শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ   * রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ   * কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব   * চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী গ্রেপ্তার   * চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটক   * পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে চলছে বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে   * এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা - রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল   * সর্বোৎকৃষ্ট মানের স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিল্প সচিব   * উপকূলের শ্যামনগরে বোরোর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি   * চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  

   বিশেষ প্রতিবেদন
বিশ্বমানবাধিকার আজ কোথায়?
  Date : 01-10-2017



॥ রুবিনা শওকত উল্লাহ ॥

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের মানবাধিকার সংরক্ষনের মাধ্যমেই বিশ্বকে মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে।

পৃথিবীর অতীতের সমস্ত পেশাচিকতাকেও হাড় মানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। কুখ্যাত ষ্প্যানিশ ইনকুইজিশন, নাৎসি বাহিনী, মুসোলিনির ফ্যাসিষ্ট বাহিনী, ইয়াহিয়ার বরবরতাকেও হাড় মানতে হয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রোহিঙ্গা নির্যাতন। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের চিরতরে শেষ করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে অত্যান্ত কৌশলে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে ইন্দন যোগাচ্ছে বাংলাদেশের বন্ধু রূপি প্রিয় শত্রুরা যারা গাছের গোড়া কেটে উপড়ে পানি ঢালে। হরহামেশা এ দেশকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিরতায় রেখে, উন্নয়নকে রুখে দেওয়ার চেষ্টায় থাকে।

মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চরম দমন নীপিড়ন গনহত্যা চলছে। ২৫ আগষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে মেরে ফেলা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীরা দেখা মাত্রই রোহিঙ্গাদের গুলি করে , আগুনে পুুড়িয়ে, জবাই করে, মৃত দেহগুলো পানিতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। সেনাদের কাছে কোনো আকুতিতে, পায়ে পড়েও বাচতে পারেনা। তারা রোহিঙ্গাদের উপর দীর্ঘ দিন চলা অত্যাচার বিশ্ববাসী যেন জানতে না পারে সেখানে এখন পর্যন্ত সাংবাদিক বা পর্যবেক্ষক দলদের স্বাধীন ভাবে যাওয়া দূষ্কর, আর যদিও স্বল্প পরিসরে যাওয়ার অনুমতি হয় এর পূর্বশর্ত থাকে বিশেষ স্থানের বাইরে যাওয়া যাবেনা। ঐ স্থানগুলো আগে থেকে ক্লিন করে রাখে সরকার , যেন বিশ্ব জানতে না পারে তাদের এই নিষ্ঠুরতম কর্মকান্ড। ফলে বিশ্ব মিডিয়ায় রোহিঙ্গা সর্ম্পকে মিথ্যা প্রচার করে। যার কারনে সেই রোহিঙ্গাদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের সব সত্য অজানা রয়ে যাচ্ছে। কেবল বাংলাদেশে আশা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কাছে এ সব বর্বরতার কথা জানা যায়।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এ সম্প্রদায় আজ তারা মুসলমান বলে নির্যাতনের মাধ্যমে নির্মূল করে দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার। তাদের উপর নির্মম চাপ প্রয়োগ করে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেনা ও মগদের, তাদের প্রতি ভাষ্য ‘হয় মর নয় বাংলাদেশে যা’। এমন কি গত ১১ ও ১২ ২০১৭ তে সেনাবাহিনী রেহিঙ্গাদের উদ্দেশ্য করে মাইক দিয়ে বলেছে হুমকি দিয়ে মিয়ানমার ত্যাগ না করলে ব্রাশ ফায়ার করবে, কোন রোহিঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখা হবেনা। ফলে প্রান ভয়ে বাপ-দাদার ভিটে-মাটি ছেড়ে ওরা অজানা গনতব্যে ¯্রােতের মত এসে বাংলাদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ১৯৭৮ সালের প্রথম সামরিক হামলার মুখে রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে এ দেশে এসে আশ্রয় নেয় এরপর ১৯৮১-১৯৮২ তারপর ১৯৯১-১৯৯২ সালে, তারপর ২০১২সালে, তারপর ২০১৫-২০১৬, এবার ২০১৭ এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের আসা বন্ধ হচ্ছেনা। বিগত সময়গুলোতে আসা রোহিঙ্গাদের অনেককেই মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় আবার অনেকে রয়ে যায়। আগের ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থী এদেশে বাস করে আসছিল। এবার আরোও যোগ হলো ৫ লাখেরও বেশী। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে।

এবারের নির্যাতনের সূএপাত শুরু হয় যখন মহাসচিব কফি আনান তার নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৮ আগষ্টে উল্লেখ থাকে মিয়ানমারের দোসর মগ-দুস্য ও সেনাবাহিনীদের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতনের সব চিএ তুলে ধরে এ অবস্থা থেকে উত্তরনের কিছু সুপারিশ। দন্ধ নিরসনের শান্তিপূর্ন উপায় খোজার পরামর্শ প্রদান করে কফি আনান কমিটি। এরপর থেকেই শুরু হয় রাখাইন রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার ২৪ টি পুলিশ পোস্ট ও স্টেশনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মির (এ আর,এস,এ) বিরুদ্ধে মিয়ানমারের গনমাধ্যমে খবরে বলা হয় ১০ পুলিশ সদস্য এক সেনাসদস্য এবং এক ইমিগ্রেশন কর্মকতা নিহিত হয়েছে বিদ্রোহীদের হামলায়।

এগুলো ছিল মিয়ানমার সরকারের সাজানো নাটক নিজেরাই এসব ঘটিয়ে বিদ্রোহীদের নামে চালিয়ে দিয়ে একটি মুসলিম জনগোষ্ঠী কে নির্মূল করা। তথ্যের সূত্রে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জানা যায় ওখানকার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে, যারা প্রান নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পেরেছে। পুলিশ স্টেশন ঘেষে বসবাসকারী যারা ছিলেন, তখন কেউবা বাড়ীর বাইরে কেউ বা ধান ক্ষেতে। অনেকে স্বচক্ষে দেখেছে হঠাৎ গাড়ী থেকে নেমে আর্মিরা পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় পাশে মগদের দেখা গেছে। আবার কেউবা আগুনের লেলিহান দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে, আর্মিরা চলে যাওয়ার পর মগরা উপস্থিত রোহিঙ্গাদের বলে তোরা আগুন দিয়েছিস বাঁচতে হলে বাংলাদেশে চলে যা। এরপর শুরু হয় সেনাদের তান্ডব লিলা হত্যাযজ্ঞ একটা জনগোষ্টীকে, বিধংশ করার খেলা মানুষ পুড়িয়ে, সন্তানের সামনে বাবাকে হত্যা, ছোট শিশুকে আছাড় মেরে হত্যা, স্ত্রীর সামনে স্বামীকে হত্যা, মানুষকে উলঙ্গ করে ঝুলিয়ে হত্যা চলছে, বেয়নেট দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে মানুষ মারছে। নারীদের গনহাড়ে ধর্ষন করছে , এতো নৃশংসতা। বাধ্য হয়ে চরম নির্যাতনের মুখে পূর্বসরিদের ঘরবাড়ী ছেড়ে, পথে পথে স্বজনদের লাশের সারির উপর দিয়ে তাদের আসতে হয়েছে বাংলাদেশে।

সেনা সদস্যরা রোহিঙ্গা পাড়ায় এসে নাটকীয়ভাবে সন্দেহের নামে, রোহিঙ্গাদের শনাক্ত শুরুর মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিধন সেনাবাহিনী পরিচালিত এ গন হত্যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’।

বিনা অপরাধে তাদের দোষী করে নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করল সেনারা। রোহিঙ্গারা প্রান বাঁচাতে নদী পার হয়ে, দূর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল পেরিয়ে অনেক বাঁধা, বিপদ অতিক্রম করে বাংলাদেশ সিমান্তে প্রবেশ করেছে। এ ক্ষেত্রে অনেক রোহিঙ্গাদের নদীপার হতে গিয়ে দালালদের কারনে মাঝিরা ৫০-১০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে, টাকা না পেলে মহিলাদের কানের, গলার অলংকারের বিনিময়ে পারাপার করছে। কিন্তু পয়েন্টে নামতে না পারা দেশে ফেরৎ যেতে না পেরে দীর্ঘ সময় নদীর মাঝে নৌকায় না খেয়ে, আবার ছোট নৌকায় বেশী মানুষের ফলে নৌকাডুবিতে অনেকের মৃত্যু ঘটেছে। এখন মিয়ানমার আর বাংলাদেশের সীমান্তে চারদিকে শুধু মানুষের আর্তনাদ চিৎকার আর কান্না তাদের এই কষ্টে প্রকৃতিও কাঁদে। তাদের উপর এতো বছর ধরে চলছে ইতিহাসের জঘন্যতম অত্যাচার, মানুষ হয়েও নেই তাদের কোন মানবাধিকার তাদের নিজেদের জন্মভূমিতেই ভিন দেশীদের মত বাস করে। নেই তাদের কোন অধিকার স্বাধীনভাবে চলার, নিজ ধর্ম আদায় নামাজ পড়তেও বাধা, মুসলিম রোহিঙ্গাদের সংখ্যা যেন বৃদ্ধি না পায় সে জন্য তাদের বিয়ে পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। মিয়ানমার সরকারের এত অত্যচার বর্বরতা মনে হয় আমরা এখনোও কোনো গুহার জগৎ এ বাস করছি। এ যুগেও মানুষকে বাস করতে হচ্ছে দাসের মত।

সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাদের অপকর্ম নির্যাতনের চিত্র সবাই জানতে পারে, সেনারা নিজেরাই নিজেদের কু-কর্ম রোহিঙ্গাদের নিধনের চিত্র পাঠায়, এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের যত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টের পোষ্টগুলো সরিয়ে দিচ্ছে ফেসবুক, এর অর্থ কি?

গত ১৯/৯/২০১৭ অবশেষে অং সান সুচি রোহিঙ্গা বিষয়ে মুখ খুলেছেন। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়ে ছিলেন তার ভাষন ছিল মিথ্যায় ভরা। ইউরোপিয়ান রোহিঙ্গা কাউন্সিলর (ই আরবি) প্রতিষ্ঠা ইব্রাহিম মোহম্মদ বিডি নিইউাজকে বলেছেন রাখাইন সেনাবাহিনী যে ‘গনহত্যা চালাচ্ছে’ তা আড়াল করার প্রায়াস করেছে সুচি দিয়েছে নানা ‘মিথ্যা তথ্য’। সুচি ভাষনে বলেন সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখের পর থেকে রাখাইনে কোনো অভিযান চালানো হয়নি। অথচ এ কথা মিথ্যে। সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখের পর জোনাথন হেড মিয়ানমার সরকারের তত্ত্বাবধানে রাখাইনে গিয়ে ছিলেন সেখানে তিনি দেখতে পান রোহিঙ্গাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে। সুচি আরোও বলেন ‘বেশ কিছু মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে এ ধরনের খবর শুনে আমরা উদ্বিগ্ন। তবে যে ভাবে বলা হচ্ছে সেভাবে সব মুসলিমের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়নি। অধিকাংশ মুসলিম রাখাইন অঞ্চলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং এতে বোঝা যায় সেখানে পরিস্থিতি খুব মারাক্ত নয়।

সুচি নাকি জানেনই না তার দেশ থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি তো বললেন আর্ন্তজাতিক চাপকে ভয় করেনা। এর অর্থ কি বোঝাতে চেয়েছেন, সুচি কি কোনো কিছুকে ভয় করেনা। গনতন্ত্রের জন্য যিনি জীবনে অনেক ত্যাগ, কষ্ট করেছেন, শান্তিতে নোবেল পর্যন্ত পেলেন তার মুখে এসব কথা শুনবে বিশ্ব এটা ভাবা অনেক কষ্টকর। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য সব মেনে নিচ্ছেন। ক্ষমতার লোভে নিজ দেশে অশান্তি প্রতিষ্ঠা করে রাখা সুচির গলায় শান্তির মালা শোভা পায়না। এখন সময় সুচির রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার, বিশ্বে বিপর্যয়ের কারনে বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার। নয়তো বিশ্ব ইতিহাসে হিটলারদের তালিকায় তার নাম উঠে আসবে মানুষ তাকে ঘৃনা করবে।
এখন সবাই টের পেয়ে গেছে, বিপাকে মিয়ানমার সরকার কারন তাদের এই নিলনকশার মধ্যে আরোও একটি কারন নিহিত মানুষ হত্যা করে আরাকানে কলকারখানা গড়বে। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গাদের উপর যে ধরনের নির্যাতন করে আসছিল। এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনীরা নিজেরাই বিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল রোহিঙ্গা ইস্যুতে সব ফাঁস হয়ে গেল। এবার দেখার পালা বিশ্ব শক্তি ধরদের চাপে মিয়ানমার সরকার কি করে।
সব জাতি ধর্মের সমঅধিকারের মহামিলনের স্থান এই বাংলাদেশ। প্রাচীনকাল থেকেই লোভিদের কু-দৃষ্টি এই দেশের উপর ওরা ঠান্ডা মাথায় এ দেশে বিশৃঙ্খলা বাঁধিয়ে রাখে, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ্য করতে কুচক্রিরা বেতিব্যস্ত থাকে।

পথ খুজে প্রতিবেশী দেশের সাথে গন্ডগোল বাধিয়ে এই দেশকে হড়ন করতে। কিন্তু আমরা বুঝেও না বুঝার ভাব করে এড়িয়ে যাই কারন আমাদের একটু বোকমীতে আমাদের জাতির চরম ক্ষতি হয়ে যাবে। এ জন্য ধৈর্য্যরে সাথে সবাইকে এক হয়ে দেশের স্বার্থে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ছোট্ট একটি দেশ মানুষ বেশী। এবারের বন্যার পর আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ ধকল না সামলাতেই রোহিঙ্গা ইস্যু সামনে এসে দাড়িয়েছে। নির্যাতিত আশ্রহীন রোহিঙ্গারা প্রান বাঁচাতে আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মানুষ হিসেবেতো বিতারিত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারিন। এখন প্রয়োজন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সংকটময় সময়ে তাদের পাশে দাড়ানো। তাদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও কোন দালালদের খপ্পরে যেন না পরে সেই খেয়াল রাখা। এবং তাদের ত্রান নিয়ে যেন কোন রকমের র্দুনীতি না হয়। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে শরনার্থীরা যেন কোন অপরাধমূলোক কর্মে সন্ত্রাসের সাথে জড়িয়ে না পরে, ওরা যেন এ দেশের কোনো সমস্যার কারন হয়ে না দাড়ায় এসব ব্যাপারে সরকারকে কাঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এবং রোহিঙ্গা ইস্যুটির দ্রুত সমাধান করতে হবে। বিশ্ব নেতাদের ও বিশ্ব মুসলিম নেতাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টার মাধ্যমে মিয়ানমার সমস্যা থেকে এ দেশকে মুক্ত করতে হবে। রোহিঙ্গা শরনার্থী দের সসম্মানে তাদের ভিটেমাটিতে সুন্দরভাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের মানবাধিকার সংরক্ষনের মাধ্যমেই বিশ্বকে মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে।



  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ
রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308