মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কালীগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মনসুর মহিলা কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান   * পূজামণ্ডপে বশিৃঙ্খলার চষ্টো করা হলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব-ে সাতক্ষীরা পুলশি সুপার মনরিুল ইসলাম   * কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, প্লাবিত সব নিম্নাঞ্চল   * সাতক্ষীরায় শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদান   * মিস অ্যান্ড মিসেস এলিগ্যান্স বাংলাদেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত   * চিতলমারীতে ড্রেনের পানি উপচে পড়ছে সড়কে, জনদুর্ভোগ চরমে   * শ্যামনগরে ইউএনওর বদলী প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ   * নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান   * সাতক্ষীরাদেবহাটারহাদিপুরজগন্নাথপুরআহ্ছানিয়াআলিমমাদ্রাসায়পবিত্রসিরাতুননবী (সঃ) অনুষ্টানউদযাপন   * সাতক্ষীরাদেবহাটারহাদিপুরজগন্নাথপুরআহ্ছানিয়াআলিমমাদ্রাসায়পবিত্রসিরাতুননবী (সঃ) অনুষ্টানউদযাপন  

   জাতীয়
মানবাধিকার নিয়ে সচেতনতা চান প্রধানমন্ত্রী
  Date : 25-01-2020


প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় মানবাধিকার দিবস পালন করে আসছে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০১৯ উপলক্ষে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএনডিপির সহায়তায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব থেকে যেটা প্রয়োজন মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য, আইনের শাসন নিশ্চিত করা। যে-ই অপরাধী হোক, অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’


তিনি বলেন, মানবাধিকার ও নাগরিকদের দায়িত্ব সম্পর্কে দেশবাসীকে জানাতে হবে। কেননা অধিকার ও দায়িত্ব একে অপরের পরিপূরক। একের দায়িত্ব অপরের অধিকার। আবার একের অধিকার অপরের দায়িত্ব। মানবাধিকার রক্ষায় অধিকার ও দায়িত্ব স্পষ্ট করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা পরিচালনার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।


তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব অপরাধকে আমাদের দমন করতে হবে। কারণ এই অপরাধীরা সমাজকে ধ্বংস করে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিতে ১৯৭৫ সালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকারীরা দম্ভ করে বলত তাদের কেউ বিচার করতে পারবে না। কারণ তাদের ‘ইনডেমনিটি’ (দায়মুক্তি) দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার মায়ের কী অপরাধ ছিল বা আমার দুই ভাই? তারা তো মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তাদের নবপরিণীতা বধূদের কী অপরাধ ছিল? আমার ছোট্ট ভাইটি ১০ বছরে। কী অপরাধ ছিল রাসেলের?’


দায়মুক্তির পর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রæয়ারি ভোট চুরি করে দুজন খুনিকে পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে বসানো হয়েছিল। এক খুনিকে বিরোধী দলের নেতার চেয়ারে বসানো হয়েছিল। আরেক খুনিকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হয়েছিল।
হত্যাকান্ডের পর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার পরও বিচার চেয়ে মামলা করতে পারেননি বলে কষ্টের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ফিরে এসে মামলা করতে গিয়েছি। বলেছে, আপনি মামলা করতে পারবেন না। কারণ তাদেরকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। ঠিক এইভাবেই এই দেশে পরিবর্তন আনা হয়েছিল মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। আমি অধিকার পাইনি আমার মা-বাবার হত্যার বিচার চাইতে বা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাইতে। আমার অপরাধটা কী ছিল? আমার মতো আরো যারা আপনজন হারিয়েছিল তাদের অপরাধটা কী ছিল?’


তিনি বলেন, ‘যারা এভাবে খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল বা যারা লালন-পালন করেছিল বা যারা খুনিদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছিল। তারাও কি একই অপরাধে অপরাধী ছিল না? অন্যায়-অবিচার যারা প্রশ্রয় দেয় সেই দেশে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। সেই অবস্থা থেকে দেশকে এবং জাতিকে সম্পূর্ণ ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং আমরা সেই কঠিন কাজটাই করে যাচ্ছি।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না, বরং মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছি, যাতে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়।’


এনএইচআরসির চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মানবাধিকার বিষয়ক ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রদর্শনের পাশাপাশি দিবসের থিম সং বাজানো হয়।



  
  সর্বশেষ
কালীগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মনসুর মহিলা কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান
পূজামণ্ডপে বশিৃঙ্খলার চষ্টো করা হলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব-ে সাতক্ষীরা পুলশি সুপার মনরিুল ইসলাম
কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, প্লাবিত সব নিম্নাঞ্চল
সাতক্ষীরায় শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদান

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308