স্টাফ নিউজ :নগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দম্পতির সন্তান পেশাজীবি,মানবধিকার কর্মী ও মাসিক জাতীয় মানবাধিকার খবরের কুমিল্লা ব্যুরো চীফ এবং দৈনিক বাংলা নিউজ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে বলেন “মাস্টরের পুত সাংবাদিক টারে দুনিয়ার থেকে এক্সপোর্ট কইরা দেমু” বলে হুমকি প্রদান করে প্রকাশ্যে এসে জনসম্মুখে এই মামলার সন্ত্রাসীরা ও তাদের বাহিনী বল।
বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত আসামীর সাথে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে পরিচয় প্রদান কারী এক মোটরসাইকেল দিয়ে আসা ২ জন লোক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলে।
শুভ্রের দায়ের করা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার মামলার এজহার নামীয় আসামি এই ঘটনা নিয়ে কুমিল্লাতে আজ সব মহলে আলোড়ন পরে যায়।গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র সাংবাদিকদের জানান, আমি আমার বাসা ইসলামপুর মহল্লার পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় জজ কোর্ট সংলগ্ন।
প্রতিদিনের মতো পেশাগত কাজ শেষ করে ঘরে ফিরছিলাম সন্ধ্যার ভেতরে আমার দায়ের করা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলার ৪১/৮৫০, তারিখ:-১৪.১১.২০২৪ ইং এজহার নামীয় আসামিরাসহ অন্যান্য অপরিচিত হ্যালমেট পড়া লোকজন হঠাৎ আমার সামনে আসে।আমাকে পথরোধ করে বলে- “মাস্টরের পুত যদি মামলা না তুলস তোরে তো আমরা দিমুই সাথে দুনিয়ার থাইক্কা এক্সপোর্ট কইরা দিমু বলে” প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।পরক্ষণে তাদের মোটর বাইক সসস্ত্র শোডাউনে যেন আদালত থেকে শুরু করে তার পুরো এলাকায় নীরব হয়ে যায়।
এই বিষয়ে মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র আরও জানান,আমি প্রতিদিনের মতো আমার কাজ শেষ করে যখন বাসায় ফিরি প্রায় সময় লোকজন আমার পিছনে পিছনে ঘোরাফেরা করে এবং বিভিন্ন মোটর বাইক দিয়ে ফলো করে।বিগত দিনেও ওই চক্রটি আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি তাদেরকে জানাই যে আমার টাকা দেওয়ার কোন সামর্থ্য নেই এবং মামলা প্রত্যাহার করারও কোন ক্ষমতা আমি রাখি না। আপনারা যে বা যারাই হোন আপনারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলুন এভাবে আমাকে বিব্রত করবেন না।
উত্তরে তারা বলে আমরাই প্রশাসন।এই বিষয়ক আমি সংশ্লিষ্ট কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার,অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালি থানা, অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা ডিবি পুলিশসহ সেনাবাহিনী ও র্যাবকে জানাই।কোতয়ালি থানায় আইনগত সুরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জি ডি) করি।আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামীয় তাদের সক্রিয় নারী পুরুষ সন্ত্রাসী মহলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু অপরাধীরা খুব বেশি বেপরোয়া।অপরাধীদের বেশীর ভাগ আসামি বিরুদ্ধে আগে থেকেই শুনেছিলাম এবং আমার দায়ের করা মামলা ছাড়াও আমার এজহার নামীয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, চাদাবাজি সহ তারা ডজন খানেক মামলার আসামী।এই আসামিরা বেশীর ভাগই সাম্ভাব্য জামিনে আসে।
এসে প্রায় তারা নিজেরাসহ বিভিন্ন অপরিচিত লোক জন্য এখানে সেখানে নাশকতা তৈরি করে তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অরাজকতার মাধ্যমে গুম এবং মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। তারা ধারাবাহিকভাবে একটির পর অপরাধ করেই আসছে। শুভ্র জানান, অবশ্যই উক্ত আসামীদের পরোক্ষ সহচর ও গুপ্তচর হিসাবে আমার চেনা জানা পরিচিত কোন লোকজন অনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার পিছনে লাগিয়ে দেয়।
আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে একাধিকবার বলার পরও এবং লিখিত অভিযোগ করার পরও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে এখনো পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে নাই তারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকায়। কিন্তু এই রকম হতে থাকলে যে কোন মুহুর্তে যে কোন সময়ে সন্ত্রাসী বাহিনী সহ এদের গ্রুপের যে কোন কাছের লোকজন দারা অপরিচিত ব্যক্তি বিশেষ নারী পুরুষ কু-চক্রীয় মহলের ” স্যার গ্রুপ” গঠন করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য বিকৃত মস্তিষ্কে অপপ্রচার করে বৈরী আবহাওয়া তৈরি করে নাশকতা করা সহ উস্কানি মুলক বিবৃতি বা পাশের কথা বলে সাংঘর্ষিকভাবে সংঘর্ষ তৈরি করা সহ আমাকে যে কোন ফাদ পেতে বিভিন্ন ধরনের বিপদে ফেলবেই তারা।আমার দায়ের করা মামলার আসামি গন সহ আসামী পক্ষের বিভিন্ন প্রশাসনের পদ পরিচয় প্রদানকারী নারী পুরুষ চক্র তারা এই অপরাধ গুলো দেশের আইনকে অসম্মান প্রদর্শন করে তারা এই ধরনের অপরাধ অগ্রীম ভাবে ঘোষনা দিয়ে লোকজনরাই করবেই করবে এবং করেও।এই অপরাধে অভিযুক্ত চাদাবাজদের আইন যেন কিছুই না।
আমি দেশের নাগরিক হিসাবে আমি সকল ধরনের আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার পরো যদি অপরাধে অভিযুক্ত আসামী এমন টাই অপরাধ সমূহ আইন অমান্য করে ধারাবাহিকভাবে প্রতিনিয়ত করে থাকে, এর থেকে নিন্দনীয় কোন কাজ সমাজে বা রাস্ট্রে হতে পারে না।তবে এই এজহার নামীয় আসামীদের কে অবশ্যই পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী আমার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজার দায়িত্ব পায়, এরপরও যদি আসামীরা আমার সাথে এই এইরকম অপরাধ মূলক আক্রমণ করতে থাকে। তারপর আসামীরা বেশীর ভাগই ছদ্মবেশী তার সকল ধরনের অপরাধ করার আগে আল্টিমেটাম দিয়ে অপরাধ করে।অপরাধ এই অপরাধী অপরাধ সাভাবিক ব্যাপার ভাবে। এই আসামী সহ আদামীদের পুরো চক্রটা আমার ও আমার পরিবারের কোনো ক্ষতি করবে বলে তো আগাম জানান দিয়ে ঘোষনা দিয়ে আল্টিমেটাম দেয় তারা আমার ও আমাদের বিভিন্ন নাশকতামুলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমি সহ আমার পারিবারিক জান, মাল ও প্রানের সর্বদিক থেকে অপূরণীয় প্রতি সুনিশ্চিত করবেই। এ ব্যাপারে অনেকেই অবগত আছে। কিন্তু তাদের কাছে যদি কোন প্রশ্ন করা হয় যে তারা কারা যাদেরকে আপনারাও দেখেছেন কথা বলেছেন? প্রতি উত্তরে তারা বলেন তারা নাকি তাদেরকে চেনেন না, সম্ভাব্য ধারনা করা যাচ্ছে এরা অবশ্যই আসামী পক্ষের লোক যে বা যারা আমার চেনা জানা ব্যক্তি বিশেষ দারা অপরিচিত ব্যক্তি মাধ্যমেই অপরাধচক্র টা নিয়ন্ত্রণ করছে অতি দ্রুত ভাবে প্রতি সাধন করার লক্ষ্যে। সম্ভাব্য আমি ধারণা করছি এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে আমি নিজেও শুনেছি আমার আশেপাশে ২-১ টা বাসার মালিক পক্ষ ও ভাড়াটিয়া লোকজনদের বাসায় প্রায় সময় মোটর বাইক দিয়ে রহস্যময় চরিত্রে হ্যালমেট পরে আসা জাওয়া করে।এতে আমার সন্দেহ হলে তাদেরকে আমি জিজ্ঞাসাও করি, প্রতি উত্তরে তারা বলে যে এই ব্যাপারে কিছুই জানে না। এখানে কি তাদের কোন উদ্দেশ্য রয়েছে নাকি তারা প্রাণ ভয়ে বলছে না, এই বিষয়টা অবশ্যই পুলিশ প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচন করে দেওয়া দরকার।তখন কে সামাজিক অপরাধী আর কে অপরাধী সব সনাক্ত হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ জানায়,পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র একজন ভদ্র মানুষ। তার দায়ের করা মানলার প্রায় বেশীর ভাগে আসামী ধরাছোয়ার বাহিরে।তবে এই অপরাধে অভিযুক্ত এজহার নামীয় আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে ও থাকবে এবং আসামিদের পৃষ্ঠপোষক ও মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে তাদের করা সকল অপরাধ অনুসন্ধান করে করে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।