রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলায় আসামি সহ আসামীপক্ষের ইন্ধনদাতা ও আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে   * সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলায় আসামি সহ আসামীপক্ষের ইন্ধনদাতা ও আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে   * কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা   * ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা নয়া দিগন্ত , ইসলামী ব্যাংকের ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক   * কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এস এস সি`তে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৯০২   * মুরাদনগরে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার মূলহোতা শাহপরানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর   * মুরাদনগরে গণপিটুনির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮ জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর   * হিমাগারে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়কে আলু ফেলে অবরোধ   * সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ উপর হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা খুজছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী   * চট্টগ্রামে নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান  

   বিশেষ প্রতিবেদন
খাদে ভরা স্বর্ণ ব্যবসা
  Date : 03-06-2017


ইলিয়াস সাগর
দেশে সোনা ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়ার বড় অংশই অস্বচ্ছ। ব্যবসায়ীদের কারও কাছেই অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত সোনার বৈধ কাগজপত্র নেই। ঋণপত্র খুলে বিদেশ থেকে বৈধভাবে সোনা আমদানির সুযোগ থাকলেও কেউই তা করেন না। এই মূল্যবান ধাতুর জোগানের বড় উৎস বর্তমানে ব্যাগেজ রুলস ও চোরাচালানের মাধ্যমে আসা সোনার অলংকার কিংবা বার।
সোনা ক্রয়-বিক্রয়ের বড় বাজার পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা। সেখানকার ‘পোদ্দার’ ব্যবসায়ীরাই এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁদের কাছ থেকে কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সোনা কেনেন জুয়েলার্স মালিকেরা। এ ছাড়া হাতে গোনা তিন-চারজন ব্যবসায়ী অল্পবিস্তর হীরা আমদানি করেন। তবে গ্রাহকদের কাছ থেকে কাগজপত্র ছাড়াই পুরোনো হীরা কেনেন ব্যবসায়ীরা।
ফলে যে অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের বিক্রয়কেন্দ্র সিলগালা করা হয়েছে, সেই একই দোষে অনেক জুয়েলার্সই দোষী। এ কারণে বহুল আলোচিত আপন জুয়েলার্সে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানের পর আতঙ্কে আছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
কয়েকজন জুয়েলার্স ব্যবসায়ী স্বীকার করেন, সোনা ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে অস্বচ্ছতা রয়ে গেছে। তবে তাঁরা স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করতে চান। কিন্তু বর্তমান নীতিমালায় সোনা আমদানির প্রক্রিয়া জটিল ও ব্যয়বহুল। বহুদিন ধরে সরকারের কাছে বৈধভাবে সোনা বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি করলেও কাজের কাজ হচ্ছে না।
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ। দিলদার আহমেদের অবৈধ সম্পদ খুঁজতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অভিযানকালে গুলশান ২ নম্বরের সুবাস্তু ইমাম টাওয়ারে আপন জুয়েলার্সের সিলগালা করে দেওয়া বিক্রয়কেন্দ্রের কর্মীরা ১৮৭ কেজি সোনার অলংকারের নথিপত্র দেখাতে পারেননি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ঋণপত্র খুলে কোনো ব্যবসায়ী সোনা আমদানি করেন না। কারণ, প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দামও বেশি পড়ে। ব্যাগেজ রুলেও সোনা আনলে দাম ৫০০ টাকা বেশি পড়ে। পাশের দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে সোনা বিক্রি করে। এমন একটি ব্যবস্থা করার জন্য ২০ বছর ধরে দাবি করছি আমরা।’
এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ‘জুয়েলার্স ব্যবসায় কিছু সমস্যা আছে। সে জন্য আমরা তাদের নীতি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে তারা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘চোরাচালান ও আইন ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরই তা খতিয়ে দেখতে আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালানো হয়েছে। ঢালাওভাবে কোথাও অভিযান চালানো হচ্ছে না। সে জন্য অন্যদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
জুয়েলার্স সমিতি জানায়, তাদের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৭০০। তার বাইরে হাজার দশেক জুয়েলার্স আছে সারা দেশে। ব্যবসায়ীদের সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ডিলিং লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করার বিধান আছে। অলংকার বিক্রিতে সরকারকে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দিতে হয়।
পোদ্দার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘আমরা যাদের কাছ থেকে সোনা কিনে থাকি, তারা কোনো কাগজপত্র দেন না। তাই আমরা যাদের কাছে বিক্রি করি, তাদেরও দিতে পারি না। তাঁর দাবি, চোরাচালানের সোনা তাঁতীবাজারে আসে না।
অন্যদিকে চোরাচালানে আসা সোনার অধিকাংশই ভারতে চলে যায় বলে দাবি করলেন জুয়েলার্স সমিতির সহসভাপতি এনামুল হক খান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি ভারতে। সে জন্য চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে যে সোনা আসে, তা দিয়েই আমাদের চাহিদা মিটে যায়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রায় ১১৫ মণ সোনা জমা আছে। এর অর্ধেকেরই মালিকানা কেউ দাবি করেনি। বাকি কিছু অংশের মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ ২০০৮ সালে নিলামের মাধ্যমে আটক করা সোনা বিক্রি করেছিল।
জানা গেছে, সোনা আটকের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে তা বুঝে নিতে বলে। নিরাপত্তার জন্য একই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় পুলিশ কমিশনারকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী একজন স্বর্ণকারের উপস্থিতিতে তা জমা নেওয়া হয়। প্রথমে সোনা অস্থায়ী খাতে জমা হয়। মালিকানা পাওয়া গেলে মামলা হয়। এতে কাস্টমস জয়ী হলে তা স্থায়ী খাতে যায়। মালিকেরা জয়ী হলে তা ফেরত দেওয়া হয়। যেসব সোনার কোনো মালিকানা পাওয়া যায় না, তা বাজেয়াপ্ত করে স্থায়ী খাতে জমা করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে সম্প্রতি আটক করা সোনা নিলাম করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। নিলাম হলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অবৈধ চালান বন্ধ হতে পারে বলে মনে করে সংস্থাটি।
দেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার রফতানির লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে প্রথম স্বর্ণালঙ্কার নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আজও কার্যকর করা হয়নি। এর পেছনে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ওই নীতিমালায় বৈধ ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে সুপারভাইজড ওয়্যার হাউসে স্বর্ণ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই নীতিমালার অগ্রগতি হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার পাশাপাশি সরকার এ খাতের দিকে নজর দিলে দেশে স্বর্ণালঙ্কার শিল্পের প্রসার ঘটত। এ খাত থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ তৈরি হতো।
এদিকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আপন জুয়েলার্সে অভিযান পরিচালনার পর থেকে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অভিযানের পর রাজধানীর নামিদামি অনেক শোরুম থেকে স্বর্ণালঙ্কার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে গত ২৮ মার্চ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শীর্ষস্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত ও তার বন্ধু নাঈমের ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযানে নামে এনবিআরের অধীন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। শুল্ক কর্মকর্তারা বলেছেন, আপন জুয়েলার্স থেকে যেসব স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে, সেগুলোর পক্ষে মালিকপক্ষ বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের কোনো ব্যবসায়ী এলসি খুলে বাণিজ্যিকভাবে এক তোলা স্বর্ণও আমদানি করেননি। অথচ রাজধানীর বড় স্বর্ণের দোকানগুলোতে শত শত কেজি স্বর্ণ রয়েছে। এসব স্বর্ণের বেশিরভাগই চোরাপথে দেশে আনা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। শুল্ক গোয়েন্দারা মনে করেন, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিভিন্ন সময়ে বহনকারী বা বিমানের কেবিন ক্রু ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যান আড়ালে। বিমানের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় দেশে এসব স্বর্ণ নিয়ে আসেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, স্বর্ণের উৎস জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, ট্যারিফ কমিশন ও শিল্প মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে যৌথভাবে একটি তদন্ত পরিচালনা করেছে। তদন্তে দেখা যায়, দেশে বৈধ উপায়ে কোনো স্বর্ণ আমদানি হয় না। দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশ থেকে একশ্রেণির চোরাকারবারির সহায়তায় স্বর্ণ এনে তা এখানকার বাজারে বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশে সোনা-ডায়মন্ডের বিশাল বাজার রয়েছে। এই বাজার নিয়ন্ত্রণ হয় পুরোটাই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। সব খাতের ব্যবসায় সরকারি নীতিমালা থাকলেও সোনা-ডায়মন্ডের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। নেই কোনো বৈধ আমদানি নীতিমালাও। ২০১৩ সালের পর মণকে মণ স্বর্ণ চোরাচালান হয়েছে। অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে অবৈধ পথে আসা সোনা ধরা পড়েছে মাত্র পাঁচ কেজি। ২০১৩ সালে ধরা পড়ে ৫৬৫ কেজি। প্রতিবছরই এ হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দকৃত স্বর্ণ ফেরত ও অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ১১জুন থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি ভেনাস জুয়েলার্সের কর্ণধার গঙ্গা চরণ মালাকার, আমিন জুয়েলার্সের কর্ণধার কাজী সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সহ-সভাপতি এনামুল হক খান ও চৈতী জুয়েলার্সের কর্ণধার রতন কুমার পাইক এই প্রতিবেদককে জানান যতদিন না তাদের দাবি মেনে না নিবে ততদিন তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবে। সচেতন মহলের ধারনা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এ ধর্মঘট সরকারকে তেমন বেকায়দায়তো ফেলতে পারবেই না বরং তারা নিজেরাই বিপাকে পড়বে।
বাংলাদেশে স্বচ্ছ্ব স্বর্ণ আমদানী নীতিমালা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন হলে অচিরেই এক শ্রেনীর আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। এবং সেই সঙ্গে অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।



  
  সর্বশেষ
সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলায় আসামি সহ আসামীপক্ষের ইন্ধনদাতা ও আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে
সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলায় আসামি সহ আসামীপক্ষের ইন্ধনদাতা ও আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে
কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা নয়া দিগন্ত , ইসলামী ব্যাংকের ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308