বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ   * মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর   * ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ   * ৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;   * কুড়িগ্রামে অযৌক্তিক রেলভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন   * কুড়িগ্রামে তীব্র গরমে অচেতন হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু   * পঞ্চগড়ের সদরে বৃষ্টির জন্য মুসল্লীদের ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত   * গাজীপুরে তাপদাহে ঝরছে লিচুর গুটি,দিশেহারা চাষিরা   * হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি সিইউজের   * কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয়ণের অধিকাংশ ঘরে চলছে ভাড়া-বাণিজ্য  

   প্রবন্ধ
বড়দিন বারতা ও তাৎপর্য
  Date : 06-12-2016


ড: ফাদার তপন ডি’ রোজারিও
বড়দিন! ক্রিস্টমাস! প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন স্মরণে আনন্দ মহোৎসব। এ উৎসব যত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপন করা হয় যে, খ্রীষ্টানদের আর কোন ধর্মীয় উৎসব তত বাহ্যিক চাকচিক্য আর অনন্দ-স্ফুর্তির মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয় না বললেই চলে। এর কারণ, শতাব্দী ধরে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ও জাতিতে সুন্দর সুন্দর অর্থপূর্ণ লৌকিক প্রথা ও সংস্কার বড়দিন প্র¯দতিতে যুক্ত হয়ে বাহ্যিকতার পাশাপাশি ভক্তি ও বিশ্বাসের বিস্তার ঘটিয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশতঃ বর্তমান যুগে বড়দিনের বাহ্যিক ও ব্যাবসায়িক মূল্য প্রাধান্যের প্রতিযোগিতায় এ পবিত্র ছুটির দিনের ধর্মীয় তাৎপর্য বহুলাংশে নি®প্রভ। মাত্র অল্পসংখ্যক খ্রীষ্টভক্ত স্মরণ করে যে এ বড়দিনের প্রতিটি খ্রিস্টিয় প্রথা ও ঐতিহ্যের এক একটি ভিন্ন ইতিহাস অথচ অভিন্ন ধর্মীয় পটভূমি রয়েছে।
বড়দিন ব্যুৎপত্তি ও শুভেচ্ছা বাণী: বড়দিন বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন জার্মান ভাষায় ভাইনাখ্টেন (পবিত্র রজনী), ফরাসীতে ন্যূয়েল (ঐশ রজনী), স্প্যানিশে নাভিদাদ (জন্ম রজনী) এবং ইতালীয় ভাষায় নাতালে (নবজাতকের রাত্রি) ইত্যাদি। এই বাংলাদেশেও এককালের পর্তুগীজ জমিদারীর খ্রীষ্টান লোকলয়গুলোতে (ভাওয়াল, হুসাইনাবাদ-বান্দুরা, পাদ্রিশিবপুর, দিয়াং-চাটগাঁ) কেউ কেউ বড়দিনকে নাতাল বলতে অভ্যস্ত ছিল। তবে বহুল পরিচিত খ্রীষ্টমাস-এর বুৎপত্তি প্রাচীন ইংরেজী ’খ্রীস্তেস মেসে’ অর্থাৎ ’খ্রীষ্টের মীসা বা খ্রিস্টের স্মরণে উৎসব’ থেকে। যীশু খ্রিস্টের জন্ম হয় রাতে তাই প্রায় সব ভাষায় রাত্রি শব্দটির ব্যবহার আছে কিšদ লক্ষণীয় যে বাংলাতে প্রচলিত আছে দিনের কথা। সম্ভবত বৃটিশ শাসিত ভারতে, ক্রিস্টমাস যে একটি ’গ্রেট ডে’ তা বুঝাতে সংস্কৃত ভাষায় ’মহা দিবাসা’ বা হিন্দি ও উর্দ্দু ’বড়া দিন’ বাংলাভাষীদের কাছে বড়দিন নামে প্রচলিত হয়ে থাকতে পারে! আবার ডিসেম্বর মাসের এ সময় থেকে দিবাভাগ ক্রমে ক্রমে বড় হতে থাকে বলেও উৎসব দিবসটি এ নামে আখ্যায়িত হয়ে থাকতে পারে বলে মতামত রয়েছে। আসলে রাতে বা দিনে ২৫ ডিসেম্বর আজ থেকে ২০১৬ বছর আগে এ ধরাতে যিনি মানব জন্ম নিয়েছিলেন তিনি সত্যিসত্যি মহান ও বড়। এদিন তাঁর জন্ম হয়েছে বিধায় দিনটি আর সাধারণ দিন নয় বরং বড়দিন! এদিন যে তাঁর সাথে, তাঁর আহ্বান, তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ মতে তাঁর সকল অনুসারীদের অন্তরে ও মনে বড় হবার দিন- তাই ব ড় দি ন।
নানাবিধ খ্রিস্টিয় প্রথা, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বড়দিনের কার্ড, ক্যারোল, কীর্তন, টেক্সট মেসেজ, গিফ্ট, কেইক আর সাক্ষাৎ আনন্দ শুভেচ্ছায় বলা হয় ’উইস্ ইউ এ মেরি ক্রিস্টমাস এন্ড এ হ্যাপী নিউ ইয়ার’ বা ’সুখের বড়দিন ও শান্তি সমৃদ্ধির শুভ নববর্ষ’। ঈশ্বর মানব জাতির পরিত্রাণের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার ইয়েশুয়া বা যীশুকে দান করলেন। তিনি নিয়ে আসেন শান্তি, একতা ও প্রেমের অমোঘ বারতা।
যীশু খ্রিস্টের জন্ম বিষয়ে নবীদের ঘোষণা: অনেক প্রবক্তা বা নবীগণের মধ্য দিয়েই মশীহ অর্থাৎ মুক্তিদাতা ও তাঁর রাজ্যের আগমন এবং সেই রাজ্যের  বৈশিষ্ট তথা শান্তি, একতা, ন্যয্যতা ও ভালবাসার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতীকী ভাষায় ব্যক্ত নবী ইসাইয়ার প্রাবক্তিক বাণী হল: ”সেদিন জেসে বংশের সেই মূল কান্ড থেকে বেরিয়ে আসবে একটি নতুন পল্লব; তার শিকড় থেকে জন্ম নেবে এক নবাঙ্কুর। সেই নবাঙ্কুর যিনি, তাঁর ওপর অধিষ্ঠিত থাকবে পরমেশ্বরের আত্মিক প্রেরণা প্রজ্ঞা ও বুদ্ধির আত্মিক প্রেরণা, সদ্বিবেচনা ও শক্তির আত্মিক প্রেরণা, জ্ঞান ও ভগবৎ-সম্ভ্রমের আত্মিক প্রেরণা। আর এই ভগবৎ সম্ভ্রম তাঁকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বাইরের চেহারা দেখেই বিচার করবেন না, পরের কথায় কান দিয়ে রায়ও দেবেন না; বরং তিনি দুঃখী দীনের বিচার করবেন ধর্মের নীতিতে; দেশের দীনজনের সপক্ষে রায় দেবেন ন্যায়েরই বিধানে। ... ধর্মময়তা হবে তাঁর কটিবাস, বিশ্বস্ততা হবে তাঁর কোমরবন্ধনী” (ইসাইয়া ১১:১-৫)।  
যীশু খ্রিস্ট জন্ম নিয়েছেন ঐশ প্রতিশ্রুতির পূর্ণতারূপে: সময় পূর্ণ হলে ঈশ্বর তাঁর পুত্ররূপে (ঐশতাত্বিক অর্থে) তাঁরই পূর্ণ প্রকাশরূপে এই পৃথিবীতে পাঠালেন তাঁকে; তাঁর নাম রাখা হল যীশু অর্থাৎ ত্রাণকর্তা। যীশুর জন্ম কুমারী মারীয়ার গর্ভে (যাকে বিশ্বাসে বলা হয় নিষ্কলঙ্কা) পবিত্র আত্মার শক্তিতে। এখানে একান্তভাবেই উলে¬খ্য যে, পুরো ঘটনাটি একটি ঐশ-রহস্য এবং এখানে রয়েছে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ঐশ-হস্তক্ষেপ। জাগতিক ইতিহাসে, বিশেষ এক কৃষ্টি নিয়ে বিশেষ সময়ে এশিয়া মহাদেশেই তাঁর জন্ম; কিšদ অলৌকিকভাবে। ঈশ্বরের মুখের বাণী হয়ে মানুষেরই মাঝে বসবাস করতে এবং মানুষকে ঈশ্বর-সন্তানের অধিকার দিতে তিনি মানবদেহ ধারণ করে এই পৃথবীতে আগমন করেন। তিনি ঈশ্বরত্বকে সম্পূর্ণরূপে ধারণ করে, পুরো ঈশ্বর থেকেই পাপ ব্যতীত অন্য সবকিছুতেই তিনি পুরোপুরি মানুষরূপে এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। এভাবে মানুষরূপে জন্ম গ্রহণ করে তিনি মানুষের দীনতাকে আলিঙ্গন করেন, মানুষের পাপকে আপন স্কন্ধে নেন যেন মানুষকে পাপমুক্ত করে তার জন্য স্বর্গে যাবার পথ উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। যেভাবে তাঁর জন্ম তার বাস্তবতাই এ সত্য প্রকাশ করে। ব্যতিক্রম হলেও সত্য যে, যীশু জন্ম নেন বেথলেহেমের ছোট্ট গোশালায়; যাবপাত্র ছিল তাঁর শয়ন-¯দান। তাঁর এই ব্যতিক্রমধর্মী জন্ম প্রকাশ করে পাপী-তাপী, দুঃখী মানুষের জন্য ক্ষমা, মুক্তি, আনন্দ এবং তার সাথে একাত্মতা! এ যেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ”স্বর্গের সিড়ি বেয়ে” মর্তে আগমন, মর্তের মানুষকে স্বর্গে নিয়ে যাবার জন্য। এভাবে মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেন সৃষ্টিকর্তা পরমেশ্বরের কাছে যাবার জন্য  পথ, সত্য ও জীবন। যীশুর এই জন্ম-সংবাদ সর্ব প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল যারা দীনদরিদ্র কিšদ সহজ সরল, সত্য, স্বচ্ছ ও পবিত্র এমন একদল রাখালের কাছে। স্বর্গদূতের বার্তাটি হল: ”ভয় পেয়ো না! আমি এক মহা আনন্দের সংবাদ তোমাদের জানাতে এসেছি; এই আনন্দ জাতির সমস্ত মানুষের জন্যেই সঞ্চিত হয়ে আছে। আজ দাউদ নগরীতে তোমাদের ত্রাণকর্তা জন্মেছেন তিনি সেই খ্রীষ্ট, স্বয়ং প্রভু। এই চিহ্নে তোমরা তাঁকে চিনতে পারবে: দেখতে পাবে কাপড়ে জড়ানো যাবপাত্রে শোয়ানো এক শিশুকে” (লুকের মঙ্গল সমাচার ২:১০-১২)।
তাঁর এই জন্মে স্বর্গদূতবাহিনী গেয়েছিল পরমেশ্বরের মহিমা গান, গেয়ে উঠেছিল শান্তির গান: ”জয় উর্ধ্বলোকে পরমেশ্বরের জয়! ইহলোকে নামুক শান্তি তাঁর অনুগৃহীত মানবের অন্তরে” (লুক ২:১৪)!
অতএব বড়দিন হল প্রভুযীশুর জন্মতিথির মহোৎসব, যীশুর মানবদেহধারণের মহোৎসব। পাপী মানুষের ত্রাণ করতেই তাঁর জন্ম হয়েছিল বলেই যীশুর জন্ম উৎসবে খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের এতো আনন্দ উল্লাস। হাজার বছরের বড়দিন ঐতিহ্যে ও ধর্মতত্ত্বে খুঁজে পেতে হয় নানা প্রশ্নের উত্তর।
বড়দিনের বারতা ও চ্যালেঞ্জ: বড়দিনের প্রধান বাণী হলো শান্তি ও সম্প্রীতি।  যীশু এসেছিলেন শান্তির বাণী ও দূত হয়ে।  বর্তমান বিশ্বে  যদিও অনেক দাঙ্গা-হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাস ও হিংস্রতা তথাপি আমরা দৃঢ়তার সাথেই বলতে পারি যে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ঈশ্বরের দেওয়া শান্তি-শক্তি ও মিলন-শক্তি নিয়ে বলীয়ান।  প্রতিটি মানুষ একান্তভাবেই আকাঙ্খা করে শান্তি, মিলন ও ভ্রাতৃত্ব। মানুষের এমন শক্তি-সামর্থ আছে বলেই বিশ্ব এখনো সামনের দিকে এগিয়ে চলছে ও চলবে। যীশুর আগমন মানুষের মাঝে এই এক ক্ষমা ও মিলনের আধ্যাত্মিক শক্তিকে নিশ্চিত করেছে। এবারের বড়দিনে আমরা যীশুর শান্তি ও মিলনকে মূখ্য বক্তব্যরূপে নিতে পারি, মূখ্য অনুশীলনরূপে নিতে পারি।  হিংস্রতার রূপ নিয়ে একজন অন্যজনকে  ধ্বংস করবে এটা তো কারো প্রত্যাশা নয়। রাজনৈতিক বা কুটনৈতিক কোন কোন্দলে পড়ে মানুষ অসহায়ের মত নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে গুমড়ে কাঁদুক এ-তো আমরা কেউই চাই না। যীশু পৃথিবীতে এসে পাপীকে ক্ষমার আলিঙ্গনে আবদ্ধ করেছেন; মৃতকে জীবনদান করেছেন; অবহেলিত ও অবাঞ্চিতকে মানবিক মূল্য দিয়েছেন; পাপময়তার বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেছেন। আমাদের দেশে ও সমাজে এই মুক্তি ও আনন্দের আজ ভীষণ প্রয়োজন। বর্তমানকালের অনেক পরি¯িদতিও বাস্তবতা আমাদের দেয় অপরিসীম আনন্দ; আবার অনেক অনেক ঘটনাই আমাদের সামনে নির্যাতন ও হত্যার মতো মারাত্মক পাপের আন্দার ছবি তুলে ধরে। এই বড়দিনে আমরা প্রত্যেকেই আত্ম সমীক্ষামূলক প্রশ্ন করতে পারি:  আমরা কি পারব না একে অন্যের সাথে শ্রদ্ধা-সৌহার্দ নিয়ে বসবাস করতে? আমরা কি পারব না প্রতিশোধ মূলক কর্মকান্ডকে পরিহার করে মিলন ও ভ্রাতৃত্বকে জীবনে প্রকাশ করতে? সমস্ত লোভ-লালসা পরিহার করে আমরা কি পারি না এক সঙ্গে প্রগতি নিয়ে এগিয়ে যেতে? আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশে যদি আজ যীশুকে জন্ম নিতে বলি, তিনি জন্ম নিবেন আমাদের এই রূপান্তরিত জীবনেই, রূপান্তরিত সোনার সন্তানদের সোনার বাংলাতেই। এই বড়দিনে আমাদের প্রত্যাশা হল আজ নতুন করে পৃথিবীতে যীশুর জন্ম বাস্তবায়িত হউক আমাদের দ্বারা আমাদের মাঝে। দূর হয়ে যাক যত প্রকার হেরোদীয় হিংসা, ঘৃণা আর বৈষম্য। হেরোদ তো যীশুর আগমনে কুটিল হয়ে সব শিশুদের হত্যা করেছিল। মানুষ হয়ে উঠুক সত্য, সরল, সহজ রাখালদের মত মিলন ও ভ্রাতৃত্বের মানুষ; শান্তি ও সম্প্রীতির মানুষ।
বছরের শেষপ্রান্তে  এসে গোটা বিশ্বেও আশাব্যঞ্জক ও নৈরাশ্যব্যঞ্জক অনেক ঘটনা দেখার পর আমরা আজ এবারের বড়দিনে আমাদের হৃদয়ের তন্ত্রিতে, বিবেকের গভীরে এই শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মিলনের বাণী শুনতে অন্তত একটিবার ব্যক্তিগতভাবে সাধনা করি। গোয়াল ঘরে শায়িত যীশুকে দেথে আমরা শান্তি ও মিলনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি। এভাবেই আমরা বড়দিন উৎসবকে কোন এক গন্ডির মধ্যে না রেখে সার্বজনীন রূপ দিতে পারি; এই বড়দিন হয়ে উঠতে পারে আমাদের সকলের ’বড়দিন’। মিলন ও ভ্রাতৃত্বের শুভদিন। এবারের বড়দিনে আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের ধর্মীয় ও নৈতিক জীবন যাপন দ্বারা এবং আমাদের সাধ্য অনুসারে বাংলাদেশের সকল মানুষের বিষেশভাবে দীনদরিদ্র্র ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ভাইবোনদের আত্মিক, নৈতিক ও পার্থিব উন্নতি কল্পে নিজেদের নিয়োগ করি। প্রার্থনা করি অমাদের প্রত্যেকের জীবনের যেন শান্তি-শক্তি বৃদ্ধি হয়, প্রার্থনা করি আমাদের  দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্য। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সকলেই বড়দিনে যীশু খ্রিস্টেও মঙ্গল আশীর্বাদে ও তাঁর অনুগ্রহ দ্বারা পুণ্য¯œাত হোক। দৃঢ় হোক বাংলার সম্প্রীতির কৃষ্টি-ঐতিহ্য, লুপ্ত হোক যত দানবীয়-সন্ত্রাস অপকর্ম।
উপসংহার: বড়দিন। ক্রিস্টমাস। বছর বছর ঘুরে আসে এ মহোৎসব। গোটা বিশ্বে এই উৎসবের কৃষ্টি ও প্রথাগত বিভিন্নতা উৎসবের ঐশ্বর্যই প্রকাশ করে। খ্রীষ্টের এ জগতে মানুষ হয়ে জন্ম নে’য়া ঐতিহাসিক ঘটনা সত্যে প্রমাণ মিলে যে, এই ব¯দ জগৎ মন্দ নয় বরং উত্তম। এই জগতের ব্যক্তি ও ব¯দর মধ্য দিয়েই ঈশ্বর তাঁর জীবন আমাদের সাথে সহভাগিতা করেছেন বা আজও করে যাচ্ছেন। ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট প্রতিটি মানুষ মিলিত হতে পারবে তাঁর ¯্রষ্টার সাথে। যীশু খ্রিস্টের মানব দেহধারণ অনšকালীন Í ধ্বংসের বিপরীতে দেহ ও আত্মাকে করে একত্রিত ও উত্থিত। ঐশ কৃপালাভের অন্যতম প্রমান বড়দিন। তাই তো এইদিন বড়দিন উৎসবে বিশ্বাস ও ভক্তি প্রকাশের অন্যতম পূঁজি খ্রীষ্টিয় আধ্যাত্মিক ও লৌকিক সংস্কার পালনের মাধ্যমে আমরা সবায় আনন্দে মেতে উঠি। মানুষের আসল উৎসব হলো আধ্যাত্মিক বড়দিন। ভক্তের অন্তর গহীনে লুকিয়ে থাকা আমিত্ব আর অহমিকাকে জয় করঅ। বড়দিন স্মরণ করিয়ে দেয় এক দিব্য খ্রিস্ট-চেতনা আর ঐশ-প্রজ্ঞালোকে জীবনকে রূপান্তরিত ও আলোকিত করা সম্ভব।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান
বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



  
  সর্বশেষ
কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ
মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর
ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ
৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308