কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুরে এক গৃহবধুর বাপের বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে এনে মাথায় সজরে আঘাত করে হত্যা করেছে। হত্যার ১২ ঘন্টা পর গৃহবধু আছিয়া খাতুনের মাটি চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুরের আগুনপুর মাছের ঘের থেকে লাশ তুলে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর আটক স্বামী আমজাদ গাজী তার হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, গৃহবধু আছিয়া খাতুন (২৬) ২৪ অক্টোবর সকাল থেকে নিখোজ এমন অভিযোগ নিয়ে ঐ দিন সন্ধ্যায় থানায় আসেন আছিয়ার বাপের বাড়ির স্বজনরা। তারা আগুনপুর ঘেরের পাশে রক্তমাখা কাপড় ও দেখতে পান বলে জানান পুলিশকে। ওসি আরো জানান এ ঘটনার পরই তিনি নিজে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান। তার আগে সন্দেহবসত: আছিয়ার স্বামী আমজাদ গাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায় সে স্বীকার করে যে, তার পরিত্যক্ত স্ত্রীকে খুন করেছ্ েনিহত গৃহবধু আছিয়া খাতুন দুটি ছেলে-মেয়েসহ তাকে তালাক দেয় আমজাদ গাজী। পরে সে আরও একটি বিয়ে করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আরো জানান, এটি একটি নৃশংশ হত্যাকা-। তিনি বলেন, আমজাদ স্বীকার করেছে যে তার সাবেক স্ত্রীর মাথায় ভারি কাঠ দিয়ে সে জোরে আঘাত করার সাথে সাথে আছিয়া মারা যায়। পরে সে মাছের ঘেরের নির্জন এলাকায় মাটি খুঁড়ে আছিয়ার লাশ চাপা দিয়ে রাখে। হত্যার পর সে সাতক্ষীরা শহরে আসে। চলমান গুড়পুকুর জেলার ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যায়। এর পরই আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর সার্কেল এসপি আতিকুল হক মাটি খুঁড়ে আছিয়ার লাশ উত্তোলন প্রত্যক্ষ করেন বলে জানান পুলিশ।