ঈদ-উল আযহা ও পরবর্তী কারখানা, সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হানির ভয়াল চিত্র
দেশ ও মানবতার কল্যাণে কার্যকরী ব্যবস্থা জরুরী
আবুবকর সিদ্দীক
ঈদ যাত্রায় দেশে সড়ক, রেল, কারখানা,আকাশ ও নৌপথে মোট ২১০টি দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬৫ জন এবং আহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৫৩ জন। গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ , জতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনার এমন ভয়াবহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদনে বলা হয় , ঈদ-উল ফিতরে ঈদ যাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক হলেও ঈদ-উল আযহায় মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তির পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ দিনে ১৯৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬ জন । একই সময়ে ৮টি নৌ দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় রেলে কাটা পড়ে ৭ জন নিহত এবং চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ৫০ জন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, বিপজ্জনক ওভার টেকিং, রোড ড্রাইভার না থাকা, ট্রাফিক আইন না মানা, অদক্ষ চালক, রাস্তার ত্রুটি, যাত্রীসাধারণের অসচেতনতা, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন, ফিটনেস বিহীন, নিবন্ধন হীন ও অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে উঠে আসা সহ নানা কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
পরিস্থিতি এমন ভয়াল রূপ পরিগ্রহ করছে যে, সড়কের নিকটস্থ বাড়ির ঘুমন্ত মানুষও নিষ্কৃতি পাচ্ছেনা সড়ক দুর্ঘটনার কবল থেকে। বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর রেলক্রসিং এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা গামী একটি বাস পাশের বাড়িতে ঢুকে পড়ায় ঘুমন্ত দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ জন। একই দিনে চকরিয়াতে সদ্যপ্রসূত সন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে যাওয়ার সময় দুটি টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন এক বাবা। মুখ দেখারও সুযোগ হলোনা হতভাগ্য এই বাবার। মৃত্যু ছিনিয়ে নিলো সব মায়ার বাঁধন। সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মংমনসিংহের গৌরিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন সহ মোট প্রান গেছে ১১ জনের। অন্যদিকে বরিশালের বানরী পাড়ায় দাসের হাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে ফিটনেস বিহীন লঞ্চডুবিতে প্রাণ হরালো ২৮ জন। গাজীপুরে টাম্পকের ফয়েলস কারখানাতে দুর্ঘটনা জনিত অগ্নিকা-ে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বং গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে একটি বিজ্ঞাপনের সুটিংয়ে অংশ নিতে হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানিতে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তাকে নামিয়ে দেওয়ার পর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ১ জন নিহত ও পাইলটসহ ৪ জন আহত হন। এ ভাবেই চলছে আকাশ, সড়ক, জনপথ কিংবা রেল পথে দুর্ঘটনার নিত্য তা-ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২০ থেকে ২১ হাজার মানুষ মারা যায়। এখন প্রশ্ন হলো, দুর্ঘটনার এই ভয়াল চিত্র কি ক্রমান্বয়ে বর্ধিত হতেই থাকবে, নাকি এ সংকট উত্তরণের কোন উপায় আছে?
একটি গবেষণা বলছে বিশ্বের ৮৮ টি দেশ দুর্ঘটনার হার কমাতে সক্ষম হয়েছে এবং ৮৭টি দেশে তা বেড়েছে। বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্যু হয় তার ৯০% ঘটে নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশে। সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব দেশ সাফল্য দেখিয়েছে তার মূলে রয়েছে এ সংক্রান্ত আইন জোরদার ও বাস্তবায়ন করা , সড়ক ও যানবাহন আরও নিরাপদ করা। যেমন সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনার হার খুবই কম। তাদের লক্ষ্য এ হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং তাদের বিশ্বাস এটি করা সম্ভব। সুতরাং কার্যকর সড়ক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করলে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা যায়। কিন্তু এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট, এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যত ব্যবস্থা নিতে শিথিলতাই আমাদের বাস্তবতা । কয়েক বছর ধরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা মন্ত্রীদের মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ ক্ষতিয়ে দেখার অকার্যকর বক্তব্যই যেন সার। বস্তুত সড়ক পরিবহন খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে সময়োপযোগী ও কার্যকরী বিধি-বিধান প্রয়োগের দরকার ছিল বাংলাদেশে সেই সক্ষমতায় রয়েছে বিরাট ঘাটতি। আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হলো, সড়ক পরিবহন নিয়ে নতুন পলিসি, আইন, বিধি-বিধান প্রণীত হলেও তা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পরিবহন যাত্রীদের মতামত দেওয়ার কোন সুযোগ থাকেনা। যারা কখনও গণ পরিবহনে চলাচল করেন না বরং সময় ও পারিপার্শ্বিক নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিগত পরিবহনই যাদের বাহন তারা এ জাতীয় সমস্যা নিরসনে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম নাও হতে পারেন।
বেশিরভাগ লোকই সড়ক দুর্ঘটনাজনিক কারনে মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনার প্রধানত তিনটি কারণ থাকতে পারে। যথাঃ
১) নিয়মনীতি ও পরিচালনার দুর্বলতা ,
২)কারিগরি ত্রুটি এবং
৩) মানবীয় দুর্বলতা।
নিয়মনীতি ও পরিচালনার দুর্বলতা বলতে বুঝায় ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া, অযোগ্য গাড়ি ও অদক্ষ চালকের লাইসেন্স প্রাপ্তি, যুগোপযোগী আইনের অনুপস্থিতি এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
কারিগরি ত্রুটি বলতে বুঝায় সড়ক পরিকল্পনা ও নির্মানে অপরিপক্বতা , ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক থাকা, রোড সিগন্যাল এবং স্পিড ব্রেকারের অপর্যাপ্ততা।
আর মানবীয় দুর্বলতা বলতে বুঝায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো , চালকের উপর শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক চাপ, নিরাপদ সড়ক বা রুট সম্পর্কে অসচেতনতা, পথচারীদের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল এবং সড়কের পাশে দোকান-বাজার সহ ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা।
দুর্ঘটনা রোধে করণীয়ঃ সড়ক বা নৌপথের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নি¤েœাক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে-
ক) দুর্ঘটনা রোধে কঠোর আইন ও শাস্তির বিধান রাখা। কারণ, দোষী চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির থাকলে চালকরা গাড়ি চালাতে সতর্ক হবে।
খ) অসাধু কর্মকতা- কর্মচারী কর্তৃক অবৈধ লাইসেন্স প্রদান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
গ) ১৯৮৩ সালের মোটর যান আইনকে আধুনিক, কার্যকর ও জন বান্ধব করতে হবে।
ঘ) দোষী চালকদের ছাড়িয়ে আনতে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও শমিক নেতাদের অপতৎপরতা মুকাবেলায় সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঙ) দুর্ঘটনা রোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গভীর মনোযোগ দিতে হবে।
চ) ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ছ) সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা যেমন বাজার-ঘাট, দোকান উচ্ছেদ করতে হবে।
জ) ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন নিরোধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ জরিমানা ও সাজা প্রদান করতে হবে।
ঝ) সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি বড় কারণ হলো অধিক গতিতে গাড়ি চালানো । তাই সীমাবদ্ধ গতি বজায় রাখতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঞ) সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাছাড়া সড়ক নির্মানে থাকতে হবে উপযুক্ত পরিকল্পনা।
সড়ক,পানিপথ বা রেলপথের নিত্য দুর্ঘটনায় ক্রমান¦য়ে ভারী হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিমূহুর্তে নিহতের স্বজনদের আর্তনাদে ভারী হচ্ছে আকাশ- বাতাস। সমস্যার সমাধান কল্পে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই প্রতিনিয়ত মানবতার অশ্রু ঝরার ভয়াল চিত্রের লাঘব হতে পারে। উন্নত বিশ্বের মত হ্রাস পেতে পারে এ জাতীয় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার। দেশের কল্যাণে, মানবতার কল্যাণে , আমাদের সরকার অবশ্যই অনতিবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এটাই জাতির প্রত্যাশা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় গণমাধ্যমের সম্পাদকগণ
মানবাধিকার কমিশনকে আস্থা অর্জন ও দুর্বলবান্ধব হওয়ার আহ্বান
মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:
মানুষের মনুষত্য, মানবিকতা, বিবেক ও বিলুপ্ত মানবাধিকারকে পুনরুদ্ধার করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করার ও দুর্বলবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকেরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে ২৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এতে সম্পাদকেরা মানবাধিকার কমিশনকে এ পরামর্শ দেন।
সম্পাদকদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মানবাধিকার কমিশন দুর্বলের পাশে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু জনবলের দিক থেকে এখনো কমিশন শিশু অবস্থায় আছে। কিছু সময়ের প্রয়োজন আছে। এর পরও কমিশন চেষ্টা করছে। তিনি যে কোনো বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কমিশনের সঙ্গে যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রচারের ক্ষেত্রেও কমিশনের সঙ্গে যাচাই করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, তারা (আন্তর্জাতিক সংস্থা) কোনো একটা বার্তা দিলে তা নিজেরা যাচাই-বাছাই করার। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকল, তারা কোনো বার্তা দিলে আপনারা আমাদের সঙ্গে ভেরিফাই করে নেবেন। তারপর আপনারা যা লিখবেন, তা আপনাদের মতো লিখবেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন। আইনে কমিশনকে যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, জনগণের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণে তা কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাধা এলে গণমাধ্যম কমিশনের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। বাসস চেয়ারম্যান রাহাত খান বলেন, বিগত কমিশন হয়তো অত কিছু করতে পারেনি। কিন্তু কথা তো বলেছে। মানুষের মনে সে কথাগুলো আলোড়িত করেছিল। মানুষ ও গণমাধ্যমের মধ্যে এই বিশ্বাসটা হয়েছে, কমিশন কথা বলছে। নতুন কমিশনের দায়িত্ব সেগুলোকে কাজে বাস্তবায়ন করা। সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, সরকার মানবাধিকার কমিশন গঠন করে। কমিশন গঠিত হওয়ার পর তা আর সরকারের নয়, জনগণের। শুধু কথা নয়, সবার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। শুধু কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। মানবাধিকার কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আপনার শিরদাঁড়া কতটুকু শক্ত, আমরা দেখতে চাই।’ কলাম লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের অনেক শক্তি বা সংস্থা আছে। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখতে আছে শুধু মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দুর্বলবান্ধব হতে হবে।
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তাদের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, এতে আরও গুণগত পরিবর্তন এনে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোনো বিষয় তুললে এর চুলচেরা বিশ্লেষণ করার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন আমরা চাইবো আন্তর্জাতিক মানবাধকার সংস্থার আগেই দেশের ভিতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নিজেরাই তুলে ধরে সেগুলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির জন্য মানবাধিকার কমিশনকে প্রচার অভিযান চালানোর পরামর্শ দেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ধর্মের নামেই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সময় টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক মোস্তফা দানিশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। মানবাধিকার কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।