এম এস আতিকুজ্জামান
চাঁদপুরে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী আক্তারকে (১৪) আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাথীর বাবা এই মামলা করেছেন।
গত ২৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী গ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সাথী আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষার ফি পরিশোধ না করায় আগের দিন বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন সাথীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতে অপমানিত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
বাগাদী গ্রামের দিনমজুর দেলোয়ার হোসেন শেখের তিন মেয়ের মধ্যে সাথী মেজো। সে বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট রাতে সাথীর বাবা দেলোয়ার হোসেন আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন। বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফাতেমা বেগম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাকিরকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালিউল্লাহর ভাষ্য, মামলাটি তদন্তের জন্য চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব ম-লকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রধান শিক্ষককে গত ৩০ আগস্ট ফরিদগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়। সাথীর মা শায়লা বেগম ২৯ আগস্ট অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি পরিশোধ না করায় গত ২৮ আগস্ট বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন তাঁর মেয়েসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রোদের মধ্যে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। ২৯ আগস্ট সকালে সাথী পরীক্ষার ফির বকেয়া ৮০ টাকা চাইলে তিনি তা জোগাড় করতে বাড়ির অন্য মানুষের কাছে যান। এ সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সাথী।
সাথীর বাবা দেলোয়ার হোসেন ২৯ আগস্ট অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফিসহ ছিল ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ৩২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। বকেয়া ৮০ টাকার জন্য সাথীকে সাজা দিয়েছিলেন মো. আলাউদ্দিন।