শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ   * রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ   * কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব   * চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী গ্রেপ্তার   * চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটক   * পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে চলছে বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে   * এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা - রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল   * সর্বোৎকৃষ্ট মানের স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিল্প সচিব   * উপকূলের শ্যামনগরে বোরোর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি   * চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  

   পর্যটন
ঘুরে আসুন সৈকত নগরী কক্সবাজারমানুষ
  Date : 18-04-2018

বিভিন্ন ছুটিতে তাদের গন্তব্য হতে পারে কক্সবাজার। ছুটির এ সুযোগ সবাই পেতে চাই। সেকারণে এসব ভ্রমণ গন্তব্যে পর্যটকদের প্রচন্ড ভিড় লাগে। তাই আগে থেকেই জায়গাটি নির্বাচন করে সেখানে যাওয়া-আসার বাসের টিকেট, হোটেল ইত্যাদি অগ্রিম বুকিং নিশ্চিত না করলে শেষমেশ ভ্রমণটা অনেক সময় সুখকর হয় না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে শান্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র  সৈকত কক্সবাজার। ১২০ কিলোমিটারের সমুদ্র  সৈকত ঘিরে প্রাচীন ঐতিহ্য এবং দর্শনীয় স্থানের কারণে প্রতিবছর কক্সবাজারে ছুটে আসেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানসমূহ
কক্সবাজার এসে আপনি দেখতে পাবেন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, শহরের মাহাসিংদোগ্রী বৌদ্ধ মন্দির, বার্মিজ মার্কেট, অগ্গমেধা ক্যং, রাডার স্টেশন, হিলটপ সার্কিট হাউজ, হিমছড়ি ঝর্ণা ও সমুদ্র সৈকত, রামুর নবনির্মিত ও পুরনো ঐতিহ্যের ধারক বৌদ্ধ বিহার, রাবার বাগান, চকরিয়াস্থ ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, টেকনাফের সমুদ্র সৈকত, মাথিনের কূপ, সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপ, ছেঁড়াদ্বীপ, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ও ক্যাং, সোনাদিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া বাতিঘর। এসবের সাথে যোগ হয়েছে রামুর উত্তর মিঠাছড়ির ১০০ ফুট সিংহসয্যা বৌদ্ধমূর্তি এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন।
কক্সবাজারের উৎপত্তি :
কক্সবাজারের আদি নাম পালংকী। ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামের এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা ১৭৯৯ সালে এখানে এসে একটি বাজার স্থাপন করেন। তার নাম অনুসারে কক্স সাহেবের বাজার হতে কক্সবাজার এর নাম করণ করা-এমনটিই প্রচলিত। কক্সবাজারের উত্তরে চট্টগ্রাম, পূর্বে-বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও মিয়ানমার, পশ্চিম ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে এ জেলার রয়েছে ৫টি নদী। এগুলো হল, মাতামুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী ও নাফনদী।
এখানকার দ্বীপের সংখ্যা ৫টি। এগুলো হলো- মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন।
কক্সবাজারের প্রাচীন ঐতিহ্য:
প্রাচীন ঐতিহ্যে ভরপুর আমাদের কক্সবাজার। কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা এসব ঐতিহ্য সমূহ ঘুরে দেখেন। যেসব ঐতিহ্য রয়েছে তার মধ্যে আলোচিত হচ্ছে আজগবি মসজিদ। ধারণা করা হয় ১৬০০-১৭০০ খিস্টাব্দে শাহ সুজার আমলে এটি তৈরি হয়েছিল। এটি মোঘল মসজিদ হিসেবেও পরিচিত। কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্পের উত্তর দিকে এটি অবস্থিত। রিকশা টমটম যোগে ওখানে যাওয়া যায়। কক্সবাজার পৌরসভার গেট থেকে ভাড়া পড়বে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
প্যাগোড়া (জাদী)
১৭৯০ ইংরেজি সালের দিকে বার্মিজরা আরাকান বিজয়ের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় রাখাইন সম্প্রদায় এটি নির্মাণ করে। তারা এটিকে স্মৃতিচিহ্ন জ্ঞান করে। কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফের পাহাড় বা উচুঁ টিলায় এ ধরণের অনেক প্যাগোড়া রয়েছে।
রামকোট তীর্থধাম
এটি রামুর রামকোট বনাশ্রমের পার্শে¦র পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ৯০১ বাংলা সনে এ তীর্থধাম স্থাপিত। কথিত আছে রাম-সীতা বনবাসকালে এই রামকোটে অবস্থান করেছিল। তীর্থধামে মন্দিরের পাশাপাশি আলাদা একটিবৌদ্ধ বিহারে ধ্যানমগ্ন ছোট একটি বৌদ্ধমূর্তিও রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, দু’টিধর্ম পাশাপাশি শান্তিতে সহাবস্থানের প্রমাণ স্বরূপ সম্রাট অশোকের সময়ে এই মূর্তি স্থাপিত হয়।
রামুর দৃষ্টিনন্দন ক্যাং
রামুর শ্রীকুলস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে ছেংখাইব ক্যাং (বৌদ্ধ বিহার) অবস্থিত। এ বৌদ্ধ বিহারে নানা রকম নকশা খঁচিত আসন ও কাঁচের পাত্রে সংরক্ষিত ১০টিরও বেশি পিতল এবং আরো অনেক শ্বেতপাথরের মূর্তি শোভা পাচ্ছে। সব মিলে রামু থানায় ২৩টি বৌদ্ধ বিহারে শতাধিক মূল্যবান বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
২০১২ সালে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর রামুর প্রাণ কেন্দ্রে লালচিং, সাদাচিং ও সীমাবিহার বৌদ্ধ বিহার গুলো পুনরায় তৈরি করা হয়েছে বিশ্বমানের স্থাপনায়। ঐ ঘটনায় শত বছরের ঐতিহ্য পুড়ে গেলেও নতুন স্থাপনা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে এগিয়ে দিয়েছে ৫০ বছর! আগুন থেকে রক্ষা পাওয়া পুরনো ক্যাং ঐতিহ্যের জানান দেয় আর নতুন স্থাপনার বিহারগুলো পর্যটনের অংশ হয়েছে।
১০০ ফুট সিংহসয্যা বৌদ্ধমূর্তি
রামুর উত্তর মিঠাছড়ির ভাবনাকেন্দ্র বিহারে উঠানে স্থাপন করা হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম ১০০ ফুট দৈর্ঘের সিংহসয্যার গৌতম বৌদ্ধের মূর্তি। এ মূর্তির চারপাশের স্থানটা এমন পরিবেশ তৈরি করেছে এখানে আসলে মনটা এমনিতে ভাল হয়ে যায়। তাই যেকোনো ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নির্ধারিত স্থান হচ্ছে এটি।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
রামুর নারকেল বাগান এলাকার আগে বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। নানা প্রজাতির গাছ ও ফুলের সৌরভের পাশাপাশি বসার জায়গা করা হয়েছে এখানে। তাই কাছের মানুষকে নিয়ে একান্ত কিছু সময় এখানে নির্জনে কাঁটাতে পারেন আপনি।
কানা রাজার সুড়ঙ্গ
উখিয়া থানার জালিয়া পালং ইউনিয়নেপাটুয়ার টেক সৈকতের কাছে নিদানিয়া পাহাড়ের মধ্যে এ সুড়ঙ্গ বা গর্ত। সুড়ঙ্গের ব্যাস ১২ ও ১২। একটা বড় ট্রাক অনায়াসে সুড়ঙ্গ পথে প্রবেশ করতে পারবে। কথিত আছে, জনৈক মগ সম্প্রদায়ের কানা রাজার (এক চোখ অন্ধ) শাসন আমলে আত্মরক্ষার জন্যেই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ করেছিল।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ
টেকনাফ থানা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কি. মি. সমুদ্রগর্ভে মনোরম দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রায় ১৬ বর্গ কি. মি. জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা, সমুদ্র তীরে সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি আর এখানকার আদিবাসীদের বিচিত্র জীবনযাপন- সব মিলিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ জাগানিয়া উপাদানের বিন্দুমাত্র অভাব নেই।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্থানীয়ভাবে নারকেল জিঞ্জিরা নামে পরিচিত। জনশ্রুতি রয়েছে প্রাচীন কালে এই দ্বীপটি ছিল একটি বিশ্রামাগারের মত। বিভিন্ন দেশের বণিকরা বিশেষ করে আরব বণিকরা পণ্য নিয়ে যখন সওদা করতে যেতো তখন তারা এই দ্বীপে বিশ্রাম নিত। আর তখন থেকেই এই দ্বীপের নাম হয় জাজিরা। তবে পরবর্তী সময়ে এটি নারিকেল জিনজিরা বলে পরিচিতি লাভ করে। অসংখ্য নারিকেল গাছের সমারোহ থাকায় এই দ্বীপকে এই নামে ডাকা হয়ে থাকে। সর্বশেষে ইংরেজরা এই দ্বীপটির নামকরণ করে সেন্টমার্টিন এবং দেশ বিদেশের মানুষের কাছে এখন পর্যন্ত এ নামেই পরিচিত।
কুতুবদিয়া বাতিঘর
বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপ এ প্রবাদটি ছোটবেলায় বিভিন্ন পাঠ্য পুস্তকে লেখা ছিল। ইদানিং তেমনটি আর লেখা হয় না। কারণ বাতিঘরটি আর কুতুবদিয়াতে নেই। আছে বাতিঘরটির ভগ্নস্তূপ এলাকা নিয়ে গঠিত বাতিঘরপাড়া। চান্স অ্যান্ড ব্রাদার্স কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক মনোনীত স্থপতি নেয়ার বার্মিংহাম এর তত্ত্বাবধানে ১৮৪৬ সালের দিকে কুতুবদিয়ার উত্তরধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ডেইল নামক স্থানে আটতলা তথা বিশিষ্ট বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ১২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট গোলাকৃতি আলোক স্তম্বের প্রতিটি কক্ষে মূল্যবান কাঁচখচিত জানালা ছিল। কক্ষের চারদিকে রেলিং ছিল। সর্বোচ্চ কক্ষে বাতিঘরটি প্রজ্বলন করা হতো। ১৯ মাইল দূর থেকে নাবিকরা এ বাতিঘর থেকে আলো প্রত্যক্ষ করে দিক চিহ্নিত করতো। শংখ নদীর তীব্র স্রোতের তোড়ে বাতিঘরটি ধ্বংস হতে থাকে। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাতিঘরটি পুরোপুরি ধ্বংস হলে গভীর সমুদ্রে চলাচলরত নাবিক ও মাঝিমাল্লাদের কথা মাথায় রেখে তদানীন্তন সরকার ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ধুরং এলাকায় আগের স্থান থেকে দু’কিলোমিটার পূর্বে বাঁধের ভেতরে প্রায় সাত একর জমিতে আরো একটি বাতিঘর নির্মাণ করে। বাতিঘরের সাথে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য একটি রেস্ট হাউস ও দুটি আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে পুনঃনির্মিত বাতিঘরটি সাগরে বিলীন হয়ে যায়। নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় মেয়াদোত্তীর্ণ এসব স্থাপনা জরাজীর্ণ অবস্থায় কালের নীরব সাক্ষী হিসেবে এখনো সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়ায় বিদ্যমান রয়েছে।
কুতুব আউলিয়ার উত্তরসূরি হযরত শাহ আবদুল মালেক আল কুতুবী (রাঃ) এর মাজার শরীফের অসংখ্য ভক্ত প্রায় প্রতিদিন কুতুবদিয়া সফর করে থাকেন। কুতুবদিয়া সফরের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক বাতিঘরের অস্তিত্ব সন্ধানের জন্য পর্যটকদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
সোনাদিয়া দ্বীপ
দেশের পাহাড়দ্বীপ মহেশখালীর সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কূল অপূর্ব সৌন্দর্য্য বেষ্টিত পর্যটন স্পট সোনাদিয়া দ্বীপ। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন ৪ হাজার ৯২৮ হেক্টর। এ দ্বীপটি পূর্ব পশ্চিমে লম্বা। সৃষ্টি  শৈল্পিক আদলে গড়া সোনাদিয়া জেলার পর্যটন শিল্পের আরেক সম্ভাবনাময় সৈকতের নাম। এখানে রয়েছে বালিয়াড়ি, কাছিম প্রজনন ব্যবস্থা, চামচ ঠোঁটের বাটন পাখি এবং অতিথি পাখির অভয়ারণ্য, দূষণ ও কোলাহল মুক্ত  সৈকত, লাল কাঁকড়ার মিলন মেলা, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক কাছিম, পূর্ব পাড়ার হযরত মারহা আউলিয়ার মাজার ও তার আদি ইতিহাস, জেলেদের সাগরের মাছ ধরার দৃশ্য, সূর্যাস্তের দৃশ্য, প্যারাবন বেষ্টিত আঁকা-বাঁকা নদীপথে নৌকা ভ্রমণ। যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ দ্বীপে সরকারি বা বেসরকারিভাবে যথাযথ উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাবে এ পযন্ত পর্যটন আর্কষণের আধুনিক কোনো পদক্ষেপ বলতে গেলে নেয়া হয়নি। এ দ্বীপের শুটকির কদর সবার মাঝে লক্ষ্য করা যায়। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের কথা প্রচার পাবার পর থেকে এখানকার ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিসহ সরকারি জমি উচুঁ দামে হাতবদল ও দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দ্বীপ হলেও এটি কুতুবজুম ইউনিয়নের ওয়ার্ড হিসেবে এখানে জনবসতি রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ০৩ দশমিক ১৫ একর ও  চিংড়ি চাষযোগ্য ৯৮.০০ একর জমিতে চাষ করেই চলে এখানকার বাসিন্দাদের জীবিকা
ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে ডুলাহাজরায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। প্রায় ৯০০ একর পাহাড়ি ও সমতল ভূমির সমন্বয়ে এপার্কটি সববয়সের মানুষের কাছে বিনোদনের স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে দেখা মিলবে নানা রকম প্রাণির। প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খোলা থাকে ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক। নিজেদের গাড়ি হলে ভ্রমণে সুবিধাটা বেশি। শহর থেকে খোলা জীপ কিংবা মাইক্রোবাস নিয়ে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
পর্যটক সেবায় কক্সবাজারে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ।  এর মধ্যে তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লি, সায়মান বিচ রিসোর্ট, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল এবং তারকা মানের সীগাল হোটেল  হোটেল সী প্যালেস, হোটেল সী ক্রাউন হোটেল দ্য কক্স টু-ডে,  হোটেল মিডিয়া ইন্টার ন্যাশনাল উল্লেøখযোগ্য।
রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল , লাবনী ও প্রবাল। এখানে এক রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দামের কক্ষ। কক্সবাজারে সড়ক পথে আসা-যাওয়ার তথ্য ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে কক্সবাজার ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। ঢাকা থেকে সৌদিয়া মার্সিডিজ বেন্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহনসহ বিভিন্ন বাসের এসি নন এসি কোচে সব সময় আসা যায়।
প্যাকেজ ব্যবস্থা
ঢাকা ট্যুরসসহ বিভিন্ন ট্যুরিজম কোম্পানী সারা বছর প্যাকেজর ব্যবস্থা করে থাকেন।
 ফোন ঃ ০১৯৭৯-৮৭৪০৪২, ৯৫৮৫১৩৯





  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ
রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308