মানবাধিকার খবর:::
যাত্রী অধিকার আদায়ে বিক্ষোভের ঢাকার রাজধানীসহ সারাদেশে পরিবহন নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে সিটিং বাসের নামে যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, অন্যদিকে নূন্যতম সেবাও পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
এছাড়া, বরাবরই শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়টি উপেক্ষিত। ছিট খালি থাকলেও শিক্ষার্থী ও নারীদের বাসে উঠানো হয় না।
যাত্রীদের সাথে অশোভনীয় আচরণ, যাত্রীদের গায়ে হাত তোলার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এতে পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে যাত্রী অধিকার। তাই যাত্রীদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে আন্দোলনে নেমেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
গণপরিবহনে যাত্রী অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান শাকুরী
যাত্রীদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৮ দফা দাবি:
১। সারাদেশে গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করতে হবে;
২। রাজধানীসহ দেশের নগর-মহানগর ও আন্তজেলার গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কর্যকর করতে হবে এবং দূর পাল্লার পরিবহনে শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ ভাড়া ছাড় দিতে হবে;
৩। যানজট নিয়ন্ত্রণ, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও যাত্রীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতে যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ করতে হবে;
৪। নামে-বেনামে চালু হওয়া সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিআরটিএ’র অনুমতিক্রমে কিছু স্পেশাল পরিবহন চলাচল করতে পারে, তবে তা অবশ্যই যথাযথ মানের হতে হবে;
৫। গণপরিবহনের ভাড়ায় সমতা আনতে হবে। প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার চার্ট রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে;
৬। পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ’কে নিয়মিত ‘কার্যকর’ অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করতে হবে;
৭। প্রাইভেট পরিবহনের চাপ কমাতে উন্নতমানের এসি, নন-এসি সার্ভিস চালু করতে হবে; এবং
৮। ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে;
ঘোষিত ৮ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে সক্রিয় থাকার ঘোষণা দিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন।
মানবাধিকার খবর/মোশতাক রাইহান