শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;   * ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’   * বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   * চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;   * ঢাকা,চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান ;   * গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নিকাণ্ড   * কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ   * মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর   * ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ   * ৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;  

   বাণী
পিলখানা হত্যাকান্ডের ৮ বছর পরও কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও
  Date : 25-02-2017

 হেড অব নিউজ, মোশতাক রাইহান

কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজওআজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই/ আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি/ এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়/ বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে/ মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ। স্বজনদের বুকজুড়ে আজও তীব্র হাহাকার। আর চোখ জুড়ে আমৃত্যু কান্না। ২৫ ফেব্রুয়ারী আজ। পূর্ন হলো পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৮টি বছর। ২০০৯ সালের এদিনে সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বাংলাদেশ রাইফেলস বিডিআরের বিপথগামী কিছু বিপদগামী সদস্য বিদ্রোহ করে। নির্মমভাবে হত্যা করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের সেদিনের সেই তান্ডবের ঘটনা বিদ্রোহের ইতিহাসে বিরল। তাদের হাত থেকে সেদিন রেহাই পায়নি বিডিআর মহাপরিচালক, পরিবার, সিপাহি, ল্যান্স নায়েকসহ সাধারণ মানুষও।

 

নির্মম এ হত্যাকান্ডের বিচার, সংশ্লিষ্টদের সাহায্য-সহযোগিতা ও ঘুরে দাঁড়ানোর নানা চেষ্টার পরও স্বজনহারাদের কান্না থামেনি আজও। কেন ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল, কারাই বা এর-পেছনের পরিকল্পনাকারী, কারাই বা নেড়েছিলো কলকাঠি সে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে নিহতদের স্বজনসহ সাধারন জনমানুষের মন।

 

বিদ্রোহের পর বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অর্থাৎ বিজিবি। এ ছাড়া আইন, পোশাক, পতাকা ও মনোগ্রামসহ অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু গত ৮ বছরেও এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়নি। নির্মম ও নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের পর প্রথমে কোতোয়ালি থানায় ও পরে নিউমার্কেট থানায় সদর ব্যাটালিয়নের  ডিএডি তৌহিদুল আলমসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। বাহিনীর নিজস্ব আইনেও পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৭টি বিদ্রোহ মামলা হয়। এসব মামলায় ছয় হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্যকে আসামি করা হয়। 

 

২০১২ সালের ২০ অক্টোবর সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৭২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়ার মধ্যদিয়ে ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার নিষ্পত্তি সম্পন্ন করা হয়। রাজধানীর বখশিবাজারে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাশে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি শুরু হয় পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার বিচার কার্যক্রম। পরে এ মামলার রায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড , ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে ২৬২ জনকে সাজা দেয়া হয়। ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছে। বেকসুর খালাস দেয়া হয় ২৭১ জনকে। বিচার প্রক্রিয়া চলার সময় পাঁচজন মারা যায়। হত্যাযজ্ঞ মামলাটি বর্তমানে উ”চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৩৫৯তম দিনে এসে চূড়ান্ত শুনানির তারিখ পেছানো হলো দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় এ মামলার। 

 

১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যু অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মুলতবি আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজর“ল ইসলাম তালুকদার। চলতি বছরেই হাইকোর্টে এ মামলার বিচার শেষ হয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।  

 

পিলখানার ঘটনায় তিনটি মামলার মধ্যে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। হত্যা মামলার মোট আসামি ৮৫০ জন। বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার আসামি ৮৩৪ জন। পূর্বে ৭৮৭ জন থাকলেও পড়ে সম্পূরক চার্জশিটে আরো ২৬ জনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে বিডিআর জওয়ান আছেন ৭৮২, বেসামরিক সদস্য ২৩ জন। 

 

জানা গেছে, ৩৫৯ কার্যদিবস ধরে এ মামলার কার্যক্রম চলছে। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল নিয়ে ৩৫ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক পাঠ করা হয়েছে ১২৪ কার্যদিবস। বাকি ২৩২ কার্যদিবস রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছে। চার্জশিট থেকে ঘটনার সময় ২ দিনের বর্ণনা পাওয়া যায়, ঘটনার সময় ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত পিলখানায় ৬ হাজার ৯০৩ জন বিডিআর সদস্য কর্মরত ছিলেন। তবে দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন ৯৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ২ হাজার ৪৮৩ জন। এ হত্যাকান্ডের পর মামলায় ৫ হাজার ৯৬৪টি আলামত জব্দ করা হয়। 

 

মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকন্ডে  ২ হাজার ৪১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ১ হাজার ৮৪৫টি রাইফেল, ৫২৮টি এসএমসি, ২৩টি পিস্তল ও ১৮টি এলএমজি। এ মামলার ১ হাজার ৩৪৫ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২৩২ কার্যদিবসে ওই ৬৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আদালতে দেয়া সাক্ষীদের মধ্যে ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্য, বিডিআর সদস্য, সাংবাদিক, সাধারণ নাগরিক, অস্ত্র ও মোবাইল ফোনসেট বিশেষজ্ঞ, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, রেডক্রিসেন্ট সদস্য, র‌্যাব সদস্য, জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী দলের সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং সে সময়কার বিমান ও নৌ-বাহিনীর প্রধানও রয়েছেন।

 



  
  সর্বশেষ
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;
ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308