আতাউর রহমান সোহেল:
গাজীপুরের উপজেলা শ্রীপুরে বাকপ্রতিবন্ধী সতের বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। গত ২৮ সেপ্টেন্বর বুধবার রাত নয়টা থেকে পরদিন ভোর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ঐ কিশোরিকে নির্যাতন করে।
সূত্রে জানাযায়, ২৯ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে তিনটার দিকে শ্রীপুরের নয়নপুর উত্তর মাওনা এলাকায় অবস্থিত নিমানাধীন রূপালি টেক্রটাইলের প্রচীর বেষ্টিত এলাকা থেকে ঐ ফেক্টরীর প্রহরী ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে ধর্ষকদের আটক করা হয় এবং সকাল হলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে এদের পুলিশে সোর্পদ করা হয়। আটককৃতরা হলেন উপজেলা শ্রীপুরের রাজেন্দ্রপুর পূর্বের টেক গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (২২) ও শ্রীপুর পৌরসভার গুচ্ছ(গাশপাড়া) গ্রামের নুরূল ইসলামের পুত্র ফারূক (৩০) । ধর্ষকেরা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তারা দুজন ভাড়ায় চালিত বাসযোগে গাজীপুর সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার ইপিলিয়ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমীকদের নিয়মিত বহন করেন। ঐ দিন শ্রীপুরের জৈনা বাজার শ্রমীকদের নামিয়ে দশ থেকে পনের জন যাত্রী নিয়ে গাজীপুরের উদ্যেশ্য যাত্রা করেছিলেন। গাড়ীটি জৈনাবাজার থেকে মাওনা আসতেয় সকল যাত্রী নেমে পড়ে। তারা প্রথমে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গাজীপুর সদর এলাকার ভবানীপুরে মহাসড়কের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরে আবার নয়নপুর এলাকায় নিয়ে এসে আবার ধর্ষণ করতে থাকে। শ্রীপুর থানার উপ -পরির্দশক ( এসআই) আজহারূল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান ধর্ষকরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে তারা ঐদিন দিবাগত রাত্রি প্রায় দুটার সময় নয়নপুরের রূপালী নিমানাধীন প্রাচীরের মধ্য ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করে। রাত ২ টার দুকে সীমানা প্রাচীরের ভেতরে থাকা নিরাপত্তাকর্মী নাফিউল ইসলাম ও কয়েকজন সহকর্মী এবং গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে তাদের আটক করা হয়। নিরাপত্তাকর্মী নাফিজুলের স্ত্রী এর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বরাবরের মত তার নীজকক্ষে ঘুমাতে ছিল। রাত যখন দুটা বাজে তখন তিনি শব্দ শুনতে পেয়ে তার স্বামীকে সে চিমটি কাটে তখন তার স্বামী ও সে আসতে করে বাহিরে এসে এ দৃশ্য দেখে তাদের আটক করে। তবে ভিকটিমের পুরো পরিচয় এখনো মিলেনী কে তার বাবা কিংবা তার পরিচয় কি।