শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত   * মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি   * দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;   * বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য   * ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক   * টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক, হোটেলে কক্ষ না পেয়ে ভোগান্তি  

   সাক্ষাতকার
মানবাধিকার লগ্ঘন চিন্তার বাইরে কাদের সিদ্দিকী
  Date : 04-06-2017

মানবাধিকার খবর ঃ বর্তমানে আপনার কিভাবে সময় কাটছে? মানবাধিকার খবর ঃ বর্তমানে আপনার কিভাবে সময় কাটছে? সা  ক্ষা ৎ কা রমানবাধিকার খবর ঃ বর্তমানে আপনার কিভাবে সময় কাটছে?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ একজন মুসলমান হিসেবে মহান আল্লাহর ঈবাদত করে। প্রতি সপ্তাহে টাঙ্গাইলে যাচ্ছি এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করছি। রাস্তার মানুষদের সাথে থাকছি। বাংলার যে প্রান্তেই কোন সমস্যা হচ্ছে ছুটে যাচ্ছি। দেশে যেন অরাজকতা, রাহাজানি, খুনাখুনি বন্ধ হয় নিরলস ভাবে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি লেখার মাধ্যমে ও স্বশরীরে।
মানবাধিকার খবর ঃ আমরা আপনার পরিবার সম্পর্কে কিছু জানতে চাই?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ আমার বাবা মৌলভী মুহাম্মদ আব্দুল আলী সিদ্দিকী। মা লতিফা সিদ্দিকী। আমরা ভাই বোন ১৬ জনের মধ্যে জীবিত আছি সাত ভাই ও তিন বোন। আমার তিন সন্তান দ্বীপ, কুড়ি ও কুশি। আমার সহধর্মীনি নাসরিন কোরাইশী (ডান্নু)।
মানবাধিকার খবর ঃ আপনি রাজনীতিতে কিভাবে আসলেন?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ আমাদের পরিবারের সবাই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার দাদু আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মহাত্মা গান্ধীর অনুরক্ত ছিলেন। তিনি কংগ্রেস করতেন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আমার বাবা, চাচারা বড় ভাই সবাই যুক্তফ্রন্টের সমর্থক ছিলেন। আর আমার রাজনীতির সূচনা হয় কলেজ জীবনের শুরুতেই।
মানবাধিকার খবর ঃ মুক্তিযুদ্ধে আপনার অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাই?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সংগ্রাম এটা একদিনে আসেনি শুধু ’৭১ -এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধের শিকড় আরো অনেক গভীরে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানে শুরু থেকেই পশ্চিমাদের চরম বঞ্চনা, মাতৃভাষা কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কুমিল্লার বীরেন্দ্রনাথ দত্তের সোচ্চার প্রতিবাদে পুরো জাতি এক কাতারে শামিল হয় ’৫৪ এর প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ জয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগার ভেঙ্গে বের করে এনে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বানানো, তারপর ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরু। আমরা আইয়ুব, ইয়াহিয়ার বিরোধী সংগ্রাম না করতাম তাহলে ২৫শে মার্চ পাকিস্তান হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়তো না, আমরাও প্রতিরোধে গর্জে উঠতাম না। যদি ৭০’র নির্বাচনে আপামর দেশবাসী বঙ্গবন্ধুর পিছনে কাতারবন্দী না হতো, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ হতো কিনা কেউ আমরা বলতে পারব না। তাই মুক্তিযুদ্ধ একের পর এক ঘটনার প্রতিফলন এই মুক্তিযোদ্ধা ২৫শে মার্চ রাতে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় রাজধানী ঢাকা। তখন আমি নিজ শহর টাঙ্গাইলে ২৬ মার্চ ভোর হতে না হতেই হাজার হাজার ভীত দিশেহারা মানুষ ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময় পলায়নপর জন¯্রােতের একটি বড় অংশ মৃত্যুপুরী ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা মানুষগুলোর দিকে তাকানো যাচ্ছিনা কি অবর্ননীয় কষ্ট এক অপার্থিব বিভীষিকা তাদের তাড়া করছিল। এই অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখে প্রায় মূহ্যমান হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ এক ভদ্রলোকের হাউমাউ করে কাঁদছিলেন আর বুক চাপড়াচ্ছিলেন কিছুই বলছিলেননা অনেক সান্তনার পর মুখ খুললেন তিনি বললেন, আমার বাড়ি ধানমন্ডিতেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ির পাশের কিন্তু কি বলবো, সব শেষ হয়ে গেছে রাত বারোটার পর একদল সৈন্য এসে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘিরে ফেলে বেধড়ক গুলি চালাতে শুরু করে। একটু পরে, বঙ্গবন্ধুর নাগাল পেল ওরা বন্দুকের বাঁট ও নল দিয়ে তাঁকে গুতো মারে ধাক্কা দিতে থাকে দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ওরা তো শেখ মুজিবকে ধরে নিয়ে গেছে এ কথা শুনে আমার সারা গায়ে যেন আগুন ধরে গেল। কারণ বঙ্গবন্ধু শুধু নেতাই নন তিনি আমাকে সন্তানের মত ¯েœহ করতেন ভদ্রলোকের মুখ থেকে বঙ্গবন্ধুর এই লাঞ্জনার ও ঢাকা শহর ধ্বংস করার বিবরণ শুনে আমি আর স্থির থাকতে পারছিলাম না ছুটে গেলাম জেলা সংগ্রাম পরিষদের অফিসের দিকে। মাইক্রো ফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ঘৃণা আর আক্রোশে চিৎকার করে বলি আমাদের ওপর পাকিস্তান খুনিরা ট্যাঙ্ক, কামান মেশিনগান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষ হত্যা করছে রক্তের বন্যায় রাজধানী ঢাকাকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এই রক্তের জবাব রক্ত দিয়েই নিতে হবে দীর্ঘ পঁচিশ বছর ওরা তিল তিল করে আমাদের শোষণ করেছে আজ সভ্য জগতের সমস্ত রীতি নীতি অগ্রাহ্য করে বর্বরতার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে নিরপরাধ নিরস্ত্র নিরীহ সাধারণ মানুষের বুকে পৈশাচিক থাবা হেনেছে। সেই নৃশংস থাবা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে না পারলে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব চির দিনের জন্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আজ আমাদের প্রমাণ করতে হবে ঐক্যবদ্ধ বাঙালির কাছে দানবীয় পশুশক্তির হার মানতে বাধ্য। তখন রাস্তার বড় হতে থাকা ভিড়ের দিকে হাত তুলে সবাইকে বললাম আপনারা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের আহ্বানের কথা ভূলে যাবেন না। জীবন দিয়ে হলেও নেতার নির্দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। জীবন দেবো। তবুও অধিকার দেবনা কোন অপশক্তির কাছে মাথা নোয়াবো না। এ কথার মাধ্যমেই আমি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি দেশকে স্বাধীন করার জন্য। আসলে যুদ্দ জিনিসটাই অনেক ভয়ঙ্কর এটা বলে বুঝানো যাবেনা। একমাত্র যারা এ সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে শুধু তারাই বলতে পারবে। এই পরাধীনতার শেকল থেকে জাতিকে মুক্ত করার লক্ষেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি।
মানবাধিকার খবর ঃ বঙ্গবন্ধুর সাথে আপনার পরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধের পরে আপনার বাহিনীর অস্ত্র জমা নিয়ে যে ঘটনা তা জানতে চাই?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ ৬১-৬২ সালের দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখেছিলাম আমাদের বাড়িতে। বুনিয়াদি গণতন্ত্রের এক উপনির্বাচনে খোদাবক্স মোক্তার বাসাইল থেকে নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন অন্যদিকে করাটিয়ার কোন এক জমিদার। সেই নির্বাচনে প্রচারে অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুও গিয়েছিলেন। সেই প্রথম আমাদের বাড়িতে উনার আগমন টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে গ্লাস ভেঙে গিয়ে কেটে রক্তাক্ত হয়েছিলাম সেই রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথম পরিচয় বঙ্গবন্ধুর সাথে এরপর ধীরে ধীরে আমদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল পিতা-পুত্রের ন্যায়।
১০ জানুয়ারী ’৭২ দুপুর বঙ্গবন্ধু তেজগাঁও বিমান বন্দরে যখন প্রথম স্বাধীন বাংলায় পা রেখেছিলেন, পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে। সেদিন বিমান বন্দরে আমি যেতে পারিনি কিন্তু পরদিন বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলাম সে মুহুর্ত চিরস্মরণী। বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হবে তখন কারো চোখে ঘুম নেই। আনন্দ, উত্তেজনা রাত কেটে গেল ভোর সাড়ে চারটায় রওনা হয়ে সাতটায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হলো আমাকে দুই হাতে জাপটে ধরে হারানো পুত্র ফিরে পাওয়ার মতো আনন্দে কোলে তুলেছিলেন। এতোদিন পর ওনার সাথে দেখা সে কি যে অনুভূতি ছিল। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত শেষে চলে আসার পর আমাকে আবার খবর দিলেন, গেলাম। তিনি বললেন কাদের শুনলাম তোর নাকি সবচেয়ে বড় দল, বেশি অস্ত্র সারা দুনিয়ায় তোকে নিয়ে কথা হচ্ছে। এত ছড়ানো ছিটানো অস্ত্র। তুই যদি আনুষ্ঠানিক ভাবে জমা দিস অন্যদের কাছে আমি বড় গলায় বলতে পারব। তখন বললাম। কখন দরকার তখনই দিয়ে যব। চলুন টাঙ্গাইলে অস্ত্র নিয়ে আসবেন। বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছিলেন। তিনি নাকি লন্ডনে একমাত্র আমাকে নিয়েই প্রশ্নের সম্মুখীন হউন। অসংখ্য সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন হু ইজ কাদের সিদ্দিকী? তিনি স্বভাবসূলভ দৃঢ়তায় বলেছিলেন ওহ্। হি ইজ্ মাই সান, মুক্তিবাহিনীর প্রধান জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি ও হোম মিনিষ্টারকে টাঙ্গাইলে পাঠানোর কথা হয়। বলেছিলাম ‘কী যে বলেন ! পাকিস্তান আর্মির হাত থেকে ছিনিয়ে আনা অস্ত্র তাদের হাতে দেব? তারা কি আমাদের নেতা? এরপর ঠিক হলো চব্বিশ জানুয়ারী ’৭২ রাজধানীর বাইরে প্রথম টাঙ্গাইলে যাবেন অস্ত্র নিতে। মাত্র দেশ সৃষ্টি হলো তখন ষড়যন্ত্র বাড়বাড়ন্ত। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে জিম্মি করে ক্ষমতা নিয়ে নিই তাই কতজন বঙ্গবন্ধুকে টাঙ্গাইল যেতে বারন করেছিলেন, বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আমার প্রতি ভালবাসা ও বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে কেউ গেলেন না। তিনি একাই টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন, একে একে সব অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর  সামনে জমা দিলাম।
মানবাধিকার খবর ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আপনিই প্রথম সম্মানী ভাতা প্রসঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সমগ্র দেশবাসী আমাকে ভালোবাসে। সেই বিবেকের টানে তাদের জন্য যারা এই দেশকে রক্ষা করে স্বাধীন করেছিল বহু ত্যাগে বিনিময়ে তাদের ঋণ কোনদিন পরিশোধ হবার নয়। তারপরও ক্ষুদ্র একটা চাওয়া আমার তারা যেন এদেশে সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারে এ আশায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দু’হাজার টাকা ভাতা চেয়ে দাবি করি, দাবি পুরোন হয়েছিল তিনশ টাকা সম্মানী ভাতার মাধ্যমে, আজ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দশ হাজার টাকা আহতদের তারও বেশী, আর যারা খেতাব প্রাপ্ত তাদেরও ভালো সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে। যাই হউক মুক্তিযোদ্ধারা তো কিছু হলেও পাচ্ছে, তবে আমি সবসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এ বিষয়ে সোচ্ছার থাকব, তাদের ভাতা যেন আরোও বাড়ে।
মানবাধিকার খবর ঃ বর্তমান মানবাধিকার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ বর্তমানে এতো বেশী মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকমে যা কিনা চিন্তারও বাইরে। কেন যে মানুষের মানবিক দিকগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। যুব সমাজ আজ নেশার ছোবলে নিজেদের অধিকার নিজেরাই হরণ করছে। মা সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করছে কি কারণে যে এই অবক্ষয়। বর্হিবিশ্বে বিনা কারণে যুদ্ধ আক্রমণ হচ্ছে যার ফলে ছোট্ট শিশুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ভর করছে, নারীরা বিপদগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লংঘন বেড়েই চলেছে। এসব সমস্যা অস্থিরতা অশান্তিগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, পুরো বিশ্ব নেতাদের এক হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে আলোচনার মাধ্যমে, মতবিনিময়ের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। মানবাধিকার রক্ষায় সমাজের প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের উন্নয়নের জন্য। তাহলেই প্রতিটি পর্যায়ে মানবাধিকারের যে পরিস্থিতি তা রক্ষা হবে।
মানবাধিকার খবর ঃ আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ তোমাকেও ধন্যবাদ।
সাক্ষাৎকার গ্রহনে ঃ মানবাধিকার খবর’র নিজস্ব প্রতিবেদক রুবিনা শওকত উল্লাহ। 
মানবাধিকার খবর ঃ বর্তমানে আপনার কিভাবে সময় কাটছে?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ একজন মুসলমান হিসেবে মহান আল্লাহর ঈবাদত করে। প্রতি সপ্তাহে টাঙ্গাইলে যাচ্ছি এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করছি। রাস্তার মানুষদের সাথে থাকছি। বাংলার যে প্রান্তেই কোন সমস্যা হচ্ছে ছুটে যাচ্ছি। দেশে যেন অরাজকতা, রাহাজানি, খুনাখুনি বন্ধ হয় নিরলস ভাবে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি লেখার মাধ্যমে ও স্বশরীরে।
মানবাধিকার খবর ঃ আমরা আপনার পরিবার সম্পর্কে কিছু জানতে চাই?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ আমার বাবা মৌলভী মুহাম্মদ আব্দুল আলী সিদ্দিকী। মা লতিফা সিদ্দিকী। আমরা ভাই বোন ১৬ জনের মধ্যে জীবিত আছি সাত ভাই ও তিন বোন। আমার তিন সন্তান দ্বীপ, কুড়ি ও কুশি। আমার সহধর্মীনি নাসরিন কোরাইশী (ডান্নু)।
মানবাধিকার খবর ঃ আপনি রাজনীতিতে কিভাবে আসলেন?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ আমাদের পরিবারের সবাই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার দাদু আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মহাত্মা গান্ধীর অনুরক্ত ছিলেন। তিনি কংগ্রেস করতেন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আমার বাবা, চাচারা বড় ভাই সবাই যুক্তফ্রন্টের সমর্থক ছিলেন। আর আমার রাজনীতির সূচনা হয় কলেজ জীবনের শুরুতেই।
মানবাধিকার খবর ঃ মুক্তিযুদ্ধে আপনার অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাই?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সংগ্রাম এটা একদিনে আসেনি শুধু ’৭১ -এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধের শিকড় আরো অনেক গভীরে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানে শুরু থেকেই পশ্চিমাদের চরম বঞ্চনা, মাতৃভাষা কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কুমিল্লার বীরেন্দ্রনাথ দত্তের সোচ্চার প্রতিবাদে পুরো জাতি এক কাতারে শামিল হয় ’৫৪ এর প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ জয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগার ভেঙ্গে বের করে এনে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বানানো, তারপর ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরু। আমরা আইয়ুব, ইয়াহিয়ার বিরোধী সংগ্রাম না করতাম তাহলে ২৫শে মার্চ পাকিস্তান হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়তো না, আমরাও প্রতিরোধে গর্জে উঠতাম না। যদি ৭০’র নির্বাচনে আপামর দেশবাসী বঙ্গবন্ধুর পিছনে কাতারবন্দী না হতো, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ হতো কিনা কেউ আমরা বলতে পারব না। তাই মুক্তিযুদ্ধ একের পর এক ঘটনার প্রতিফলন এই মুক্তিযোদ্ধা ২৫শে মার্চ রাতে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় রাজধানী ঢাকা। তখন আমি নিজ শহর টাঙ্গাইলে ২৬ মার্চ ভোর হতে না হতেই হাজার হাজার ভীত দিশেহারা মানুষ ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময় পলায়নপর জন¯্রােতের একটি বড় অংশ মৃত্যুপুরী ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা মানুষগুলোর দিকে তাকানো যাচ্ছিনা কি অবর্ননীয় কষ্ট এক অপার্থিব বিভীষিকা তাদের তাড়া করছিল। এই অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখে প্রায় মূহ্যমান হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ এক ভদ্রলোকের হাউমাউ করে কাঁদছিলেন আর বুক চাপড়াচ্ছিলেন কিছুই বলছিলেননা অনেক সান্তনার পর মুখ খুললেন তিনি বললেন, আমার বাড়ি ধানমন্ডিতেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ির পাশের কিন্তু কি বলবো, সব শেষ হয়ে গেছে রাত বারোটার পর একদল সৈন্য এসে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘিরে ফেলে বেধড়ক গুলি চালাতে শুরু করে। একটু পরে, বঙ্গবন্ধুর নাগাল পেল ওরা বন্দুকের বাঁট ও নল দিয়ে তাঁকে গুতো মারে ধাক্কা দিতে থাকে দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ওরা তো শেখ মুজিবকে ধরে নিয়ে গেছে এ কথা শুনে আমার সারা গায়ে যেন আগুন ধরে গেল। কারণ বঙ্গবন্ধু শুধু নেতাই নন তিনি আমাকে সন্তানের মত ¯েœহ করতেন ভদ্রলোকের মুখ থেকে বঙ্গবন্ধুর এই লাঞ্জনার ও ঢাকা শহর ধ্বংস করার বিবরণ শুনে আমি আর স্থির থাকতে পারছিলাম না ছুটে গেলাম জেলা সংগ্রাম পরিষদের অফিসের দিকে। মাইক্রো ফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ঘৃণা আর আক্রোশে চিৎকার করে বলি আমাদের ওপর পাকিস্তান খুনিরা ট্যাঙ্ক, কামান মেশিনগান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষ হত্যা করছে রক্তের বন্যায় রাজধানী ঢাকাকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এই রক্তের জবাব রক্ত দিয়েই নিতে হবে দীর্ঘ পঁচিশ বছর ওরা তিল তিল করে আমাদের শোষণ করেছে আজ সভ্য জগতের সমস্ত রীতি নীতি অগ্রাহ্য করে বর্বরতার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে নিরপরাধ নিরস্ত্র নিরীহ সাধারণ মানুষের বুকে পৈশাচিক থাবা হেনেছে। সেই নৃশংস থাবা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে না পারলে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব চির দিনের জন্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আজ আমাদের প্রমাণ করতে হবে ঐক্যবদ্ধ বাঙালির কাছে দানবীয় পশুশক্তির হার মানতে বাধ্য। তখন রাস্তার বড় হতে থাকা ভিড়ের দিকে হাত তুলে সবাইকে বললাম আপনারা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের আহ্বানের কথা ভূলে যাবেন না। জীবন দিয়ে হলেও নেতার নির্দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। জীবন দেবো। তবুও অধিকার দেবনা কোন অপশক্তির কাছে মাথা নোয়াবো না। এ কথার মাধ্যমেই আমি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি দেশকে স্বাধীন করার জন্য। আসলে যুদ্দ জিনিসটাই অনেক ভয়ঙ্কর এটা বলে বুঝানো যাবেনা। একমাত্র যারা এ সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে শুধু তারাই বলতে পারবে। এই পরাধীনতার শেকল থেকে জাতিকে মুক্ত করার লক্ষেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি।
মানবাধিকার খবর ঃ বঙ্গবন্ধুর সাথে আপনার পরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধের পরে আপনার বাহিনীর অস্ত্র জমা নিয়ে যে ঘটনা তা জানতে চাই?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ ৬১-৬২ সালের দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখেছিলাম আমাদের বাড়িতে। বুনিয়াদি গণতন্ত্রের এক উপনির্বাচনে খোদাবক্স মোক্তার বাসাইল থেকে নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন অন্যদিকে করাটিয়ার কোন এক জমিদার। সেই নির্বাচনে প্রচারে অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুও গিয়েছিলেন। সেই প্রথম আমাদের বাড়িতে উনার আগমন টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে গ্লাস ভেঙে গিয়ে কেটে রক্তাক্ত হয়েছিলাম সেই রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথম পরিচয় বঙ্গবন্ধুর সাথে এরপর ধীরে ধীরে আমদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল পিতা-পুত্রের ন্যায়।
১০ জানুয়ারী ’৭২ দুপুর বঙ্গবন্ধু তেজগাঁও বিমান বন্দরে যখন প্রথম স্বাধীন বাংলায় পা রেখেছিলেন, পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে। সেদিন বিমান বন্দরে আমি যেতে পারিনি কিন্তু পরদিন বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলাম সে মুহুর্ত চিরস্মরণী। বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হবে তখন কারো চোখে ঘুম নেই। আনন্দ, উত্তেজনা রাত কেটে গেল ভোর সাড়ে চারটায় রওনা হয়ে সাতটায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হলো আমাকে দুই হাতে জাপটে ধরে হারানো পুত্র ফিরে পাওয়ার মতো আনন্দে কোলে তুলেছিলেন। এতোদিন পর ওনার সাথে দেখা সে কি যে অনুভূতি ছিল। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত শেষে চলে আসার পর আমাকে আবার খবর দিলেন, গেলাম। তিনি বললেন কাদের শুনলাম তোর নাকি সবচেয়ে বড় দল, বেশি অস্ত্র সারা দুনিয়ায় তোকে নিয়ে কথা হচ্ছে। এত ছড়ানো ছিটানো অস্ত্র। তুই যদি আনুষ্ঠানিক ভাবে জমা দিস অন্যদের কাছে আমি বড় গলায় বলতে পারব। তখন বললাম। কখন দরকার তখনই দিয়ে যব। চলুন টাঙ্গাইলে অস্ত্র নিয়ে আসবেন। বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছিলেন। তিনি নাকি লন্ডনে একমাত্র আমাকে নিয়েই প্রশ্নের সম্মুখীন হউন। অসংখ্য সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন হু ইজ কাদের সিদ্দিকী? তিনি স্বভাবসূলভ দৃঢ়তায় বলেছিলেন ওহ্। হি ইজ্ মাই সান, মুক্তিবাহিনীর প্রধান জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি ও হোম মিনিষ্টারকে টাঙ্গাইলে পাঠানোর কথা হয়। বলেছিলাম ‘কী যে বলেন ! পাকিস্তান আর্মির হাত থেকে ছিনিয়ে আনা অস্ত্র তাদের হাতে দেব? তারা কি আমাদের নেতা? এরপর ঠিক হলো চব্বিশ জানুয়ারী ’৭২ রাজধানীর বাইরে প্রথম টাঙ্গাইলে যাবেন অস্ত্র নিতে। মাত্র দেশ সৃষ্টি হলো তখন ষড়যন্ত্র বাড়বাড়ন্ত। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে জিম্মি করে ক্ষমতা নিয়ে নিই তাই কতজন বঙ্গবন্ধুকে টাঙ্গাইল যেতে বারন করেছিলেন, বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আমার প্রতি ভালবাসা ও বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে কেউ গেলেন না। তিনি একাই টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন, একে একে সব অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর  সামনে জমা দিলাম।
মানবাধিকার খবর ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আপনিই প্রথম সম্মানী ভাতা প্রসঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সমগ্র দেশবাসী আমাকে ভালোবাসে। সেই বিবেকের টানে তাদের জন্য যারা এই দেশকে রক্ষা করে স্বাধীন করেছিল বহু ত্যাগে বিনিময়ে তাদের ঋণ কোনদিন পরিশোধ হবার নয়। তারপরও ক্ষুদ্র একটা চাওয়া আমার তারা যেন এদেশে সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারে এ আশায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দু’হাজার টাকা ভাতা চেয়ে দাবি করি, দাবি পুরোন হয়েছিল তিনশ টাকা সম্মানী ভাতার মাধ্যমে, আজ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দশ হাজার টাকা আহতদের তারও বেশী, আর যারা খেতাব প্রাপ্ত তাদেরও ভালো সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে। যাই হউক মুক্তিযোদ্ধারা তো কিছু হলেও পাচ্ছে, তবে আমি সবসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এ বিষয়ে সোচ্ছার থাকব, তাদের ভাতা যেন আরোও বাড়ে।
মানবাধিকার খবর ঃ বর্তমান মানবাধিকার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ বর্তমানে এতো বেশী মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকমে যা কিনা চিন্তারও বাইরে। কেন যে মানুষের মানবিক দিকগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। যুব সমাজ আজ নেশার ছোবলে নিজেদের অধিকার নিজেরাই হরণ করছে। মা সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করছে কি কারণে যে এই অবক্ষয়। বর্হিবিশ্বে বিনা কারণে যুদ্ধ আক্রমণ হচ্ছে যার ফলে ছোট্ট শিশুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ভর করছে, নারীরা বিপদগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লংঘন বেড়েই চলেছে। এসব সমস্যা অস্থিরতা অশান্তিগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, পুরো বিশ্ব নেতাদের এক হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে আলোচনার মাধ্যমে, মতবিনিময়ের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। মানবাধিকার রক্ষায় সমাজের প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের উন্নয়নের জন্য। তাহলেই প্রতিটি পর্যায়ে মানবাধিকারের যে পরিস্থিতি তা রক্ষা হবে।
মানবাধিকার খবর ঃ আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঃ তোমাকেও ধন্যবাদ।
সাক্ষাৎকার গ্রহনে ঃ মানবাধিকার খবর’র নিজস্ব প্রতিবেদক রুবিনা শওকত উল্লাহ। 



  
  সর্বশেষ
৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308