স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অটিস্টিক শিশুরা দেশের সম্পদ। তারা যাতে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য তাদের লালন-পালনের দায়িত্ব আমাদের সবার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রচেষ্টার কারণে অটিস্টিকদের সহায়তায় দেশে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
১৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ধনী-দরিদ্র সবাই অটিস্টিক শিশু জন্ম দেন। এসব শিশুদের মানবিক হয়ে লালন-পালন করতে হবে। সেবা পাওয়া তাদের অধিকার। সেবার নামে তাদের যেনো কেউ করুণা না করে। অটিজমকে নিয়ে কেউ যেনো ব্যবসা না করে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব নাসিমা বেগম, এনডিসি।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ও আইনজীবী এ্যাড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, গোলাম কুদ্দুস, বিএসএমএমইউ প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রহুল আমিন মিয়া, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইনস্টিটিউট অব প্যাডিয়াট্রিক নিউরো-ডিসঅর্ডার এ্যান্ড অটিজম (ইপনা)-এর ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার মূল প্রবন্ধ এবং ইপনার সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ড গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বৈঠকে ৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬ উপলক্ষে ইপনা কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ইপনা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন-এর অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন শিশুদের সেবায় ইপনা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, অটিজম শিশুরা আজ আর সমাজের বোঝা নয়, অবহেলিত নয়। তাদের পাশে সমগ্র জাতি রয়েছে। অটিস্টিক শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত ও সুস্থ জীবন-যাপন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন দেশের সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রয়াস।
অন্য বক্তারা মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশব্যাপী অটিজম সচেতনতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপনাসহ বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, অটিজম ইস্যুকে প্রান্তি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন শিশু ও তাদের পিতা-মাতারা সমাজে নানা বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাবেন এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন সহজ হবে।