কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সদর আমলি আদালত) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজনু মিয়া এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের ওই নেতাদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানাননি। আসামিপক্ষে জামিন আবেদনও করা হয়নি। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে, গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা সদরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা সোহানকে মারধর করেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু ও তার অনুসারীরা। আহত সোহানকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোহানের স্ত্রী বাদী হয়ে বিন্দু, ঝিনুকসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপর আসামিরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান কবির স্বাধীন ও শহিদুল ইসলাম সৌরভ। প্রধান আসামি বিন্দু ও ঝিনুককে ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-