জন্ডিস আসলে কোন রোগ নয়,এটি অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র । জন্ডিস শব্দটি ফরাসি শব্দ লধঁহরংংব থেকে এসেছে যার অর্থ হলুদাভ।
কোন কারণে রক্তে বিলিরুবিন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে গেলে ত্বক, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয় ও প্র¯্রাব হলুদ হলে থাকে জন্ডিস বলে ।
স্বাভাবিক বিলিরুবিন মাত্রাঃ
০.৩-১ সম/ফষ
গুপ্ত জন্ডিস (ষধঃবহঃ লধঁহফরপব)ঃ
৩ সম /ফষ এর নিচে
ক্লিনিকাল জন্ডিস (ঈষরহরপধষ লধঁহফরপব) ঃ
৩ সম/ফষ এর উপরে
প্রকারঃ
১। প্রি-হেপাটিক বা হিমোলাইটিক জন্ডিস
২। হেপাটিক বা হেপাটো সেলুলার জন্ডিস
৩। পোষ্ট হেপাটিক বা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস
লক্ষণ ও উপসর্গঃ
১। ত্বক,চোখের সাদা অংশ (স্কে¬রা)
হলুদ বর্ণ ধারণ
২। হলুদ বর্ণের প্র¯্রাব
৩। ক্ষুধামন্দা
৪। অরুচি
৫। বমি বমি ভাব
৬। মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা
৭। জ্বর জ্বর অনুভূতি
৮। শারীরিক দুর্বলতা
জন্ডিসের ধরণঃ
প্রি-হেপাটিক বা হিমোলাইটিক জন্ডিস
১। ম্যালেরিয়া
২। সিকেল সেল ডিজিজ
৩। থ্যালাসেমিয়া
৪। স্ফেরোসাইটোসিস
৫। ক্রাইগলার নাজ্জার সিন্ড্রোম
৬। হিমোলাইটিক ইউরেমিক সিন্ড্রোম
৭। এ৬চউ এর অভাব
হেপাটিক বা হেপাটো সেলুলার জন্ডিস
১। হেপাটাইটিস-এ, বি, সি, ডি এবং ই ২। গিলর্বাটস সিন্ড্রোম ৩। ড্রাগ, এলকোহল সেবন
৪। এপস্টাইন বার ভাইরাস এর সংক্রমণ
৫। প্রাইমারী বিলিয়ারী সিরোসিস
৬। লিভার ক্যান্সার
৭। কোলেনজাইটিস
৮। ডুবিন-জনসন সিন্ডোম
পোষ্ট হেপাটিক বা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস
১। গলস্টোন
২। পেনক্রিয়েটাইটিস
৩। গলব্লাডার ক্যান্সার
৪। বাইল ডাক্ট ক্যান্সার
৫। পেনক্রিয়াটিক ক্যান্সার
পরীক্ষা-নিরীক্ষা (রহাবংঃরমধঃরড়হং)ঃ
১. ষরাবৎ ভঁহপঃরড়হ ঃবংঃ (খঋঞ)
২. ঝ নরষরৎঁনরহ ঃবংঃ
৩. চৎড়ঃযৎড়সনরহ ঃরসব
৪. ঈইঈ ধহফ ঊঝজ
৫. টঝএথঐইঝ
৬. ঠরৎধষ সধৎশবৎ
* ঐইং অম
* ঐইপ অম
৭. ষরাবৎ নরড়ঢ়ংু.
চিকিৎসাঃ
জন্ডিসের সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে।
সাধারণ চিকিৎসাঃ
১। সিরাপ হেপারেক্স (শরবত দিনার)
৩ চা চামচ করে দৈনিক ২ বার আহারের পর সেব্য । (১৫ দিন)
২। সিরাপ মেহনীল (শরবত বুযূরী)
৩ চা চামচ করে দৈনিক ২ বার আহারের পর সেব্য । (৭ দিন)
৩। কূরছ তমারিক্সিন
২ ট্যাবলেট দৈনিক ৩ বার আহারের পর সেব্য । (৩ দিন)
যদি রোগীর আচার-আচরন ,বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তন হয়, বিলিরুবিন এর মাত্রা ৩০ সম/ফষ এর উপরে হয় তাহলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে ।
প্রতিকারঃ
১। হেপাটাইটিস এ, ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। তাই সবসময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি পান করতে হবে ।
২। হেপাটাইটিস বি, সি এবং ডি দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়ায়।
৩। রক্ত দানের সময় ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে । ৪। নিরাপদ যৌনমিলন করতে হবে । ৫। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, জীবাণুমুক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ ।
৬। নেশাদ্রব্য ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭। হেপাটাইটিস এ এবং বি এর ভ্যাকসিন নেয়া ।
৮। লিভার সুরক্ষা রাখার জন্য লিভার টনিক যেমন- সিরাপ হেপারেক্স (শরবত দিনার) সেবন করা।
জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর যতœ ঃ
১। প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে ।
২। তাজা ফলমূল খেতে হবে ।
৩। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে ।
৪। প্রচুর শর্করা জাতীয় ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে ।
Dr. M.A Sattar
B.U.M.S (Dhaka University)
PGD (Ultrasound) Northern University
Ex-Lecturer (Hon.) Govt. Unani Ayurvedic
Medical College & Hospital, Dhaka
Managing Director
Unidrug Unani Laboratores