শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ   * রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ   * কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব   * চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী গ্রেপ্তার   * চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটক   * পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে চলছে বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে   * এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা - রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল   * সর্বোৎকৃষ্ট মানের স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিল্প সচিব   * উপকূলের শ্যামনগরে বোরোর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি   * চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  

   বিশেষ প্রতিবেদন
কৃষি মাশরুম চাষ : ঘরে বসে আয়
  Date : 18-05-2018

মাশরুম পরিচিতি: মাশরুম এক প্রকার ছত্রাক। এটা একটি সুস্বাদু খাবার। বর্তমানে বাংলাদেশেও মাশরুম খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিন্তু সবধরনের মাশরুম খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। পৃথিবীতে প্রায়৩ লাখ প্রজাতির মাশরুম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার প্রজাতি খাওয়ার অযোগ্য। আনুমানিক ১০ হাজার প্রজাতির মাশরুমের ওপর গবেষণা চলছে। এদের ভেতরে মাত্র ১০ প্রজাতির মাশরুম খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ঋষি মাশরুম, গুটি বা বাটন মাশরুম, মিল্ক হোয়াইট মাশরুম, ওয়স্টোর মাশরুম, দস্ট্র মাশরুমের চাষ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ লাভজনক হওয়ায় অনেক লোক মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। মাশরুম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। ক্ষুদ্র বা ব্যাপক পরিসরে মাশরুম চাষ করা যায়। স্পূন থেকে মাশরুম চাষ করা হয়। এই স্পূনগুলো ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়।
যেকোনো সমান জায়গায় কম আলোয় মাশরুম চাষ করা যায়। বীজ বোনার পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই ফলন। আট থেকে দশ হাজার বীজ থেকে দৈনিক ১৫-১৮ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম কাঁচা মাশরুম ২০-২৬ টাকা, শুকনা ১৭০-১৮৫ টাকা এবং গুঁড়া ১৭০-১৮৫ টাকা বিক্রি করা যায়। তাই বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন মাশরুম চাষ। একসময় মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা বলে কত হাসাহাসিই না করেছি আমরা। সেই মাশরুম আজ হয়ে গেছে অর্থকরী সবজি। মাশরুম হলো একধরনের ছত্রাক। পৃথিবীর সর্বত্র এই ছত্রাক সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। গ্রিক, রোমান ও চীনারা মাশরুমকে দেবতার খাবার হিসেবে মনে করেন। প্রাচীন দেব-দেবীদের এটি দিয়ে পুজো দেওয়া হতো। এমনকি রাজা-মহারাজাদেরও মাশরুম উপহার হিসেবে পাঠানো হতো। যেকোনো সবজির চেয়ে এর খাদ্যগুণ বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন আছে। সুস্বাদু এই খাবারের স্বাদ অনেকটা মাংসের মতো। মাশরুম দাঁত ও হাড়ের গঠনে বিশেষ উপযোগী। রক্তহীনতা, বেরিবেরি ও হূদরোগ প্রতিরোধে এবং বহুমূত্র রোগে বিশেষ কার্যকরী। প্রায় তিন লাখ ছত্রাকের মধ্য থেকে মাত্র ১০ প্রজাতির ছত্রাক খাওয়ার উপযোগী।
মাশরুমের ব্যবহার
মাশরুম দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি হয়। যেমন- ফ্রাই, চপ, চিংড়ি মাশরুম, মাশরুম চিকেন স্যুপ, নুডলস, কারি, আচার, রোল, সালাদ, মাশরুম চিকেন বিরিয়ানি ইত্যাদি। এ ছাড়া মাশরুম মাংস রান্নায় এবং রূপচর্চায় ব্যবহূত হয়।
যেভাবে শুরু করবেন
মাশরুম চাষের জন্য সবার আগে প্রয়োজন কোন খামারে বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানতে পারবেন মাশরুমের চাষাবাদ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ প্রণালি, বাজারজাতকরণসহ অন্যান্য বিষয়। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রয়োজন পুঁজি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক করতে হবে কী পরিমাণ ও কতটুকু জায়গায় চাষ করবেন। এরপর চাষের খরচ, স্থান নির্বাচন, প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ, বীজ সংগ্রহ করতে হবে ইত্যাদি।


পুঁজি যখন এক লাখ
সাধারণত ১৬ ফুট বাই ৩২ ফুট এবং ১০ ফুট উচ্চতার ঘরে সমতলে ছয়টি মাচা বা তাক (১ ফুট অন্তর অন্তর) তৈরি করত হবে। ৪ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩ ফুট প্রস্থের একটি তাকে ৮০০-১০০০ বীজ চাষ করা যায়। চাষের জন্য বীজ পাওয়া যাবে পুরনো চাষিদের কাছে এবং সাভারে সোবহানবাগের মাশরুম উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পে। বিভিন্ন জাতের মাশরুমের জন্য বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার প্রয়োজন। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় ‘স্ট্র মাশরুম’ এবং শীতকালে ‘ওয়েস্টার’ জাতের মাশরুম চাষ উপযোগী। তা ছাড়া মিল্কী মাশরুমও চাষ করা যায়। মাশরুম চাষের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ২০-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ছনের চালা বা টিনের ঘরে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ঘরটি গাছের নিচে হলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। আর তাক তৈরির সময় যাতায়াত, পরিচর্যা ও সংরক্ষণের জন্য ন্যূনতম জায়গা রাখতে হবে। বীজের পরিচর্যা, ফলন তোলা ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রকারের উপকরণের প্রয়োজন হবে।
কম সময়ে দ্রুত ফলন
প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সব ঠিক করে বীজ আনার পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে প্রথম ফলন পাওয়া যাবে। একটি বীজ থেকে তিন-চার দিন অন্তর অন্তর ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি বীজ থেকে দু-তিন মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এভাবে প্রাথমিক অবস্থায় আট থেকে দশ হাজার বীজ থেকে দৈনিক ১৫-১৮ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। তবে বীজ পুরনো হলে ধীরে ধীরে ফলন কমতে থাকে। তখন নতুন বীজ সংযোজন করলে আবার ফলন বেড়ে যায়। যেখানে বিক্রি করবেন বিভিন্ন চেইন শপে (যেমন আগোরা, নন্দন, স্বপ্ন, মিনাবাজার) মাশরুম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। উত্পাদনকারীরা প্যাকেটজাত করে সরাসরি চেইন শপগুলোতে পাইকারি দরে সরবরাহ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চায়নিজ রেস্তোরা, ফাস্টফুড খাবারের দোকান এবং রাস্তার ধারে মুখরোচক বিভিন্ন খাবারের দোকানে মাশরুম বিক্রি করা যায়। অনেক ক্রেতা সরাসরি খামারে এসেও মাশরুম কেনেন। তিনভাবে মাশরুম বিক্রি হয়- ফ্রেশ বা কাঁচা মাশরুম, শুকনা মাশরুম এবং পাউডার মাশরুম। কাঁচা মাশরুম ১০০ গ্রাম প্যাকেট হিসেবে ২০-২৬ টাকা, শুকনা ১০০ গ্রাম ১৭০-১৮৫ টাকা এবং পাউডার ১০০ গ্রাম হিসেবে ১৭০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।
ঝুঁকি
সঠিক পদ্ধতিতে উৎপাদন করতে না পারলে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। সঠিক তাপমাত্রার অভাব ছাড়াও বিভিন্ন পোকামাকড় যেমন- তেলাপোকা, মাছি, ইঁদুর, মাকড়সা ইত্যাদি আক্রমণের শঙ্কা আছে। এসব ক্ষতিকর পোকামাকড়কে সঠিক পদ্ধতিতে প্রতিকার করতে হবে।
প্রশিক্ষণ
সরকারিভাবে জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র বিনা খরচে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাশরুম চাষের জন্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা করে থাকে। আর প্রশিক্ষণের জন্য বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং খামার তো রয়েছেই।



  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ
রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308