|
৮৫ বছরেও পত্রিকার নেশায় জলধর বৈরাগীর! সবুজ আলী আপন, |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কেমন আছে প্রিয় স্বদেশ, কিই’বা তার ভাল মন্দ, গ্রামের একজন অতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে সেসবের খোজ খবর রাখার তাগিদ থেকেই জীবনের ৮৫ বছর বয়সে এসেও পত্রিকা পড়ার নেশা কাটেনি জলধর চন্দ্র সরকার ওরফে জলধর বৈরাগীর। দেশের সাংবাদপ্রেমি ঐ পাঠকের বাড়ী লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল গ্রামে। ১৯৩২ সালের ২০ মার্চ জন্ম নেওয়া জলধর বৈরাগীর শিক্ষা জীবনে গোড়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনী এবং পরে কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি ৫ম শ্রেনী পাশ করে লেখাপড়ার আর এগুতে না পারলেও চমৎকার পঠন দক্ষতা তাঁর। হিন্দু সমাজের প্রিয় মুখ শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক জলধর বৈরাগী ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে নেতৃত্ব দিতে ট্রেনে করে প্রায়ই যাতায়াত করতেন তৎকালীন জেলা শহর রংপুরে। আর সেই থেকেই পত্রিকা পাঠের নেশা পাইয়ে বসে তাঁকে। ট্রেনে কিংবা রংপুর রেলষ্টেশনের দোকান থেকে পত্রিকা কিনতেন তিনি। একসময় বিকেল হলেই পত্রিকা পড়তে বাইসাইকেলে ছুটে যেতেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত চাকলারহাট পাঠাগারটিতে। তখন একজন বয়ষ্ক পাঠক হিসেবে পাঠাগারে আসা অন্য পাঠকরা আদর করে জলধর বৈরাগীকে চা খাওয়াতেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে বয়সের ভারে নুব্জ বাইসাইকেল চালাতে অক্ষম অনেকটা নিঃসঙ্গ জলধর বৈরাগী পত্রিকায় দেশের খবর জানতে লাঠিতে ভর করে চলে আসেন বাড়ীর অদূরে সিএমইএস পাইকারটারীর নিউ বেসিক স্কুলে। সেখানে নিজে যেমন পত্রিকা পড়ে মজা পান তেমনি তা পড়ে মজা দেন স্কুলের কচি শিক্ষার্থীদের। সে কারনে শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি পত্রিকা দাদু হিসেবেই পরিচিত। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের বিষয়ে কিছু শুনতে চাইলে পাড়ার অভ্যাস ও জ্ঞানের পূর্ণতা লাভে লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের পত্রিকা পড়া জরুরী বলে মনে করেন তিনি। জীবনের বাকি সময়টুকু পত্রিকাকেই সঙ্গী করে বাঁচতে চান নিঃসঙ্গ জলধর বৈরাগী আর স্কুলটিতে একটি পাঠাগার চালুহোক এমনটিই প্রত্যাশা করেন দেশের সংবাদপ্রেমি এই পাঠক।
|
|
|
|
|