হলি আর্টিজানে হামলার মতো ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে লক্ষ্যে পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, এই হামলার সঙ্গে যারা নব্য জেএমবির জড়িত ছিল, তারা সবাই নিহত হয়েছে। অনেকে অভিযানে নিহত ও জীবিত গ্রেপ্তার হয়। আমরা আশা করছি, দ্রুত বিচার কাজ শেষ হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে নিহতের পরিবার তাদের অপূরণীয় ক্ষতির ক্ষেত্রে একটু হলেও মানসিক সান্ত্বনা পাবেন।
আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার তিন বছর উপলক্ষে পুষ্পস্তক অর্পণ ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হলি আর্টিজানে হামলার পর তিন বছরে বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার পরপরই শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলার চেষ্টা হয়। একই কায়দায় আরও কয়েকটি সহিংস ও নৃশংস হামলার পরিকল্পনা ছিল। তবে আমরা আমাদের ইনটেলিজেন্স তথ্যের মাধ্যমে, প্রি অ্যাক্টিভ অপারেশনের মাধ্যমে, প্রো অ্যাক্টিভ ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে, তাদের সে পরিকল্পনাগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা আমরা বিভিন্ন অভিযানে ভেঙে দিয়েছি। তবে জঙ্গিদের আমরা দমন করতে পারলেও জঙ্গিবাদ মতাদর্শে বিশ্বাস করে কিংবা উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ব্যক্তি এখনও সমাজে বিদ্যমান। তারা অনুকূল পরিবেশ পেলে কিংবা কখনও সক্ষমতা অর্জন করে, ওই মতাদর্শে বিশ্বাসীদের কারণে ঝুঁকি থাকবে। সেই ঝুঁকির মাত্রা নির্ভর করে তাদের সক্ষমতার মাত্রার ওপর। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কখনও কখনও জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা যাতে না পারে সেজন্য আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মতবাদ ঠেকানো সম্ভব হবে।