মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:- ঠাকুরগাঁও রাণীশংকলৈ ডিগ্রী কলেজে পাবলকি পরীক্ষার (স্নাতক ও সমমান) কেন্দ্রে চলছে বৈশাখী মেলা। পরীক্ষা উপলক্ষে উপজলো প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা থাকলেও মেলায় জনসাধারণ ঢুকে পড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল রোববার ওই কেন্দ্রে স্নাতক সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠতি হয়েছে। গত শনিবার রাতে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের মাঠে ১০ দনিব্যাপী বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। মেলায় শতাধিক দোকানপাট বসেছে। রোববার পরীক্ষার কারণে কলেজের মাঠ বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা র্পযন্ত ১৪৪ ধারার আওতায় ছিল। কিন্তু ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে। ঢুকে পড়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে খোলা রয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করছে। ১৪৪ ধারার মধ্যেও কলেজের মাঠে প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে এক র্দশর্নাথী বলেন, `কোথায় ১৪৪ ধারা জারি তা আমার জানা নেই। ১৪৪ ধারা জারি থাকলে মেলার গেট খোলা কেন?` পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা র্দশর্নাথী মনোয়ারা বেগম বলেন, `সন্ধ্যা হলে যাতায়াতরে সমস্যা, তাই বিকেলে মেলায় আসলাম। এখানে পাবলকি পরীক্ষা হচ্ছে বা প্রশাসনিক বিধিনিষেধ আছে, তা তো আমরা জানি না। গেটে তো কোনো প্রশাসনের লোককে দেখলাম না। রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক একজন শিক্ষক বলেন, এই কলেজে এখন প্রায় প্রতি মাসেই পরীক্ষাকেন্দ্র থাকে। তারপরও মেলার মতো জনসমাগম হওয়া অনুষ্ঠান এখানে আয়োজন করা হয়। এ ধরনের মেলা এখানে না করে ফাঁকা কোনো মাঠে করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তা ছাড়া বৈশাখী মেলা চলাকালে আরও দুটি বিষয়ে অনার্সের পরীক্ষা হবে। অনার্স পরীক্ষাকেন্দ্রের আহবায়ক সুকুমার মোদক বলেন, `পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রশাসনের দেখভাল করার কথা। সেটা প্রশাসন ভালো বলতে পারবে পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন সাধারণ মানুষের জনসমাগম।
রাণীশংকৈলা থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, `পরীক্ষাকেন্দ্রে মেলা হচ্ছে। সেখানে পুলিশ কী করবে। সাধারণ মানুষ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মেলার নামে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকলে বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রসচিব ব্যবস্থা নিবেন। পুলিশের এখানে কী করার আছে।