|
পিতার পর এবার পুত্রের মৃত্যু! |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই পরিবারগুলোর আহাজারি থামছেইনা
সবুজ আলী আপন,রংপুর: গত ২৫ ও ২৬ জুন লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারগুলোর সদস্যদের আহাজারি থামছেইনা। উপরন্তু দুর্ঘটনায় নিহত কাকিনা এলাকার অসহায় দিনমজুর নান্দু চন্দ্রের পুলিশ হতে ইচ্ছুক পুত্র (ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত)কলেজ ছাত্র পূর্ণ চন্দ্রের রংপুর মেডিকেলে বুধবার রাতে মৃত্যু ঘটায় যোগ হয়েছে গভীর শোকের মাতম। এতে দুই দিনের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৪ জন। মৃত অপর দুজনের একজন অটোচালক কাকিনার রবিউল ইসলাম এবং অপর জন কমলাবাড়ির চন্দনপাট এলাকার মাদ্রাসা ছাত্র এনামুল হক। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সরেজমিন দূর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় শোকে পাগলপ্রায় পরিবারের সদস্যদের নানা বিলাপ। প্রায় বাকহীন এনামুল ও পূর্ণ চন্দ্রের মা`কে স্যালাইন লাগিয়ে শায়িত করে রাখা হয়েছে বিছানায়। সাংবাদিক দেখেই প্রিয়জন ও নাড়ীছেঁড়া ধনের মর্মান্তিক দূর্ঘটনার কথা মনে পড়তেই হাউমাউ করে কেঁদে কিছু বলার চেষ্টা করলেই পাশে থাকা লোকজনের কথা না বলার অনুরোধ গিলতে হয় তাঁদের। পরক্ষনেই আহাজারী করে জন্মদাত্রী মাতার না বলা কথা বির বির করে জানান প্রতিবেশী স্বজন আর পরিবারের দূর্ভাগা সদস্যরা।পরিবারের উপার্জনক্ষম আর আঁদরের ধনকে হারিয়ে আগামী দিনে চরম বিপাক ও হতাশার সাঁগরে গভীর নিমজ্জিত তারা। একই অবস্থা নিহত অটোচালক রবিউল এর পরিবারেও। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বৃদ্ধ বাবা-মা আর আদরের ২ সন্তান। পরিবারে কী দুঃখের ঘনঘটা তা যেন বুঝে আসতেছেনা অবোধ ওই শিশুদের। প্রতিবেশী পরিজনদের সহ কেউই যেন মেনে নিতে পারছেনা এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা। এদিকে একই দূর্ঘটনায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া কাকিনা এলাকার হতাহতদের চিকিৎসা সহায়তায় স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মফিজুর রহমান বাবুল সহ এলাকাবাসীর অনেকেই স্বপ্রণোদিত হয়ে নিয়েছেন উদ্যোগও। কাকিনা এলাকা থেকে দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারগুলোর দূরাবস্থার বিষয়ে তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি নিহতদের পরিবারদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে তথ্য প্রদানে যোগাযোগের কথা জানান। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান এলাকাবাসী।
|
|
|
|
|