহ করেছিল সেটা আমাদের অজানা ছিল। এদিকে বিবাহের কিছুদিন পর থেকে এক নম্বর বিবাদী সৈয়দ আব্দুল কাদির যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে মারধর শুরু করে। অত্যাচার নির্যাতনের এক পর্যায়ে অর্থাৎ পাঁচ বছর আগে আমার মেয়েকে দুই সন্তানসহ আমার বাসায় রেখে চলে যায়। কিন্তু মাসের পর মাস খোঁজ খবর না নেয়ায় এবং কোনো প্রকার ভরণপোষণ না দেয়ায় আমরা একাধিকবার বিবাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনেরা সুরাহা পায়নি। ফলে, একপ্রকার বাধ্য হয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে আনুমানিক ৭ টার দিকে আমি আমার মেয়েসহ সৈয়দপুরস্থ বিবাদী সৈয়দ আব্দুল কাদিরের বাড়িতে যাই। কাদিরের কাছে আমার মেয়ে ও তার সন্তানদের ভরণপোষনসহ প্রাপ্ত অধিকারের দাবি জানালে এক নম্বর বিবাদীসহ তার প্রথম পক্ষের দুইপুত্র আমাদেরকে উচ্চ কণ্ঠে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দেয় এবং আমাদেরকে এলোপাতাড়ী মারপিট ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অন্য পুত্রদ্বয় হচ্ছে, মোঃ পশাশ(৩২) ও মিঠু (৩০)। এই ঘটনা আমার আত্বীয়স্বজনদের জানালে তারা মানবাধিকার খবরের সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বসে কয়েক দফা বৈঠক হয়। এক পর্যায়ে সৈয়দ আবদুল কাদির দ্বিতীয় স্ত্রী হামিদা আক্তার ও তার দুই সন্তানের ভবিষ্যত বিবেচনায় সন্তোষজনক ব্যবস্থা করবেন বলে সম্মত হন এবং কিন্তু ১৮ সেপ্টেম্বর বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে আশ^াস দেয়া হয়। কিন্তু ১৮ সেপ্টেম্বর সৈয়দ আবদুল কাদির লাপাত্তা হয়ে যায়। যে কারণে বিষয়টি সুরাহা হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে হামিদা’র মা মাজেদা বেগম ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করেন। একই সঙ্গে তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে তার মেয়ে ও মেয়ের সন্তানরা যাতে তাদের ন্যয্য অধিকার ফিরে পায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকার সহ সমাজের বিবেকবান শ্রেনীর মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভাবের সুযোগ নিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে দরিদ্র কৃষকের সুন্দরী বোবা মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করার পাঁচ বছরের মাথায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয় সৈয়দ আবদুল কাদির নামের এক পাষ- ব্যাংক কর্মকর্তা। স্ত্রীর অধিকার এবং সন্তানদেরকে সহায় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন তিনি। যা’ কিনা নিছক ছেলেখেলা নয়, চরমনিষ্ঠুরতা, অমানবিক ও অমার্জনীয় অপরাধ। অথচ, বিত্ত আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রেখেছেন আবদুল কাদির। আর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে লোকের বাড়ি কাজ করে কোনো প্রকারে দিন যাপন করছেন হামিদা বেগম। বোবা হামিদার স্বজন কিংবা তার পক্ষে কেউ আবদুল কাদিরের কাছে ভরণপোষন বা আর্থিক বিষয়ে কোনো দাবি জানালে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার পঞ্চসার গ্রামের অতি গরীব কৃষক সুরুজ ব্যাপারীর কন্যা হামিদা বেগম। হামিদা দেখতে খুবই সুন্দরী এবং জন্মগত বোবা। বোবা হওয়ার কারণে প্রতিবন্ধী ভাতা পেত হামিদা। ভাতার টাকা তুলতে নিয়মিত যেতে হতো ব্যাংকে। মুন্সিগঞ্জের সোনালী ব্যাংকে টাকা তুলতে যাওয়ার সুবাদে ব্যাংক ম্যানেজারের কুনজরে পড়ে হামিদা। আজ থেকে ৮-৯ বছর আগের ঘটনা। তখন হামিদার বয়স প্রায় ১৮ বছর। মুন্সীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার ৫০ উর্ধ্ব সৈয়দ আবদুল কাদির নানা কৌশলে অবিভাবকদের কাছে হামিদাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। আবদুল কাদিরের বয়স অনেক বেশী হলেও নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন। তার সাথে বিয়ে দেয়া হলে হামিদা সুখে থাকবে এবং তাকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না বলে নিশ্চয়তা দেয় কাদির। কাদিরের যে পরিমান অর্থ-সম্পদ আছে তা বসে খেলেও হামিদা শেষ করতে পারবে না বলেও আশ^স্ত করা হয় হামিদার পরিবারকে। এসব সত্বেও কাদিরের বেশি বয়স, তার অর্থবিত্ত এবং কম বয়স ও অতি গরীব ঘরের হওয়ার কারণে হামিদার পিতা-মাতা বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। হামিদার অবিভাবকরা তাকে জানায় এতো কম বয়সে বিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। কিন্তু, কুমতলবী কাদির হাল ছাড়তে রাজি নন। এসময় কাদির তাদেরকে আশস্ত করে বলে, এই বিষয়টি কোনো সমস্যা নয়, এমন বয়সেও মেয়েদের বিয়ে হয়। এসব কথা বলে ও নানা কৌশলে দরিদ্র কৃষকের সুন্দরী বোবা মেয়ে হামিদা বেগমকে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করে ছাড়ে ৫০ উর্ধ্ব বয়সের ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আবদুল কাদির। কাবিনে কাদিরের জন্ম তারিখ দেয়া হয় ১৫ জুন, ১৯৬০ সাল। অসৎ উদ্দেশ্যে কাদির কাবিন নামায় হামিদার বয়স দেখায় ২০ বছর আর হামিদা বেগমের স্থলে নাম দেয় হামিদা আক্তার। অথচ, হামিদার জন্ম ১৯৯৩ সালের ২ জানুয়ারি। তার জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিয়ের সময় বয়স দাড়ায় প্রায় ১৮ বছর। আবার কাদিরের কাবিন নামায় নাম রয়েছে সৈয়দ আবদুল কাদির। আর সন্তানদের জন্ম সনদে নাম দেয়া হয়েছে আ: কাদির। শিক্ষার অভাবে কাদিরের এসব কুট কৌশল বুঝে উঠতে পারেনি হামিদার পরিবার। আবদুল কাদিরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সৈয়দপুরে। চাকুরির সুবাদে সে সময় একাই মুন্সিগঞ্জে থাকতো। সে বিবাহিত এবং তিন সন্তানে পিতা এই বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে যায়। হামিদার সঙ্গে বিবাহের পরও নিজ বাড়িতে না নিয়ে গরীব কৃষক পিতার বাড়িতেই হামিদাকে রেখে দেয়। হামিদার পরিবারের পক্ষ থেকে পীড়াপিড়ি করেও কোনো কাজ হয়নি। এরইমধ্যে ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর পুত্র সন্তান মো: ইব্রাহিম এবং ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান ইলমা আক্তারের জন্ম দেয় হামিদা। দুই সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে পিতার বাড়িতে দিন যাপন করতে হয় তাকে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে কাদির মুন্সিগঞ্জ থেকে বদলী হয়ে নারায়নগঞ্জের মদনগঞ্জে চলে যায়। নারায়ণগঞ্জ চলে যাবার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক। এক পর্যায়ে হামিদার পরিবার জানতে পারে কাদিরের স্ত্রী ও তিনটি সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই বড়। ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি হামিদাকে কেন তাদের কাছে ফেলে রাখা হয়েছে। দিন গড়ানোর সাথে সাথে হামিদার ওপর থেকে কাদিরের মোহ কমে আসে। চাকুরির সুবাদে কাদির চলে যায় তার নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে যায় হামিদা। নারায়ণগঞ্জে যাবার পর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দ্বিতীয় ঘরের সন্তান অর্থাৎ হামিদা ও তার সন্তানদের খোঁজ খবর নেয়া প্রয়োজন মনে করেনি কাদির। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন জনের সহায়তার হামিদার পরিবার কাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। হামিদা কিংবা তার সন্তানদেরকে ভরণপোষন কিংবা সহায় সম্পত্তির অংশ দিতে নারাজ কাদির। বিপুল পরিমান অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া সত্বেও কাদির তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দ্বিতীয় ঘরের সন্তানদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে মামলা করার কথা বলা হলে হামিদার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। ফলে, অসহায় গরীব কৃষক পিতা নিরুপায় হয়ে বোবা কন্যা ও তার দুই সন্তাননের বাড়তি বোঝা টেনে যাচ্ছেন।

যেভাবে বেরিয়ে আসে হামিদার ঘটনা : গত ৭-৮ মাস আগে মুন্সিগঞ্জের একই এলাকায় অধিবাসি হাসিনা হঠাৎ করে মারাত্বকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় হাসিনা সার্বক্ষনিক তাকে দেকভাল করার জন্য একজন ভালো কাজের মানুষ খোঁজ করেন। হাসিনার এক বান্ধবী হামিদার কথা জানিয়ে বলেন, মেয়েটি বোবা তবে, খুবই ভালো মেয়ে। শান্ত প্রকৃতির বিশ^স্ত ও কর্মঠ। অল্প বয়সের মেয়েটিকে ঠকিয়ে তার বয়স্ক স্বামী ছেড়ে চলে গেছে। দুই সন্তানকে নিয়ে গরীব কৃষক কাছে অনেক কষ্টে আছে। ওর মা মেয়েটির জন্য কাজ খুজছে। বান্ধবীর কথা শুনে হামিদাকে বাড়ির কাজের জন্য নেয় হাসিনা। পরে হাসিনা জানতে পারেন হামিদারা তাদের দূর সম্পর্কের আত্বীয়। আত্বীয়তার সূত্র ধরে হামিদার মা সব কিছু খুলে বলে হাসিনাকে অনুরোধ করেন তার মেয়ের ব্যাপারে কিছু একটা করার জন্য। এ বিষয়ে হাসিনার ওপর সব দায়িত্ব দেন হামিদার মা। হাসিনার হস্তক্ষেপের পর থেকে বেরিয়ে আসে মুন্সিগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ম্যনেজার কাদিরের ঘটনা।
হাসিনা মানবাধিকার খবরকে জানান, একটি বোবা মেয়ের জীবন নষ্ট করার বিষয়টি অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা। একজন ৫০ উর্ধ্ব বয়সের লোক, যার স্ত্রী রয়েছে এবং বড় বড় তিন সন্তান রয়েছে সেই মানুষ কিভাবে তার সন্তানতুল্লো ১৮ বছর বয়সের কুমারি মেয়েকে বিয়ে করতে পারে? তাও আবার মেয়েটি বোবা, অসহায়। হাসিনা বলেন, হামিদা খুবই গরীব ঘরের মেয়ে, কিন্তু অতি সুন্দরী। সুন্দরী হওয়ার কারণে কাদিরের কুনজরে পড়ে হামিদা। তাকে ভোগ করার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে নামেমাত্র বিয়ে করে। চার-পাঁচ বছর মজা লুটে ছেড়ে দেয় হামিদাকে। মজার ফসল হিসেবে জন্ম নেয় দুইটি সন্তান। কিন্তু সন্তানদের প্রতি কোনো মোহ নেই কাদিরের। হাসিনা জানান, তিনি ও তার এক বান্ধবী মানবিক কারণে হামিদাকে সহায়তা করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ একদিকে হামিদার পিতা অতিশয় গরীব অন্যদিকে মেয়েটি বোবা আবার তার ঘাড়ে দুই সন্তানের বোঝা। তাই, মেয়েটির জন্য একটা কিছু ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। তা’ছাড়া নারায়নগঞ্জে কাদিরের একাধিক বাড়ি-ঘর, অনেক ধন-সম্পদ রয়েছে। আইন অনুযায়ী সেই সম্পদের ওপর স্ত্রী হিসেবে হামিদার ও তার দুই সন্তানের অধিকার বা অংশ রয়েছে। কিন্তু কাদির দ্বিতীয় স্ত্রী হামিদা কিংবা হামিদার ঘরের সন্তানদেরকে সম্পদের ভাগ দিতে নারাজ। স্ত্রী-সন্তানের ব্যাপারে তাকে চাপ দেয়া হলে, সে লোক মারফত কখনো পাঁচলাখ কখনো দশলাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে। হাসিনা মানবাধিকার খবরকে বলেন, হামিদার পরিবার তার ওপর দায়িত্ব দিয়ে বলেছে, কাদিরের তো কয়েকটি বাড়ি ও অনেক অর্থ-সম্পদ রয়েছে। ফলে, হামিদা ও তার দুই সন্তানের জন্য একটি বাড়ি এবং লেখা-পড়াসহ ভরণপোষন হিসেবে ১ কোটি টাকা দিতে পারে। যদি কাদির সহজ পথে না দেয় তা’হলে আইনীসহ যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তা’নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে মানবাধিকার খবরের চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস সংখ্যায় বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

 



  
  সর্বশেষ
তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;
কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা
ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;
কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308