শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ   * রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ   * কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব   * চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী গ্রেপ্তার   * চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটক   * পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে চলছে বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে   * এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা - রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল   * সর্বোৎকৃষ্ট মানের স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিল্প সচিব   * উপকূলের শ্যামনগরে বোরোর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি   * চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  

   জাতীয়
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার শিখরে মানবাধিকার কমিশন
  Date : 22-07-2020

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন :
গৃহকর্মী খাদিজা নির্যাতনের মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে খাদিজার নির্যাতনের শুনানি করে ক্ষতিপূরণ বা যেকোনো সুপারিশ করতে মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সম্প্রতি রিটকারি আইনজীবী আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত বছরের ১১ই নভেম্বর এই মামলার রায় হয়। মামলার শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম, এডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, ইসরাত হাসান। মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে এডভোকেট ফৌজিয়া করিম ফিরোজ।
অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল মানবজমিনকে বলেন, কমিশনের খসড়া বিধিমালা দ্রæত অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে গেজেট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে রায়ে। সেইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় অনুসন্ধান বা তদন্ত করে সুপারিশ করার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কোনো সরকারি কর্মকর্তা কমিশনের আদেশ পালন না করলে হাইকোর্টে আবেদন করতে বলা হয়েছে। খাদিজার নির্যাতনের মামলায় মানবাধিকার রক্ষা এবং প্রতিকার দিতে কমিশন মারাত্মকভাবে অবহেলা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, মানবাধিকার কমিশন আইনে অর্পিত তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। গৃহকর্মী খাদিজা নির্যাতনের মতো মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে পরিষ্কার যে, কমিশন তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ/সচেতন নয় এবং দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রতিকার দিতে কমিশন আইনে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার পরিচয় দিয়েছে। ‘মানবাধিকার রক্ষায় কমিশন চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং কমিশন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে’।
রায়ে মানবাধিকার কমিশনের প্রতি ৭টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
১. খাদিজা নির্যাতন মামলার অভিযোগে কমিশন মানবাধিকার রক্ষায় এবং প্রতিকার দিতে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ এবং আইনি অবহেলার পরিচয় দিয়েছে।
২. কমিশন আদেশ দিয়েছে তা কোনোভাবেই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় না যে এ আদেশগুলো কমিশনের আদেশ নাকি কোনো সদস্যের। এবং ওই সদস্য এরূপ আদেশ আদৌ দিতে পারে কিনা। মানবাধিকার কমিশন আইনের ১১(৩) এবং ২৮ ধারার বিধানে এ ধরনের আদেশের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ।
৩. কমিশনকে এ মর্মে নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে যে, কমিশন যেন সঠিক বিধি মেনে সদস্য বা সদস্যদের পূর্ণ নাম উল্লেখ করে আদেশ পাস করে এবং আদেশের নকল কপি যেন ভুক্তভোগী পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. কমিশন যে খসড়া বিধিমালাটি তৈরি করে রেখেছে তা অতি দ্রæত মানবাধিকার সংগঠনগুলার সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করে গেজেটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
৫. আইনের ১৬ এবং ১৮ ধারার বিধান অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অনুসন্ধান বা ক্ষেত্রমত তদন্ত করে যথাযথ সুপারিশ করার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
৬. কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা কমিশনের আদেশ-নির্দেশ পাত/বিবেচনা না করলে বা অবহেলা করলে সংবিধানের ১০২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের কাছে আবেদন করার জন্য কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
৭. কমিশন আইনগতভাবে একটি আধা- বিচারিক কর্তৃপক্ষ। সুতরাং, ইহা অবশ্যই ন্যায়বিচারের সব নীতি মেনে চলতে বাধ্য। অত্র রায় প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে খাদিজা নির্যাতনের বিষয়ে শুনানি শেষ করে কী প্রতিকার, ক্ষতিপূরণের সুপারিশ বা অন্য যেসব সুপারিশ প্রস্তাব করা যায় তা করতে কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যদি শুনানিতে খাদিজার মানবাধিকার লঙ্ঘনের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনের ১৯ নম্বর ধারার বিধানমতে খাজিদা বরাবর যথাযথ ক্ষতিপূরণের সুপারিশ কমিশন করবে। ২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি দেয়া হয়। এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ২০১৮ সালের ২২শে ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।



  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ
রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308