সোমবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম :

   সারাদেশ
সাতক্ষীরা দেবহাটায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন, নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন সাংবাদিকের পরিবার
  Date : 29-12-2025

সাতক্ষীরা জেলা দেবহাটা থানার কুলিয়া ইউনিয়নের বাহেরা পুষ্পকাটি ভাটার মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মাহাবুব ছোলে মাদক এর গডফাদার বলে পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম মাদক বিক্রি করার জন্য আছেন কিছু রাখাল টেকনাফ থেকে মাদক এনে পাইকার বিক্রি করেন বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে। মাদকের গডফাদার আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছেন মাদকের গডফাদার আব্দুস সালাম সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী এমন কি ক্ষমা পায়নি সাংবাদিক ও প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়েও ম্যানেজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এই মাদকের গডফাদার আব্দুল সালাম বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার মামলা হলেও গ্রেফতার না করে তালবাহানা করছেন দেবহাটা থানার পুলিশ।
অনুসন্ধানে গেলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল সালাম টেকনাফ থেকে মাদক এনে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করেন। মাদক ব্যবসায়ী গডফাদার আব্দুল সালাম নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি মাদক চক্র সন্ত্রাসী বাহিনী তার মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই অবৈধ ভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। মাদক গডফাদার আব্দুস সালাম কিছুদিন আগেই স্থানীয় দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক আল আমিন সরদার তার সংবাদ লেখনির মাধ্যমে প্রতিবাদ করলে, দেবহাটা থানার সাবেক ওসি কিবরিয়া আছেন নেতৃত্বে এসআই রিয়াজুল ১০ পিচ ইয়াব সহ গ্রেফতার হন। তার সহযোগী সাতক্ষীরা জেলা দেবহাটা থানার কুলিয়া ইউনিয়নের বয়রা পুষ্পকাটি ভাটার মোড়ের ইন্তাজ সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকের গডফাদার আব্দুস সালাম গত ২৭/১০/২০২৫ তারিখে সাংবাদিক আল-আমিন সরদারকে ভাড়া বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী গডফাদার সালাম, রাজু, বাদশা, মহিদুল, ফয়সাল সহ আরো অনেকেই মাদক ব্যবসায়ী সালামের বাড়িতে রেখে দুই ঘন্টা নির্যাতন করে।
মাদকের গডফাদার মাদক ব্যবসায়ী সালাম সেই সাথে তিনি ওই সাংবাদিক আল-আমিন সরদার কে মাদক দিয়ে ফাসানোর চেষ্টাও করে। সাংবাদিক আল আমিন সরদার স্ত্রী প্রশাসনের সহযোগিতা নিলেই সাতক্ষীরা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম দেবহাটা থানার পুলিশকে পাঠিয়ে দেন। সাবেক ওসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিবরিয়া হোসেন না থাকাই ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম অফিসার ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করেন। সাংবাদিক আল আমিন সরদার তার দেয়া বর্ণনা মতে র্ঘটনার সততা মিললে দেবহাটা থানায় মামলা করতে বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিক আল-আমিন সরদার অসুস্থ থাকায় গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এজাহার জমা দেন। সাংবাদিক আল-আমিন সরদারকে আসামিদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিলেও আসামিরা রয়েছেন, ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রতিদিন নিয়মিত হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ী সালাম সহ সন্ত্রাসী বাহিনী এবং পুলিশকে জানালেই তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বলছেন, এজারের কপি পায়নি, কিন্তু সরজমিনে জমিনে জানতে গেলে জানা যায়, এএসআই লেওকাত এর কাছে গত ৪ ডিসেম্বর এজাহার কপি জমা দেওয়া হয়েছে। দেবহাটা থানার ডিউটি অফিসার ছিলেন এএসআই লেওকাত জানান, সাবেক ওসি কিবরিয়া হোসেন স্যার জমা নিতে বলেছিল নিয়েছিলাম এবং এসআই রিয়াজুল স্যার তদন্ত করছে বলে আমি জানি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আল আমিন সরদার বলেন, বিভিন্ন সময় আমার বাসায় এসে হামলার চেষ্টা করছে আমি নিরাপত্তাহীন ভুগছি এসপি স্যারকে জানিয়েছি উনি বিষয়টা জানেন এখনো কোনো কিছু ব্যবস্থা করা হয়নি বরং নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ী সালাম আমাকেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন সহযোগিতা পাচ্ছি না
নাম না বলার সত্ত্বে এলাকায় বাসি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই মাদক ব্যবসায়ী সালাম মাদকের রাজত্ব করে আসছেন সাংবাদিক আল-আমিন সরদারকে যেদিন হত্যার পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য উৎকোচ সরুপ তার পরের দিন রাজহাঁস দিয়েছেন তদন্ত ওসি নজরুল ইসলামকে। তাছাড়া আমরা যতটুকু জানি, প্রতি মাসে দেবহাটা থানার তদন্ত ওসি নজরুল ইসলামেকে মোটা অংকের উৎকোচ সরুপ টাকাও দেন এই মাদক ব্যবসায়ী সালাম। আমরা এই দুর্নীতিবাজ অফিসার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
দেবহাটা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই লেওকাত জানান, গত ৪ ডিসেম্বর আমার কাছে এজাহার কপি জমা দেয়া হয়েছিল যেটা আমি বকশিকে দিয়েছিলাম এবং এটা এস আই রিয়াজুল স্যার তদন্ত করছে ।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই রিয়াজুল জানান, সাবেক ওসি কিবরিয়া আমাকে এজাহার টা দিয়েছিল যেটা আমাকে তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করতে বলেছিল দেবহাটা থানার তদন্ত ওসি নজরুল স্যার ও জানেন সাবেক ওসি কিবরিয়া স্যার চলে যাওয়াই বিষয়টা ঝামেলা হয়ে গিয়েছে মামলার এজাহার নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নাই। নিবে ওসি এজাহার কপি বর্তমান ওসিকে দিননি এমন প্রশ্নই উত্তরে তিনি বলেন, আমি গত ২৭ তারিখে আসছি এসে এজাহার কপি দিয়ে দিচ্ছি। দেবহাটা থানার তদন্ত নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন” আমি এজাহার কোন কপি এখনো হাতে পাইনি তাই ব্যবস্থা নিতে পারছি না৷” দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ”আমার তো বিষয়টা জানা নেই আমি নতুন এসেছি নতুন করে এজাহার জমা দিলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলেই তিনি বলেন, ”তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ না করাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 



  
  সর্বশেষ
শ্যামনগরে বাড়ীর পথ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারিতে নিহত ১ আটক ৯
কুড়িগ্রামের উলিপুরে চরাঞ্চলে পেঁয়াজের চারা বিক্রির ধুম, এক হাত আরেক হাতে গেলেই বেড়ে যায় দাম
চিতলমারীতে অপারেশন “ডেভিলহান্ট” অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308