রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৪ বছরেরও শেষ হয়নি ৮ মাসের সড়কের কাজ   * ঠাকুরগাঁওয়ে হলুদ সাংবাদিক বীমা কর্মী মাসুদ রানার তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সাংবাদিক মহল   * কুড়িগ্রামে সবুজ-কমলা মাল্টা চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা   * চিতলমারীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত মো: একরামুল হক মুন্সী, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় মহাসড়কে গাছের গুড়িফেলে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবী, জেলার চারটি সংসদীয় আসন পূর্ণবহাল রাখতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বুধবার(১০সেপ্টেম্বর) ঢাকা-চিতলমারী মহাসড়ক অবরোধ কালে  সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য সকল সড়ক যোগাযোগ ও দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। তারা অবিরাম স্লোগান দিতে থাকেন। এদিন উপজেলার সকল বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। এর আগে হরতাল ও অবরোধের আহ্বান জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার  এলাকায় মাইকিং ও সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিল হয়। বুধবার মহাসড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান,সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব  আহসান হাবিব ঠান্ডু, নবাগত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল হক শেখ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মোঃ নিয়ামত আলী খান, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার কাজী আবুল কালাম প্রমূখ।   * মৃত্যু হওয়ার ৪০ মিনিটের মধ্যেই ৫জনকে গ্রেফতারে করেছেন রাণীশংকৈল থানার পুলিশ   * ধরলার ভাঙন থেকে চর গোরকমন্ডল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন   * ধরলার ভাঙন থেকে চর গোরকমন্ডল রক্ষার দাবিতে মা নববন্ধ   * কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হাতের চাপে ভেঙে যাচ্ছে সেতুর গাইড ওয়ালের স্লাব   * কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে তলিয়ে গেল পর্যটক, ১০ ঘণ্টায়ও মেলেনি হদিস   * চিতলমারীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালি  

   অধিকারের প্রতিবেদন
জমি ফিরে পেতে বৃদ্ধ একরাম উদ্দিনের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
  Date : 13-06-2018


বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ৩১ নং চাপতলা মৌজার পূর্বপাড়া চাপাতলা গ্রামের মৃত শেখ ওতার উদ্দিনের পুত্র শেখ একরাম উদ্দিন (৮৯) তার নিজ পৈত্রিক জমি ভোগ দখল করতে পারছেন না । জবর দখল করে বছরের পর বছর সেখানে মাছের ঘের, বসত ভিটায় ঘর বাঁধার পাকা ভীত ( পোতা ) এবং রেকর্ডিও সড়কের অংশ জুড়ে পোল্ট্রি ফার্ম করছে দাপটের সাথে স্থানীয় শওকত গংরা ।
শেখ একরাম উদ্দিনের মোট পৈত্রিক সম্পত্তি ২৩ বিঘার বেশি হলেও ১৯৮৮ সালে মাঠ পর্যায়ে সেটেলমেন্ট সরেজমিন ডি.পি. জরিপকালীন সময়ে এলাকার দুষ্ট চক্র শওকত গং একরাম উদ্দিনকে মারপিট করে আহত করে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে এ শওকত গংরা সংশ্লিষ্ট ডি.পি. জরিপকারী কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদান করে অধিকাংশ জমি তাদের নামে ডি.পি. জরিপ করিয়ে নেয় ।
শেখ একরাম উদ্দিনের নামে মাত্র ৩৩ শতক যা ১৪ কাঠার মত । এই সম্পত্তি শেখ একরাম তার মা নুরজাহান বেগম, বোন রাবেয়া বেগম, সুফিয়া বেগম ( সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য ) নামে ডি.পি. জরিপে তালিকাভূক্ত হয় । উক্ত জমির খাজনা বর্তমান ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিশোধ থাকলেও এ সকল জমি বৃদ্ধ একরাম শেখ ভোগ করতে পারছেন না । শওকত গংরা এলাকায় খুবই শক্তিশালী সুবিধাভোগী এবং জনবলে বেশি থাকায় বিভিন্ন ব্যাক্তি পৃষ্টপোশকতায় বা ম্যানেজ করে ভুল বুঝিয়ে অন্যায়ভাবে একরাম শেখের জমি ভোগ দখল করে চলেছে । প্রতিবাদ করার মত এ বৃদ্ধের সাহস নেই । একরাম উদ্দিনের দাদার ক্রয়কৃত সম্পত্তি পিতার সূত্র ধরে সেই বসতভিটায় বর্তমানে তাদের জন্য বসবাস করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে । তাদের আঙ্গিনায় বনজ, ফলজ প্রচুর গাছ এবং পুকুর ও ক্যানেলে মাছ থাকায় সেগুলো শওকত গংদের গরু ছাগল হাস মুরগী দিয়ে প্রতিনিয়ত আর্থিকভাবে ক্ষতি করলেও প্রতিবাদ করলে সাথে সাথে তার পুত্র কন্যারা মারধরের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে । বৃদ্ধ একরাম শেখ সব সময় আশংকা করেন যেকোন সময় তারা জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে তার চার পুত্রের তিন পুত্র অন্যত্র বসবাস করছে । তার ছোট ছেলে এমদাদ শেখ জেলা সার্ভার স্টেশন বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কার্য্যালয়ের অধীন স্মার্ট কার্ড প্রদান একটি খন্ডকালীন প্রজেক্টে চাকরীরত । বৃদ্ধ পিতাকে দেখা শোনা করার জন্য চোখ বুঝে বসবাস করছে । ১৯৮৮ সালে এই শওকত গংরা তৎকালীন উপজেলা হাকিম মহোদয়ের নিকট শেখ একরামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ২৭৭/৮৮ । এলাকার তৎকালীন যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুস সত্তার উক্ত মিথ্যা মামলাটি হাকিম বাহাদুর মহোদয়কে প্রত্যাহার করার জন্য লিখিত আবেদন জানান । এছাড়া একই বিষয় নিয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়ন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ও বারইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন চেয়ারম্যান একরাম উদ্দিনের জানমালের ক্ষয় ক্ষতি লাঘবে সর্বসম্মতিক্রমে একটি লিখিত আবেদন উপজেলা হাকিম মহোদয়কে অবহিত করেন ।
২০১৭ সালে বিষয়টি যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মতিনকে লিখিত আকারে বৃদ্ধ একরাম শেখ বিষয়টি সুরাহাকল্পে শরণাপন্ন হলে চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মতিন ২জন ইউপি সদস্য ও ২জন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ইউনিয়নের আমিনের মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করে । উক্ত শালিসিগন স্ব স্ব স্থানে তাদের জমি ভোগ দখলের মৌখিক নির্দেশনা দেন । কিন্তু শওকত গং তা মানে না । অনেক বার নির্দিষ্ট জায়গায় বাউন্ডারি করার জন্য অস্থায়ী খুঁটি গাড়লেও শওকত গংরা উঠিয়ে ফেলে । যে কারনে একরাম শেখ পরিবার পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে বসবাসের ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত বাউন্ডারি দিতে না পাড়ায় প্রতিনিয়ত তাদের জীবন নাশের আশংকায় ভুগছেন । একরাম শেখ জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মতিনের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই । তিনি চান সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সমাধান । অথচ শওকত গং তার প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে বাদী একরাম শেখ ও তার পরিবারকে একের পর এক হয়রানী করে চলেছে ।
একরাম শেখ জানান, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক । তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় যাত্রাপুর চাপাতলা উচু পোলের নিকট সক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন মিটিং এ ও সভায় নিয়মিত অংশগ্রহন করতেন । গভীর রাত পর্যন্ত তাদের বৈঠক চলত ।
তিনি সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঐ সকল যুদ্ধে অংশগ্রহনরত মুক্তিযোদ্ধাদের রসদ রান্না করা খাবার এবং নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন । অথচ শওকত গংরা মুসলীম লীগ থেকে বিএনপি এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কায়দায় এলাকার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তার জায়গা অবৈধ অন্যায় অনৈতিকভাবে ভোগ দখল করে আসছে দাম্ভিকতার সাথে । এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা । মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান । সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক তার বসতভিটায় নির্বিঘ্নে বসবাস এবং ৩৩ শতক জমি অবৈধ দখলদারি শওকত গং দের হাত থেকে মুক্ত করে নিজে এবং তার সন্তানরা আর্থিকভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে এ ব্যাপারে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।



  
  সর্বশেষ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৪ বছরেরও শেষ হয়নি ৮ মাসের সড়কের কাজ
ঠাকুরগাঁওয়ে হলুদ সাংবাদিক বীমা কর্মী মাসুদ রানার তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সাংবাদিক মহল
কুড়িগ্রামে সবুজ-কমলা মাল্টা চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা
চিতলমারীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত মো: একরামুল হক মুন্সী, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় মহাসড়কে গাছের গুড়িফেলে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবী, জেলার চারটি সংসদীয় আসন পূর্ণবহাল রাখতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বুধবার(১০সেপ্টেম্বর) ঢাকা-চিতলমারী মহাসড়ক অবরোধ কালে  সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য সকল সড়ক যোগাযোগ ও দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। তারা অবিরাম স্লোগান দিতে থাকেন। এদিন উপজেলার সকল বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। এর আগে হরতাল ও অবরোধের আহ্বান জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার  এলাকায় মাইকিং ও সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিল হয়। বুধবার মহাসড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান,সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব  আহসান হাবিব ঠান্ডু, নবাগত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল হক শেখ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মোঃ নিয়ামত আলী খান, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার কাজী আবুল কালাম প্রমূখ।

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308