মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * শ্রীপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিলের পক্ষে গণসংযোগ-প্রচার   * ট্রেনে কাটা পড়ে গাজীপুরে প্রাণ গেল জনের   * চাঁদপুরে নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৪ জেলে গ্রেফতার ;   * চট্টগ্রামে ৩০ কোটি টাকা ঋণখেলাপি, সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা   * পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেল সীতাকুণ্ডের মেধাবী ছাত্র রাব্বি   * চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের টয়লেট থেকে ৭০ লাখ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার;   * চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে ত্রুটি, শারজাহগামী ১৬৪ জন যাত্রী হোটেলে   * চট্টগ্রাম বোর্ডে এবারও শীর্ষে বন্দর নগরীর স্কুলগুলো   * চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় মোবাইল চার্জার এর পরিবর্তে ল্যাপটপ   * চিতলমারীতে বিশ “মা” দিবস পালিত  

   প্রচ্ছদ
একজন নাগরিকেরও যেন মানবাধিকার খর্ব না হয় - শ. ম. রেজাউল করিম
  Date : 13-04-2019

জমকালো আয়োজনে মানবাধিকার খবরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন

বিশেষ প্রতিবেদক :
দিনভর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, আনন্দঘন আর জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হলো মানবাধিকার খবরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। গত ২৩ মার্চ শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মানবাধিকার খবর পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আয়োজনে ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আগত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময়, উদ্বোধনী কেক কাটা, আলোচনা সভা, স্ব-স্ব কাজের অবদানের জন্য সম্মননা প্রদান, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মধ্যাহ্ন ভোজ, অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে গিফট প্রদান প্রভৃতি। দিনভর আগত অতিথি আর শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয় মানবাধিকার খবর পরিবার। উদ্বোধনী ও সমাপনী দুইভাগে ভাগ করা হয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। কিন্তু পবিত্র ওমরাহ হজ্ব পালনে সৌদি চলে যাওয়ায় তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এজন্য তিনি অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আবু সায়ীদ, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহ্মেদ, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল-৩২৮১ বাংলাদেশের ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর এ এফ এম আলমগীর হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী সহ যে সকল বিশেষ অতিথি ও অতিথিরা তাদের পেশাগত অতিব জরুরী প্রয়োজনের কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তারা সবাই সবাই আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গেষ্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। এছাড়া বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান আবেদ খান, সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা (শিউলী আজাদ), বরেণ্যে সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, আন্তর্জাতিক খ্যাতী সম্পন্ন যাদু শিল্পী জুয়েল আইচ, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আব্দুর রহিম খান ও কর কমিশনার আসাদুজ্জামানসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

কেক কাটা ও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন :
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম কেক কেটে আনুষ্ঠানিভাবে উদ্বোধন করেন মানবাধিকার খবরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচী। সকাল ১০ টায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিদের করতালির মধ্যেদিয়ে কেক কেটে দিনভর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এসময় মানবাধিকার খবরের সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন, উপদেষ্টাবৃন্দ ও অন্যন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা :
মানবাধিকার খবরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অন্যতম প্রধান কর্মসূচী ছিল আলোচনা সভা। সভায় মানবাধিকার বিষয়ে মানবাধিকার খবরের ভুমিকা, দেশ-বিদেশে মানবাধিকারসহ নানাদিক উঠে আসে আলোচকদের বক্তব্যে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন কমিটির চেয়াম্যান, মানবাধিকার খবরের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পত্রিকার সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন। গেষ্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। এছাড়া বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান আবেদ খান, সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা (শিউলী আজাদ), বরেণ্যে সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, আন্তর্জাতিক খ্যাতী সম্পন্ন যাদু শিল্পী জুয়েল আইচ, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম খান ও কর কমিশনার আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, মানবাধিকার খর্ব হয় এমন কোনো বিষয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ নেই। বর্তমান সরকার চায় একজন নাগরিকেরও যেন মানবাধিকার খর্ব না হয়। কারণ, মানবাধিকার বঞ্চিত হওয়া কতটা কষ্টের সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন। কেননা তার মা-বাবা, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানেন, মানবাধিকারটা কী। যে কারণে মানবাধিকারে সোচ্চার ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মানবাধিকার বিষয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরে শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, মিয়ানমারের অসহায় নিরস্ত্র মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা ও জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। এই বর্বোরচিত ঘটনায় মিয়ানমারের মানুষ যখন বিপন্ন হয়ে পড়েছিলো, সারা দুনিয়া তখন নির্বাক হয়ে তাকিয়েছিলো। কেউ সাড়া দেয়নি। মানবাধিকারকে সমুন্নত করতে গণতন্ত্রের জননী, মানবাধিকারের জননী শেখ হাসিনা বর্ডার খুলে দিয়ে ১৬ লক্ষ মানুষকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে, তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সুযোগ করে দিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন সারা বিশ্বে তিনিই হচ্ছেন লিডার, যিনি মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সেদিন বর্ডার খুলে মানুষকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবতা দেখিয়েছে তা’ বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা ইউরোপ কেউতো মিয়ানমারের অসহায় মানুষদের মানবাধিকার রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিলো। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স এর মতো নিকৃষ্ট, জঘন্য, ঘৃন্য অর্ডিনেন্স ১৯৭৯ সালে পার্লামেন্টে পাশ করে সেটাকে আইনে পরিণত করা হয়, সংবিধানের অংশ করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট যারা নৃশংস হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছিলেন তাঁদের খুনীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিলো। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জাতির কাঁধে কলঙ্ক হয়ে থাকা এই আইন অপসারণ করে জাতির জনকের খুনীদের বিচার করেছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর ৩১ ডিসেম্বর সকল যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে দেয়া হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকর্তা চূর্ণ করে তাদের বিচার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বাংলাদেশ মানবাধিকারকে সমুন্নত করেছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে দেশের মানুষদের পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আপনি রাস্তায় চলতে ভয় পেতেন। এভাবে যারা মানবাধিকার খর্ব করেছিল তারা কারা? এক সময় দেশে রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা মেরে সারাদেশকে বার্ন ইউনিটে পরিণত করা হয়েছিল। এভাবে সাধারণ নাগরিকের মানবাধিকার বারবার খর্ব হয়েছিল। সে জায়গা থেকে দেশ আজ উত্তরণ হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, কৃষকের অধিকার সব দিক থেকেই এগিয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের বিচার, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার বিচার, বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়, প্রমাণ করেছেন আসামীর সংখ্যা বড় নয়, অপরাধটা বড়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের এমপিও দুর্নীতির দায়ে কারাদন্ড প্রাপ্ত হয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন অপরাধের কোন দায়মুক্তি নাই। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশে মানবাধিকারকে সমুন্নত করার বিষয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি শান্তির স্বর্গে পরিণত হয়েছে। রেজাউল করিম বলেন, বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে, সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, অথচ এই বাংলাদেশই ছিলো দারিদ্রতা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের একটা মডেল। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ কল্পনাতীত জায়গায় পৌঁছে গেছে। দেশের কোনো প্রান্তে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাবে আছেন এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে না। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার মানবাধিকার। সংবিধান নাগরিককে যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার থেকে তিনি যদি বঞ্চিত থাকেন, তাহলে তিনি মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হন। মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার জন্য সবাইকে বাংলাদেশে সবচেয়ে সোচ্চার কর্মী শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন মানবাধিকার খবর তার সীমিত শক্তি দিয়ে সমাজে যুগান্তকারী পদক্ষেপ রাখছে। তাই, মানবাধিকার খবর এর অগ্রযাত্রায়, ছিলাম, আছি, থাকবো।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক
গেষ্ট অব অনার হিসাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধকে হত্যার পর এ দেশ থেকে মানবাধিকার ধ্বংস করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ৯টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ ৮টি বাস্তবায়ন করেছে। অনেকে বলে থাকেন দেশে মানবাধিকার বলে কিছুই নেই’ গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশি মদদপুষ্ট হয়ে দেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালিয়ে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নজীর রয়েছে। তাদের যারা মদদ দেন, তারাই মূলত মানুষ হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। মানবাধিকার হচ্ছে বেঁচে থাকার অধিকার। কিন্তু তারা মানুষ হত্যা করে মানবাধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কাজী রিয়াজুল হক আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। বিশ্বের বুকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে আমাদের পরিচিতি দেওয়ার। তাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার সে স্বপ্ন পূরণে সবার কাজ করে যাওয়া উচিত।

বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান আবেদ খান বলেন, বিশ^ব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। তাই, মানবাধিকার ঘোষনায় নয়, পত্র-পত্রিকায় নয়, বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় সততার বিকল্প নেই। সত্য ও সঠিক সংবাদ পরিবেশন করা একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব। অসত্য বা মনগড়া সংবাদ সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। সে কারণে সাংবাদিকদেরকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তিনি বলেন, একজন সৎ সাংবাদিকের কর্তব্য হচ্ছে জাতীয় চেতনাকে গুরুত্ব দেয়া। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কখনো অন্ধ হওয়া যাবে না। অন্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতি মূহুর্তে সংবাদের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরকে সর্বদা যেমন সব বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তেমনি নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে হবে। কেননা, আজকের দিনে কেবল নিউজপ্রিন্ট কাগজে প্রিন্টেড ভার্সনের মধ্যে সাংবাদিকতা সীমাবদ্ধ নেই। সাংবাদিকতার ক্ষেত্র অনেক বেড়েছে। একদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে টেলিভিশন সাংবাদিকতার পরিসর। আবার নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে অনলাইনভিত্তিক সাংবাদিকতা। প্রবীণ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান অতি সম্প্রতি তাকে বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান করা প্রসঙ্গে বলেন, প্রেস ইনষ্টিটিউটের দায়িত্ব হচ্ছে সৎ ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতা গড়ে তোলা। আমি আমার দায়িত্বকালে সেই কাজটি যথাযথভাবে পালনে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। মানবাধিকার খবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মানবাধিকার খবর পত্রিকাটির সংখ্যা দেখেছি। মোটামুটি তারা চেষ্টা করছেন। প্রবন্ধ, প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি কিছু সংবাদও পরিবেশন করছে। তবে, একটি মাসিক পত্রিকা ম্যাগাজিন গুলোতে যে কোনো ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকার কাছে পাঠকরা বিস্তারিত তথ্য প্রত্যাশা করে। সে কারণে পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই তথ্য পরিবেশন করতে হবে। তিনি বলেন সৎ ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার মধ্যদিয়ে মানবাধিকার খবর সমাজে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ^াস করি।

সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরেণ্যে সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা বলেন, আমাদের সমাজে প্রায় প্রতিটাস্তরেই অধিকার বঞ্চিত মানুষ রয়েছে। তাদের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। প্রত্যেকটা মানুষকে তার নিজের মতো করে বেঁেচ সুযোগ দিতে হবে। সমাজে যার যার অবস্থান থেকে তাদের পাশে দাড়ানো সবার কর্তব্য।
সঙ্গীত জগতের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে এই বরেণ্যে শিল্পী বলেন, গানে আমার হাতেখড়ি আমার বাবার এএইচএম আবদুল হাইয়ের কাছেই। তিনি পিডাব্লিউ ডি-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি পড়াশোনা করেছিলেন কলকাতায়। সেখানেই তিনি অনেক বড় সঙ্গীতজ্ঞের সংস্পর্শে আসেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নেন তিনি। তিনি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন ছিলেন। বাবার কাছেই আমাদের চার বোনের গানে হাতেখড়ি। তবে, যতদূর মনে পড়ে আমাদের বাসাতেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর বসাতেন বাবা। একবার পাকিস্তান থেকে ওস্তাদ সালামত আলী ও ওস্তাদ নাজাকাত আলী এসেছিলেন। সারা রাত জলসা হয়। মাত্রও দশ বছর বয়স ছিল আমার তখন। সেই বয়সেই সে রাতে আমি সারা রাত মুগ্ধ হয়ে গান শুনেছিলাম। তারা আমাকে লক্ষ্য করেছিলেন। আমাকে গান গাইতে বললেন। আমি গাইলাম। তারা আমাকে মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করলেন। আর বাবাকে বললেন, ওর প্রতি যতœ নেবেন। বড় হলে অনেক বড় শিল্পী হবে।
তিনি বলেন, আমি বড় শিল্পী হতে পেরেছি কি-না জানিনা। দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে শ্রোতাদের কী দিলাম তার পুরো বিচারটা করবেন আসলে আমার ভক্ত-শ্রোতা দর্শকেরা। তবে আমি চেষ্টা করেছি, সাধনা করেছি। কাপর্ণ্য করিনি। এখনো আমি গানের জন্য সাধনা করে যাচ্ছি। নিয়মিত তালিম নিচ্ছি। এই বয়সে এসে অনেকেই তালিম নেয়া থেকেও দূরে সরে যান। আমি সাধনার জায়গাতে কোনোরকম ছাড় দিতে শিখিনি। কোথায় যখন গান পরিবেশন করতে যাই, তখন মানুষের ভালোবাসা দেখে চোখে জল চলে আসে। মানুষের এত ভালেবাসার জন্যই তো আজও বেঁচে আছি, আজও গান গেয়ে যাই। পরিশেষে তাকে সম্মননা জানানোর জন্য মানবাধিকার খবর-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা-
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিন পার্বত্য চট্রগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা বলেন, আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা করেছে। সেই লক্ষ্যেই মানবাধিকার ও মানুষের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যেতে হবে। বর্তমান সরকার মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছেন। তিনি বলেন মানবাধিকার সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সরকারকে সহযোগীতা করতে হবে। মানবাধিকারের নামে যাতে কেউ অনৈতিক কাজ করতে না পারে সেই ব্যাপারে সজাগ থাকবার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, সমাজের প্রতি ও সমাজে অসহায় শ্রেনীর মানুষের প্রতি আমরা প্রত্যেকে যদি সহানুভূতিশীল হই তা’হলে অনেক সংকট থেকে আমরা পরিত্রাণ পাবো। মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল সমাজে সমতা এবং শান্তি ফিরে আসবে। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারলে মানবাধিকার কখন ও নিশ্চিত হবেনা। সে কারণে বর্তমান সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত সজাগ। তিনি দেশের পার্বত্য অঞ্চল প্রসঙ্গে বলেন, সারাদেশের ন্যয় পাহাড়ি এলকার মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আওয়ামীলীগ সরকারের অবদান যুগ যুগ ধরে মানুষ স্বরণ করবে। কেননা, এক সময় পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে ছিল আতঙ্ক। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। ছিলনা স্বাভাবিক বেচেঁ থাকবার অধিকার। কিন্তু আজ সেই অবস্থা নেই। এখন সব শ্রেনীর মানুষ স্বাচ্ছদ্যে ও শান্তিতে দেশের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করছে।

সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংরক্ষিত মহিলা আসনের
সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ মানবাধিকার রক্ষায় দেশ ও দেশের বাইরে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। মানবতার অনন্য নিদর্শন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি প্রদান করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির।

সেদিক থেকে অসহায় জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে মানবাধিকার খবর। তাদের পত্রিকার পাতায় মানবাধিকার সম্পর্কে লেখনীর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসছে। ফলে, মানুষ মানবাধিকার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, ২০১২ সালে আমার স্বামীকে হত্যার পর মানবাধিকার কর্মীরা আমার পাশে এস দাঁড়িয়েছিল। আপনজনের মতো তাদেরকে সেদিন পেয়েছিলাম। তাই, আমি মনেকরি একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে সব চাইতে বড় মানবাধিকার।
বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে শ্রমিক, শিশু, নারী অধিকার কনভেনশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। সকল মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, সমধিকার, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে এবং উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তাই, সবার উচিৎ হবে আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য স্ব-স্ব অবস্থান হতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।


আন্তর্জাতিক খ্যাতীসম্পন্ন যাদু শিল্পী জুয়েল আইচ
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেশ বরেণ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতীসম্পন্ন যাদু শিল্পী জুয়েল আইচ তার খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার নিশ্চিত করতে মানবিক উন্নয়ন প্রয়োজন। মানবাধিকার আজকের বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটিকে সুনিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সকল মানবাধিকার কর্মীকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষের যেসব অধিকার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পূর্ণ স্বাধীনতা স্থাপন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। মানবাধিকার ছাড়া সমাজ জীবনের পরিপূর্ণতা পায় না। মানবাধিকার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।



ড. মো. আব্দুর রহিম খান
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম খান বলেন, মানবাধিকার আন্দোলন মূলত মানুষের জন্য, মানবতার জন্য।
মানবিকতার কথা হয়তো আমরা সবাই বলতে পারি কিন্তু মন থেকে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করবে সেই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোরই আজ বড় অভাব। সেইদিক বিবেচনায় মানবাধিকার খবর তাদের পত্রিকার পাতায় লেখনীর মধ্যদিয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ কওে যাচ্ছে। এইজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাতে হয়। আসলে আমরা অনেকেই জানিনা
মানবাধিকার কী? সহজ করে যদি আমরা এর উত্তর করি তাহলে বলতে হবে, বেঁচে থাকার জন্য মানুষের যে অধিকার তাই হলো মানবাধিকার। কথাটা শুনতে সহজ মনে হলেও এর প্রকৃতি পরিধি অনেক বড়। তাই, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের মানবাধিকার চর্চা শুরু করতে হবে পরিবার থেকে । একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মনে করেন, যে পরিবারে মানবাধিকার চর্চা থাকে না সে পরিবার থেকে একটি মনবতাবাদী সমাজ গড়ে উঠতে পারে না। আর যে সমাজে মানবাধিকারের চর্চা নেই সে সমাজ ঘুণে ধরা নরম কাঠের মত। এজন্য আমাদের সকলেই মানবাধিকার চর্চা বাড়াতে হবে।

কর কমিশনার আসাদুজ্জামান :
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কর কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, মানবাধিকার হচ্ছে
সমাজে বসবাসকারী সকল মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের সাথে ন্যায্যতা, মানবাধিকার ও শান্তি নিবিড়ভাবে জড়িত। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যদিও সবাই সমানভাবে জন্মগ্রহণ করে না, তথাপি মানব মর্যাদার দিক থেকে সকলেই সমান অধিকার লাভের যোগ্য। ন্যায্যতা মানে হলো ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা দেওয়া এবং তার মানবাধিকার মৌলিক অধিকারের প্রতি ন্যায়ানুগ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা। অর্থাৎ সহজ কথায়, যার যা প্রাপ্য তা তাকে প্রদান করাই হচ্ছে ন্যায্যতা। ব্যক্তি জীবন হতে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মানব মর্যাদার এই প্রাপ্য স্বীকৃতিই মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত। জগৎ ও জীবনের বিস্তীর্ণ লীলাভূমিতে মানব উন্নয়ন ও মানব মর্যাদা সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও মানবাধিকার সর্বদা সহায়ক ভূমিকা পালন করে এসেছে। ন্যায্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার অনিবার্য পরিণতিতে শান্তির পরম প্রসাদ লাভ করা যায়। তিনি বলেন, পাশ্চত্য দেশগুলো মুখে মানবাধিকারের কথা বল্লেও তারা পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। ওই সমস্ত দেশে অনেক ক্ষেত্রেই মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের ওখানে শ্রমের বৈষম্য খুব বেশি। তাই, মানবাধিকারের কথা কেবল মুখে নয় কাজে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

 

‘মানবাধিকার খবর’ সম্পাদক, মো. রিয়াজ উদ্দিন
স্বাগত বক্তব্যে পত্রিকার সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, দেখতে দেখতে সাতটি বছর পার হয়ে গেল ‘মানবাধিকার খবর’ পত্রিকার। এরইমধ্যে পত্রিকাটি ৭ম বর্ষ শেষে ৮ম বর্ষে পদার্পণ করছে। যাত্রার পর থেকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ছুটে চলেছে ‘মানবাধিকার খবর’। পত্রিকার গতি ও প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা নিয়ে কখনো নেমে থাকেনি। পথ চলছে অবিরত, অনেকের উৎসাহ ও সাহসিকতা, সহযোগীতা ও দেশ-বিদেশের পাঠকদের অভূতপূর্ব সাড়া ও ভালোবাসায় ৮ম বর্ষে পদার্পণ করা সম্ভব হয়েছে। তাই
আজকের দিনে সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাঙ্খী, সহযোগীসহ যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করে এসেছেন এবং অব্যাহতভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন তাদের সবার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা। নতুন বছরে আমাদের চাওয়া আগামী দিনের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা হোক মানবতার কল্যাণে, দেশের কল্যাণে। বাংলাদেশে এখন সাহসী সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জের মুখে। কমে যাচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। কেন এ অবস্থা তৈরি হচ্ছে? সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সবার মন রক্ষা করা সম্ভব হয় না। যে কোনো সংবাদ একজনের পক্ষে অন্যজনের বিপক্ষে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
নানান প্রতিকূল মোকাবেলা করে ‘মানবাধিকার খবর’ প্রথম থেকেই নিয়মিতভাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বহুল প্রচারিত এবং দেশ-বিদেশে সব শ্রেণীর পাঠক প্রিয় পত্রিকা হিসাবে এরইমধ্যে সমাদৃত ‘মানবাধিকার খবর’। পত্রিকাটি মানবাধিকার ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্ট ও অফসেট কাগজে রঙিন ম্যাগাজিন আকারে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এর প্রতিটি সংখ্যায় অধিকার বঞ্চিত অসহায় মানুষের কথা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়। বিষয় ভিত্তিক সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি পত্রিকার উদ্যোগে দেশ-বিদেশ থেকে নারী-শিশু উদ্ধার ও সামাজিক কর্মকা-ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ‘মানবাধিকার খবর’-এর উদ্যোগে চার বছরে দেশ-বিদেশ থেকে ত্রিশোধিক নারী-শিশুকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে আরো অনেক নারী-শিশু। ‘মানবাধিকার খবর’-এর ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আমাদের সম্মানিত সব উপদেষ্টা পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, বিক্রয় প্রতিনিধি, হকারসহ শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি। বিগত দিনের ন্যয় আগামী দিনগুলোতেও আপনাদের সুপরামর্শ, সাহায্য-সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদি। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সকল অতিথিসহ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে। মূল্যবান সময় নষ্ট করে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সার্থক করেছে এ জন্য আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।



বিশিষ্ট শিল্পপতি কামাল উদ্দিন :
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন কমিটির চেয়ারম্যান, মানবাধিকার খবরের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি কামাল উদ্দিন বলেন, মানবাধিকার বলে কেবল চিৎকার করলে চলবে না। পরিবার থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাস্তবমুখী ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নত-অনুন্নোত, ধনী-গরীব, সব দেশেই সর্বদা কম-বেশি মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে। অনেক দেশের ন্যয় আমাদের দেশেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবনসহ প্রায় সর্বত্রই মানবাধিকার লঙ্ঘনের করার নজীর লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে সমাজ সচেতন বিবেকবান শ্রেনীর মানুষ, নানান সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এমন কি রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবাধিকার প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। একইভাবে বিগত ৭ বছর ধরে ‘মানবাধিকার খবর’-এর প্রতিটি সংখ্যায় মানবাধিকার ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর সংবাদ, প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যদিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমাজ সচেতনে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জানি, নিয়মিতভাবে একটি পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তারপরও ‘মানবাধিকার খবর’ নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে প্রকাশনার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এ জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে। মানবাধিকার খবর ৮ম বর্ষে পর্দাপণে স্বাগত জানিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন কমিটির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, মানবাধিকার খবর তার পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে পাচারকৃত নারী-শিশু উদ্ধারের মতো একটি মহৎ কাজ করে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে অনেক নারী-শিশু উদ্ধার করে তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছে। সত্যিকার অর্থেই এইটি একটি মানবিক কাজ বলে আমি মনেকরি। তিনি বলেন, আমি বিশ^াস করি আগামীতেও সমাজের মঙ্গলজনক কাজে আরো অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

 

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক :
মানবাধিকার খবরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষন ছিল মনোমুগ্ধকর
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সার্ভে কালচার এন্ড রিসার্স এসোসিয়েটস। পরিচালনায় ছিলেন কাজী হাফিজুর রহমান ও মোঃ মহিদুল ইসলাম। বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করার এক ফাঁকে ফেরদৌস আরা সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন। এরপর মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আধুনিক, দেশাত্ববোধক, লোকসঙ্গীতসহ বিভিন্ন ধরণের গান পরিবেশন করেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা। যেসব শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন তারা হচ্ছেন, ওস্তাদ জামাল হাসান, চ্যানেলআই সেরা কন্ঠ-২০১০ ইমরান খন্দকার, আঃ সালাম, মুন, রুমি খান, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মহিদুল ইসলাম, কেএইচ রহমান, সাজেদা আক্তার মারিয়া, মুক্তা, তামান্না হক, রাণী শেখ এবং তানিয়া প্রমুখ।

উপস্থাপনা :
মানবাধিকার খবরের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে যারা উপস্থাপনায় ছিলেন তারা হচ্ছেন, আবু বকর সিদ্দিক, আফরোজা নাসরিন, চঞ্চল লাবণ্য রহমান, মিতা ও শারমিন আক্তার।

মানবাধিকার খবরঃ মোঃ রবিউল ইসলাম

 



  
  সর্বশেষ
শ্রীপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিলের পক্ষে গণসংযোগ-প্রচার
ট্রেনে কাটা পড়ে গাজীপুরে প্রাণ গেল জনের
চাঁদপুরে নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৪ জেলে গ্রেফতার ;
চট্টগ্রামে ৩০ কোটি টাকা ঋণখেলাপি, সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308