বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কুড়িগ্রামে অফিস সহকারীকে জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য   * কক্সবাজারে নলকূপ-মোটরে উঠছে না পানি, সংকট চরমে জন জীবনে দূর্ভোগ;   * কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ   * যৌথ বাহিনীর অভিযান: বান্দরবানের ৩ উপজেলা নির্বাচনের ভোট স্থগিত;   * গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায়   * চট্রগ্রামে সকাল থেকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে   * গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইকে শোকজ!   * এবার সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে সম্পূর্ণ কক্সবাজার কক্সবাজার;   * লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলার আবেদন;   * উপজেলা নির্বাচন করতে পদত্যাগ করলেন কুড়িগ্রামের বিএনপর মহিলা নেত্রী  

   প্রবন্ধ
নির্বোধ
  Date : 19-05-2019

সন্ধ্যার সময় আক্লিমার বোন আক্লিমাকে তার বেগম সাহেবের বাসায় বাঁধা কাজের জন্য নিতে নিতে বলে,এই তোর এগারো নম্বর বাসা। এইখানে যদি থাকতে না পারোস, তাইলে দুনিয়ার অন্য কোথাও তোর জায়গা হইতো না। আমার বেলী বেগম খুব ভালো আর দরদী মানুষ। তোর জন্য খাটতে খাটতে আমার জান শেষ, তোর জন্য তোর দুলাভাইয়ের আর কতো গালি খামু,কতো? একটু মন লাগাইয়া কাজ র্কবি। যা’ যা’ কাজ কইব, মন দিয়া শুন্বি। আমার মান- সম্মান নষ্ট করিস্ না। ম্যাডাম্ আমাকে অনেক ভালো জানে। অনেক বুঝাইয়া তরে দেওনের জন্য রাজী করাইছি। সাহেব তো রাজী ছিল না। ম্যাডামের মায়া বেশী, তাই রাজী হইছে।“ বুয়া বক্ বক্ র্কতে র্কতে বোনকে নিয়ে হাজির হয়।
আক্লিমাকে প্রথম দেখেই বেলীর হাসির উদ্রেক হলো, যখন জিজ্ঞেস করলো, তোমার নাম কি? উত্তর ছিল” ভিউটি বেগম। “বুয়া বলে,“ ভাবী, ওর নাম আক্লিমা খাতুন, নিজে নাম দিছে, বিউটী বেগম। আর কইয়েন না, ভাবী; ঠিক মতন কথা কইতে পারে না। কোথাও কাজ দিলে হয় ওকে তাড়ায় দেয়; আর নাইলে, কয়দিন পর ও নিজেই আইয়া হাজির হয়। ও আইলে, আমার স্বামী দুই চোখে দেখ্বার পারে না। বাবার কাছে গেলে, সৎমা জায়গা দেয় না। সবার অভিযোগ, ওর স্বভাব ভাল না; ভাবীরে, বোন আমার ভাল; কিন্তু সমস্যা হলো ঠিক মতন আচার-ব্যবহার র্কতে পারে না। বোকা, গাধা, হাব্লা যার যার মনে আসে কয়। কিন্তু ভাবী, একদম চোর না; কেউ এই অভিযোগ করে না। আপনি যদি সারাদিন খাবার না দেন, তাইলেও হাত দিয়া নিয়ে খাবে না। বোনটাই আমার পোড়া কপালী। ও কোলে থাকতে মা মইরা গেল, বাপ আবার বিয়া কইরা ফ্যালাইলো। সৎ মা দুই চোখে দেখতে পারে নাই। বড় অবহেলায় মানুষ হইছে, আচার ব্যবহারও ঠিক মতন শিখায় নাই। ডাঙ্গর হইতে না হইতে দুইটা বিয়া দিয়া দিছে সৎ মা। কিন্তু একটাও টিকে নাই। একটা দিছিলো সৎ মার বুইরা মামার লগে। বাবার মুখে কোন রা ছিল না। সৎমা শুধু আপদ বিদায় করার ধান্দায় ছিল। ওর দুই স্বামীর অভিযোগ ছিল আকলিমা সংসার করার উপযোগী না।”
বেলীর কানে যাচ্ছিল বুয়ার কথা; আর চোখ ছিল বিউটীর উপরে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অবলোকন করছিল। শুকনা বলতে শুকনা শরীরে হাড়ের উপর চামড়া ছাড়া আর কিছু নেই। ছোট্ট খাট্টো কালো রং। কিন্তু তার মাঝেও কেমন একটা স্রিগ্ধভাব। নিজেকে পরিপাটি করে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। পরিধানের শাড়িটা পরিপাটি করে পড়া। চুল গুলো তেল দিয়ে আঁচ্ড়িয়ে একটা বেনী করে রেখেছে। ওকে স্রিগ্ধ দেখার কারণটা বেলী আবিষ্কার র্কতে র্পাল, ওর কপালের ছোট্ট কালো টিপটা। অসুন্দর মেয়েটা নিজেকে সুন্দর রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে, সেটা বুঝা যায়। নিজের একটি আধুনিক নামও দিয়েছে সুন্দর উচ্চারণ র্কতে যেয়ে বিকৃত হয়ে ‘বিউটি’ হয়ে যাচ্ছে ‘ভিউটি’। বেলীর মেয়েটার উপর মায়া ধরে যায়। একদম অবলা। মনে মনে বলে, দেখিনা মেয়েটার অসংগতি গুলো দূর করা যায় কিনা। কাজ যা পারে করুক, বুয়া তো রইল। শুরু হলো ‘ভিউটিকে’ ‘বিউটি’ করার অভিযানে। যখনই বিকৃত উচ্চারণ করে বেলী সাথে সাথে তা ঠিক করে বলা শিখিয়ে দিতে ল্গালো। কোনো কথা বলতে গেলে চোখ, মুখ, নাক কুচ্কে বলে। বেলী সংশোধন করে দিতে লাগ্ল। আর কাজ শুরু করার পর, বেলী হাড়ে হাড়ে র্টে পেতে লাগ্লো। একদম হ, য, ব, র, ল অবস্থা। কোন একটা কাজ ঠিক মতন করতে পারে না। অসম্ভব ধীরে কাজ করে। বেলী আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে লাগ্লো। তবে বিউটীর আন্তরিকতার অভাব নেই। কিভাবে কাজটা সঠিক হবে, ঐ বোধটাই কাজ র্কতো না। বেলী মনে মনে বলে, মানসিক প্রতিবন্ধি। বেলী স্বামী রাসেলকে বলায়, বলে,ওরে বিদায় করে দাও। কিন্তু বেলী দেয়। অসহায় একটা মেয়ে ছোট বেলায় মা হারা, অনাদর, অবহেলায় সঠিক পুষ্টির অভাবে ওর মানসিক, শারীরিক বিকাশ ঠিক মতন হয়নি। অসহায় মেয়েটি নিজের অসহায়ত্বটুকুও উপলব্ধি র্কতে পারে না। কাউন্সিলিং করে করে যদি মেয়েটির জীবনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায় ক্ষতি কি? অন্ততঃ এতোটুকু তৃপ্তি হবে যে একটা মেয়ের জন্য ভালো কিছু বেলী র্কতে পেরেছে।
বিউটির কাজ শেষ হোক আর না হোক আযান কানে গেলেই বাথরুমে ঢোকা চাই। গোসল করে চুল শুকিয়ে নিজেকে পরিপাটি র্খাতে হবে। বেলী ওর তামাশা দেখে দেখে হয়রান। নিজের বাচ্চাকে সামলানোর সাথে সাথে ওকেও সামলাতে হয়। বকাবকি করেও কেনো লাভ হয় না। কোনো কারণে বকার পরিমানটা একটু বেশী হল্ েঅনেকক্ষন বেলীর সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয় সাহস সঞ্চয় করে এবং নাক-মুখ কুঁচ্কে কেমন মায়া মায়া মুখ করে করুন গলায় বল্তো,“ভাবী,আমারে বইকেনা না। “আহারে, অবলা, মনের কষ্টটাও ঠিক মতন বল্তে পারে না। বেলীর খুব মায়া লাগ্ত, অনুশোচনায় শেষ হয়ে যেত। বিউটিকে খুশী করার জন্য অস্থির হয়ে যেত। কানের দুল, চুড়ী, মালা যা’ যা পেত, তাই দিত। বিউটির ঝল্মলে চোখের দৃষ্টি দেখে বেলীর অনুশোচনা দূর হতো।
দোষ র্কলে বিউটির সব কিছুতেই দোষ ধরা যায়। বিউটির বোনের হুকুম ছিল, দোষ দেখ্লে পিটুনী দেওয়ার। কিš, বেলীর কাছে কাজের লোকের গায়ে হাত দেওয়া পৃথিবীর জঘন্যতম কাজ। অন্যের গায়ে হাত তোলার অধিকার কারো থাকা উচিৎ নয়। অদ্ভুত এক ভঙ্গিতে নাক-মুখ কুচ্কে কথা বঁল্ত।‘ভাবীকে বল্ত’, বাবী,’ ‘বাব’ুকে বলতো ‘ভাবু’, ‘ভাত’কে বলতো ‘বাত’, ‘বাথ্রুম’কে বলত ‘ভাত্রুম’। বেলী মাঝে মাঝে হেসেই র্মত। নিজেও ওমন করে কথা বল্ত।
শুধু একটা কাজই বিউটি নিষ্ঠার সাতে পালন র্কত। সপ্তাহে দুইদিন দুপুরের খাওয়ার পর বেড়াতে যাওয়া। বেড়ানো বল্তে বাপের ঘরে আর বোনের ঘরে। খাওয়ার পর বস্তো সাজ্তে এক ঘন্টা ধরে সাজ্ত, সাজের সাজ্ কিছু না। চুলটা সুন্দর করে আঁচ্ড়ে নিত। মুখে পাউডার আর কপালে ঐ কালো টিপ্। কালো টিপ্টা অসুন্দরের মাঝে একটা মায়া ভরা ভালো লাগা ছড়িয়ে দিত বিউটির মুখটায়। যেটা বিউটি নিজেও বুঝ্ত না। বেড়িয়ে সন্ধার আগেই ফিরে আস্তো। বেলী কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস র্কতো, বিউটি বেগম, মা কি খাওয়াইলো? নাক-মুখ কুঁচ্কে বিউটি বল্ত, কি আর খাওয়াইব গো বাবী; গেলে বস্তেই দিতে চায় না। তাও যাই বাবী, না গেলে কইব ভিউটী বড়লোক হয়ে গেছে, তাই আসে না।“ এই হলো সহজ সরল বিউটি বেগম। নির্বোধ বিউটির বড় গুন সততা। কোনো মিথ্যা বল্ত না, চুরিতো দূরের কথা; খাবার না দিলে, কখনো মুখে তোুলেনি। বেলী কতো বল্তো, খিদা লাগ্লে যেটা মন চায় খেয়ে নিতে। কিন্তু, কোনোদিন খায়নি। ওর এই সততার কোনো নাম ছিল না। কেউ সততা দেখার চেষ্টাও করেনি। ওর অসুন্দর ব্যাপারটা সবাই মূল্যায়ন র্কত।
অসুন্দর-নির্বোধ বিউটিকেও বিকৃত পুরুষের লালসার শিকার হতে হয় খোদ বেলীর বাসায়। রাসেলের চাচাতো ভাই গ্রাম থেকে বেড়াতে আসে। সুদর্শন, শিক্ষিত ও রুচিশীল দেবর এতো নীচ কাজ র্কবে, বেলী কল্পনাতেই ভাবে নি। ছেলেকে স্কুলে দিয়ে চলে আস্তো, আবার নিয়ে আস্তো। এতোটুকু সময়ের মাঝে এমন জঘন্য একটা কাজ হয়ে গেল, অথচ বেলী কিছুই বুঝ্তে পারলো না। বিউটিও কিছু বলে নি। একদিন বিউটি বোনের বাসায় যায়। সন্ধ্যার সময় বোন ওকে নিয়ে এসে কাঁদ্তে লাগ্ল। কাঁদ্ত কাঁদ্ত বলে,“ভাবীগো, গাধাটারে আপনার বাসায় দিয়া নিশ্চিন্তে ছিলাম; অথচ সেই আপনার বাসায় ওর কি সর্বনাশ হইয়া গেল।“ কি হয়েছে, বেলী জান্তে চায় মাগীটা পেট বাধাইছে বলে বোনকে আবার র্মাতে থাকে। বেলীর বুকটা টিপ টিপ র্কতে থাকে পায়ের নীচ থেকে যেন মাটি সরে যাচ্ছে। আতংকে কাঁপা গলায জিজ্ঞেস করে, “কে করেছে? বুয়া বলে, “আপনার বাসায় যে বেড়াইতে আইছিল, এক সাদা মূলা দেবর। সেই হারামী। মাগী কিছু কয় না দেখি বমি করে, সন্দেহ হইলে, চাইপ্পা ধরায় স্বীকার হইছে। এখন কি হইব; ভাবী গো? মাগীটা জীবনের ষোলোকলা পূর্ণ কইরা ফ্যালাইলো। আপনার ঘরে এমন কান্ড হইল; আর আপনি কিছুই বুঝ্তে র্পালেন না। রাগে লজ্জায় বেলী থম্কে আছে। কেনো কথা বল্তে র্পাল না কিছুক্ষন। বিউটিকে জেরা করে জানা গেল, বেলী স্কুলে গেলে বদমায়েশটা বিউটির দিকে হাত বাড়ায়। প্রথম দিকে বিউটি বাঁধা দেয়। কিন্তু লম্পটটা যখন প্রেমের অভিনয় করে, তখন আর সাড়া না দিয়ে পারে নি। ঘৃনায় বেলীর গা রি-রি করে ওঠে। মনে হচ্ছিল, বদটাকে ধরে বিউটির সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে। কতো নি¤œরুচী হলে পারে বিউটির দিকে হাত বাড়াতে। রাসেল এলে সব শুনে হতভম্ব হয়ে যায়। বেলীকে বলে, ওর বোনকে টাকা পয়সা দিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা’ করার র্কতে। আর বিউটিকে বিদেয় করে দিতে। বেলীও রাসেলকে বলে, “এরপর থেকৈ তোমার ঐ ভাইর সাথে চিরতরে সম্পর্ক শেষ।”
বিউটিকে নিয়ে যাওয়ার মাস খানেক পর বুয়া বল্লো, বিউটির বিয়া ঠিক হইছে। বেলী বুয়ার হাতে বিউটির জন্য হাজার টাকা দেয়। স্বামী বেশ বয়স্ক বউ মারা গেছে একটা ছেলে; আছে রিকশা চালায় কিছুদিন ঐ স্বামীর ঘরে ছিল এক মেয়ে হয়; ছেলেটাকেও আপন করে নেয়। হঠাৎ এক সন্ধ্যায় বিউটি এসে হাজির বাবী, আমারে কাজে রাখেন, আমি আর ঐ ব্যাটার ঘরে যাব না। খালি পিটায়। বেলী তো অবাক। এতো ছোট মেয়েকে কার কাছে রেখে এলা? দুই মাসের মেয়েকে কিভাবে একা ফেলে এলা? বেলীর মুখে উৎকণ্ঠা। বিউটি বলে, জানি না কে দেখ্ব। দেখেন, শরীরে খালি পিটানির দাগ। আমি নাকি কোনো কাম কাজ পারি না কয় আর পিটায়। বেলীর মনটা খারাপ হয়ে যায়। বলে, “যাও আগে মেয়েকে নিয়ে এসো, তারপর সব শুন্ব।” সত্যি সত্যি বিউটি যেয়ে এক ঘন্টার মধ্যে মেয়েকে নিয়ে এলো, মজার বিষয় সৎ ছেলেটাকেও সাথে নিয়ে এসেছে। বেলীতো অবাক “ওকে এনেছো কেন?” “কি র্কব বাবী, আমাকে ছাড়ে না, আমার সাথে আস্ব, মায়া লাগ্ল,তাই নিয়ে আইলাম।” বেলী বলে, “কিন্তু বিউটি, এতো মানুষ আমি কই জায়গা দিব?” বিউটির চোখ দিয়ে জল পরে আর ম্নিম্ন করে বল্তে লাগ্লো, “বাবী, আমারে খেদায় দিয়েন না। আজীবন আপনার পায়ে পইরা থাক্ব।” এমনই সহজ সরল বিউটি, নিজের খাওয়া পরার ঠিক নাই। অন্যের বাচ্চা নিয়ে হাজির। বেলীর খুব মায়া লাগে। ঐ রাত কোনো রকম পার করে পরের দিন বুয়া এলে বেলী বিউটির স্বামীকে আন্তে পাঠায়। বিউটির স্বামী এসে ওর নামে নানা অভিযোগ দেয়, অভিযোগের সীমা নেই। সব শুনে বেলী শুধু বলে, সব বুঝ্লাম বিউটি অযোগ্য। কিন্তু ভেবে দেখেন, আপনার ছেলেকে কতোটা ভালোবাসে যে, ছেলেটা ওর সাথে চলে এলো। আপনার বাচ্চা দুইটারে তো আদর করে মানুষ করবে, শুধু এই জন্য নিয়ে যান। মেয়েটা ভাল, বাচ্চা দুইটা মায়ের আদর পাবে। বেলীর কথায় ওর স্বামী মনে হয় ভরসা পেল। ওর স্বামীর হাতে পাঁচশ টাকা দিল। বিউটি খুশী খুশী মনে স্বামীর সাথে ফিরে গেল।
এক বছর পর বিউটি বেগম আবার বেলীর বাসায় এসে ওঠে; সম্পূর্ণ একা। বেশ চটপটে ভাবে বলে, “বাবী, আমার তালাক হয়ে গেছে। মেয়েটাকে একখানে পাল্তে দিয়া দিচ্ছি এই বার আমারে রাখেন।” কিন্তু তখন বুয়ার মেয়ে বেলীর কাছে বাঁধা থাকে। পরে ওর বোন অন্য কোথাও কাজ দেয়। আবার এক দিন এসে বলে, “বাবী, আমার মেয়েটা মইরা গেছে। বিউটির কোনো ঠিকার নেয় আবার বিউটিকে ওর বোন বিয়ে দেয় দেশের বাড়িতে সেই স্বামীও বুড়ো বিপত্র¥ীক। ছেলে-মেয়ে সব আলাদা, বুড়োকে দেখার কেউ নেই। বুয়ার কথায়ঃ এবার বিউটির ভালো বিয়া হইছে। অবস্থা ভালো, পেটে বাতে ভালো থাকবে। “বুয়ার কথায় পেটে ভাতে বেঁচে থাকাটাই বিউটির সুখ। এভাবেই একের পর এক নিয়তি বিউটিকে নিয়ে তামাশা করেছে। কিন্তু বিউটি নির্বাক, কোন ঠিকার নেই। বিউটি সব নিরবে মেনে নিত। ভাগ্যের স্পর্শ র্কবো না এমনই নির্বোধ বিউটি বেগম। লেখক: খূকু খালেদ



  
  সর্বশেষ
কুড়িগ্রামে অফিস সহকারীকে জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য
কক্সবাজারে নলকূপ-মোটরে উঠছে না পানি, সংকট চরমে জন জীবনে দূর্ভোগ;
কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
যৌথ বাহিনীর অভিযান: বান্দরবানের ৩ উপজেলা নির্বাচনের ভোট স্থগিত;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308