শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ইউটিউব মুছে দিল ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি অপরাধের ৭ শতাধিক ভিডিও   * চিতলমারীতে শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার   * পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ জোর পূর্বক চাঁদা দাবি করে তার দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ও তাদের দোসর " স্যার নামীয় চক্রদের " বিভিন্ন ষরজন্ত্র করে গুম খুন হত্যার অগ্রীম আল্টিমেটাম প্রদান,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ   * কার্তিকের মাঝামাঝি বৃষ্টিতে শীতের বার্তা, বিপাকে কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনপদ   * প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি   * মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ইতিবাচক অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রয়োজন   * কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত   * পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ জোর পূর্বক চাঁদা দাবি করে তার দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ও তাদের দোসর " স্যার নামীয় চক্রদের " বিভিন্ন ষরজন্ত্র করে গুম খুন হত্যার অগ্রীম আল্টিমেটাম প্রদান,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ   * পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত   * সাতক্ষীরা সাইবারঅপরাধপ্রতিরোধ, আইসিটিওইনোভেশনতথ্যঅধিকারবাস্তবায়নঅবেক্ষনওপরিবীক্ষণকমিটিরসভাঅনুষ্ঠিত  

   মানবাধকিারের কথা
ইউটিউব মুছে দিল ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি অপরাধের ৭ শতাধিক ভিডিও
  Date : 08-11-2025

­গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গত বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) যেসব ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এসব ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে—এ অজুহাতে ইউটিউব ভিডিওগুলো মুছে দিয়েছে। তদন্তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তিনটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এসব সংগঠন ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সংগঠনগুলো হলো—আল-হক্ক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে ছেলা হয়। এতে গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নৃশংসতার বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত নথি হারিয়ে গেছে। সেই ভিডিওগুলোতে ছিল ঘরবাড়ি ধ্বংস, সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতনের সাক্ষ্য।
মুছে দেওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার তদন্তমূলক ফুটেজ এবং ‘দ্য বিচ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছিল সমুদ্রের ধারে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুদের মর্মান্তিক মৃত্যু।
ইউটিউব স্বীকার করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে তারা ‘বাণিজ্য ও রপ্তানি আইন’ মেনে ভিডিওগুলো সরিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টাকেই সহায়তা করছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি অপরাধের প্রমাণ গোপন রাখা।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এই সংগঠনগুলোর তথ্য শেয়ার করা কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হতে পারে।’ এছাড়া মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস ইউটিউবের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ‘ভয়ংকর পশ্চাৎপদতা’ বলে জানিয়েছে মানবাদধকার সংঘঠন আল-হক্ব।
প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইউটিউবের পদক্ষেপ অপরাধীদের জবাবদিহি থেকে রক্ষা করছে। তারা গুগলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। আল-মিজান জানিয়েছে, তাদের চ্যানেল কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই মুছে দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠনই সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একই ধরনের সেন্সরশিপ আসতে পারে, যাতে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারে।
দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, ইউটিউবের এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। প্রো-ইসরায়েল ভিডিওগুলো বেশির ভাগই অক্ষত থাকলেও ফিলিস্তিনি বর্ণনা বা তথ্য নিয়মিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউটিউব সহজেই ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
এই দমন অভিযান শুরু হয় এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরায়েলি নেতাদের রক্ষা করতে তৎপর। কারণ, আইসিসি গাজার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিচারক ও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
অন্যদিকে, গত ২৮ অক্টোবর উইকিপিডিয়ায় ‘গাজা গণহত্যা’ শিরোনামের পেজটি সম্পাদনা থেকে লক করে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস হস্তক্ষেপ করেন। ওয়েলস ওই পেজটিকে ‘বিশেষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, এটি ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন’ করা দরকার, যাতে ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতিফলিত হয়।
তাঁর এই মন্তব্যের পর সম্পাদকেরা তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওয়েলস রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করেছেন এবং জাতিসংঘ ও একাডেমিক গবেষণায় যে প্রমাণে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা খর্ব করার চেষ্টা করছেন, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করার সমতুল্য।



  
  সর্বশেষ
ইউটিউব মুছে দিল ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি অপরাধের ৭ শতাধিক ভিডিও
পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ জোর পূর্বক চাঁদা দাবি করে তার দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ও তাদের দোসর " স্যার নামীয় চক্রদের " বিভিন্ন ষরজন্ত্র করে গুম খুন হত্যার অগ্রীম আল্টিমেটাম প্রদান,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ
কার্তিকের মাঝামাঝি বৃষ্টিতে শীতের বার্তা, বিপাকে কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনপদ
মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ইতিবাচক অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রয়োজন

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308