রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা থেকে :
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর সাস্থ্যকমপ্লেক্সে ডাক্তারের অবহেলায় মৃত্যু হলো এক নবজাতকের। ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়নের আশরাফ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে শ্যামনগর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. আনিছুর রহমান থাকলেও তিনি প্রসুতি রোগীর একবারের জন্যও খোঁজ নেন নি।
দীর্ঘক্ষণ ডাক্তান না আসায় প্রসুতির অবস্থার অবনতি হতে দেখে পরদিন সকালে রোগীর আত্মীয় স্বজন অনেক অনুনয় বিনয় করে ডাক্তার আনিছুরকে অপরেশন করাতে রাজি করানো হয়। এ সময় এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তার ছাড়াই তিনি নিজেই এ্যানেসথেশিয়া দিয়ে অপারেশন করেন। অপারেশন পরবর্তী বাচ্চাটি রোগীর পরিবারের কাছে দিয়ে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, বাচ্চা আগেই মারা গেছে। একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক আনিছুর রহমানের কর্তব্যে অবহেলার কারণে একটি নবজাতক শিশু বঞ্চিত হলো পৃথিবীর আলো থেকে আর মা-বাবা হারালো তার নাড়ি ছেড়া ধন।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিছুর রহমানের মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। পরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. খান হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় ছিলাম, আজকে এসেছি। খোজ খবর নিয়ে দেখছি।ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। এ ব্যাপারে মুক্তির বাবা মকরম আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। চলতি বছরের ৯ মার্চ নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম শাহারুলকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। আসামী শাহারুল জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক ছিল। বিচারক পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারী করেন।